Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

তানোরে ব্র্যাকের বীজ নিয়ে মহা প্রতারনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৫৯জন দেখেছেন

Image
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি; রাজশাহীর তানোরে ব্র্যাকের আলুর বীজ নিয়ে মহা প্রতারনা শুরু করেছেন ডিলাররা বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বাড়তি দামে ও খাওয়ার আলু বীজ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে তানোরে আলু চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু রহস্যজনক কারনে এউপজেলায় নামমাত্র একজন ব্র্যাক বীজের ডিলার থাকলেও পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোহনপুরে চারটি ডিলার রয়েছে। এরাই বেপরোয়া সিন্ডিকেট করছেন বলেও একাধিক চাষীরা নিশ্চিত করেন। শুধু ব্র্যাকের বীজ না বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে চলছে মহা প্রতারনা। প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক পা ফাটা কৃষকরা। যারা ব্যবসায়ীদের কথার উপর নির্ভর করেন। তারাই প্রতারিত বেশি হচ্ছেন। আসল নকল বোঝার উপাও নেই তাদের। ফলে যত্রতত্র বীজ বিক্রি না করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা দোকানে বিক্রির আগে মান নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরকে জোরালো ভুমিকা রাখার আহবান জানান কৃষকরা। নচেৎ প্রতারিত হতেই থাকবে। 

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলু রোপনের জন্য উপজেলায় জমি চাষ ও রোপন শুরু হয়েছে। আলু রোপনকে সামনে রেখে ব্র্যাকের বীজ নিয়ে ডিলাররা  নানা মুখী খেলা শুরু করেছেন। বিশেষ করে ব্র্যাকের বীজের প্রচুর চাহিদা। কিন্তু সেই বীজ পেতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। তাও চাহিদামত পাচ্ছেন না। পেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা তাও আসল না নকল বোঝা বড় দায়।
অথচ উপজেলায় ব্র্যাক বীজের একজন ডিলার রয়েছেন। তিনি মাত্র ২০০ মে:টন বীজ বরাদ্দ দেয় ব্র্যাক। শাহিন নামের ডিলার তালন্দ বাজারে বীজের ব্যবসা করে আসছেন। তাকে মাত্র ২০০ মে:টন বীজ দেওয়া হয়। কিন্ত এউপজেলার যা চাষ হয় তার অর্ধেকও হয় না মোহনপুর উপজেলায়। কিন্ত মোহনপুরেই ব্র্যাক বীজের ৪ জন ডিলার রয়েছে। তারা হলেন  মোর্তুজা সোনার। তিনি  কার্টুন বীজ প্রায় ১০০০ টিসহ বস্তার বীজ ১২০০ মে:টন বরাদ্দ পেয়েছেন।  মতিউর কার্টুন ১০০ টি বস্তার বীজ ২০০ মে: টন। কেশরহাট বাজারের আকতার ৩০০+ মে:টন, কারী রাসেদুল ৪০০ মে:টন। সব মিলে মোহনপুর উপজেলায় প্রায় ২১০০ মে:টন বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব ডিলারদের বীজ তানোরেই বেশি বিক্রি হয়। এজন্য তারা বাড়তি দাম ও খাওয়ার আলুও ব্র্যাকের বস্তায় ভরে দেদারসে বিক্রি করছেন।
চাষী আনোয়ার, বেলাল, সুমনসহ অনেকে জানান, তানোরে আলু চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু ব্র্যাকের বীজ ডিলার তানোরে মাত্র একজন। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন মাত্র ২০০ মে:টন। যা দিয়ে কিছুই হবে না। এজন্য বাধ্য হয়ে মোহনপুর থেকে বীজ আনা হয়। তারা মহা কারসাজির মাধ্যমে বাড়তি দাম ও নিম্মমানের বীজ দিয়ে থাকেন। কিছু করনীয় থাকে না। কারন তারা অন্য উপজেলার। বিশেষ করে ধুরইল বাজারের মুর্তুজা ব্যাপক অনিয়ম করেন। তিনি যাবতীয় বীজ ডিলার। তার নিকট থেকে তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া হল মোড়ে হাদি ট্রেডার্সের মালিক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম এনে বেপরোয়া বানিজ্য করছেন। শুধু বীজ না তিনি পটাশ সারও বিক্রি করেছেন ১৪০০/১৫০০ টাকা করে। বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে বীজ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে। কোন নিয়ম নাই
আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার নামে প্রচুর অভিযোগ আমি নাকি বাড়তি দামে বীজ বিক্রি করছি। আমি বীজ তৈরী করিনা, ডিলারদের কাছ থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেছি, আর পটাশ সার বিক্রি করিনি। আপনি চাপড়া গ্রামে বেশকিছু কৃষকের কাছে দ্বিগুণ দামে পটাশ সার বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সামান্য কিছু বিক্রি করা হয়েছে। 
ব্র্যাকের বীজ এ গ্রেড ৪৬ টাকা কেজি, বি গ্রেড ৪৩ টাকা কেজি আর কার্টুনে উন্নত মানের ৯০ টাকা কেজি। এগ্রেড বি গ্রেড বীজ থাকলেও প্রান্তিক চাষীরা এসব অত বোঝে না। এ গ্রেড ৪৬ টাকা কেজি হলে ৫০ কেজির বীজের বস্তার দাম ২৩০০ টাকা। যা বাজারে ২৫০০ / ২৬০০ টাকায় ও বি গ্রেড ৪৩ টাকা কেজি হলে ৫০ কেজির বস্তার দাম ২১৫০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২৩০০/২৪০০/২৫০০ টাকা করে। আর কার্টুন বীজ ৯০ টাকা কেজি হলে ৫০ কেজির দাম ৪৫০০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ /৫২০০/৫৫০০ টাকা করে।
তানোরের ব্র্যাক বীজের ডিলার শাহিন জানান, আমি ২০০ মে:টন বরাদ্দ পেয়েছিলাম,যা শেষ হয়ে গেছে।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আনাচে কানাচে বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের প্রায় দোকানে ব্র্যাক বীজের বস্তা দেখা যায়। যে যে ভাবে পারছেন সিন্ডিকেট করে বিক্রি করছেন। যত দোকানে বীজ বিক্রি হচ্ছে সবই মোহনপুরের ডিলারদের।
ব্র্যাকসহ বিভিন্ন কোম্পানি বীজ বিক্রি ক্ষেত্রে কোন নিয়ম কানুন মানেন না। তাদের নিয়মেই বীজ বিক্রি হয়।
সরকারী ভিত্তি বীজ  এ গ্রেড ৪২ টাকা ৫০ পয়সা বি গ্রেড ৪১ টাকা ৫০ পয়সা বিক্রির মুল্য বেধে দিলেও নানা অজুহাতে বাড়তি দাম। অথচ এজাতীয় ব্র্যাক বীজ ডিলারের ক্রয় মূল্য এ গ্রেড ৪৯টাকা ৪০ পয়সা বি গ্রেড ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রয় মূল্য ৫২ টাকা ও ৫৩ টাকা। প্রত্যায়িত বা মান ঘোষিত এ গ্রেড ৩২ টাকা ৫০ পয়সা বি গ্রেড ৩১টাকা ৫০ পয়সা। 
ডিলাররা ক্রয় করছেন এগ্রেড ২৮ টাকা ৫০ পয়সা বি গ্রেড ২৭ টাকা ৫০ পয়সা হলেও পাইকাড়ি ভাবে
সকল বীজ ৪৩ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। 
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, বীজ নিয়ে এরকম কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কৃষকের সাথে প্রতারনা করলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরো জানান চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৩৫৫০ হেক্টর জমি ও বীজের প্রয়োজন ২০ হাজার ২৫০ মে:টন।


আরও খবর



"সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক"

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম মন্তব্য করেছেন,কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে  ।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



পোরশায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় মনসা(৩৮) নামের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মনসা নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের খোকার ছেলে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের বন্ধুপাড়া মোড় সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছাওড় ইউপির খাতিরপুর গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে ২দিন আগে বেড়াতে এসেছিলেন মনসা। রোববার সন্ধার পর থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ ব্রিজের নিচের পানিতে ভাঁসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। মনসা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



চাচির চল্লিশার আয়োজনকে ঘিরে রাতে সংঘর্ষে নিহত১ আহত অনেকে!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image
জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত চাচির কুলখানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন ও আহত অনেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি ।১৩ মে ২০২৪ইং সোমবার  রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সাত/আট জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নিহত বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানি অন্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজন করে সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন। এতে বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হয়নি। গত শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের জানায় তার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ছয়জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবি করেন নিয়াজি খান। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

আরও খবর



মাগুরার মহম্মদপুর আশ্রয়ন-২ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রকল্প পরিচালক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার মহম্মদপুরে  রবিবার ২৭ এপ্রিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নেন আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। এখানকার বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জানান, ‘এখানে অনেক বদলে যাওয়ার গল্প তৈরী হয়েছে”। 

পরিদর্শণের সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাসুদের কুমার মালো, অফিসার ইনচার্জ বোরহান উল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



তানোরের গরুর গাড়ি মাটির বাড়ি ডাক বিভাগের বিশেষ খামে স্থান পেয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:সিলমোহরটিতে লেখা রয়েছে প্রদর্শনীর নাম, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নাম, জিপিও রাজশাহী ও তারিখ।

প্রদর্শনী দেখতে আসা অনেকে এই বিশেষ খাম দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। গ্রামে যাঁদের শৈশব-কৈশোর কেটেছে, তাঁরা এই খামের গরুর গাড়িটির প্রতি স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ করছেন।

এই ছবির চিত্রকর সুমন্ত কুমার। আজ থেকে ১০ বছর আগে কোনো একদিন তিনি তানোরের এক গ্রামে একটি মাটির বাড়ির পাশে বসেছিলেন তাঁর তুলিতে উঠে আসে গ্রামের গরুর গাড়ি, পেছনের মাটির বাড়ি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। খালি গাড়িটি বাড়ির আঙিনায় রেখে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির কাছে খাবার খুঁটে খাওয়া কয়েকটি মুরগিও বাদ যায়নি। সবই এই বিশেষ খামের মাধ্যমে ধরে রাখা হয়েছে।পরে শিল্পী আর কিছুতেই গ্রামের নামটি মনে করতে পারলেন না। তবে বললেন, তাঁর নানার বাড়ি গ্রামে। গ্রামটি ঘিরে তাঁর শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এ গ্রামের গরুর গাড়ির ছবিটি দিয়ে খামের ডিজাইন করে আসলে তিনি বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি গ্রামীণ জনপদকে ধরে রাখতে চেয়েছেন।

মুঠোফোন আর ইন্টারনেটের যুগে ব্যক্তিগত চিঠি পাঠানো যখন প্রায় থেমেই গেছে, তখন রোববার রাজশাহীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের এই প্রদর্শনীতে ডাকটিকিট বিক্রি আর চিঠি বুঝে নিতে খুবই ব্যস্ততা দেখা গেল ডাকবিভাগের কর্মীদের। বিকেল পাঁচটায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সারা দিনে প্রদর্শনীস্থলের অস্থায়ী ডাক বিভাগ থেকে প্রায় দেড় হাজার খাম বিক্রি হয়েছে।

এই প্রদর্শনীতে সারা দেশের বাছাই করা ২৫ জন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক তাঁদের সংগ্রহ প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি তাঁরা ডাকটিকিট বিক্রিও করছেন। প্রদর্শনীতে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান সময়ের সব ডাকটিকিটই রয়েছে। বিশ্বের নানা দেশের দুষ্প্রাপ্য সব ডাকটিকিটও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে প্রদর্শন করা হচ্ছে অনেক পুরোনো চিঠির খামও। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে এসব দেখছে। প্রিয়জনের কাছে চিঠি লিখছে।ঢাকার উত্তরা থেকে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক কাজী মাহবুবুর রহমান। স্বাধীনতার আগেও বাংলাদেশকে নিয়ে যে আটটি ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল, তার সংগ্রহ রয়েছে মাহবুবুর রহমানের কাছে। ওই ডাকটিকিটগুলো ছাপানো হয়েছিল রুপির হিসাবে। ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি ও ১০ রুপির ডাকটিকিটগুলোর কোনটিতে কোন বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা তিনি বর্ণনা করে জানাচ্ছেন।

ডাকটিকিট নিয়ে বসেছেন সাতক্ষীরার আহসান-আল-আমিন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট বের করে দেখালেন। এটি ২০ পয়সার। ডাকটিকিটের ওপরে উড়ছে ছয়টি পায়রা। ডাক বিভাগের অস্থায়ী পোস্ট অফিসে বর্তমান সময়ে প্রচলিত ডাকটিকিটগুলো প্রদর্শন করছে। সেখানে ডাকটিকিট বিক্রিও করা হচ্ছে।

বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে আজ সবাই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠাচ্ছেন। যাঁরা চিঠি পাঠাচ্ছেন, এ অনুভূতিটা শুধু তাঁরাই বুঝতে পারছেন। আমরা আশা করছি, আজ যাঁরা চিঠি পাঠাচ্ছেন, তাঁদের একটা অভ্যাস তৈরি হবে।’


আরও খবর