Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশ ফরমায়েশি: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশ ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১/১১-এর জরুরি সরকারের দেশকে বিরাজনীতিকরণ অর্থে ‘মাইনাস টু’সহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের ভিশন সফল করতে চেয়েছিল। সেই সময় ষড়যন্ত্রমূলক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও শুধু তারেক রহমানের স্ত্রী ও জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়। 

তিনি বলেন, ‘আজ এমন এক সময়ে জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের ফরমায়েশি আদেশ দেওয়া হলো যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণ আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বিপুল দমন-পীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নস্যাৎ করতে পারছে না। জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতেই সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।


‘বিএনপির চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে প্রতিহিংসা পরায়ণ সরকার মিথ্যে, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ মামলা ও রায় দিয়ে মিথ্যাচার করছে’, বলেন বিএনপির এই নেতা।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সকল সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবায়দা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতাণ্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কের তিলক তৎকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকারের হীন এই কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং সরকারকে এসব হীন ষড়যন্ত্র পরিত্যাগ করে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছে।

‘এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবায়দা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না’, মোশাররফ হোসেন। এ সময় অবিলম্বে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই আদেশ ও রায় বাতিল করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।


আরও খবর



অসচ্ছল ২২ নারীকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন দেবে বারইয়ারহাট পৌর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌর এলাকার অসচ্ছল ২২ নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ করবে বারইয়ারহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বারইয়ারহাট পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে সকাল ৯ টায় পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকনের সম্মতিক্রমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র নিজাম উদ্দিন। বারইয়ারহাট পৌরসভা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির তত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষনের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন আফসানা ইয়াসমিন ও প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন লিপি আক্তার। বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচীর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা পর্ব তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কান্তি চাকমা। পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও দারিদ্র বিমোচন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আরিফ উদ্দিন মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী সমর মজুমদার, পৌর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুলকুতের রহমান হেলাল, কাউন্সিলরবৃন্দ, দারিদ্র বিমোচন কমিটির সদস্যবৃন্দ, ট্রেইনার ও প্রশিক্ষণার্থীরা। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট, যাতায়াত ভাতা ও বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে।

বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। অসচ্ছল নারীদের সাবলম্বী করতে নানা কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বারইয়ারহাট পৌরসভা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির তত্বাবধানে প্রথমবারের মতো ২২ জন অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষন দিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সাংবাদিক কন্যার অপহরণ মামলা নিতে গড়িমশি কুমিল্লার ওসি ফিরোজ হোসেন, ০৩ আসামী অব্যহতি!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০৮জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা প্রতিনিধি:গত ০৯/১২/২০২৩ইং তারিখে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানা থেকে কুমিল্লা সদর - কোতয়ালী মডেল থানায় যোগদানের পরথেকেই কুমিল্লার মানুষ এর মুখে মুখে একটি বাক্য না জানি আবার কার মায়ের বুক খালি হয়! কিন্তু কুমিল্লা বাসীর ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা নাও হতে পারে। ওসি ফিরোজ হোসেন তোয়াক্কা করেন না তেমন কাউকেই; এমনকি মিডিয়াতো তার হাতের খেলার পুতল মাত্র। কারণ ওসি ফিরোজ হোসেন-এর বাবা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাই তার কাছে সাংবাদিকদের কোন মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। যখন তখন যা-তা তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন তিনি। ব্যবহারের পরিমার্জন এমন যে- আপনি কিসের সাংবাদিক, কতদিন সাংবাদিকতা করেন, আপনাকে তো এর আগে কখনো থানায় দেখি নি! এতে বোঝা যায় যে, প্রতিনিয়ত যারা মূলত পা-চাটুকার দালাল অর্থাৎ তৈলমর্দন করেন ও লেনদেন করতে যান; তাদেরকে উনি খুবই ভালভাবেই চিনেন, বাকিদেরকে ওনার চেনার প্রয়োজন হয় না হয়তো। তিনি এও বলেন, আপনি আমাকে কতটুকু চিনেন! আপনি জানেনই বা কি আমার সম্পর্কে! আমি ফিরোজ হোসেন, আমাকে প্রথমত ভাল করে চিনেন তারপরে থানায় আসেন। আমার বাবা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাহলেতো উত্তর মিলেই গেল, ওসি ফিরোজ হোসেন উক্ত কারণেই সাংবাদিকদের সঠিক সম্মান-মর্যাদা দিতে জানেন না, কেননা হয়তো তার বাবা তাকে সে শিক্ষাটাই দেন নি। এমনই অসম্মানজনক আচরণে বিরক্ত কুমিল্লার বহু সাংবাদিকবৃন্দ! ইতিমধ্যে তিনি কুমিল্লা জেলা বরুড়া থানা ওসি থাকা অবস্থাতেও মিডিয়া পাড়ায় বিতর্কিত হোন বিভিন্ন গণমাধ্যমে, এক সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক সাথে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে অশুভ আচরণের কারনে কারনে।

সাংবাদিকদের পরিবারের মামলা-মোকদ্দমার বিষয় গেলে তাদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করাই যেন ওসি ফিরোজ হোসেনের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে; এমনকি মামলা নিতেও গড়িমসি করেন তিনি। গেল বছরের ২৬শে নভেম্বর এক সাংবাদিক কন্যাকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা নির্যাতন করে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরি করেন।

তখন নির্যাতিত তরুণীকে নিয়ে অসুস্থ সাংবাদিক বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে উক্ত বিষয় মামলা করতে পুলিশ কেস সার্টিফিকেট নিয়ে সাংবাদিক বাবা। মান-সম্মানের ভয়ে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও অপহরণকারীদের ব্ল্যাকমেইল ও হুমকির স্বীকার হয়ে ঘটনার দুই দিন পর ২৮/১১/২০২৩ইং তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়ে তরুণীর বাবা আরও কয়েকজন সাংবাদিকদের নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করতে যায়। উক্ত বিষয় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অধিক সদস্য ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক সাক্ষাৎ ও মুঠোফোনে কথা বললেও তিনি মামলা নিতে গড়িমসি করে কেবলই মাত্র অভিযোগ গ্রহণ করেন ওসি ফিরোজ হোসেন। উক্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্যে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ-কে দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ জিৎ উক্ত অভিযোগ-এর ভিত্তিতে আসামী পক্ষকে থানায় ডেকে অপহৃত মেয়ের পরিবারের সাথে রফাদফা করার জন্যে পরামর্শ দেন বলে আসামীরা মেয়ের পরিবারকে জানান। আসামীদের থানায় ডেকে ও বাড়িতে গিয়েও কোন প্রকারের তথ্যই সংগ্রহ করতে পারেন নি বলে একাধিক অজুহাত দেখিয়ে মেয়ের বাবাকে বলেন প্রমাণ ছাড়া কিভাবে মামলা দায়ের করবো আর কিভাবেই বা আসামীদের গ্রেফতার করবো! এমতাবস্থায় মেয়ের বাবাকে বলেন, আসামীপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করা যায় কি না দেখুন! তৎক্ষণাৎ মেয়ের বাবার নিকট আসামীপক্ষের লোকজন রফা-দফা করতে চাইলে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরির বিষয়ে মুঠোফোনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন যা মেয়ের বাবা রেকর্ড করে রাখেন এবং পরবর্তীতে স্বীকারোক্তি মূলক কল রেকর্ডটি নিয়ে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ’কে দিলে; তিনি আগের মতোই মামলা নিতে গড়িমসি করেন। এভাবে অভিযোগের দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এসআই মামলা না নেওয়াতে এবং অন্য দিকে আসামী পক্ষ রফাদফার চেষ্টায় ধৈর্য্য হারা হয়ে অপহৃত ঐ তরুণী গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা তখন দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ, দেশপত্র পত্রিকার সিটি সম্পাদক, দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ ও ঢাকা প্রেসক্লাব-এর কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল খন্দকারকে জানালে, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত অপহৃত মেয়েকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করেন এবং আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে স্বান্ত্বনা দেন।

পরে থানায় গিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর সাথে মামলা নেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে, এক পর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন, আপনি মামলা নিবেন কি না বলেন? থানা-পুলিশ মামলা না নিলে আমরা আদালতে যাবো, তখন ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনি কি এমন সাংবাদিক বনে গেছেন? আপনাকেতো এর আগে কখন থানায় দেখিনি, আপনার বাসা কোথায়?  আমার বাবাও বড় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এইসব বলে লাভ নেই, আমি প্রায় ১৬ বছর কুমিল্লাতে, আনাচে-কানাচের সকল সংবাদ আমার কানে আছে। আর তাছাড়া এখানকার সকলকেই আমি চিনি এবং জানি। তখন বিশ্বনাথ জিৎ-কে ডেকে বলেন মামলাটা নিয়ে নিতে বললেও আরও ৭ দিন অতিবাহিত করে ০২/০১/২০২৪ইং তারিখে মামলাটি রুজু করেন। কিন্তু অপহৃত মেয়ের সাংবাদিক বাবা উকিলের সাথে বুঝে, মামলায় ৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। কিন্তু আবারো ওসি দায়িত্ব দেওয়া ব্যক্তির কথা অনুযায়ী উক্ত মামলার ধারা বদলে দিয়ে তাদের মত করে ৩ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। থানায় মামলা রুজু হওয়ার বিষয় আসামী পক্ষ কিভাবে জেনে বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয়, তা এখনো আমাদের বোধগম্য হয় নি! আসামী পক্ষ হাইকোর্ট থেকে ৪১ দিনের জন্যে আগাম জামিন নিয়ে আসেন। অপহৃত মেয়েকে আদালতে নিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্ধী নিয়ে কোর্ট ৩জন আসামীসহ মোট ৭ জনকে আসামী করেন। কিন্তু পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি, ইতিমধ্যে আসামীরা সকলেই জামিনে জামিনে চলে গেছেন। এইদিকে নাটকীয়ভাবে মেয়ের বাবাকে নিয়ে একের পর এক আসামীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছেন কিন্তু আসামীদের কোন ক্রমেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে পুলিশ অন্যান্য মামলার তথ্য ছাড়া আসামী কিভাবে গ্রেফতার করেন? সেটাও বোধহয় বোঝার উপায় নেই। 

ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক নেতা জুয়েল খন্দকার এর সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানতে চাইলে, সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন- আমি এক মা হারা মেয়ে ও অসুস্থ সাংবাদিক বাবার সন্তানকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কথা দিয়েছি। একটি মানুষকে বাঁচানোর স্বপ্ন ও আশা দিয়েছি, ওসি ফিরোজ হোসেনের সাথে তর্ক করে হয়তো বহুদূর যাওয়া যাবে কিন্তু অসহায় পরিবার কি আদৌ বিচার পাবে? তবে আমার জীবনের প্রথম এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার সাংবাদিকের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি আমি, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সাথে অন্যায়-অবিচার, বিপদে-আপদে সব সময়ে ঝাপিয়ে পড়ি। আর আমার জীবদ্দশায় পুলিশের নিকট কখনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুপারিশ আমি করি নি। যদিও আমার পরিবারেই রয়েছেন এসপি, ডিসি, ডিআইজিসহ একাধিক প্রশাসন কর্মকর্তা। অনেকেই চলে গেছেন অবসরে কিন্তু আমি কখনো কাউকেই ক্ষমতা দেখাতে যাই না, কেননা ক্ষমতার কখনো অপব্যবহার করতে চাই নি। আমাদেরি সাংবাদিক পরিবারের সদস্য ওসি ফিরোজ সাহেব, কেননা তার বাবাও ছিলেন একজন সাংবাদিক। তবুয় সাংবাদিক কন্যা ন্যায় বিচারক পেলইবা কোথায় চার্জশিট থেকে ৭ জন আসামী থেকে ৩ জনের নাম বাদ-দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি ফিরোজ হোসেন বার বার কুমিল্লাতে বদলি হয়ে আসা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ।

ওসি ফিরোজ হোসেন, সুযোগ্য পিতা: পিতা: মোঃ জালাল উদ্দিন, মাতা: ফাতেমা পারভিন, পাবনা জেলার সুজানাগর থানার মানিকহাট ইউনিয়নের নিঃসন্দেহে গর্বিত সন্তান।

ওসি ফিরোজ হোসেন চাকরীতে এসআই পদে যোগদান করেন ২৩/০২/২০০৬ ইং তারিখে। 

পরে টাঙ্গাইল জেলায় যোগদান করেন, ২২ দিন পরে সেখান থেকে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৫/০৩/২০১০ ইং তারিখ থেকে ২৬/১০/২০১০ ইং তারিখ পর্যন্ত। 

সেখান থেকে শিল্প পুলিশে বদলি হয়ে যায়, ০৪/১১/২০১০ ইং থেকে ১৩/০২/২০১১ ইং পর্যন্ত।  

ওখান থেকে সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত ছিলেন ডিবিতে। 

কুমিল্লায় ডিবিতে থাকাকালীন এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে-উন্নতি হয়ে সে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৭/১০/২০১৫ ইং তারিখ থেকে ১৯/১২/২০১৬ ইং তারিখ পর্যন্ত। 

পরে উক্ত থানা থেকে আবারও তিনি কুমিল্লাতে বদলি হয়ে ১০/০১/২০১৭ইং তারিখ থেকে ২৪/০২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ছিলেন হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে।

সেখান থেকে ১৯/০৩/২০২০ইং তারিখ থেকে ০৪/১১/২০২১ইং পর্যন্ত ছিলেন জোড়ালগঞ্জ। সেখান থেকে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে ছিলেন, ১৪/১১/২০২১ ইং তারিখে থেকে ১৩/০৮/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত।

সেখান থেকে বান্দরবন জেলায় বদলি হয়ে ৩০/০৮/২০২২ইং থেকে ০২/১০/২০২২ইং পর্যন্ত মাত্র এক মাস ছিলেন। পরে আবার আসেন কুমিল্লা ডিএসবিতে ০৪/১০/২০২৩ ইং তারিখে পরে ডিএসবিতে ৪ মাস থেকে ওখান থেকে পরে চলে যায় কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায়। 

বরুড়া থানা থেকে আবারও কুমিল্লা জেলা সদর কোতয়ালী থানায় ০৮/১২/২০২৩ ইং তারিখে এখনো পর্যন্ত কুমিল্লায় রয়েছেন। 

ওসি ফিরোজ কুমিল্লায় আসার পরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত যখন ডিবিতে ছিলেন তখন কুমিল্লার সন্ত্রাসী সুমন ওরফে জিরা সুমনসহ তার সঙ্গী আরও চারজনকে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করেন যা কিনা কুমিল্লার মানুষের মুখে-মুখে শোনা যায়। জানা যায় যে, কুমিল্লায় জিরা সুমন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত; সে ভারতীয় জিরার ব্যবসা করতেন তাই তার নাম হয়েছে জিরা সুমন। যদিও মাঝে-মধ্যে সে কসমেটিক্সসহ চিনির ব্যবসাসহ করতেন চাঁদাবাজীও। তবে জিরা সুমন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের অর্থ ছিনিয়ে আনা ছিল সুমনের মূল কাজ। যদিও ছিনিয়ে আনা অর্থগুলো অনেক মসজিদ মাদ্রাসায় দান করতেন সে, যেন সিনেমার হিরো নামক ভিলেন ছিলেন সুমন; সুমনের মৃত্যুতে মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক ও ছাত্ররাও কেঁদেছেন বলে জানা যায়। জিরা সুমনের কাছের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে জিরা সুমনের পরিবারের সাথে আলোচনায় বসলে সুকৌশলে কথা বলে জানা যায় যে, সুমনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮/১০ টা মামলা তৎকালীন সময় চলমান ও কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্টও ছিল। কিন্তু একটা সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে জিরা সুমনকে বলি হতে হয়। তবে জিরা সুমন ভাল মনের মানুষ ছিলেন, যদিও কুমিল্লা নগরীর সকলেই তাকে খারাপ বলেই জানেন। জানা যায় যে, ওসি ফিরোজ হোসেন তখন কুমিল্লায় ডিবি’র এসআই ছিলেন। জিরা সুমনের নামে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট থাকার কারণে সংবাদ পেয়ে গ্রেফতার করতে গেলে ব্রাক ব্যাংকের সামনে জিরা সুমনের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তখন বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। পরে  জিরা সুমনকে গ্রেফতার করার জন্য কুমিল্লার প্রশাসন একপর্যায়ে তৎপর হয়ে উঠে। গোপন সূত্রে সুমনসহ তার আরও ৪/৫ জন বন্ধুকেও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থেকে গ্রেফতার করেন ডিবির এসআই অর্থাৎ বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন। তখন তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসলে জিরা সুমনের মা, সুমনের সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ঐদিন রাতেই সুমন ও তার বন্ধুদেরসহ গ্রেফতারকৃত সকলকেই পালপাড়া মাদক স্পটে নিয়ে ক্রস ফায়ার দেখিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সুমনকে ঠাকুরপাড়ায় মাটি দিতে চাইলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে উক্ত জায়গায় মাটি দিতে দেওয়া হয়নি। পরে কুমিল্লা নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে মাটি দেওয়া হয় বলে, পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। সুমন ওরফে জিরা সুমনকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে অনেকের দোয়া পেলেও সন্ত্রাসী পুলিশ অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত হন তিনি। 

০৮/১২/২০২৪ইং তারিখে যখন ওসি ফিরোজ হোসেন কুমিল্লা কোতয়ালী থানা যোগদান করেন তখন দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার এক নারী সাংবাদিক ফুল নিয়ে শুভেচছা জানাতে গেলে, সে বলেন সামনে নির্বাচন তাই আসলে কারো সাথে ছবি তুলছিনা। উক্ত সময়েই সেই সাংবাদিক বসে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জন কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসলে তাদের সকলের সাথে গ্রুপ ফটো এবং আলাদা আলাদা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ছবি তিনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই তুলেন। সাময়িক ধারণা অগোছালো, যদিও ছাত্রলীগের সাথে নির্বাচনীয় মুহুর্তে ছবি তোলা বিতর্ক নয় কিন্তু সাংবাদিকের সাথে ছবি তোলা নিঃসন্দেহে বিতর্ক! ছাত্রলীগের সাথে কি এমন সম্পর্ক রয়েছে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর তা আমাদের এখনো অজানা?

কুমিল্লা টাউন হলে কুটি-শিল্প মেলায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরির ঘটনার দৈনিক সমাজকণ্ঠ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক গেলে ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ৪ জনকে সন্দেহভাজন শনাক্ত করে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানার হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু ওসি ফিরোজ হোসেন তাদেরকে ছেড়ে দেন। অতঃপর থানায় উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক থানায় গিয়ে তার মুঠোফোনে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে বললে, ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন আমি আপনার মোবাইল দিয়ে কেন কথা বলবো? তাকে বলেন আমার মুঠোফোনে কল করতে। তৎক্ষণাৎ উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে বাধ্য হয়ে সাংবাদিক ওসি ফিরোজ হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আপনার মত কত সাংবাদিকইতো ফোন করেন; আপনাকে চেনার কিইবা আছে! এমন তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বলার কারণে এক পর্যায়ে ঐ সিনিয়র সাংবাদিক ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

গত ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে আরেকজন গণমাধ্যমকর্মীর ফুফু, হোসনে আরা বেগম কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হোসনে আরা বেগম একটি জমি বিক্রি করেন কিন্তু কিছু স্থানীয় চাঁদাবাজ মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করেন ও পাশে থাকা জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে হোসনে আরা বেগম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এবং বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করেন। এমতাবস্থায় হোসনে আরা’র দুই ছেলে মায়ের উপরে হামলার ঘটনা শুনে ঐ চাঁদাবাজদের পেয়ে মারধর করেন। কিন্তু কোতয়ালী মডেল থানা হোসনে আরা বেগম-এর অভিযোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা নেয়নি। কিন্তু উক্ত অভিযোগকে পিছু হটিয়ে চাঁদাবাজদের পক্ষে মামলা নিয়েছেন ওসি ফিরোজ হোসেন। যদিও উক্ত জমির কিছু অংশের মালিকানাও রয়েছে এক গণমাধ্যমকর্মীর। কিন্তু ওসি সাংবাদিকদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন বলে উক্ত গণমাধ্যমকর্মী ওসি ফিরোজ হোসেনের নিকট আর যান নি।

অন্য একজন সংবাদকর্মী জানান যে কুমিল্লা উপ-সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় জনৈক মাদক ব্যবসায়ী তার নিজ বাড়িতে মাদক ও অস্ত্র মজুত রেখেছেন; এমন একাধিকবার সংবাদ কোতয়ালী মডেল থানায় দিলেও ওসি ফিরোজ হোসেন অন্য অযুহাত দেখিয়ে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করেন নি। এছাড়াও ছিনতাইয়ের দুই বস্তা মোবাইল ফোন উদ্ধার করার ব্যাপারে তাকে জানালে, সে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন সুইচ অফ করে রেখে দেয়।

কেন জানি কুমিল্লাতে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করাই হয় না। গোপন সূত্রে- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান যে, আমরা মোটা অংকের মাসিক মাসোয়ারা দেই, তাই হাজার বার বললেও কখন অভিযান পরিচালনা হবে না আর অভিযান পরিচালনা করলে মাসিক মাসোয়ারা বন্ধ করে দেব।

 অবশ্যই কুমিল্লা সদরে ক্রাইম ও মামলা কম দেখিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটি অবশ্যই ভালো কাজ কিন্তু মানুষ থানায় এমনিতেতো আর থানায় যায় না! নিষ্পেষিত-নিরাপত্তাহীন মানুষের শেষ স্থান হলো থানা, সেখানে গিয়েও যদি মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় তাহলে এই সেবা দিয়ে কি হবে! কুমিল্লা আদালতে বেড়েছে মামলার সংখ্যা কেননা থানায় মানুষ ঘুরে ঘুরে সেবা না পেয়ে পরে মানুষকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হতে হয়। যদিও একটা বিষয় খুবই ভাল দেখা যাচ্ছে যে, ওসি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক সামাজিক-অসামাজিক ঝামেলা-মামলা-মোকদ্দমা থানায় কিংবা সামাজিক বৈঠকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে ওসি ফিরোজ হোসেন অধিকাংশ মামলা অর্থবিহীন রুজু করেন না বলেও প্রায়ই মানুষকেই বলাবলি করতে শোনা গিয়েছে। ওসি ফিরোজ হোসেন কিছুদিন আগে কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউস ও প্রেসক্লাবের সামনে কিশোর গ্যাং-এর তান্ডবে ভাল সফলতা দেখিয়েছেন।

ওসি ফিরোজ হোসেন কোতয়ালী মডেল থানায় আসার আগে এ থানার সাবেক ওসি শহিদুল অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অনেকংশেই কমিয়ে এনেছিলেন অপরাধ-মাদকের মতো অপরাধ। এই প্রথম কুমিল্লায় সিটি মেয়র নির্বাচন সুষ্ঠু হিসেবে কুমিল্লার মানুষকে কোন প্রকার গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ ছাড়াই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সাবেক ওসি শহিদুল। ওসি মঞ্জুর মোর্শেদও প্রতি শুক্রবার কোন না কোন মসজিদে গিয়ে অভিভাবকদের বুঝাতেন ও উঠতি বয়সের কিশোরদের খেলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেন। সাবেক ওসিবৃন্দদের দরজা সব সময় খোলা ছিল সাধারণ মানুষদের জন্য কিন্তু ওসি ফিরোজ-এর নিকট গত ২ মাসে আমাদের অনুসন্ধানী টিম যতবার গিয়েছেন, কোন না কোন দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে চায়ের আড্ডায় তাকে হরহামেশাই দেখা গেছে। তার কথার ধরণ ও ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সাথে মাস্তানস্বরপ আচরণ এতটাই ভয়ানক; তা বলা বহুল্য। কুমিল্লার স্থানী সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় যে ফিরোজ হোসেন কুমিল্লায় ডিবি পুলিশে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিকদেরকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে একাধিক চাদাবাজীর মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণেও নাকি নজির ররছে। আর সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সাথে আচরণ যে কেমন হবে তা আর বুঝার বাকি কিইবা থাকে! সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী আচরণ ও অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলাতে গড়িমশির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিমাসে ১০০ মামলা হয় এতো মামলাতো আর মনে রাখা সম্ভন নহে আপনি এসআই ঈমাম হোসেন আইয়ু তার সাথে কথা বলেন নহেত থানায় এসে তথ্য নিয়ে জান। এসআই ঈমাম হোসেনকে ফোন করে বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন আদালতে ১৬৪ এতে ভিকটিম এর জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করা হলেও ০৪ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে কিন্তু বাকি ০৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি তাই ০৪ জনকে আসামী করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। প্রশ্নো উঠে যে আদালত ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করলে পুলিশ কেন তাদের নাম ঠিকানা যোগার করতে পারেনি তাহলে কি তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় ভিনগ্রহের প্রাণী যার কারনে নাম ঠিকা যোগার করতে পারেনি বলে মামলা চার্জশিট জমা দিয়ে দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানা যায় রাজনৈতিক বিভিন্ন তকদিরের কারণে এই তিনজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে মামলা চার্জশিট থেকে।

উক্ত বিষয় ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সোসাইটি (বিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার আসিফুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)  সাধারণ সম্পাদক শিবলি সাদিক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ আরেফিন,  ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাংবাদিক নেতা মোঃ ফয়সাল বলেন যে, সাংবাদিক আর পুলিশ হলো বন্ধুস্বরুপ; অনিয়ম ও দুর্নীতি ধ্বংস করাই এই দু’দলের কাজ। সাংবাদিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন আর পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিবাজদের ধরে আইনের আওতাধীন এনে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কিছু কিছু পুলিশের জন্যে পুরো পুলিশ বাহিনীর দূর্নাম হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উচিৎ আগে থেকেই অসাধু পুলিশরা ক্ষমতার অপব্যবহার করার আগেই এদের লাগাম টেনে ধরা। নয়তো ২/৪ জন অসাধু পুলিশের জন্য পুলিশবাহিনী’র দূর্নাম হবে, যেমনটা হয়েছিলো ওসি প্রদ্বীপের ন্যায়। আর সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার মূলধারার একজন সিনিয়র সাংবাদিক,  সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা; তার সাথে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। মফস্বলের সাংবাদিকেরা সব সময়ই পুলিশের উপরে বড় আস্থা রাখেন।  আশা করি, ওসি ফিরোজ হোসেন সংশোধন হয়ে ও শুধরে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলার ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ন্যায়-বিচারের নামে কোন প্রকার অযুহাত দেখালে সারা বাংলাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



সাজেকে ট্রাক খাদে, ৬ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাঙামাটির সাজেকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে খাদে পড়ে যায়। এতে ছয়জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

এ দুর্ঘটনা ঘটে সাজেক ইউনিয়নের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি টিলা এলাকায়।

শিরিন আক্তার বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সাজেক উদয়পুর সীমান্ত সড়কে একটা ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন শ্রমিক মারা যান। এসময় আরও ৮ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।


আরও খবর

রোববার খুলছে স্কুল-কলেজ

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




জ্বালানি তেলের দাম কমল, কাল থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন হিসাব অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে কেরোসিন ও ডিজেলের খুচরা মূল্য ১০৮ টাকা থেকে কমে ১০৬ টাকা, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২২ টাকা দরে বিক্রি হবে।

এর আগে, গত ৭ মার্চ স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ১০৮, কেরোসিন ১০৮, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল ১২২ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর

রোববার খুলছে স্কুল-কলেজ

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪