Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

তীব্র ভূমিকম্পের পর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভূমিকম্পের কর্মকাণ্ড চলছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। এরপরই শুরু হয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। এ ঘটনা ঘটেছে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে রিকজানেস উপদ্বীপে। এর আগেই সেখানকার গ্রিনডাভিক শহর থেকে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় রাত ১০টা ১৭ মিনিটে শহরটির উত্তরে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ২০১০ সালের মতো এত বড় হবে না। ওই বছর অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ইউরোপিয়ান এয়ার ট্রাভেল বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

গত অক্টোবরের শেষদিক থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া অফিস জানায়, গ্রিনডাভিকের প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অগ্ন্যুৎপাত হয়। সিসমিক অ্যাক্টিভি শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, এক ঝাঁক ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পর অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। রাজধানী রিকজাভিক থেকেও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যাচ্ছিল। গ্রিনডাভিক শহরটি রিকজাভিক থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ওই শহরের দিকের অর্ধেক আকাশ ‘লাল আলোয় আলোকিত’ হয়ে ওঠে। এসময় আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মানুষজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস বলছে, আগ্নেয়গিরিতে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার ফাটল হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০-২০০ কিউবিক মিটার লাভা উদগিরিত হচ্ছে।

খবর বিবিসি’র।


আরও খবর



আমতলীতে ৪৮ ঘন্টায় ৬২ জন ভর্তি,কলেরা স্যালাইন তীব্র সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২১১জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪৮ ঘন্টায় ৬২জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্যরা। বেডে ঠাই না হওয়ায় আক্রান্ত রোগীরা নিরুপায় হয়ে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে রোগীদের।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীদের বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এতে গরীব রোগীরা পরেছে চরম দুর্ভোগে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্তÍ ৪৮ ঘন্টায় আমতলী হাসপাতালে ৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।

৬ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা সংকুলান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সরকারী ভাবে এ চিত্র পাওয়া গেলেও গ্রামের চিত্র ভয়াবহ। অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে না এসে গ্রাম্য চিকিৎকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী বলে এক বেসরকারী তথ্যে জানা গেছে।গুলিশাখালী ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব আকন বলেন, প্রায় ঘরে ঘরেই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেডের অভাবে অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিসা নিচ্ছেন।

এসময় গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ মজিদ হাওলাদার (৬৩) নামে এক রোগী বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জায়গার অভাবে এখন বারান্দায় শুয়ে চকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যান নেই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আরেক রোগী রুকাইয়া (১৩) নামের এক কিশোরী বলেন, বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে বাথ রুমে যেতে কষ্ট হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বৈঠাকাটা গ্রামের আশমান খাঁ (৯০) বলেন, বাবা খালি পানির মত পড়ে। হাসপাতালে আইছি। হেও আবার রুম পাইনাই। ওষুধ নাই। বাইরে গোনে টাহা দিয়া স্যালাইন কেনতে অয়। মোরা গরীব মানু স্যালাইন কেনার টাহা পামু কোম্মে।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের আবু ছালেহ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছি। এপর্যন্ত ৩হাজার লিটার স্যালাইন বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা নিয়েছি।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের দুলাল সর্দার বলেন, মোর ৯ মাসের ছেলে ইয়াছিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে এনে ভুর্তি করেছি। এপর্যন্ত খাবার স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই হাসপাতাল থেকে পাইনি।

আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পুশ করার জন্য কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। স্যালাইন সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের এখন ওষুদের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুররী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ডায়রয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশী। তিনি বলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাওছার বলেন, শুকনো মৌসুমের কারনে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এবং বিশুদ্ধ পানি পানের অভাবে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আজ বা কালের মধ্যে পাওয়া যাবে। স্যালাইন পাওয়া গেলে এ সংকট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সবাই আন্তরিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে তীব্র গরমে ৩০ মৃত্যু, সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সরকার এ সতর্কতা জারি করে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটন নগরীটিতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় একইরকম তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

চলমান সময় নিয়ে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। এর আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন জানান, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা স্থুল ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও পর্যাপ্ত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবচেয়ে গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গরম আবহাওয়ার একটি ঢেউ এ সপ্তাহে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের কারণে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপাসকরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে।

সূত্র:ফ্রান্স ২৪আরএফআইসাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


আরও খবর



মহানগরী পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃমহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল মাতুয়াইল কদমতলা সংলগ্ন দক্ষিণ শান্তি বাগ ক্যানেলপাড় শাপলা বিল্ডিং এর সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনিরুল রহমান মোল্লা (মনির)। সভাপতিত্ব করেন মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমদাদুল ইমদাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীম আহমেদ শামশ। পরিচিতি সভায় অন্যান্য এর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন,মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-কদমতলী থানা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিরাজ মিয়া, সহ-সভাপতি বিপ্লব মিয়া, মোঃ বাদল ভান্ডারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মীর মাফু, মোহাম্মদ মানিক মিয়া, মোহাম্মদ আলী নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ক মোঃ ডলার মিয়া, কোষাধ্যক্ষ হেমায়েত হোসেন বাবলু, প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাসুম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান, মহিলা সম্পাদিকা মোছাম্মৎ ফারজানা আক্তার, কার্যকরী সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া, মোঃ সাইফুল মিয়া, মিজানুর রহমান রাজিব, মোঃ রিপন মিয়া। উক্ত কমিটি অনুমোদন করেন মহানগর পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ঢাকা-৩৫০৯ এর সভাপতি মোহাম্মদ রাজিবুর রহমান রতন।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর