Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৬৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণে ধান গাছের পাতা হলুদ রং হয়ে পড়েছে। শুধু হলুদ কালার না যেখানে এই পোকার আক্রমণ সেখানকার ধান গাছ নেই বললেই চলে। এরোগ থেকে ধান গাছের পাতা কে রক্ষা করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারেন নি কৃষক রা। যে জমিতে এর আক্রমণ সেই জমিতে অর্ধেক ফলনও হবে না। অপর দিকে রোগ দূর করতে কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ পায়নি কৃষকরা। একারনে রোগ দূর হয়নি, আস্তে আস্তে পুরো জমির ধান পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষি অফিসের উদাসীনতার কারনে রোগ দূর করতে পারেন নি কৃষক রা।পৌর এলাকার সিন্দুকাই গ্রামের কৃষক তাইনুস বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে  রোপা আমন লাগিয়েছি। প্রায় জমিতে এরোগের প্রভাব পড়লেও তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে এরোগ প্রচুর আকার ধারণ করেছে। পচন ও কারেন্ট পোকার বিষ দিয়েও দূর হয়নি। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের লোকজনের কোন দেখাও পাওয়া যায়নি। একারনে রোগও দূর হয়নি এবং একবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রকার ভেদে ১২/১৪ হাজার টাকা।পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন প্রায় উঁচু  জমিতে এরোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে।  আমার  ১০ কাঠা জমিতে এরোগ হয়েছে, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কারেন্ট পোকা কিংবা পচন রোগের কারনে ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে পড়েছে। শুধু আমার না বড় ভাই   মোস্তফার দেড় বিঘা জমিতে এরোগ , তসলিমের একবিঘা , কাবিলের ১৫ কাঠা, জমিতে। এধরণের রোগ আগে কখনো দেখা যায়নি একারনে কারেন্ট পোকা ও পচনের বিষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগ দূর হওয়ার বিপরীতে দিনের দিন ধান গাছের পাতা পুড়ে যাচ্ছিল। এখন বসে গেছে, ফলন হবেনা। 

পাঁচন্দর ইউপির প্রানপুর পাঠাকাটা গ্রামের কৃষক  কামরুল বলেন প্রথম দিকে অল্প পরিমানে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারন করে। আমি ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছে, এর মধ্যে  ১ বিঘা জমির ধানে এরোগ। তিনি আরো বলেন জাহাঙ্গীরের ২ বিঘা,এরবান  ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছে তার মধ্যে দেড় বিঘায় এরোগ, রফিকের, ১৪ বিঘার মধ্যে একবিঘায়, আইনুল মাস্টারের ৭ বিঘের মধ্যে দেড় বিঘায় রোগের আক্রমণ। রোগটি এবার প্রথম বলে মনে করছেন কৃষকরা। এজন্য তারা বুঝতেই পারেন নি কিভাবে রোগ দূর করতে হবে। অনেকে বালাইনাশক দোকানীর পরামর্শে বিষ দিয়েছেন, কিন্ত কোন ফল পায়নি। এসব জমিতে খড় ছাড়া ধান পাওয়া যাবে না। সব লোকসান। মাথা কপালে চরম ভাজ রোগ দূর করতে না পেরে। আর ঠান্ডা রুমে কর্তারা।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর থেকে মুন্ডুমালা পর্যন্ত জমি গুলোতে এরোগের প্রভাব প্রচুর পরিমানে। জমির মাঝে মাঝে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারণ করে বসে গেছে। আবার অনেক জমিতে চার সাইড হলুদ লালচে হয়ে আছে। যেখানে রোগের আক্রমণ হয়েছে, সেখানে ধানের শীষ গজাবে না। কারন ধীরে ধীরে বসে গেছে, দূর করার কোন উপায় নেই। যার কারনে হতাশ হয়ে কৃষক রা রোগ দূর করতে না পেরে ফলনের আসা ছেড়ে দিয়েছেন।লতিফ নামের এক কৃষক বলেন, প্রচন্ড খরার কারনে এরোগের আবির্ভাব। আমরা কোন সময় মাঠে কৃষি অফিসের লোকজন কে দেখিনি। আমরা পা ফাটা লুঙ্গি পরা কৃষক। সারা দিন মাঠে কাজ করি। কৃষি দপ্তরের কিভাবে যাব, তাদেরকে তো  মাঠে যাওয়ার কারনে সরকার চাকুরী দিয়েছেন । কিন্তু তারাতো মাঠেই আসে না।

কৃষকরা আরো বলেন, এবার রোপা আমন রোপনের সময় ও তার পর থেকে প্রচুর খরতাপের মধ্যে পড়ে রোপা আমনের জমি। সেচ পানি নিয়ে ধান গাছ কোন রকম বাছিয়ে রাখা হয়েছিল। খরার কারনে প্রচুর পরিমানে আগাছার জন্ম।  এক বিঘা জমিতে আগাছা দূর করতে নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকাও লেগেছে। রোপা আমন চাষাবাদ হয় রহমতের বৃষ্টির পানিতে। একারনে অন্য আবাদের চেয়ে খরচও কম হয়। কিন্তু এবারের চিত্র পুরোটাই উল্টো ছিল। রোপন করতে হয়েছে সেচের পানি দিয়ে এবং রোপণের পর কয়েকবার করে বিভিন্ন ভাবে সেচ দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও কীটনাশক ও সারের বাড়তি দাম। সব মিলে অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন খরচ গুনতে হয়েছে। কিন্তু সাতরা পোকার আক্রমণের কারনে ফলনের চরম বিপর্যয় ঘটবে। ধান গাছের বয়স আড়াই থেকে তিন মাস। এখন পর্যন্ত বিঘায় খরচ ১৪/১৬ হাজার টাকা হয়েছে ।
আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রচন্ড খরতাপের কারনে এরোগের সৃষ্টি। এটা সাতরা পোকার আক্রমণের কারনে পাতা হলুদ হয়ে বসে গেছে। জমির যেখানে এরোগের আক্রমণ হয়েছে সেখানে ফলন হবে না। বিশেষ করে উঁচু জমিতে এরোগের আক্রমণ ব্যাপক আকার ধারন করেছে। এরোগের আক্রমণ দেখার সাথে সাথে সেখান কার ধান গাছ তুলে ফেলে নতুন ধানগাছ রোপন করতে হত। তাহলে ফলন পেত। কিন্তু এখন আর উপায় নেই।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, জিংক বা ক্রৃমির জন্য এধরণের রোগ হতে পারে। তবে জমিতে না গিয়ে বলা যাবে না। তাহলে কি এরোগ সম্পর্কে অবহিত না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অজানা না কিছু কিছু  জায়গায় গিয়েছি বলে দায় সারেন এই কর্মকর্তা।  তিনি প্রতিদিন শহর থেকে অফিস করেন। অথচ প্রতিটি সময় কৃষকের পাশে থাকার জন্য সরকার থেকে গাড়ি দেয়া হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ কর্মী থাকলেও কৃষকের জমিতে দেখা মিলেনা বলেও কৃষক দের অহরহ অভিযোগ। এবারে উপজেলায় ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।

আরও খবর



খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জদের নিয়ে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের কীট প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২২ এপ্রিল)  জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কীট প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।কীট প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) ফোর্সদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে পুলিশ লাইন্সের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাসহ তাদের নিকট হতে সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে সকলের ব্যক্তিগত মতামত সমূহ শুনেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল অফিসার ও ফোর্সকে পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব এবং আইন ও বিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলার অভ্যন্তরীণ আভিযানিক ও দাপ্তরিক  বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ০৫ জন পুলিশ অফিসারকে সার্বিক মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে অত্র মাসের কল্যাণ সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এর মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়।

পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন-শ্রেষ্ঠ সার্কেল- মাটিরাঙ্গা সার্কেল,সহকারী পুলিশ সুপার  আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, , শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ –মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) – মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শরীফ, শ্রেষ্ঠ এসআই –মাটিরাঙ্গা থানার এস আই মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, শ্রেষ্ঠ এএসআই -মাটিরাঙ্গা থানার এএসআই শাহ নেওয়াজ (পিপিএম),।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) অপরাধ সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালান এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ী ইনচার্জদের  নির্দেশ প্রধান করেন।

আরও খবর



ফুলবাড়ীর পল্লীতে কৃষকের ৮শতক জমির ধান প্রতিপক্ষরা কেটে নেওয়া হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির চক্কবির গ্রামে কৃষক সৈয়দ রবিউল ইসলাম এর লাগানো ধান প্রতিপক্ষ সৈয়দ তরিকুল ইসলাম জমির মালিক দাবী করে কেটে নেওয়া হুমকি দেন। 

ফুলবাড়ী উপজেলা শিবনগর ইউপির চক্কবির গ্রামে মৃত সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর পুত্র সৈয়দ রবিউল ইসলাম এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, চক্কবির মৌজার ২৫৩খতিয়ানে, খারিজ ২২৪, ১৬ শতক এর মধ্যে ৮ শতক জমি ওয়ারিশ সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। চলতি বছর দিনমজুর কৃষক সৈয়দ রবিউল ইসলাম ঐ জমিতে ইরি বোর ধান চাষ করেন। তিনি উক্ত জমি মৌখিক বন্টন ও খারিজ সূত্রে জমির মালিক। অপর দিকে একই গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলাম এর পূত্র সৈয়দ তরিকুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম ঐ ৮ শতক জমি নিজেদের দাবী করে তার লাগানো ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। উল্লেখ্য যে, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম ৭৫৫ দাগে ১০ শতক, ৭২৪ দাগে ২৫ শতক, ৬৩৮ দাগে ৩০ শতক ২৫১ দাগে ১৫ শতক জমি ইতি পূর্বে বিক্রি করে দেন। এখন তারা সৈয়দ রবিউল ইসলাম এর এই জমিটুকু দখল করার জন্য এবং জমিতে লাগানো ধান কেটে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। 

এ বিষয়ে সৈয়দ রবিউল ইসলাম জানান, উক্ত জমি ওয়ারিশ সূত্রে আমি মালিক। সেই জমিতে আমি এবার ইরি বোর ধান চাষ করি। এখন প্রতিপক্ষরা আমার লাগানো ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।



আরও খবর



ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন।বুধবার দুপুর ২ ঘটিকায় ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মঈন উদ্দিন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আমিন অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব রুহুল আমিন, ফুলবাড়ী বঙ্গ মিলার্স কোম্পানী লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাকারিয়া, ফুলবাড়ী কালি রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, কৃষক প্রতিনিধি ও সদস্য উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি ফুলবাড়ীর কৃষক প্রতিনিধি অম্বরীশ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ মোঃ ইমরান। আয়োজনে ছিলেন উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। চলতি বছর সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা, চাল ৪৫ টাকা ও আতপ চাউল ৪৪ টাকা কেজি দরে ক্রয় করবেন। 

কৃষক আলিম উদ্দিন এর ১টন ধান ও চাউল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন শেষে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত করেন হাফেজ মোঃ রোস্তম। এ সময় ধান ও চাউলের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, অটো মিল মালিকগণ, ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নবীনগর শিবপুরে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২০৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের যুব সমাজ কর্তৃক  আয়োজিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নড়াইলের লাঠিয়াল দলের এই লাঠি খেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও আকর্ষণীয় বাশঁ নৃত্য দেখতে  উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় । 

গেল বুধবার  বিকালে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের উপস্থিথিতে মনোমুগ্ধকর, মনোরম পরিবেশে, পুতুল নাচ প্রদর্শনী ও  লাঠি খেলাটি দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ ।  ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টাআঘাত মোকাবেলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রচণ্ড রৌদ্রতাপের মধ্যেও লাঠি খেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

লাঠিয়ালদের শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, এই লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ছিল ।

শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ  মুসা মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যশামীম আহমেদ দুদু ও শহীদুল্লাহ বাপ্পির যৌথ সঞ্চালনায় , উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী লিটন মেম্বার। 

অনুষ্ঠিত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রধান অতিথি  বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফারুক আহমেদ ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস , ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু , ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ  মাহাবুব আলম, প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কুয়েত প্রবাসী মোঃ রতন মিয়া সহ - অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ । 

পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন দুবাই প্রবাসী সমাজ সেবক সজরুল ইসলাম  সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নূরনগর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মোবাইলের অডিওকে উন্নত করতে ইনফিনিক্স ও জেবিএল-এর পার্টনারশিপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:বিশ্বখ্যাত অডিও ব্র্যান্ড জেবিএল-এর সঙ্গে আবারও একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। পার্টনারশিপটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ফলে, সাউন্ড বাই জেবিএল-এর মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহকরা।

এই পার্টনারশিপের পর আরও উন্নত মানের সাউন্ডের জন্য স্পিকার ও হেডফোন আউটপুটকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজে এই পার্টনারশিপ তুমুল সাফল্য পেয়েছিল। তার পথ ধরেই, নতুন এই পার্টনারশিপ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। 

জেবিএল-এর অ্যাকুস্টিক ডিজাইন, উন্নত অডিও প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং আধুনিক ড্রাইভার প্রযুক্তি সেরা মানের হার্ডওয়্যার নিশ্চিত করে। এতে ইনফিনিক্স ডিভাইসে পাওয়া যাবে নির্ভরযোগ্য সাউন্ড সিস্টেম।

এই পার্টনারশিপের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- নোট ৪০ সিরিজের ফোনে ডুয়েল জেবিএল স্পিকারের অন্তর্ভুক্তি। চমৎকার, থ্রিডি সাউন্ডের অভিজ্ঞতা দিতে এই ডুয়েল স্পিকার ডিজাইন করা হয়েছে। এতে আরও আছে ডিপ বেইজ ইফেক্টসহ ৫৮% উন্নত বেইজ পারফরম্যান্স।

নোট ৪০ সিরিজের ফাইভ-ম্যাগনেট সাউন্ড ইউনিট নির্ভরযোগ্য সাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি মিউজিক, ভিডিও ও গেমিংয়ে গ্রাহকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

তাছাড়া, ইনফিনিক্সের নিজের তৈরি এআই অ্যালগরিদমযুক্ত ডাবল মাইক্রোফোন সিস্টেম কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও পরিষ্কার ভয়েস ক্যাপচার নিশ্চিত করে। ফিচারটি গেমারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকলেও গেমিংয়ের সময় তারা টিমের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন নির্বিঘ্নে।

গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন দুটি।

নোট ৪০ প্রো ফোনের ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির মূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর