Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে সেচ কমিটির নামে চাবি কেড়ে নেওয়া তোপের মুখে পলায়ন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকুপের সেচ কমিটি করার নামে চাবি কেড়ে নেওয়ায় কৃষকের তোপের মুখে পলায়ন,  পুর্বের অপারেটর মাদ্রাসা শিক্ষক হেরোইন মামলার আসামি   ফারুক হোসেনের খাম খেয়ালীতে দুই বিঘা জমির করলা, মিস্টি কুমড়া ও শশার গাছ পুড়ে ছায় হওয়া সহ সরিষা এবং কালায় গাছ পুড়ে লালচে হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে ফসল নষ্টের ঘটনা। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মমিনুল ইসলাম শুভ বিএমডিএ ও মুন্ডুমালা পুলিশ ফাড়িতে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পায়নি প্রতিকার। উল্টো অভিযোগ করায় ফারুক ও তার চাচা কাউন্সিলর আতাউর নানা ভাবে হয়রানি করছেন বলেও একাধিক কৃষকরা অভিযোগ করেন। অথচ বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ফসল হানির প্রতিকার না করে কাউন্সিলরের প্রভাবে বিতর্কিত অপারেটর ফারুককে নিয়ে কমিটির করার ঘোষনা দিলে চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। এর আগে কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে লাল মোহাম্মাদকে অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হলে তার কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়। পরে বাধ্য হয়ে চাবি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। শুক্রবার সকালের দিকে ময়েনপুর গ্রামের গভীর নলকুপ সংলগ্ন জায়গায় ঘটে ঘটনাটি। বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী, মেয়র সাইদুর ও কাউন্সিলর আতাউর এবং বাতিল হওয়া অপারেটরের শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছেন স্কীম ভুক্ত কৃষকরা।

সরেজমিনে শুক্রবার দেখা যায়, মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর গ্রামের ময়েনপুর মৌজায় ১৪৩৫ দাগে গভীর নলকুপ সংলগ্ন জায়গায় চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, মেয়র সাইদুর ও কাউন্সিলর আতাউর এবং পূর্বের অপারেটর ফারুক গংরা বসে কথা বলছেন। এসময় বিএমডিএ প্রকৌশলী কমিটি করার জন্য সকল কৃষককে তাড়িয়ে দিয়ে ফসল নষ্টকারীদের নিয়ে কমিটি করতে চান। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মমিনুলসহ স্কীমভুক্ত কৃষকরা কথা বলতে চাইলে মারমুখী আচরন করেন সহকারী প্রকৌশলী ও কাউন্সিলর। এরই এক পর্যায়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর লাল মোহাম্মাদের কাছ থেকে ডীপের চাবি নিয়ে নেয়। পরে কৃষকদের তোপের মুখে নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর লাল মোহাম্মাদকে চাবি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মমিনুলের দুই জায়গায় দুই বিঘা জমির করলা, মিষ্টি কুমড়ার গাছ পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মমিন জানান, আমি এনজিও থেকে ঋন ও জমি লীজ নিয়ে সবজি চাষ করেছিলাম। যে সময় ফসল আসবে তার আগ থেকে পানি দিতে দেয়নি পূর্বের অপারেটর মাদ্রাসা শিক্ষক মতিউর রহমান ফারুক। এখন আর কোনভাবে গাছ হবে না। সবজি চাষে অনেক খরচ হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর সেচ দেওয়ার জন্য হাজারো চেষ্টা করেন, কিন্তু ফারুক প্রভাব খাটিয়ে সেচ দিতে দেয়নি এবং ড্রেন ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি বিএমডিএ ও মুন্ডুমালা পুলিশ ফাড়িতে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়। দুই বিঘা জমির সবজি নষ্ট হওয়ার কারনে নিম্মে হলেও দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি ক্ষতিপুরুন না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই। কারন এনজিওর কিস্তি নিয়োমিত দিতে হচ্ছে।

স্কীমভুক্ত একাধিক কৃষকরা জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা পূর্বের অপারেটরের শোষন ও সেচ হানি, ফসল নষ্ট, অতিরিক্ত সেচ হারের বিষয়ে এমপিকে অবহিত করা হলে আমাদের পছন্দের লাল মোহাম্মাদকে অপারেটরের দায়িত্ব দেন। কিন্তু পূর্বের অপারেটর শিক্ষক ফারুক চাবি দেয় না, তালা ও ড্রেন ভেঙ্গে ফেলে। ফারুকের চাচা আতাউর কাউন্সিলর ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারনে সেচের ড্রেন নষ্ট করে ফেলে। শুধু তাই গায়ের জোরে সেচ দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে টাকাও আদায় করে আত্মসাৎ করেন। আবার কাউন্সিলর আতাউরের গভীর নলকুপে ঘেষে জমি আছে, সেদিক দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার হত, সেটা তিনি ভেঙ্গে ফেলেছে, তার জমিতে বাড়ির মটর থেকে সেচ দিচ্ছে। আর বাকি কৃষকরা সেচ নিতে পাচ্চেনা।

অপারেটর লাল মোহাম্মাদ জানান, বিএমডিএকে একাধিকবার বলার পর শুক্রবার ময়েনপুর গভীর নলকুপে আসেন। তিনি মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর কাউন্সিলর আতাউর ও শহরের হযরত নামের ব্যক্তিকে ডেকে তাদেরকে নিয়ে কমিটি করবেন। বাতিল হওয়া অপারেটর ফারুককে নাকি সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ও বর্তমান মেয়র সাইদুরের সুপারিশে সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা নাকি ডিও দিয়েছেন এবং এদের মাধ্যমে গভীর নলকূপ পরিচালনা করতে হবে বলে চাবি কেড়ে নেয়। যারা কৃষকদের শোষন করছে ও ফসল নষ্ট করেছে তারা কেন কমিটিতে থাকবে এসব কথা কৃষকরা বলামাত্র নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। কৃষকের সুবিধার জন্য ও তাদের দাবির মুখে এমপি আমাকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দিতে বলেন। সে অনুযায়ী নিয়োগ দেয় আমাকে। কিন্তু মেয়র ও কাউন্সিলরের কথামত কাজ করছেন বিএমডিএ। কাউন্সিলর আতাউরের ছেলে পুকিশে চাকুরী করে এজন্য তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। কৃষকদের সুবিধার জন্য গভীর নলকূপ। এতো বছর তারা শোষন করেছে, কৃষক যদি আমাকে না চায় সেচ্ছায় ছেড়ে দিব। কিন্তু অরাজকতা মেনে নিবে না কৃষকরা।

বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটরের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়নি। এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী স্যারের কথামতে লাল মোহাম্মাদকে অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, আবার পূর্বের অপারেটরকে বহাল রাখতে সদর আসনের এমপি ডিও ও সাবেক বর্তমান মেয়র চাপ দিচ্ছেন। এমপিদের কেন এসব নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কাকে দিলে ভালো হবে সেটা আমরা দেখব। আপনি ঘটনাস্থলে এসে কি সমাধান করলেন ও ফসল নষ্টের কারনে কি ব্যবস্থা নিলেন জানতে চাইলে তিনি জানান বিএমডিএর চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যেতে বলেছিল, এমপি সাহেব সমাধান করবেন। ড্রেন ভেঙ্গেছে সেচ দিতে পারছেনা প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন এমপি দিয়েছে এমপিই সব করবেন বলে এড়িয়ে যান এই কর্মকর্তা। 

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সৈয়দপুরে শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান,নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ,নারীর সাফল্য উযযাাপন ও নারীর প্রতি সম্মান শ্রদ্ধার সাথে সম-অধিকারের উদ্দেশ্যে শোভাযাত্রা বের করেছে সৈয়দপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সকাল সারে ১০ টায় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে শোভাযাত্রা টি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহজাদী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা আকতার লাকি,এএস আই লুবনা লিপি,কনস্টেবল ববিতা রানী,কনস্টেবল মল্লিকা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম। বেলা সারে ১১ টায়,উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সমুহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সারা পৃথিবীর ন্যায়,বাংলাদেশের নারীদের ও সমঅধিকার, সমসুযোহ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। 

এছাড়াও নারীর অধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলো পত্রিকার সৈয়দপুর প্রতিনিধি, এম আর আলম ঝন্টু, কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন লুতু, ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম প্রমুখ।

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



মেহেরপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চাষীদের সর্বনাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুরঃমেহেরপুরে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ আবাদ করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।পেঁয়াজ চাষের যাবতীয় খরচ করে পেঁয়াজের গুটির বদলে মিলছে শুধুই শেকড়। পেঁয়াজের ঘাটতির বছরে যা দেশের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। অমৌসূমের বীজ জেনেও অদৃশ্য কারণে চাষীদেরকে দিয়ে আবাদ করানো হলো সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যার খেশারত দিতে দিচ্ছে ৫২০ জন চাষীকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য চলতি মৌসূমে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় প্রান্তিক চাষীকে বীজ ও সার সহায়তা দেয় কৃষি অফিস। প্রত্যেক চাষী এক বিঘা করে জমি পেঁয়াজ আবাদ করেন। সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ভারত থেকে আমদানি করে নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ। যা প্রণোদন হিসেবে বিনামূল্যে এইসব প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিতরণ করে কৃষি অফিস।

চাষীরা জানান, সরকারি এ বীজে ভরসা করে চাষীরা কেউ বীজ বপণ করেন আবার কেউ চারা তৈরী করে পেঁয়াজ চারা রোপণ করেছিলেন। নভেম্বর মাসে ক্ষেতে পেঁয়াজ চারা রোপণ করলেও আজ পর্যন্ত মিলছে না পেঁয়াজের গুটি। ক্ষেতগুলোতে পুষ্ট পেঁয়াজ গাছ থাকলেও তার গোড়ায় কোন পেঁয়াজ পাচ্ছেন না চাষীরা। গুটি বাঁধবে এ আশায় চাষীরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশকে ব্যয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু গাছ তুললে গোড়াতে শুধু শেকড় ছাড়া কোন গুটির দেখা মিলছে না। কৃষি অফিসের কাছ থেকে কোন সদুত্তোর না পেয়ে পেঁয়াজের আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক কৃষক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় নাসিক রেড এন ৫৩ পেঁয়াজ বীজ দিয়ে মূলত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বেশ ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন চাষীরা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতটি শীতকালে আবাদ করলে পেঁয়াজের গুটি হবে না এটা জানতেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু উপর মহলের চাপে তারা শীতকালে এ বীজ বিতরণ করেছেন। কোন অদৃশ্য কারণে বড় কর্তারা এ জাতের বীজ আবাদে কৃষকদের বাধ্য করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষী সাহারবাটি গ্রামের তোহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদের তার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকার উপরে। পেঁয়াজ তোলার সময় পেরিয়ে গেলেও পেঁয়াজের গুটি বাঁধেনি। এখন ক্ষেত পরিস্কার করতে আরও ‍কিছু টাকা খরচ হবে। কৃষি অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোন নির্দেশনা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী চাষীরা। চাষি জুরাইস ইসলামসহ কয়েকজন পেঁয়াজ চাষী, সরকারি বীজ তাই ভাল ফলনের আশায় পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জানা ছিল না গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ শীতকালে আবাদ করলে তাতে গুটি হবে না। ফলে পুরো আবাদের লোকসানে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছন এসব চাষীরা।

পেঁয়াজ আবাদের সর্বনিম্ন আর্থিক ক্ষতি হিসেবে করলে দেখা যায়, প্রতি বিঘায় যদি ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ হলে ৫২০ জন চাষীর খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা। চলতি মৌসূমে পেঁয়াজের বড় সংকটের বছরে একদিকে যেমনি পেঁয়াজ উৎপাদন কমে গেছে অন্যদিকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন চাষীরা। যে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি অফিসে ভুক্তভোগী চাষীরা বার বার ধর্ণা দিলেও মিলছে কোন কোন আশ্বাস কিংবা প্রতিকার।

কেন অমৌসূমের বীজ জেনেও চাষীদের মাঝে তা বিতরণ করা হল? এমন প্রশ্ন রাখা হয় মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে। তবে তিনি সদুত্তোর না দিয়ে জানান, এ জাতের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে।


আরও খবর



দৌলতপুরে নাসির টোবাকর কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিষদের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

খন্দকার জালাল উদ্দিন দৌলতপুর,কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লার দর্গায় নাসির নগর এ নাসির টোব্যাকো ইন্ডা: বন্ধ ঘোষণা করায় ইন্ডাস্ট্রিজদের কর্মচারী ও শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বেতন ভাতা পরিষদের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।

এ সময় কুষ্টিয়া-প্রাণপুর রোডের সমস্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় এক ঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। পরে গাড়ি চলা শুরু করে।

উল্লেখ্য প্রায় চার মাস শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ২৩ মার্চ শনিবার দায়িত্বরত ডিজিএম খাজিমুল বাসার ঘোষণা দেন ইন্ডাস্ট্রি অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্ডা: বন্ধ থাকবে। সামনে ঈদ, চলছে রমজান মাস শ্রমিকরা তাদের ৪ মাস বেতন না পাওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে জীবন যাপন করছে। সামনে ঈদ বেতনপত্র না পেয়ে শ্রমিকদের চরম ক্ষভের সৃষ্টি হয়, তারা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে এবং বিক্ষোভ মিছিল করে। উল্লেখ্য নাসির উদ্দিন বিশ্বাস এর ইন্তেকালের পর বড় স্ত্রী আনোয়ারা

বিশ্বাস ২ মেয়ে, এক ছেলে ও ছোট স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে আলাদা ভাবে চলতে চায়, এ কারণে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন নাসির বিড়ি এবং নাসির সিগারেট উৎপাদন সম্পন্ন ভাবে বন্ধ থাকে। প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্ম না থাকায় বর্তমানে হতাশার মধ্যে পড়েছে। এলাকাবাসী এবং শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব মিটায়ে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা হোক, তা না হলে তারা সামনে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।


আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পত্নীতলায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে একটি র‌্যালী উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ অডিটেরিয়াম হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘সঠিক তথ্যে ভোটার হবো-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো’ এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু সাঈদ, পল্লী উন্নয়ন অফিসার প্রোল্লাদ কুমার কুন্ডু, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহিদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থা পত্নীতলার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার আমিনুল হক।

পত্নীতলা প্রেসক্লাবের সাঃসম্পাদক আলহাজ্ব মনিবুর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক মিজনুর রহমান, পরেশ টুডু, আল-আমিন রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪