Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টেক্সাসে এলিভেটেড ওয়াকওয়ে ভেঙে ২১ কিশোর আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একটি কাঠের এলিভেটেড ওয়াকওয়ে ভেঙে পড়ে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। তাদের সবাই কিশোর।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

শহরের কর্মকর্তারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এলিভেটেড ওয়াকওয়েতে ধসের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন বলে জানিয়েছেন তারা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের সার্ফসাইড বিচের একটি পার্কে উঁচু ওয়াকওয়ের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এতে ২১ কিশোর আহত হন।

শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে পাঁচ কিশোরকে আকাশ পথে এবং অন্য ১৬ জনকে সড়ক পথে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত কিশোরদের মধ্যে কেউই প্রাণঘাতী আঘাত পায়নি।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত কিশোররা সবাই ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী। হিউস্টনের বাইরে সাইপ্রেস ও টমবল থেকে এবং সান আন্তোনিওর বাইরে স্প্রিং ব্রাঞ্চ থেকে তারা এখানে ঘুরতে এসেছিল। তারা মূলত বায়উ সিটি ফেলোশিপ পরিচালিত গ্রীষ্মকালীন শিবিরের অংশ হিসাবে সেখানে গিয়েছিল।

স্টাহলম্যান পার্কটি সমুদ্র সৈকত এবং মেক্সিকো উপসাগরের দৃশ্য উপভোগের সুযোগ সম্বলিত সমুদ্রতীরবর্তী বিনোদন এলাকা।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




"মুক্তিপণে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই"

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (শনিবার) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, এত কম সময়ে জলদূস্যদের থেকে জিম্মি মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন। নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশের পতাকাবাহী জাহাজ যেখানে যায়, সেটি আমরা অবগত থাকি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাহাজ দখলে নেওয়ার সময় ২০ জন জলদস্যু ছিল। যখন তারা জাহাজ ছেড়ে যায় তখন ৬০ জন জলদস্যু ছিল। তারা জাহাজ ত্যাগের সময় নিরাপত্তার জন্য ৫-৬ জন নাবিককে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে,বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদেরকে রিলিজ করার করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন না হয়) অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটা উদ্ধার করা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

এদিকে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আগেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল, তাই বিএসএফ গুলি করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর

ভোটগ্রহণ চলছে শিল্পী সমিতির

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




১৩ বছরপর বাবার পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে দীর্ঘ ১৩ বছরপর আদালতের নির্দেশনায় বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫)। যার জন্য মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভুক্তভুগি রোকনের পরিবার।

মামলা সুত্রে জানাযায়, ডিমলা বাবুরহাট এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন। তার বাবার রেখে যাওয়া ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা মৌজায় কাজী পাড়া এলাকায় জেএল নং-২৩, খতিয়ান-৩৭৪, ১৩১৬ হালদাগে ৮৫ শতক জমি রেখে রোকনের বাবা আব্দুল জব্বার ১৯৭৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তারা ৯ ভাই বোনের মধ্যে রোকন ছিলো সর্বকনিষ্ঠ বাবার মৃত্যু কালীন সময়ে রোকনের বয়স ছিলো ৩ বছর। নাবালক থাকাকালীন অবস্থায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোকনের বড় ভাইবোনেরা ১৯৮০ সালে উক্ত জমিটি রোকনকে ঠকিয়ে এলাকার আনোয়ার, মোকলেছার, আঃ আজিজ নামক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। রোকন সাবালক হওয়ার পর জমি বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। রোকনুজ্জামান

রোকন তার নাবালকের সম্পত্তি এবং বাবার পৈত্রিক জমি উদ্ধারের জন্য গত ০৫/০৬/২০১১ইং তারিখে নীলফামারী জেলার বিজ্ঞ বিচারক আদালতে অন্য-১৯/১১ মোকদ্দমা দায়ের করে। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন সময়ে যাহা-২৮/০২/২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত রোকনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। ০৬/০৩/২০১৮ইং তারিখে ডিক্রী লাভ করে। নীলফামারী জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জনাব মোঃ মাহমুদুল করিম এ রায় প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪/০২/২০২৪ ইং তারিখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডোমার থানা পুলিশ এবং বিজ্ঞ আদালতের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে উক্ত জমিটির স্থাপনা ভেঙেদিয়ে বাদী রোকনুজ্জামান রোকনকে ২ দাগে প্রায় ৯ শতক জমি উদ্ধার করে দখল বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে রাকনুজ্জামান রোকন জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার নাবালকের সম্পত্তি আমাকে সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে ফিরিয়ে দেয়ায় সেখানে আমার স্ত্রী, সন্তান পরিবার মিলে ঘড়বাড়ী তুলে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ এবং বিজ্ঞ আদালতের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।


আরও খবর



গাফিলতীতে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়ক এখন মরন ফাদঁ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের কুড়িগ্রামের রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কের দুপাশে যেভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সামনেই ঈদ।নারীর টানে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করতে আসছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। এসময় মহাসড়কের যে মরণ ফাদ দেখলেই যেন ভয় লাগে। ২০১৮/১৯ অর্থবছরের পূর্ণমেরামত এখন পর্যন্ত সর্ম্পূণ করতে পারেনি রৌমারী ঢাকা রোডের নির্মান কাজ।

২০১৮/২০১৯ ইং সালে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলাসহ এই অবহেলিত অঞ্চলটিকে সচল করতে রৌমারী হইতে জামালপুরের নন্দীর বাজার পর্যন্ত রাস্থাটি দুৃই লাইনে উন্নতি করার লক্ষে ৩শত ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়েছে যাতে দূরত্ব নির্মান কাজ শেষ হয়। জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকারের যে পরিকল্পনা ৫ বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি রোডের কাজ। রৌমারী উপজেলার শালুর মোর হইতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ পর্যন্ত এখানে দুটি প্যাকেজ করা হয়েছে। যার দূর্গ ৩২ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। ঢাকা সংযোগে একই বরাদ্দে সর্বমোট ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা দু লাইনে উন্নতি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা। ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ৩৩২ কোটি টাকার কাজে ৪ টি প্যাকেজ করা হয়। এরমধ্যে জামানপুর জেলা সংলগ্ন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার সুইজগেইট এলাকা হইতে রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের শালুর মোর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটা নির্মানে ১৫০ কোটি টাকা সড়ক উন্নয়নে টেন্ডার দেয় (সওজ) ১৮/১৯ অর্থবছরে। দুটি প্যাকেজের ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম, ও রানা কির্ন্ডাস কাজে গড়িমসি করায় বৃষ্টির পানির ¯্রােতে সড়কের দু সাইটে অনেক অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়েছে সড়কের জীবন। সামনে ঈদ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেটের দায়ে চাকুরী করছেন। বিভিন্ন কর্মে যারা নিয়জিত রয়েছেন তারা কিন্ত ছুটির পথ চেয়ে অপেক্ষা করছে কখন ছুটি পাবো আর পারিবারের সাথে ঈদ আনন্দটা ভাগাভাগি করবেন এনিয়েই ঈদের একয়দিন ব্যস্তসময় পার করছেন ঘরমূখী মানূষ গুলো। এদিকে ঘরমুখী যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌছাতে অসাবধানতায় অনেক দূঘর্টনার শিকার হয় এটি আমরা সবাই জানি। রৌমারী টু ঢাকা সড়কের যেঅবস্থা অনেকেই বলছেন দূরর্ত্ব গামী গাড়ির ড্রাইভাররা ঈদ আসলে যেভাবে গাড়ী ড্ধসঢ়;্রাইভ করে এনিয়ে আস্কায় রয়েছেন সচেতন মহলরা। গর্তের ধরন ৪ থেকে শুরু করে ১০ ফিট পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে পরো গাড়ীটাই এসব গর্তে লুকিয়ে রাখা যাবে।এবিষয় কুড়িগ্রাম সড়কজনপদের (সওজ) প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান বিষয়টি শুনেছি ইদের আগেই গর্ত গুলো ভরাট করা হবে পাশাপাশি রাজিবপুরের শেষ মাথা হইতে ফিনিশিং কাজ শুরু হয়েছে। এবিষয় ঠিকাদারের কাউকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর