এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ২১ জানুয়ারি,২৪ জয়পুরহাটে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও প্রাথমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের শ্রেণী পাঠদান রোববার (২১ জানুয়ারি) ও সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুই দিন বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় । এ দুই দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এলেও পাঠদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।
জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির নির্দেশনা রয়েছে। জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হওয়ায় আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা এসে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করবেন।
জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমান উদ্দিন মন্ডল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৫৬টি বিদ্যালয় ও ১১২টি মাদরাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ছুটির কথা সকল বিদ্যালয়ের প্রধানদের জানানো হয়েছে।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচ থাকায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় পুরাপুরি বন্ধ আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যে নির্দেশনা দেবেন সেটিই হবে। তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা যদি এমন থাকে তবে আবারও নতুন করে ঘোষণা দেয়া হবে।’
অবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, জয়পুরহাটে সকালে সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭ দিনে মধ্যে তাপমাত্র কমবে বলে জানিয়েছেন আওহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার পরও রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আক্কেলপুর উপজেলা সদরের ফজরউদ্দিন (এফইউ) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খোলা ছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে এসেছিল। সেসময় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন প্রতিষ্ঠানে না আসায় সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, বিদ্যালয় ছুটির কথা আমাদের কেউ জানায়নি। এ কারণে বিদ্যালয় খোলা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, আমি একটু দেরিতে বিদ্যালয়ে এসেছি। বিদ্যালয় ছুটি থাকার চিঠি বেলা ১১টার দিকে পেয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসেছিল, পরে সকলেই চলে গেছে।