Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

তানোরে বীজ তলা প্রস্তুত পানির জন্য পড়ে আছে জমি! অস্বস্তীতে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫১৫জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি:রবেন্দ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি ধান উৎপাদনের অন্যতম এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলা। আষাড় মাস পড়লেও বৃষ্টির দেখা নেই, অথচ রোপা আমন রোপনে বীজ তলা প্রস্তুত করে ফেলেছেন কৃষকরা। কিন্তু  বৃষ্টির পানি না হওয়া ও গভীর নলকূপের অপারেটরদের নানান অজুহাতে জমি চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা। আষাড় মাস পড়লেও তেমন ভাবে বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্টি নির্ভর রোপা আমন চাষীরা চাতক পাখির মত চেয়ে আছেন আকাশ থেকে কখন নামবে ওঝুরে ভারি বর্ষন। এমনকি বীজ তলার বীজ রোপন উপযোগী হলেও পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কামারগাঁ ইউপি এলাকার কৃষক রউ, আব্দুল জানান, আষাড় মাস মানেই অঝরে বৃষ্টি। আষাড় মানে জমি চাষ রোপনে মহা ব্যাস্ত সময় পার করে কৃষকরা। কিন্ত এবারের চিত্র পুরোটায় বদলে দিয়েছে আবহাওয়া।কামারগাঁ ইউপির কৃষক লুৎফর, বিপুল, মাহবুর, রিগানসহ অনেকে জানান, অন্য এলাকার চেয়ে আমরা আগে ধান রোপন করে থাকি। এজন্য বীজতলাও আগে তৈরি হয়। তবে এবার বৃষ্টির পানি না হওয়ার কারনে জমি চাষ করা যায়নি। এমনকি বীজ তলায়ও পানি নেই, ফেটে গেছে। বৃষ্টি হলে এতদিনে জমি চাষ হয়ে যেত এবং অনেকে রোপন করে ফেলতেন। কারন রোপা আমন উত্তোলনের পর আলু রোপন হয়। আষাঢ় মাসের ১৩ দিনে বৃষ্টির পানি তেমন ভাবে হয়নি। তবে ১৩ আষাড় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝেমাঝে হালকা বৃষ্টি হয়েছে কিছু কিছু এলাকায়। এমন বৃষ্টিতে জমিতে তীল পরিমান পানি জমেনি। বাধ্য হয়ে জমির আইলের কাজ করা হচ্ছে। মুন্ডুমালা পৌর এলাকার কাউন্সিল মোড়ে বেশকিছু শ্রমিকরা আইলের কাজ করছিলেন। সেখানেই ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর বাক্কার তিনি জানান, আমাদের এলাকার জমি গুলো উঁচু। কয়েক ঘন্টা ভারি বর্ষন না হলে জমিতে পানি লাগবে না ও চাষ করা যাবেনা। আষাঢ় মাসের ১৩ দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝেমাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। ১৩ দিন পর মনে হচ্ছে আষাঢ় মাস। কিন্তু ভারি বর্ষন হয়নি। অবশ্য বিকেল তিনটার কিছু সময় বৃষ্টি হয়েছে। এবৃষ্টিই এক বা দু ঘন্টা হলে জমি চাষ করা যাবে। কিন্তু এক বা আধা ঘন্টা বৃষ্টির পর পুনরায় খরতাপ শুরু হচ্ছে, একারনে জমিতে পানি জমছেনা, আবার বীজতলাতেও পানি থাকছেনা।প্রবীন গারস্থ কৃষক, আব্দুর রহিম, মুকবুল, হান্নান, সাইদুর সহ অনেকে জানান, কয়েক উপজেলা জেলার মধ্যে রোপা আমন আবাদ হয় বেশি এউপজেলায় । আর রোপা আমন আবাদে উপজেলার জনসাধারনের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন। বৃষ্টি নেই সেচ পাওয়া যাচ্ছে না, মহা বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অন্য চাষাবাদ না করলেও রোপা আপন সবাই চাষ করে। কারন বৃষ্টি নির্ভর রোপা আমন। সেচের খরচ বাঁচে বিঘায় গভীর নলকূপে ১৫০০ টাকা, আর মটরে বাঁচে ৩০০০-৩৫০০ টাকা। পানি না হওয়ার কারনে জমিতে প্রচুর পরিমানে ঘাস ও ন্যাড়া খাড়া অবস্থায় রয়েছে। আগে যদি বিঘায় চারটি করে চাষ দিয়ে জমি রোপন করা যেত।  কিন্তু এবার ৬-৭ টির বেশি করে চাষ লাগবে।মাসুদ, সারোয়ার, ইকবাল সাহেব জানান, বীজ প্রস্তুত, কিন্তু জমি চাষ করতে পারছিনা। আবার বীজের বয়স বেশি হলে ফলনও কম হবে।পদকপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মাদ বলেন, আষাড় মানেই ঢলমারা বৃষ্টি। খাল বিল পুকুর ও জমিগুলোতে বৃষ্টির পানিতে থইথই করে। কিন্তু জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে আষাড়ের ১৩ দিনে মনে হল এটা আষাড় মাস। এত দিনে জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেত, আষাঢ়ের ২০ দিন পর থেকে শ্রাবন মাসে জমি রোপন করে থাকেন। বিগত দশ বছর ধরে আগাম রোপা আমন চাষ হয়। কারন রোপা আমন রোপনের আগেই আলুর জন্য জমি লীজ নিয়ে নিচ্ছে। একারনে আগাম  রোপন হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন,  বৃষ্টির কারনে জমি চাষ হয়নি। তবে শ্রাবন মাস ধরে রোপন করে থাকেন। কিন্তু আলুর জন্য আগাম রোপন হয়। এবারে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। তবে বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে জানান এই কর্মকর্তা।

আরও খবর



মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৩৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে আসা তিনজন প্রতিভাবান শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫জন প্রধান শিক্ষকগন।

বৃহস্পতিবার (২মে) বিকেলে সদর ক্লাস্টারে এ বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা, মো. জহিরুল ইসলাম, মোঃ রমজান আলী, মো. আসলাম উদ্দিন সহ সদর ক্লাস্টারের ১৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন।

এই গুণী ৩জন শিক্ষককের মধ্যে নাসরিন বেগমকে জাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উপজেলার দামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মৌসুমিকে ব্রাহ্মনবাড়ী থেকে হাসনই এবং আঃ জব্বার রাজুকে মলকা থেকে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। 

এ বরণ অনুষ্ঠানে আরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগনও উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানকে আরও প্রানবন্ত করে তোলেন।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দেশে ৫২ বছরের ইতিহাসে যশোরে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে ৫২ বছরের ইতিহাসে যশোরে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এবার। এর আগে রাজশাহীতে ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

আবহাওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

যশোর অধিদপ্তর জানায়, যশোরে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ৪৩.০২, ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে ৪২.০৪, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ৪২.০৮ ও ৩০ এপ্রিল ৪৩.০৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড।

রাজশাহীতে ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এটি ৫২  বছরের ইতিহাসে সবোর্চ্চ। এবার যশোরে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ১৯৭২ সালের পর এটিই সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২  দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রসঙ্গত,  দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তারপর আজকের ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে চাপে আছে সরকার,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন? আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচনে- তিন পদে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আমল,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারই প্রথম শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এরমধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলাও রয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে  মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪ - ২৬ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ - ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে ও ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।

রবিবার ( ২১ এপ্রিল ) এ উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নিজ নিজ মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সইদুল হক, আ' লীগ যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব, আ' লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য , আব্দুল কাদের।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা,  উপজেলা আ'লীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, আওয়ামী যুবলীগ সম্পাদক, রমজান আলী, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক, হযরত আলী, কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, ও সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় 
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, শেফালী বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাহফুজা বেগম পুতুল,  আ'লীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন ও শারমিন আক্তার। 

উল্লেখ এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ শ ৯১ জন। ৬৬টি কেন্দ্রে আগামি ২১ মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর