Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

টিসিবির জন্য ৪০ লাখ লিটার তেল, ৬ হাজার টন ডাল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল ও ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য নয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া টিসিবি কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ছয় হাজার টন মসুর ডাল নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৭ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর



কুষ্টিয়া বিএডিসি এডি’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন মিয়া’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কুষ্টিয়া বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ)’র কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও সাধারন ডিলাররা। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সমন্বয় কক্ষে বিএফএ কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সাথে গত ২৮ এপ্রিলে জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় মিটিং হয়। উক্ত মিটিংএ ডিলার নেতৃবৃন্দ বাদেও অন্যান্য ডিলারগন উপস্থিত ছিলেন কিন্তু উক্ত মিটিংএ মহিউদ্দিন মিয়া অজুহাত দেখিয়ে উপস্থিত না হয়ে উপস্থিত করেছিলেন যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনিকে। উক্ত মিটিংএ জেলার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সূরেখা ও সাধারন সম্পাদক আক্কাস আলী জেলা প্রশাসককে জানান, বর্তমান এডি ২০.০৫.২০২২ তারিখে অত্র অফিসে যোগদান করে কিছু অসাধু ডিলারদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে আর্থিক দূর্ণীতি করে যাচ্ছেন। তারই জের ধরে গত বছর এডি লেবারদেরকে উস্কে দিয়ে ডিলারদেরকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছিল যা নিউজ সহ ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। নেতৃবৃন্দরা বলেন, কতিপয় দালাল ডিলারদের সহযোগিতায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। তারা বলেন, গত মার্চ মাসে তিউনিশিয়ার টিএসপি সার কুষ্টিয়া গোডাউনে আসলেও তিনি তার বরাদ্দ দেন নাই। এই সারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গোডাউনের এক কর্ণারে লুকিয়ে রাখে এবং তার দালাল ডিলারদের মাধ্যামে অতিরিক্তি অর্থের বিনিময়ে পে-অর্ডারের মাধ্যমে তা বিতরন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় নজরুল ইসলাম নজু নামের এক ডিলারকে বরাদ্দপত্র বাদেই গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে গোপনে ঐ সার ট্রাকে লেবারদের দিয়ে তুলে দেওয়ার সময় অন্য এক ডিলার এসে হাতে নাতে ধরে ফেললে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে ৪৫ বস্তা টিএসপি সার দিয়ে ম্যানেজ করেন এডি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তোড়পাড় সৃষ্টি হলে দ্রুত কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দপত্র এনে ১৫ বস্তা করে সার দেন। প্রেরিত সারের অনুকূলে তিনটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অপরিদপ্তর থেকে প্রতিটা জেলার ডিলারদেরকে সার গুলো বিভাজন করে বাজারজাতকরণের জন্য কুষ্টিয়া বিএডিসি অফিসে প্রেরণ করেন। উক্ত বরাদ্দকৃত লিস্ট ডিলারদের হাতে না দিয়ে ফোনে জানিয়ে দেন বর্তমান এডি। এটা অবগত হওয়ার পর বিএডিসি অফিসের অনুকূলে পে-অর্ডার করেও তারা টিএসপি সার পান না বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে গত ২১ শে এপ্রিল তারিখে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ৪০০+৪০০= ৮০০ বস্তা দুই ট্রাক টিএসপি সার মেহেরপুরের এক ডিলারের গোডাউনে আনলোড করার সময় অন্যান্য ডিলারদের হাতে ধরা পড়ে। এভাবে মাসে ২/৩ বার অবৈধভাবে তার সিন্ডিকেটধারী ডিলারদেরকে প্রদান করেন বলে তারা জানান। তারা এটাও বলেন আমরা ডিলাররা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি কারন, বরাদ্দের অনুকুলে প্রতিবস্তা টিএসপি সার নিতে আমাদেরকে দিতে হয় ১৩০ টাকা ও ক্যানাডার এমওপি সার বস্তা প্রতি দিতে হয় ৩০ টাকা করে। উক্ত টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই এই টাকা এডি’র ঘনিষ্ঠ দু’জন অনুসারী গিয়াস ও মহিউদ্দিনের হাতে নগদে দিতে হয় বলে ডিলাররা জানান। এদিকে ডিলার নজু প্রতিদিন সকাল থেকে এডির চেম্বারসহ আশেপাশে থাকেন, তিনি বাড়ী না যাওয়া পর্যন্ত নজু সাথেই থাকেন। তারা এটাও বলেন নজুর নির্দেশে এডি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা অন্য কোন ডিলাররা বেশী সময় অবস্থান করেন না। কাজ শেষ হয়ে গেলে বের হয়ে যায়। অফিসের সিসি টিভি ফুটেজ চেক করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। কুষ্টিয়ার একাধিক সার ডিলার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি ফকিরনির সন্তান নাকি, প্রতিটা সার ডিলাররা অনেক সাবলম্বী। অর্থ না থাকলে সার ডিলারের ব্যবসা করা যায় না। আর এই সকল ডিলারদেরকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সার ডিলারদের উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা জানতে কুষ্টিয়া বিএডিসি (স্যার) অফিসের এডি মহিউদ্দিন মিয়া কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি’কে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । আমাকে জেলা প্রশাসক ডেকেছিল আমি বিস্তারিত বলেছি । তিনি এটাও বলেন, ‘হয় আমি এই অফিসে, থাকবো না হয় ডিলাররা থাকবে’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কি বিএফএ’র চাকরী করি, আমি চাকরী করি সরকারের। তিনি এটাও বলেন, নীচ তলাতে কি হয় দ্বিতীয় তলার ব্যক্তি সব জানে, মানে যুগ্ন পরিচালক। অন্যদিকে যুগ্ন পরিচালক বলেন, নীচ তলাতে কি হয় আমি জানি না। তিনি কর্কট ভাষায় এটাও বলেন, আমার যা আছে তাতে আমার চাকরী করে খাওয়া লাগবে না। তবে ডিলার নজরুল ইসলাম নজুর বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বীকার করেন দুজনেই। তবে জেলা প্রশাসকও তদন্ত করছে বলে জানান উপস্হিত ডিলাররা।
 
ডিলাররা এটাও বলেন, কুষ্টিয়া শহরে ফ্লাট কিনেছেন, ঢাকা কল্যানপুরে জমি কিনেছেন। অঢেল তরল সম্পদের মালিক হয়েছেন, দুই বছরেই তিনি আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রয়োজন জরুরী ভিত্তিতে। পূর্বের এডি মাহাবুবুর রহমানের বাড়ী ছিল ফরিদপুরে বর্তমান এডি’র বাড়ীও ফরিদপুরে। তবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের মিটিং এ ডিলারদের এত অভিযোগর কোন উত্তর দিতে পারেন নাই যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনি। অন্যদিকে যুগ্ন পরিচালক ওসমান গনি তার পক্ষে সাফাই গেয়ে বললেন, তিনি জমিদারের সন্তান, তিনি জমি, ফ্লাট কেন আরো কিছু কিনতে পারেন। এ বিষয়ে নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিডিসি)’র চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও মাহাব্যবস্থাপক (সার ব্যবস্থাপনা) মো আজিম উদ্দিনের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলেন, বিষয়টি ডিলারদের সাথে এডি ও ডিডির যে বৈষম্য চলছে তা দ্রুত তদন্তপূর্বক বদলীসহ সমাধান করুন নইলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কৃষক সমাজ। ডিলার ও অফিসের এডি মহিউদ্দিন তারা এক অন্যেও উপর ফুঁসে আছে তাতে আরো বড় ধরনের সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে।

আরও খবর



হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ভৈরবনগর গ্রামের ৪ প্রবাসী যুবকের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image
মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবং নিজেদের  স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার  বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারের চার সদস্য কাতার প্রবাসি দুলাল মিয়া , আব্দুলা , আমির হোসেন , নূর মোহাম্মদ ও পারবেছ । 

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কাতার থেকে বিমানে করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলেন এই চার প্রবাসী । 

এবার তাদের বাড়ি ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাদেরকে দেখার জন্য। গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন হেলিপ্যাডের পাশে বাড়ির আঙিনায়।

এমন দৃশ্যটি নবীনগর বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লা পরিবারের চার সদস্য কাতার  প্রবাসীর । 

আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে ভৈরবনগর গ্রামের ফসলি জমির হেলিপ্যাডে মাঠে নামেন তারা। এসময় প্রবাসী চার ভাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর পক্ষে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান,ওবায়দুল হক, শহীদ মেম্বার, নজরুল ইসলাম । 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাতার পাড়ি জমান। এর আগে কয়েকবার বাড়িতেও এসেছেন তারা। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা ও নিজেদের শখ ছিল একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরবেন। সেই শখ মেটাতে এবং পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবার তারা এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে।

এ সময় তাদের দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। চার ভাইকে দেখতে আসা বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক এর ভড় ভাই মো. ওবায়দুল হক বলেন, তারা খুব ভালো মানুষ। গ্রামের কারও বিপদ আপদে তাদের শরণাপন্ন হলে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেন।

এ সময় কাতার প্রবাসী তিতন মোল্লা  বলেন, আমরা দীর্ঘদিন কাতারে আছি। আমাদের বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণে ও নিজেদের শখ মেটাতে এবং গ্রামের মানুষ ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমরা ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। নিজেদের শখ পূরণের পাশাপাশি আমরা সাধ্য মোতাবেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।

আরও খবর



মাগুরায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার ১৭৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মাগুরা সদর উপজেলার ১২০ টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৬ জন ভোট প্রদান করবেন। অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলার ৫৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৫২ জন ভোটার। সকাল থেকেই কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম। লক্ষ করা যাচ্ছে।মাগুরার দুইটি উপজেলায়  ৫১ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ/ গুরুত্বপূর্ণ  ঘোষনা করেছে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে।ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে জন্য মাগুরায় ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  আনসার সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মাগুরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান ।

আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে  জনপ্রিয় মার্কিন টিভি শো ‘ফ্যামিলি ফিউড’-এর বাংলাদেশি সংস্করণ! বিশ্বের ৫০টিরও দেশে সাড়া জাগানো প্রতিযোগিতামূলক পারিবারিক অনুষ্ঠানটি এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজিত হতে  যাচ্ছে।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে দু’টি পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, এবং একশ’ জনের ওপর পরিচালিত বিভিন্ন জরিপের ফলাফল অনুমানের চেষ্টা করেন। প্রতিযোগিদের মূল লক্ষ্য থাকে জরিপে পাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তরগুলো খুঁজে বের করা, এবং এর ভিত্তিতে তাদের পয়েন্ট বন্টন করা হয়। প্রথম যে পরিবারটি ৩০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, তার সদস্যরা বোনাস রাউন্ড “ফাস্ট মানি”তে অংশ নেওয়ার বিশেষ সুযোগ পান। দেশে ফ্যামিলি ফিউড’এর আয়োজনকে আরো জমজমাট করে তুলতে এর সঞ্চালকের আসনে থাকছেন তারকা মিউজিশিয়ান ও অভিনেতা তাহসান  রহমান খান।

“বঙ্গ’র প্রযোজনায় বাংলাদেশে ফ্যামিলি ফিউড-এর মত দূর্দান্ত একটি অনুষ্ঠানের প্রথম সিজনে  যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত”, জানান তাহসান। “আশা করছি আমরা একটি সফল আয়োজন উপহার দিতে পারব, যেখানে সব দর্শকরা অংশ নিতে পারবেন এবং পারিবারিক বিনোদনের অভিজ্ঞতা নতুন করে ফিরে পাবেন”।

মূল আয়োজনের খ্যাতনামা সঞ্চালক স্টিভ হার্ভি’র হাস্যরসাত্মক পরিবেশনা ফ্যামিলি ফিউড’কে বিশ্বের দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। বিজয়ীর মুকুট অর্জনের জন্য পরিবারের সদস্যদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মজার পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি পারিবারিক সম্পর্কের উষ্ণতা ও ভালোবাসা উদযাপনেরও উপলক্ষ তৈরি করে। বাংলাদেশেও অনুষ্ঠানটি একইরকম উত্তেজনা আর বিনোদন উপহার দিতে যাচ্ছে, সেই সাথে দেশি সংস্করণে আরো থাকছে আলাদা কিছু চমক। আগ্রহীরা শীঘ্রই বঙ্গ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bongobd.com এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আবেদন জানাতে পারবেন।

অনন্য উদ্ভাবনী আর সৃজনশীলতার কারণে দেশের বিনোদন পরিসরে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। ফ্যামিলি ফিউড আয়োজন প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বঙ্গ’র চিফ অপারেটিং  অফিসার ফায়াজ তাহের বলেন, “আমরা এমন একটি আয়োজন নিয়ে আসছি যেখানে পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে উপভোগ করতে পারবেন। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বিশেষ আনন্দের উপলক্ষ। বাংলাদেশে এখনো অনেক যৌথ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদেরকে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরির সুযোগ দিতে চাই”।


আরও খবর