Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে মেম্বারের উপর সন্ত্রাসী হামলা উত্তেজনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬১জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর ,তানোর প্রতিনিধি ;রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন (ইউপির) ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলিমকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে গভীর রাতে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২ রা এপ্রিল রাত দশটার পরে উপজেলার তালন্দ ইউপির মোহরগ্রামের ঘোড়াডুবি মোড় নামক স্থানে ঘটে হামলার ঘটনাটি। এঘটনায় মেম্বার  বাদি হয়ে মিঠুকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে করে শুকদেবপুরগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশংকা প্রবীন গ্রামবাসীদের।

জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন(ইউপির) শুকদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম। সে গত ইউপি ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন ও ওই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে। আলিম নিজ গ্রাম ও পোর এলাকার আমশোগ্রামেও বসবাস করেন। গত আলু মৌসুমে শুকদেবগ্রামের গভীর নলকূপের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে সালিশ বিচার হয়। বিচারে অভিযুক্ত মিঠুর পিতা আশরাফুল ধলু ৭২ হাজার টাকা তছরুপ করে। বিচারে এমন রায় দেন মেম্বার আলিম। এঘটনার পর থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এঅবস্থায় গত ২ রা এপ্রিল রবিবার রাত ১০ টার দিকে শুকদেবপুর থেকে আমশো আসার পথে তার উপর হামলা করে একই গ্রামের আশরাফুল ধলুর ছেলে মিঠু।

মেম্বার আলিম জানান, গ্রামের ভিতরে চারজনের পার্টনারে গভীর নলকূপ আছে। সেই জায়গা সহ নলকূপ বিক্রির জন্য পার্টনার আশরাফুল ধলু ২ লাখ টাকা বায়না নিয়ে রেজিস্ট্রি দেয়না এবং ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর থেকেই আমাকে মেরে ফেলার নানা পরিকল্পনা করে আসছে সে ও তার ছেলে মিঠু। গত রবিবার রাত ১০ টার দিকে শুকদেবপুর থেকে আমশো ভাড়া বাড়িতে বাইক যোগে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে পিছন থেকে আঘাত করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। রাত ৩ টার দিকে হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফিরে আসে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা শীল। এজন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি।

অভিযুক্ত মিঠু জানান, আমি তার উপর হামলা করিনি। মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি তার কাছ থেকে টাকা পাব এজন্য তালবাহানা করছে এবং বিভিন্ন কার্ড করে দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, এসব নিয়ে প্রতিবাদ করার কারনে মিথ্যা নাটক করছেন
গ্রামআাসীরা জানান, আশরাফুল ও তার ছেলে মিঠুকে কেউ কিছু বললেই তারা আদালতে মামলা করে। এজন্য সবাই আতংকে আছেন। কখনো শহরের লোকজন দিয়ে আমাদেরকে মারপিট করিয়ে নেয়। তার জায়গা ও গভীর নলকূপের দাম ধরে সাড়ে ১০ লাখ টাকা। ২ লাখ টাকা দিয়ে বায়নামা করা হয়েছে, কিন্তু বায়নামা করলেও রেজিস্ট্রি দিচ্ছেন না। এসব নিয়ে কয়েকদফা মারপিট হয় এবং আদালতে মামলাও হয়েছে।

থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আরও খবর



১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:একটা চাদর হবে’- ইথুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতে এই গান গেয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান জেনস সুমন। এর আগে-পরে বেশকিছু মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছিলেন তিনি। মাঝে এক যুগের বিরতি। এরপর আবার ব্যস্ত হয়ে যান।

আবারো নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন এই গায়ক। শিরোনাম ‘আসমান জমিন’। গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এস আই এনজেল। ঈশা খান দূরের তত্ত্বাবধানে ভিডিও পরিচালনা করেছেন এআর খান।

দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গান-ভিডিও মুক্তি পেয়েছে।নতুন গান প্রসঙ্গে সুমন বলেন, আসমান জামিন একটি রোমান্টিক ঘরানার গান। সর্বশেষ ২০০৮ সালে গান করেছি। এরপর গান করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে ফিরছি। আশা করছি, আমার নতুন গানটি সবার পছন্দ হবে।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ হয় ১৯৯৭ সা‌লে। তারপর একে একে আসে ‘আকাশ কেঁদেছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি। আর ২০০৮ সা‌লে প্রকাশ হয় তার সবশেষ অ্যালবাম ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’।  এরপর থেকে গানে অনিয়মিত তিনি।

আরও খবর



রাজশাহী পুঠিয়ায় এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
পুঠিয়া ( রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার  বানেশ্বর থান্দার  পাড়া এলাকায় বস্তা বন্দী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪: ২০ঘটিকার সময় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ সি আই ডিকে খবর দেয়। রাজশাহী থেকে  সিআইডি এসে লাশটির নমুনা সংগ্রহ 

পুলিশ ধারণা করছে, গত ৪/৫ দিন  আগে বেদেনা বেওয়া( ৬০) নামের এক নারী নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ ছিলো। পরে তার পরিবার রাজশাহীর পুঠিয়া থানা লিখিত অভিযোগ জানান। 
খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকাল ঈদের দিন উক্ত বৃদ্ধ ছেলে রিপন আলী  (২৭) পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে। 

আজ বিকালে এলাকাবাসী বাড়ির পাশে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেয়। স্থানীয়রা বলছে, মৃতের মুখে কসটেপ মারা ছিলো। গলা কাটার চিহ্ন ছিলো।  তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। 
পুলিশের ধারণা পারিবারিক বা স্থানীয় কোন কহলের কারণে এমন ঘটতে পারে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাজ্জাক হোসেন দুলাল জানান। আমি এলাকার বাইরে ছিলাম এসে দেখি এই ঘটনা। মেয়েটা  নাকি চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল আমি সেটা আজকে শুনলাম পুঠিয়া থানা পুলিশ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া থানা ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানায় আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বস্তাবন্দি একটি  লাশ পড়ে আছ।   পরে আমরা রাজশাহী সিআইডিকে খবর দিই সিআইডিএসে  নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আরও খবর



রূপগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন\স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ-

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মাঝিনা নদীরপাড় এলাকায় বসবাসকারী গৃহবধূ ফারজানা আক্তারকে(৩০) গতকাল ২৪ মার্চ রবিবার ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী তারিকুল ইসলাম মন্ডল এ ঘটনা ঘটায়। তারা মাঝিনা নদীরপাড় গ্রামের মহিবুর রহমানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হত্যাকান্ডের পর স্বামী তারিকুল ইসলাম মন্ডল হতবাক হয়ে লাশের পাশেই অবস্থান করছিলেন।


খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারিকুল ইসলাম আতœসমর্পণ করেন। লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও স্বামী তারিকুল ইসলামের বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার হাজীপাড়া দক্ষিণ দোমাইচারী গ্রামে। তারিকুল ইসলাম মন্ডল শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী মাঝিনা নদীরপাড় এলাকার মীর সিরামিক্স কম্পানীতে চাকুরি করে আসছিলেন।


রূপগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী ফারজানার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।  ঘটনার পর ঝামেলা এড়াতে বাড়ীর মালিক মহিবুর রহমান স্বপরিবারে পালিয়ে গেছেন।রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, স্ত্রী ফারজানা আক্তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী তারিকুল ইসলাম মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



পরীক্ষামূলক ট্রেন ১ঘন্টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে যশোরে পৌঁছালো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:পরীক্ষামূলক ট্রেন প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভাঙ্গা থেকে যশোরের রুপদিয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত  ছুটে আসলো। একটি ব্লাস্ট ট্রেন শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ট্রায়াল হিসেবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি প্রায় ১০ মিনিট স্টেশনে অবস্থান করার পর ফের ভাঙ্গার দিকে রওনা হয়।

রেল কতৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এ পথে বাণিজ্যিক ট্রেন আগামী জুন মাস নাগাদ চলাচল শুরু হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

এ রেলপথ নির্মাণ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা । ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়ায় রেলস্টেশন হয়েছে। কাজের অংশ হিসেবে শনিবার ও রোববার দু’দিন ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে ট্রেন চালিয়ে নির্মাণ অবস্থা পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

ট্রায়ালের অংশ নেওয়া রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ ৮৪ কিলোমিটার বেগে পাড়ি দিয়েছেন তারা। পথে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।  এ রুটে আগামী জুনের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রেলওয়ের সূত্রটি আরো জানান, এ প্রকল্প শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটির অনুমোদন হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

পরীক্ষামূলক ট্রেনের চালক আব্দুল মান্নান বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আমরা ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসি। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে যশোরের রূপদিয়া স্টেশনে পৌঁছাই। পথে কোন সমস্যা হয়নি।

ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার হাসান মতিউর রহমান বলেন, ৬০ তেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি ভাঙ্গা থেকে যশোরে এসেছে। এতে সময় লেগেছে এক ঘন্টা ৪০ মিনিট। ফিরে যাওয়ার সময় আরও ২০ কিলোমিটার বেশি গতিতে যাবে। এরপর যাত্রী নিয়ে যে ট্রায়াল ট্রেন ১২০ কিলোমিটার বেগে আসবে বলে তিনি জানান।

যশোর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, এই ট্রেন যশোরবাসীর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের উপহার। ট্রেনটি ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে যশোরে আসে। যাওয়ার সময় আরও বেশি বেগে যাবে। আগামী জুন মাস নাগাদ এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।


আরও খবর