Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তারেক-জেবায়দার মামলায় আরও ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২০২জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

সাক্ষীরা হলেন- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের রিটেল বিজনেস ডিভিশনের শওকত আলী খান, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার সাজ্জাদ মাহমুদ সবুজ, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রেজওয়ানুল হক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী মইন উদ্দিন চিশতিয়া।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর বুধবার বিকেলে ৩টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল দুদকের পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন।

এদিনও বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তখন আদালতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরাও অবস্থান করছিলেন।

এর আগে গত ৩০ ও ৩১ মে এবং গত ৫ জুন মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রাখায় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গত ৩১ মের ঘটনায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির কোতোয়ালি থানায় একটি জিডিও করেছেন। সেখানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর নাম উল্লেখ ও ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞাতনামা আইনজীবীর কথা উল্লেখ রয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

চিকিৎসক জোবায়দা বর্তমানে স্বামী তারেকের সঙ্গে ১৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দদুক মামলাটি করেছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০০৮ সালে এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবায়দা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে জোবায়দাকে বরখাস্ত করে সরকার।


আরও খবর



নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন কমিশনান (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসন্ন। এতে রাজনৈতিক দল, ভোটার, গণমাধ্যম, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবাই তাকিয়ে আছেন। কূটনৈতিক মহলেও ব্যাপক আগ্রহী। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা ও পর্যালোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা শুরু হলে তিনি এ কথা বলেন।

এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।

শুরুতে সিইসি বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত। তারা একে অপরকে দেখতে পারে না। তবে আমরা এ আলোচনায় না গিয়ে আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা জানতে পারলে ঋদ্ধ হব। আলোচনা কাজে আসুক, এ প্রত্যাশা আমাদের। আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা উপকৃত হব বলে প্রত্যাশা করি।


আরও খবর



বাজার পরিস্থিতি সবসময় স্থিতিশীল থাকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: বাণিজ্য সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় বা দ্রæত  বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয় তখন যেনো আমরা ব্যবস্থা নিতে পাড়ি।মনিটরিং টা বেশী বাড়ানো। সে ক্ষেত্রে দাম কেনো বেড়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে পাড়ি।বাজার পরিস্থিতি সবসময় যেনো স্থিতিশীল থাকে  আমাদের  সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পণ্য বিপণন মনিটরিং কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু বাজার সুবিধা থাকলে হবে না, যখন আমরা পণ্যের মান ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাজার পরিচালনা করতে যাই, তখন দাম বাড়তে পারে। এটা ভোক্তাদের বুঝতে হবে। একটা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সবদিকে নজর রাখতে হয়। ভোক্তারা সবসময় দামে কম কিন্তু মানে ভালো পণ্য চান। দুটো সবসময় একসঙ্গে হয় না।

মতবিনিম সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান ভুঁইয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলমসহ প্রমুখ।
 
এ সময় পণ্য মনিটরিং কমিটির সদস্যরা নিত্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস এবং কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।

আরও খবর



কুয়েত বায়ুদূষণের শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান কত?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকায় ১৭১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি। আজ শনিবার বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে দূষণ মাত্রার দিক থেকে আজ রাজধানী ঢাকার অবস্থান অষ্টম, এ শহরের স্কোর সকাল ১০টায় ছিল ১১৭। এখানকার বায়ু সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা, ফুসফুসজনিত কোনো রোগ আছে তাদের জন্য।

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডসের রটার্ডাম শহর। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। শহরটির স্কোর ১৬৮। এছাড়া ১৬৫ স্কোর নিয়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার স্কুল পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় ২৮ আগস্ট সোমবার সকাল ১০ টায় বয়রা পুলিশ লাইনস্থ স্কুল পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি, বাঙালির আশার বাতিঘর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহিদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
কেএমপি'র পুলিশ কমিশনার তার ভাষ্যে বলেন যে, “শিক্ষকদের প্রমাণ করতে হবে একজন দুর্বল ছাত্রকে পরিপূর্ণ শিক্ষা দানের মাধ্যমে মেধা বিকাশ করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। একজন ভাল ছাত্রকে আরো ভাল করার মাঝে কোন কৃতিত্ব নাই। একজন শিক্ষকে প্রকৃত লক্ষ্য থাকবে জ্ঞানের আলো দিয়ে ছাত্রকে অসম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে তোলা। আপনার ছাত্রদের অবশ্যই বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, মাদক বিরোধী, ইভটিজিং মুক্ত এ ধরণের আদর্শ, মানবিক ও সামাজিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। যে কোন ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার অধিক গুরুত্ব দিতে হবে এবং মুখুস্ত পড়াশোনা পরিহার করতে হবে। ইংরেজী ও গণিত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের উপর অধিক জোর দিতে হবে। শিক্ষা দানের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জ্ঞানার্জন করা এবং ছাত্রদের মাঝে জ্ঞান আহরণের আগ্রহ সৃষ্টি করা।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি'র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) জনাব শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী এবং পুলিশ লাইন হাই স্কুল প্রধান শিক্ষক জনাব মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম-সহ পুলিশ অফিসারবৃন্দ এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

আরও খবর



দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলনে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য  বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। এর কারণে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেজটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য বুধবার খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে। স্থানান্তর কাজ শেষে নতুন ফেজের উৎপাদন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে। ধারণা করছে, নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করার জন্য বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। তাপ বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, খনি কয়লা উত্তোলনের সাথে সমন্বয় রেখে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিটটি চালু রাখা যাবে।


আরও খবর