Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তানোরে স্কুল নৈশ প্রহরীর বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আমশো মথুরাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিগত এক বছর ধরে ডিউটি ও বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম তার আত্মীয় কে চাকুরী দেওয়ার জন্য মাহবুরকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বিগত প্রায় এক বছর ধরে কোন কিছুই করতে দেননি। বেতন ভাতা ও ডিউটি করার জন্য চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট স্কুল কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং অর্ধশতাধিক অভিভাবকের সাক্ষর সংবলিত লিখিত আবেদন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর। আবেদনের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ, সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিচালক রাজশাহী শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহীর বরাবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেতন ভাতা তো দূরে থাক উল্টো প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তার নিয়োগ বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এতে করে নৈশ প্রহরীর পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।সেই সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন ভাতা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক মহল। ফলে একজন এতিম অসহায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী পুনর্বহালসহ বেতন ভাতা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই,কারন চাকুরীটাই তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উপায়।জানা গেছে বিগত প্রায় এক বছরের আগ থেকে তানোর পৌর এলাকার মথুরা পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগমের প্রতি হিংসার শিকার। কারন মাহবুরকে চাকুরীচ্যুত করতে পারলে অন্য কাউকে নিয়োগ দিয়ে মোটা টাকার বানিজ্য করা যাবে। 

স্থানীয়রা জানান, মাহবুর নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন। সে যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে স্কুল কমিটি রয়েছে, উপজেলা প্রশাসন রয়েছে, তারাই তো সমাধান করতে পারত।আবেদনে উল্লেখ, মাহাবুর মোল্লা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক নিজের আত্মীয় কে ওই পদে চাকুরী ও বিভিন্ন অজুহাতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে চাকুরীচ্যুত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট মিথ্যা প্রতারনা মুলুক অভিযোগ দায়ের করে বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও তার হাজিরা খাতা পর্যন্ত গোপন রাখে। প্রতিবাদ করলেই অভিযোগ। অথচ জেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে নির্দেশ দেন ও স্থানীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপারিশ করার পরও রহস্য জনক কারনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেতন ভাতা চালু করেন নি।এদিকে চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল প্রসঙ্গে পত্র দেওয়া হয় তা হুবহু তুলে ধরা হল। মসপ্রবি/ তান/ রাজ- ৫৯ নম্বর স্মারক এবং ৯৮৫ নম্বর স্মারক তাং ২৩/৫/২০২৩ইং ও উশিঅ/ তান/রাজ ৩৭৭ স্মারক তাং ৯/৭/২০২৩ ইং। বিষয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সম্পাদিত চুক্তিপত্র বাতিল/ কর্মে অবসান প্রসঙ্গে। 

উপযুক্ত বিষয় মোতাবেক আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি দপ্তর কাম প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চুক্তিপত্র সম্পাদন / সাক্ষর করে বিগত ৯/৬/২০১৩ ইং তারিখে ওই পদে চুক্তিভুক্ত যোগদান করেন।পরবর্তীতে উক্ত চুক্তির মেয়াদ ১/৬/২০২২ সাল হতে তিন বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কর্মে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দায়িত্বে অবহেলা,অসদাচরন,মাদক সেবন,প্রতিপক্ষকে অমান্য, উশৃংখলা ইত্যাদি অভিযোগে জড়িত থাকায় গত ১৪/৮/২০২৩ ইং তারিখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ০৭(সাত) দিনের মধ্যে কারন দর্শানো হয়। কারন দর্শানোর প্রেক্ষিতে আপনি যে জবাব প্রদান করেছেন তা আদৌ বিবেচনাযোগ্য নহে।এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী আপনার চুক্তিনামা বাতিল /কর্মে অবসান ঘটানো হলো।ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে,

বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী। 
চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, তানোর 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তানোর, 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, রাজশাহী। 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার, তানোর।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার)  তানোর। 
সভাপতি ( এস,এম,সি)
ভুক্তভোগী নৈশ প্রহরী মাহবুর মোল্লা বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার। যে সব অপবাদ দেওয়া হয়েছে সবকিছুই মিথ্যা। যদি মিথ্যা না হত তাহলে স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এমপি আমার আবেদনে সুপারিশ করত না। আমি শোকজের জবাব দেওয়ার পরো আমার সাথে এমন অমানবিক আচরণ করছেন।আমি একজন এতিম, আমার পিতা মাতা কেউ নেউ, আমি অসহায় বলেই সবার সুপারিশে চাকুরী পায়। আমার পরিবারে চারজন সদস্য আছে। তারা আমার উপর নির্ভরশীল। বিগত এক বছরের অধিক সময় ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছি। আমি প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষক দের হুকুমের গোলাম, তাদের সাথে আমি কেন বিবাদ করব। আমি তো শিক্ষকতা করবনা যে, তাদের সাথে দ্বন্দ্ব করব। আমি অনুরোধ করে বলব ভূলের উর্ধ্বে কেউ না আমার ভূল হয়ে থাকলে শাস্তি আছে, তাই বলে রিজিক কেন বন্ধ করে দিবে। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে অর্ধশতাধিকের বেশি অভিভাবক আমার আবেদনে সাক্ষর করত না। আমি খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।প্রধান শিক্ষক আংগুয়ারা বেগম বলেন, তার কৃতকর্মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবে কাজ করছি বলে তিনি দায় সারেন ।স্কুল কমিটির সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, একজন নৈশ প্রহরীর সাথে এসব করা সঠিক কাজ না। নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হলে সমাধান তো আছেই। সেটা না করে চাকুরীচ্যুত করাটা একেবারেই অমানবিক ছাড়া কিছুই না।উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার যেভাবে বলেছেন সেভাবেই কাজ হয়েছে বলে তিনিও  দায় সারেন।


আরও খবর



দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলনে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য  বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। এর কারণে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেজটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য বুধবার খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে। স্থানান্তর কাজ শেষে নতুন ফেজের উৎপাদন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে। ধারণা করছে, নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করার জন্য বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। তাপ বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, খনি কয়লা উত্তোলনের সাথে সমন্বয় রেখে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিটটি চালু রাখা যাবে।


আরও খবর



হরতাল-অবরোধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন গয়েশ্বর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আগামীতে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে মাটিতে শোয়ায়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের দূর্জয় মোড়ে রোডমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ভৈরব থেকে সিলেটের উদ্দেশে ১৫৯ কিলোমিটার রোডমার্চ করবে বিএনপি।

সমাবেশে গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার যাবে। যখন যাবে তখন কেউ জানবেন না। এখন তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে কোথায় যাবে। কোন দেশ তাকে ভিসা দেবে? কোনো দেশ তাকে ভিসা দেবে না। যখন তার যাওয়ার সময় আসবে তখন শেখ হাসিনা পালাবার পথ পাবে না।

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে সরে যান। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। তাহলে হয়তো দেশে থাকতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ বলছে আমরা (বিএনপি) ক্ষমতায় আসলে এক লাখ লোক মারা যাবে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তো দেশের ১৮ কোটি মানুষই মারা যাবে।

দিনের ভোট দিনে দেবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাতের বেলায় কোনো ভোট হবে না। দিনের ভোট দিনে দিতে হবে। রাতের বেলায় আর কোনো ভোট নয়।

গয়েশ্বর বলেন, দেশে একটা জিনিসের দামই কমেছে তা হলো শেখ হাসিনা ও তার সরকার। বাংলাদেশের মানুষ আর শেখ হাসিনার সরকারকে চায় না। এ আন্দোলন বিএনপির নয়, এ আন্দোলন জনগণের মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ অন্যায়, অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাস্তায় নেমেছে। এ আন্দোলন বিএনপির নয়, এ আন্দোলন জনগণের।


আরও খবর



তোতলা আজাদের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁরের কারণে ৩ শুল্কস্টেশনের শতশত ব্যবসায়ীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য। প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (১৭ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টার পর থেকে আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্ভর) ভোর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে জেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রায় দেড় হাজার মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথরসহ বিপুল পরিমান চিনি, বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক ইউপি সদস্য রাশিদ মিয়া, ধন মিয়া, ফজলু সরর্দার ও আবুল বাশার খান নয়নসহ অনেকে বলেন- তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ তরফতার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ও কয়লাসহ যাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে ছিলেন, সেই আসামীদেরকে সোর্স বানিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সহযোগী নেকবর আলী প্রায় ২বছর যাবত অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করে নিজেরা ব্যবসা করছে, আবার পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নামে পাচাঁরকৃত প্রতিনৌকা থেকে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে। তারা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি কিন্তু এসব দেখার কেউ নাই। এই সীমান্তের বাসিন্দা আলী হোসেন, বাবুল মিয়া, মানিক মিয়া ও রফিক মিয়াসহ অনেকেই বলেন- তোতলা আজাদ একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, মোক্তার মহলদার, আক্কাছ মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, আইনাল মিয়া, লেংড়া জামাল, আনোয়ার হোসেন বাবলু, রুবেল মিয়া, খোকন মিয়া, বায়েজিদ মিয়া ও জসিম মিয়াগংকে নিয়ে সিন্ডিকেড তৈরি প্রতিদিন লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুরি করে কয়লা ও পাথরসহ মাদক পাচাঁর করলেও এব্যাপারে কেউ পদক্ষেপ নেয়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সরকারের রাজস্ব দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী করে ৩ শুল্কস্টেশনের প্রায় ৭শত ব্যবসায়ী। কিন্তু রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের সযোগীতায় প্রতিদিন শতশত মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথর পাঁচার করাসহ চাঁদাবাজি করছে চোরাকারবারীরা। এব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা পদক্ষেপ নেয়না। তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ বলেন-চোরাচালান ও চাঁদাবাজির জন্য বিজিবি দায়ী। তারা সুযোগ দেওয়ার কারণে সীমান্তে অন্যায় কর্মকান্ড হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানীর দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ওবায়দুর বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। এব্যাপারে আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



ব্রাজিলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা হবে না: লুলা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্রাজিলে গ্রেপ্তার করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলমান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা শনিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি আগামী বছর রিও ডি জেনিরোতে গ্রুপ অব ২০ সভায় যোগ দেন তবে তাকে ব্রাজিলে গ্রেপ্তার করা হবে না।

দিল্লিতে জি-২০ সভার ফাঁকে নিউজ শো ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুলা বলেন, পুতিনকে আগামী বছরের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি বলেন, ব্রাজিলে সেই সম্মেলনের আগে রাশিয়ায় ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোর একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

লুলা বলেন, আমি বিশ্বাস করি পুতিন সহজেই ব্রাজিলে যেতে পারবেন। তার ভাষায়, ‘আমি যদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট থাকি এবং তিনি (পুতিন) ব্রাজিলে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তিনি বেআইনিভাবে ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়াতে সরিয়ে নিয়েছেন।

আদালত বলছে, এই অপরাধ গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই ঘটে চলেছে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও।

মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই। আইসিসি যা করতে পারে তা হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন দেশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা এবং গ্রেপ্তারের পরে তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে বিচারের জন্য হাজির করা।

এছাড়া আইসিসি তার বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিন বা মারিয়া এলভোভা-বেলোভাকে আপাতত এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনও সুযোগ নেই।

তবে ব্রাজিল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। কিন্তু লুলার এই মন্তব্যের পর তার কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

রয়টার্স বলছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলন ও বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত হননি এবং দিল্লিতে চলমান জি-২০ ইভেন্টেও রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট নিজে উপস্থিত না হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে পাঠিয়েছেন।

শনিবার সম্মেলনের প্রথমদিনই সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সবার সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতের উত্থাপিত ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’। ওই ঘোষণায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও নিন্দা জানানো হয়নি।

তবে কোনও অঞ্চল দখলের জন্য শক্তি ব্যবহার না করতে সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই ঘোষণায়।


আরও খবর



উল্লাপাড়ায় বিনামূল্যে চাল, ডাল দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিনামূল্যে চাল, ডাল দেয়ার নামে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কার্ড বানিয়ে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে।জানা যায়, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উল্লাপাড়া শাখায় বিনামূল্যে চাল, ডাল দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের নিকট কার্ড বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন উল্লাপাড়া জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুস্ত অসহায় মৎস্যজীবীরা বিনামূল্যে চাল, ডাল পাওয়ার আশায় ১২০ টাকার বিনিময়ে আব্দুল আলিমের নিকট হতে কার্ড কিনেছেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৩ শতাধিক মৎস্যজীবীর নিকট টাকার বিনিময়ে কার্ড করে দিয়েছেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম । স্থানীয় মৎস্যজীবী কার্ডধারীরা বলেন, বিনামূল্যে চাল, ডাল নেওয়ার আশায় তাঁরা ১২০ টাকায় জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কার্ড করেছেন । বাজারে দ্রব্যমূল্যের দামের কথা ভেবে বিনামূল্যে চাল, ডালের আশায় আব্দুল আলীমের নিকট হতে ১২০ টাকায় কার্ড কিনেছি। কিন্তু দীর্ঘ দিন কার্ড করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো চাল ডাল পাই নি। আসেলেই চাল ডাল পাবো কিনা তা বুঝছি না। এছাড়াও তিনি সরকারি পুকুর লিজ নিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নামে আব্দুল আলীম বিনামূল্যে চাল ডাল দেয়ার কথা বলে ইত্যেমধ্যেই অনেক টাকা উত্তোলন করেছেন । তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়ে এলাকায় দেন দরবার করে বেড়ান।
এ বিষয়ে আব্দুল আলীমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি ৩ শতাধিক মৎস্যজীবীর নিকট কার্ড বিক্রি করেছি। এবং আরো ৬ শতাধিক কার্ড বিক্রি করেছেন সভাপতি। তবে আমি চাল ডাল দেওয়ার কথা বলে কার্ড বিক্রি করেনি।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উল্লাপাড়া শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্না বলেন, আমার কাছে জেলা থেকে যে কার্ড দিয়েছিলো সেই অবস্থায় আছে আমি কোন ধরনের কার্ড বিক্রি করেনি। সদস্য সংগ্রহের নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কার্ড দিলে তা কেন্দ্রে জানানো হবে। 

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, কেউ যদি কার্ড বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়ঁতারা করে এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কার্ড করলে চাল-ডাল দেওয়ার কথা বলে কার্ড বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাল-ডাল দেওয়ার কথা বলে কার্ড বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই।

আরও খবর