Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

তানোরে ব্র্যাক আলুর বীজে প্রতারিত কৃষক

প্রকাশিত:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৫০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার রায়তান বাজে আকচা হিন্দুপুকুর ও মথুরাপুর ফসলি মাঠের পাঁচজন কৃষকের প্রায় সাড়ে ১২বিঘা জমির আলু বীজ অবস্থায় পচে গেছে বলে অভিযোগে উঠেছে। ডিলার নকল বীজ দিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন কৃষকেরা। তবে আসল বীজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ডিলারের।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা বলছেন, তারা তানোর পৌরশহরের জিওল মোড়ের হাবিবের দোকান থেকে ব্র্যাক কোম্পানির এ-গ্রেড জাতের আলুর বীজ কিনেছিলেন। তিনি ব্র্যাক কোম্পানির আলুর বীজের সাবডিলার। মূলত পার্শ্ববতী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল বাজারের মুর্তজা ডিলারের কাছ থেকে এ বীজগুলো সাবডিলার হাবিব কিনেছিলেন। তারা প্রতি বছর ব্র্যাক কোম্পানির আলুর বীজ রোপণ করেন। এবার ওই সাব-ডিলারের দোকানের ব্র্যাকের এ-গ্রেড আলুর বীজ কিনে রোপণ করেছেন। কিন্তু তারা এই আলুর বীজ রোপণ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

রায়তান বাজে আকচা হিন্দুপুকুর ফসলি মাঠের গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আলুর খেত। ওই মাঠের কৃষকদের অনেকেরই আলুর বীজের চারা বড় হয়েছে। এসব খেত কৃষকেরা পরিচর্যা করছেন। ওই মাঠের ৪-৫ জন কৃষকের জমির আলুর বীজের চারা গাছ বড় হচ্ছে না। আবার কিছু চারা উঠলেও মাটির নিচে আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, আমি আলুর বীজ কিনতে জিওল মোড়ের হাবিবের দোকানে বুকিং দিয়েছিলাম। ব্র্যাকের এ-গ্রেড জাতের আলু কিনে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে রোপণ করেছিলাম। রোপণের ১৯দিন অতিবাহিত হলেও তাঁর প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমির আলুর বীজের চারাগাছ ওঠেনি। আবার কিছু চারা উঠলেও সেগুলো আলু মাটির ভেতরে পচে গেছে। আগে কখনও এমন হয়নি। 

কৃষক আলম, আশরাফুল, গোলাম রাব্বানী ও নূর ইসলাম বলেন, আলু রোপণ করেছি, কিন্তু মাটির ভেতরে সব পচে যাচ্ছে। আমরা ধুরইল বাজারের ডিলার মুর্তজার মাধ্যমে সাব-ডিলার হাবিবের দোকান থেকে ৮৫ বস্তা এ-গ্রেড আলু লাগিয়েছিলাম। তাঁরা আরও বলেন, আলুতে একবার সেচ দেওয়ার পর মনে করেছিলাম গাছ উঠবে। কিন্তু জমিতে অনেক আলুর গাছ ওঠেনি। আবার উঠলেও সেসব গাছের আলু পচে গেছে। 

পৌরশহরের জিওল মোড়ের হাবিব বলেন, চলতি মৌসুমে ব্র্যাকের এ-গ্রেড ২৩১ বস্তা ও বি-গ্রেড ৩০০ বস্তা কারেজ আলুর বীজ বিক্রি করেছি। এ- গ্রেডের আলুর বীজ প্রায় ৫৫ কৃষক কিনেছেন। এর মধ্যে ৫ জন কৃষকের অভিযোগ করেছেন, তাদের আলুর বীজ সঠিক ছিল না। কৃষকেরা সঠিকভাবে রোপণ করতে পারেনি। সেইসঙ্গে কয়েকদিন আগে অতিবর্ষণে লাগানো ওই আলু বীজের ক্ষতি হয়েছে। আলু বীজ রোপণের পর চারা গজানোর পরে শুকিয়ে যাওয়ায় দায় আমার নয়। আমি যে বীজ আলুদ পেয়েছি তাই বিক্রি করেছি। তবে মোহনপুর উপজেলার ধুরইল বাজারের ডিলার মুর্তজার বলেন, সমস্যা হয়েছিল, ব্র্যাক থেকে লোক এসে দেখে গেছে ও কৃষকের সাথে কথা বলেছেন। কি কথা হয়েছে তাদেরকি ক্ষতি পূরুন দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমার অজানা।

কৃষকরা জানান, বিগত যে কোন বছরের চেয়ে এবারে বিঘায় খরচ বেড়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে। ক্ষতিপুরুন না পেলে পথে বসতে হবে চাষীদের।  

এ নিয়ে ব্র্যাকের টেরিটরি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকজনের অভিযোগ পেয়ে ওই মাঠে গিয়েছিলাম। এটা কৃষকের ভুল। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করছে না। তারপরেও আমাদের মনিটরিং টিম ওই মাঠে গিয়ে আলুর খেত দেখবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন।বুধবার দুপুর ২ ঘটিকায় ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মঈন উদ্দিন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আমিন অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব রুহুল আমিন, ফুলবাড়ী বঙ্গ মিলার্স কোম্পানী লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাকারিয়া, ফুলবাড়ী কালি রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, কৃষক প্রতিনিধি ও সদস্য উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি ফুলবাড়ীর কৃষক প্রতিনিধি অম্বরীশ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ মোঃ ইমরান। আয়োজনে ছিলেন উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। চলতি বছর সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা, চাল ৪৫ টাকা ও আতপ চাউল ৪৪ টাকা কেজি দরে ক্রয় করবেন। 

কৃষক আলিম উদ্দিন এর ১টন ধান ও চাউল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন শেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত করেন হাফেজ মোঃ রোস্তম। এ সময় ধান ও চাউলের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, অটো মিল মালিকগণ, ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলর সহ হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর  অপসারনের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে, এরপর ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর ব্যবস্হা না নেয়ায় ২৮ এপ্রিল সকাল সারে ১১ টা থেকে বেলা সারে ১২ টা পর্যন্ত ১৪ কাউন্সিল সহ প্রায় ৮ শতাধিক নারী পুরুষদের নিয়ে শহর ব্যাপি বিশাল বিক্ষোভ করার পর স্হানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভার আয়োজন করে। সেখানে মেয়রের সকল  দুর্নীতি কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপসারণ দাবী করেন। 

প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের ওই বিক্ষোভ ও পথসভার আয়োজন করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে মেয়রের অপসারণ দাবীতে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।
পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।প্রতিমাসে যে ৬/৭ টাকা টোল উত্তোলন করা হয়, সে টাকাটাও আত্মসাত করে আসছেন ৩ বছর থেকে মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে স্হানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



যশোরে হিট স্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আহসান হাবিব যশোর আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার  দিকে স্কুলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হারিব সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে যশোরে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে যশোর সদর ও মনিরামপুরে হিট স্ট্রোকে একজন করে মারা যান।

আজ রবিবার যশোরের সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি এবং দুপুর দেঢ় টায় এই তাপমাত্রার পারদ দাঁড়ায় ৪২.৫ ডিগ্রিতে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে তীব্র  গরমে যশোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা ঘুমন্ত দোকানদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় একটি চা দোকান, বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ঘুমন্ত চা দোকানের মালিক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ট্রাকের চালক।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা। দিনে-রাতে সমান তালে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক গুলো। ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সড়কগুলো। প্রায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর পৌণে ৪টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৭৩৪৫) ধাক্কায় উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় নুর ইসলামের চা-দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এসময় ওই ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় ইউপি প্রদত্ত পাশের সফিপুর- পাইকপাড়া সড়কের সড়ক বাতির সৌর শোলার, লাইটসহ কিছু গাছপালা। এরপর ওই ট্রাকটি সরাসরি সজোরে ধাক্কা দেয় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩কেভি ভোল্টেজের লাইনের একটি বৈদ্যুতিক খুটিও।বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতকে জেগে উঠেন ঘুমন্ত চা-দোকানদার নুর ইসলাম। কিন্তু গুরুতর আহত হন ওই ট্রাকের চালক আবুল হোসেন।

ততক্ষণে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে একজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। এলাকাবাসী ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ও মাটি খেকোরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে খবর পেয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক খুটি পরিবর্তন করে। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া দোকানদার নুর ইসলাম জানান, পুরো দোকানের ওপর ট্রাক উঠে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি মারা যেতাম। কিন্তু গাছপালা, দোকান ভেঙ্গে প্রায় ২০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দোকানের পাশের সৌরশক্তি, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এসব বিষয়ে জানতে একাধিক মাটি ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। তবে ওই ট্রাকের মালিক রবিন সরকার জানান, আমি তো ট্রাক চালাই না, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক চালায়। এসব ড্রাম ট্রাক আঞ্চলিক সড়কে চলাচলে নিয়মকানুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশে ড্রাম ট্রাক চলে। তবে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

ফুলবাড়িয়া সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ (এজিএম) হোসেন মোহাম্মদ রায়হান জানান, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ খুটি পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও মেরামত বাবদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে টাকা পরিশোধ না করলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর