Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তানোরে বীজ তলা প্রস্তুত পানির জন্য পড়ে আছে জমি! অস্বস্তীতে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৪৫জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি:রবেন্দ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি ধান উৎপাদনের অন্যতম এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলা। আষাড় মাস পড়লেও বৃষ্টির দেখা নেই, অথচ রোপা আমন রোপনে বীজ তলা প্রস্তুত করে ফেলেছেন কৃষকরা। কিন্তু  বৃষ্টির পানি না হওয়া ও গভীর নলকূপের অপারেটরদের নানান অজুহাতে জমি চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। আষাড় মাস পড়লেও তেমন ভাবে বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্টি নির্ভর রোপা আমন চাষীরা চাতক পাখির মত চেয়ে আছেন আকাশ থেকে কখন নামবে ওঝুরে ভারি বর্ষন। এমনকি বীজ তলার বীজ রোপন উপযোগী হলেও পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কামারগাঁ ইউপি এলাকার কৃষক রউ, আব্দুল জানান, আষাড় মাস মানেই অঝরে বৃষ্টি। আষাড় মানে জমি চাষ রোপনে মহা ব্যাস্ত সময় পার করে কৃষকরা। কিন্ত এবারের চিত্র পুরোটায় বদলে দিয়েছে আবহাওয়া।কামারগাঁ ইউপির কৃষক লুৎফর, বিপুল, মাহবুর, রিগানসহ অনেকে জানান, অন্য এলাকার চেয়ে আমরা আগে ধান রোপন করে থাকি। এজন্য বীজতলাও আগে তৈরি হয়। তবে এবার বৃষ্টির পানি না হওয়ার কারনে জমি চাষ করা যায়নি। এমনকি বীজ তলায়ও পানি নেই, ফেটে গেছে। বৃষ্টি হলে এতদিনে জমি চাষ হয়ে যেত এবং অনেকে রোপন করে ফেলতেন। কারন রোপা আমন উত্তোলনের পর আলু রোপন হয়। আষাঢ় মাসের ১৩ দিনে বৃষ্টির পানি তেমন ভাবে হয়নি। তবে ১৩ আষাড় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝেমাঝে হালকা বৃষ্টি হয়েছে কিছু কিছু এলাকায়। এমন বৃষ্টিতে জমিতে তীল পরিমান পানি জমেনি। বাধ্য হয়ে জমির আইলের কাজ করা হচ্ছে। মুন্ডুমালা পৌর এলাকার কাউন্সিল মোড়ে বেশকিছু শ্রমিকরা আইলের কাজ করছিলেন। সেখানেই ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর বাক্কার তিনি জানান, আমাদের এলাকার জমি গুলো উঁচু। কয়েক ঘন্টা ভারি বর্ষন না হলে জমিতে পানি লাগবে না ও চাষ করা যাবেনা। আষাঢ় মাসের ১৩ দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝেমাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। ১৩ দিন পর মনে হচ্ছে আষাঢ় মাস। কিন্তু ভারি বর্ষন হয়নি। অবশ্য বিকেল তিনটার কিছু সময় বৃষ্টি হয়েছে। এবৃষ্টিই এক বা দু ঘন্টা হলে জমি চাষ করা যাবে। কিন্তু এক বা আধা ঘন্টা বৃষ্টির পর পুনরায় খরতাপ শুরু হচ্ছে, একারনে জমিতে পানি জমছেনা, আবার বীজতলাতেও পানি থাকছেনা।প্রবীন গারস্থ কৃষক, আব্দুর রহিম, মুকবুল, হান্নান, সাইদুর সহ অনেকে জানান, কয়েক উপজেলা জেলার মধ্যে রোপা আমন আবাদ হয় বেশি এউপজেলায় । আর রোপা আমন আবাদে উপজেলার জনসাধারনের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন। বৃষ্টি নেই সেচ পাওয়া যাচ্ছে না, মহা বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অন্য চাষাবাদ না করলেও রোপা আপন সবাই চাষ করে। কারন বৃষ্টি নির্ভর রোপা আমন। সেচের খরচ বাঁচে বিঘায় গভীর নলকূপে ১৫০০ টাকা, আর মটরে বাঁচে ৩০০০-৩৫০০ টাকা। পানি না হওয়ার কারনে জমিতে প্রচুর পরিমানে ঘাস ও ন্যাড়া খাড়া অবস্থায় রয়েছে। আগে যদি বিঘায় চারটি করে চাষ দিয়ে জমি রোপন করা যেত।  কিন্তু এবার ৬-৭ টির বেশি করে চাষ লাগবে।মাসুদ, সারোয়ার, ইকবাল সাহেব জানান, বীজ প্রস্তুত, কিন্তু জমি চাষ করতে পারছিনা। আবার বীজের বয়স বেশি হলে ফলনও কম হবে।পদকপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মাদ বলেন, আষাড় মানেই ঢলমারা বৃষ্টি। খাল বিল পুকুর ও জমিগুলোতে বৃষ্টির পানিতে থইথই করে। কিন্তু জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে আষাড়ের ১৩ দিনে মনে হল এটা আষাড় মাস। এত দিনে জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেত, আষাঢ়ের ২০ দিন পর থেকে শ্রাবন মাসে জমি রোপন করে থাকেন। বিগত দশ বছর ধরে আগাম রোপা আমন চাষ হয়। কারন রোপা আমন রোপনের আগেই আলুর জন্য জমি লীজ নিয়ে নিচ্ছে। একারনে আগাম  রোপন হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন,  বৃষ্টির কারনে জমি চাষ হয়নি। তবে শ্রাবন মাস ধরে রোপন করে থাকেন। কিন্তু আলুর জন্য আগাম রোপন হয়। এবারে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। তবে বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে জানান এই কর্মকর্তা।

আরও খবর

সৈয়দপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলনে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য  বুধবার থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আগামী দুই মাস বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। এর কারণে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে। ফেজটির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য বুধবার খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে। স্থানান্তর কাজ শেষে নতুন ফেজের উৎপাদন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে। ধারণা করছে, নতুন ফেজ থেকে প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে। নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করার জন্য বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন প্রভাব পড়বে না। তাপ বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, খনি কয়লা উত্তোলনের সাথে সমন্বয় রেখে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিটটি চালু রাখা যাবে।


আরও খবর



মাটির ঘরেই রাখা হচ্ছে রাসায়নিক সার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির)  বিসিআইসির সার ডিলার সুমন শীল মাটির ঘরে রাখছেন রাসায়নিক সার বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন মাটির ঘরে সার রাখার কারনে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে বলে মনে করেন কৃষকরা। এতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা গুদাম ঘরে সার মজুতের দাবি তুলেছেন কৃষক রা।জানা গেছে, উপজেলায় সাত ইউপি ও দুই পৌরসভায় ৯ জন বিসিআইসির সার ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে তালন্দ, পাঁচন্দর ইউনিয়ন ও তানোর পৌরসভার তিন ডিলার পৌর এলাকায় ব্যবসা করতেন। পৌর এলাকার মধ্যে তালন্দ বাজারেই দুজন বিসিআইসির ডিলার দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা করত। কিন্তু গত আলু মৌসুমে সার নিয়ে মহা সিন্ডিকেট শুরু হয়। এক পৌরসভায় তিনজন ডিলার ব্যবসা করার কারনে সার পেতেও ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় কৃষকদের। ওই বছরে কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদেন সাইফুল্লাহ আহম্মেদ। তিনি এসেই যে এলাকার ডিলার তাদেরকে সেই ইউনিয়নে ব্যবসা করার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক তালন্দ বাজার থেকে সুমনশীল কে তালন্দ ইউপির নারায়নপুর ও গোল্লাপাড়া বাজারে ব্যবসা করতেন ডিলার প্রনব সাহা। তিনি মুলত পাঁচন্দর ইউপির বিসিআইসির সার ডিলার। তাকেও পাঁচন্দর ইউপিতে ব্যবসা করার কঠোর নির্দেশ দেন। অবশ্য প্রনব সাহা আগে থেকেই পাঁচন্দর ইউপিতে ভবন ও পাকা গুদাম ঘর নির্মান করেছিলেন। কিন্তু সুমন শীল কোন গুদাম ঘর করেননি। সে তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামের বালাইনাশক ব্যবসায়ী এনামুলের বাড়িতে সার রেখে বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু মাটির ঘরে সার রাখলে কার্যকারিতা থাকেনা। এজন্য সুমনশীলকে ছয় মাসের মধ্যে পাকা গুদাম ঘর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বছর পার হলেও এনামুলের মাটির ঘরেই রাখছেন সার।

কৃষকরা জানান,  সুমনশীল গত এক বছর ধরে তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর এনামুলের দোকানে সারের ব্যবসা করে আসছেন। সে এনামুলের মাটির ঘরে ও মোড় আরেক ঘরে সার রাখেন। কিন্তু নিয়োমিত দোকানে পাওয়া যায় না। সে দীর্ঘ সময় তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারে ব্যবসা করত।যার কারনে বরাদ্দের সারগুলো তালন্দ বাজারের খুচরা সার ব্যবসায়ীদের কে গোপনে দিয়ে থাকেন। নারায়নপুর গ্রামের বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, সুমনশীলের নামে ডিলার থাকলেও পরিচালনা করেন রতন। কোনদিন সুমনশীলকে দেখা যায় না। যাবতীয় সবকিছু করেন রতন। সার এনে এনামুলের বাড়িতে রাখা হয়। সেখান থেকে এনামুল রাজত্ব করছেন। এনামুলের কথামত সার বিক্রি করেন রতন।সুনমশীল বলেন, মাটির ঘরে সার রাখা হয়না।

এদিকে পৌরসভার বিসিআইসির সার ডিলার আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী বাবু।  তাকে পৌর এলাকার মাঝখানে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু তিনি সেটা না করে পৌরসভার শেষ প্রান্ত তালন্দ বাজারে ব্যবসা করে আসছেন। অথচ কৃষি অফিস থেকে বাবুকে বারবার মাঝখানে আসার কথা বলা হলেও ক্ষমতার দাপটে তিনি তালন্দ বাজারে করছেন ব্যবসা।

সুত্রে জানা যায়, সার নীতিমালা অনুযায়ী পৌরসভায় ও এক ইউনিয়নে একজন করে বিসিআইসির ডিলার থাকবে। একজন ডিলারের অধীনে নয় ওয়ার্ডে নয় জন সাব ডিলার থাকবে। যাতে করে কোন সিন্ডিকেট না হয়। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী সার বিতরণ করা হয়না বলে অহরহ অভিযোগ রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, সুমনশীলকে ছয় মাসের মধ্যে পাকা গুদাম ঘর নির্মান করতে বলা হয়েছিল, এবং মোহাম্মাদ আলী বাবুকে পৌর এলাকার মাঝখানে পয়েন্ট করতে বলা হয়েছে।  দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কার্যকর না করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরও খবর



কৃষি মার্কেটের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে লাগা আগুন । আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে তারা আগুন লাগার খবর পান। তাৎক্ষণিক তাদের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে যোগ দেয় আরও দুটি ইউনিট। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। সর্বশেষ ১৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সব মিলে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে অনেক দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। মার্কেটের এক পাশের জুয়েলারি ও পোশাকের দোকান এবং অপরপাশে সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে জুতার দোকান। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

অন্যদিকে আগুন লাগার পর থেকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের পানির স্বল্পতা ছিল। যে কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের প্রান্তিক কিশোরী বালিকা ও যুব নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারের উন্নয়ন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এক অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ফ্যামিনিস্ট ইন একশন কর্মসূচীর আওতায় এই কর্মশালা ও অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজ আল-আসাদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সমাজসেবা উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাশেদুজ্জামান, বাগেরহাট সদর,, অধিদপ্তর, অক্সফ্যাম প্রতিনিধি শাহজাদী বেগম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, ষাট গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, বিঞ্চুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমডি মাসুদ রানা, ওয়াদা এর চেয়ারম্যান এন্ড সিইও নিলুফা আক্তার ইতি সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

আয়োজকরা জানান,প্রান্তিক কিশোরী বালিকা ও যুব নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারের উন্নয়ন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য জ্ঞান দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়ন যেমন ঋতুকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, আধুনিক গর্ভনিরোধ, জরুরী গর্ভনিরোধ, যৌন ও স্ত্রীরোগ, গর্ভকালীন যত্ন ও ক্ষতিকারক অনুশীলন প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে তিনটি ইউনয়নে কাজ করা হবে।


আরও খবর



চাঁদপুরে মিলল গোপালগঞ্জের নারীর মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে একটি বাগান থেকে শিলা খানম (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।শিলা খানম গোপালগঞ্জ জেলা সদরের করপাড়া সরদার বাড়ীর মো. মুনছার খানের মেয়ে।

মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মৈশাদী গ্রাম আদুর খাঁর বাড়ীর বাগানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে প্রথমে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এসে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন।

চেয়ারম্যান আরো জানান, এখন পর্যন্ত ওই নারীর কোন আত্মীয় স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমাদের এলাকায় তার কোন আত্মীয় স্বজন আছে কিনা তাও জানিন।  পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা এবং বাকী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর