Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

তানোরে হ্যাকার আতংকে বিকাশ ব্যবসায়ী গ্রাহকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৫৬জন দেখেছেন

Image

 তানোর প্রতিনিধি ;রাজশাহীর তানোরে হ্যাকার আতংকে বিকাশ ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার থানা মোড়ের দীর্ঘ দিনের মোবাইল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের বিকাশ থেকে হ্যাক করে প্রায় ১০ হাজার টাকা  নেয়। এর আগে একে সরকার সরকারী কলেজের প্রভাষক পাপুল সরকারের বিকাশ নম্বর থেকে ৬০ হাজার টাকা হ্যাক করে নেয়। এঘটনায় মোবাইল ব্যবসায়ী দেলোয়ার বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় জিডি করেন। এতে করে গ্রাহক ব্যবসায়ীরা হ্যাকার আতংকে পড়েছেন। শুধু বিকাশ ব্যবহার কারীরা না নগদ রকেটেও অহরহ হ্যাকিং করে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা ৪৬ মিনিটের দিকে ০১৭৮৮১০৮১১৩ নম্বর হতে ০১৭১২৩৬২৮৫৯ নম্বরে বিকাশ প্রেরনের সময় ভুলবসত একটি ডিজিট পরিবর্তন হয়ে / নম্বর তোলার সময় ভুলবশত ০১৭৪২৪৩০৩১৪ মোবাইল নম্বরে ৯ হাজার ৮০০ টাকা চলে যায়।
দেলোয়ার জানান, আমাকে ওই নম্বর থেকে ফোন করে বলে আপনার মোবাইলে ১৫ হাজার টাকা ভুল করে চলে গেছে, ফেরত দিলে উপকার হত। এমন কথা শোনার পর আমিও মোবাইলে দেখি টাকা এসেছে। আমি পুনরায় ৯ হাজার ৮০০ টসকা  দেওয়ার পর থেকে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায় এবং  বাকি টাকা নাই হয়ে যায়।  যার জিডি নম্বর ১০১৬ তারিখ ২৩/০৩/২০২৩ ইং।

একই কায়দায় একে সরকার সরকারী কলেজের প্রভাষক রকিবুল সরকার পাপুলের বিকাশ থেকে চলতি মাসের প্রথম দিকে ৬৯ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।স্থানীয়রা জানান, দেলোয়ার উপজেলার মধ্যে সর্ব প্রথম মোবাইল ব্যবসায়ী। তার মোবাইলে হ্যাক করে টাকা নিয়ে নিলে সাধারন গ্রাহক বা ব্যবসায়ীর টাকা নিতে আরো সহজ হবে। আবার ব্যাংকের লকার থেকে হ্যাক হয়। তাহলে গ্রাহকের মোবাইল হ্যাক করে টাকা নেয়া কোন ব্যাপারই না। এভাবে অনেকের টাকা খোয়া গেছে। কেউ প্রকাশ করেছে আর কেউ করেনি। তবে আইন শৃংখলা বাহিনীর উচিৎ এসব চক্রকে খুজে বের করা দরকার। তানাহলে হ্যাকাকেরা ভয়ংকার হয়ে উঠবে। যত প্রযুক্তি ততই যেন কারচুপি।

পাপুল সরকার জানান, টাকা হ্যাক হওয়ার পর থানায় জিডি করেছি, এতদিন হলো কোন কিনারা পাচ্ছেনা প্রশাসন। এসব চক্রকে না ধরলে সাধারন মানুষ আরো বেকায়দায় পড়বেন।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, যে নম্বরে টাকা দিয়েছে এসব নম্বর ট্যাগ করা হচ্ছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, আসা করছি এচক্র কোন না কোন সময় ধরা পড়বেই।



আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিনের জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃশ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধানের নামাজে জানাজা তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৫ এপ্রিল বাদ জোহর মরহুমের ১ম নামাজে জানাজায় অংশ নেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ,সিবিএ সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন সহ কর্মকর্তাবৃন্দ ,জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান,কার্যকরী সভাপতি মো: আলাউদ্দিন মিয়া,দপ্তর সম্পাদক এটিএম ফজলুল হক,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এইচএম মোতালেব,বাপেক্স ও হোটেল সোনারগাও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ,এছারাও তিতাস গ্যাসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

এ সময় তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ বলেন, কাজিম উদ্দিন প্রধান আমাদের সাথে কাজ করেছেন, আমি আড়াই বছরে উনার কাছ থেকে কোন কটুকথা শুনিনি,সব সময় চেষ্টা করেছেন সকলের উপকার করতে, আল্লাহর কাছে উনার জন্য দোয়া করি।

আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধানের ২য় নামাজে জানাজা বাদ আসর নারায়নগঞ্জের খানপুর চিলড্রেন পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করে।পারিবারিক সুত্র জানায়,রাত নয়টায় মরহুমের সর্বশেষ জানাজা অনুষ্টিত হবে নিজ এলাকায় এরপর বন্দর উপজেলার ফরাজি কান্দা পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।উল্লেখ্য গতরবিবার ১৪ এপ্রিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ বছর বয়সে শেষ নি"শ্বাস ত্যাগ করেন আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান।মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন।জনপ্রিয় এই নেতা টানা চারবার তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর



সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন,সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়বে আর খোলা তেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা কমবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বা‌ড়ি‌য়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা।

আর প্রতি লিটার বোতলজাত পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানিয়েছেন, সয়াবিন তেলের নতুন দাম মিলগেট (পাইকারি বিক্রেতারা যে দামে কিনবেন) থেকে এখনই কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার পর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি ভ‌্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে তেল বিক্রির উদ্যোগ নেয় মালিকরা। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে দু‌’দিন ধ‌রে দফায় দফায় বৈঠক শেষে নতুন দাম নির্ধারিত হলো।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের নতুন দামের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।


আরও খবর



৭ জানুয়ারি নির্বাচন দেশের ৯৫% জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : আমীর খসরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জানুয়ারির ৭ তারিখের নির্বাচনে জনগণ গণভোট দিয়েছে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক ছিল নির্বাচন বয়কটের ভোট বর্জনের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট না দিয়ে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

‘আমাদের আন্দোলন চলছে, নতুনভাবে আন্দোলনের কিছু নেই। এই ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের আন্দোলনের অংশ। গণতন্ত্রকামী সবাই এই আন্দোলনে আছে।

তিনি বলেন, ৭ তারিখের আগে বিএনপির আন্দোলন যত শক্তিশালী ছিল ৭ তারিখের পর তা আরও বেশি বেগবান ও শক্তিশালী হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাকী যে ৫% এর মধ্যে জাতীয় পার্টি বলেছে ভোট হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনীত যারা প্রার্থী ছিলেন যারা হেরে গেছেন, তারাও বলেছেন নির্বাচন হয় নি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সহ তার দলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া এই নির্বাচনের পক্ষে আর কেউ ছিল না।

আমির খসরু বলেন, এই ৯৫% মানুষের সাথে আরও যারা নির্বাচনে গিয়েও নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের কে নিয়ে আগামী দিনে আমরা যে আন্দোলনে যাচ্ছি, সে আন্দোলন কিন্তু ৭ তারিখের আগে থেকে আরও বেশী শক্তিশালী হবে। সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পৃক্ততা হয়েছে, সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও সম্পৃক্ততা হয়েছে,

তিনি বলেন, আগামীতে যে আন্দোলন আসছে, সেই আন্দোলন ওয়ার্ড লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। ওয়ার্ড লেভেল থেকে সুনামী করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে ওয়ার্ডের ওলিতে গলিতে। ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে আন্দোলনের আওয়াজ তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে এই আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।

আজ বুধবার ( ৩ এপ্রিল) উত্তরা দিয়াবাড়ীতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১ ও ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা নেই, দেশের বিচার বিভাগ,বাক স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার নেই। জনগণের কোন কথাকেই তারা তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী লীগ স্বার্থের রাজনীতি নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য আফাজ উদ্দীন আফাজ, হাজী মোঃ ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানা বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকা, যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, মোঃ চান মিয়া, মোঃ রফিক মোল্লা, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে ঈদ পুনঃমিলনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃএকতাই  শক্তি, একতাই বল,এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুহিলপুর চাঁন্দের হাটি ( সুতার মুড়া)  আব্বাস আলী ফাউন্ডেশনের কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পুনঃমিলনী অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল  অনুষ্টিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে চান্দের হাঁটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া চেয়ারম্যান সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ, প্রধান বক্তৃা স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক মুন্সী, বিশেষ অতিথি , ৪, ৫, ৬  ওয়ার্ডের নারী সদস্য সুমি আক্তার।

প্রধান উপদেষ্টা হাজ্বী উসমান গনী, হামিদ মিয়া,  ৩ বারের সাবেক মেম্বার চাঁন মিয়া,হাজ্বী  হাবিবুর রহমান, রৌশন  সরদার, আবদুর রহমান, , বিশিষ্ট  ঠিকাদার আবুল কাশেম, কাউসার মিয়া, কাদের মিয়া,  আব্দুস সাত্তার, লোকমান মিয়া,  উপদেষ্টা গণ।  মরহুম আব্বাস উদ্দিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি  ফারুক ওসমান সভাপতিত্বে, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এহসানুল হক রিপনের সঞ্চালনায়, সাধারণ সম্পাদক  বিশিষ্ট সমাজসেবক  ও সালিশ কারক  সাদির মিয়ার দিক  নির্দেশনায়  অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  সহ সভাপতি আব্দুল হাসিম  , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ , আব্দুর রাহিম কোষাধক্ষ্য , শাহিন মিয়া শানু মিয়া প্রচার  সম্পাদক , নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক , সালাউদ্দিন ও নানু মিয়া,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অলি মিয়া, আব্দুল জব্বার,মুসলিম মিয়া,  সোহেল মিয়া প্রমুখ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর