Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে ১০ বছরে ৬ হাজার বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর!

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২০৪জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে বিগত ১০ বছরে কমেছে ৬ হাজার বিঘা কৃষি জমি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এতথ্য মানতে নারাজ উপজেলার কৃষিবিদ রা। ৬ হাজার বিঘা না তার কয়েকগুন বেশি কৃষি জমিতে পুকুর ও হিমাগার নির্মান হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ফসলী জমিতে কোন কিছুই করা যাবে না। সারা বিশ্বে চলছে মন্দা, খাদ্য ঘাটতি, এমন নির্দেশনার পরও স্থানীয় প্রশাসানের উদাসিনতায় কমতেই আছে কৃষি জমি। বিশেষ করে কামারগাঁ ইউপির হাতিনান্দা মাঠে তিন ফসলী জমিতে হিমাগার তৈরির জন্য সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রায় ১২-১৪ বিঘা জমিতে হবে হিমাগার। এর আগে তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার দেবিপুর মোড়ের পশ্চিমে ও আড়াদিঘি মোড়ের পূর্বে চার ফসলী জমিতে রহমান গ্রুপের দুটি, ও কাশিম বাজার এবং কালিগঞ্জ এলাকায় আমান গ্রুপ, তামান্না গ্রুপ মদিনা নামের একটি করে তিনটি হিমাগার তৈরি করা হয়েছে। এদিকে রহমান ২ হিমাগার ও রাস্তার দক্ষিনে আমান গ্রুপের আমান হিমাগার নির্মানের জায়গা নির্ধারন করা হলেও মামলার কারনে বিগত কয়েক বছর ধরে পতিত অবস্থায় আছে প্রায় ১৫ বিঘা মত চার ফসলী জমি। অবাক করার বিষয় জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে হিমাগার নির্মান হলেও কৃষি জমির খাজনা নিতে হচ্ছে ভূমি দপ্তরকে। পুকুর খনন হয়েছে, মাছ চাষ হচ্ছে, কিন্তু কৃষি জমির খাজনা নিতে হচ্ছে। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত। 

ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় বিগত ১০-১৫ বছরে নিম্মে হলেও ৮০০ থেকে ১ হাজার  হেক্টর কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু জমির শ্রেণী পরিবর্তন না হওয়ার কারনে কৃষি জমির খাজনা নিতে হচ্ছে। কৃষি জমি এক শতকে মাত্র ২ টাকা খাজনা । আর পুকুরে এক শতকে ৬০ টাকা খাজনা। যদি ৮০০ হেক্টর জমিতে পুকুর হয় তাহলে ৬ হাজার বিঘা জমিতে হয়েছে, শতকে ৫৮ টাকা করে কম আদায় হয় খাজনা। সেই হিসেবে বছরে ৩৩ শতক পুকুরে খাজনা আসে ১৯৮০ টাকা,আর কৃষি জমিতে বছরে ৩৩ শতকে মাত্র ৬৬ টাকা খাজনা আদায় হয়। ৩৩ শতকে সরকারের গচ্ছা ১৯১৪ টাকা।  ৬০০০ বিঘা কৃষি জমি শতক হিসেবে আসে ১৯ লাখ ৮০ হাজার শতক, বছরে খাজনা আসে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কৃষি জমি হিসেবে  ১৯ লাখ ৮০ হাজার শতকে ৩৯ লাখ  ৬০ হাজার টাকা খাজনা আসে। সরকারের গচ্ছা যাচ্ছে ৮০ লাখ টাকা। যাকে বলে শুভংকরের ফাকি।

জানা গেছে, উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ বিল, জুড়ানপুর মাঠ, ব্রীজ ঘাটের দুপার, রাতৈলসহ প্রায় পুরো এলাকায় কৃষি জমিতে হয়েছে পুকুর। প্রথম অবস্থায় জমি লীজ দিলেও বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা জমি লীজ দিচ্ছে না। কিন্তু যে মাঠে পুকুর হয়েছে তার আশপাশের জমিতে জলাবদ্ধতার কারনে পরবর্তীতে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ইউপির কৃষকরা জানান, এত পরিমান কৃষি জমিতে পুকুর হয়েছে কল্পনাতীত।  কৃষি শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে জেলা শহরে অন্য কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করছে।এছাড়াও কামারগাঁ ইউপির লবাতলা ব্রীজের দুপারে প্রায় ১০০-১৫০ বিঘা জমিতে পুকুর হয়েছে। উপজেলার আনাচে কানাচেও অনেক কৃষি জমিতে পুকুর হয়েছে। কৃষকরা জানান, কৃষি জমিতে একবার পুকুর খনন হলে ধীরেধীরে পুরো মাঠ পুকুর হয়ে যায়। যার জলন্ত প্রমান চান্দুড়িয়া ইউপি এলাকা। 

সুত্র মতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারি কৃষি জমিতে পুকুর তো দুরে থাক কোন শিল্প কলকার খানা করা যাবে না। কারন বিশ্বে চলছে খাদ্য ঘাটতি। এজন্য এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের উদাসিনতায় হতেই আছে পুকুর। যেহেতু জমির শ্রেণী পরিবর্তন হবে না, এজন্য স্থানীয় ভাবে মেনেজ করেই হচ্ছে পুকুর বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।
তানোর সদর ভূমি অফিসের তহসিল দার লুৎফর রহমান জানান, জমির শ্রেণী পরিবর্তন না হলে কিছুই করনীয় নাই। কৃষি জমিতে পুকুর হলেও শ্রেণী পরিবর্তন না হওয়ায় ২ টাকা শতক হিসেবে খাজনা নিতে হয়। এক শতকে ৫৮ টাকা গচ্ছা। তবে কর্তৃপক্ষ কে এসব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে, নতুন ভাবে রেকর্ড না হওয়া পর্যন্ত এনিয়মেই খাজনা আদায় হবে বলে মনে হচ্ছে।
মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের তহসিলদার রবিউলও একই কথা জানিয়ে  বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা হয়েছে, আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বিয়ের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদের ছুটিতে সৈয়দপুরে বিয়ের ধুম পড়েছে।এই ঈদে আত্মীয়স্বজনকে কাছে পাওয়ার সুযোগে দেড় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।শহরের কমিউনিটি সেন্টার ও সংশ্লিষ্টজন বলছেন, রমজান মাসে মুসলিম পরিবারে বিয়ের বিধান নেই। কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবছরে এই ঈদে আত্মীয়স্বজন ও চাকরিজীবীরা এলাকায় অবস্থান করায় অনেকে বিয়ের জন্য এ সময়টিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান তারা। 

ঈদের ছুটিতে বিয়ের একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় বেশি ঝামেলায় পড়েছেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা। সৈয়দপুর শহরের পুরোনো মুন্সিপাড়ার ফকিরা ডেকোরেটরের মালিক সনু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এক দিনে তিন-চারটির বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়।  কিন্তু ঈদের পরদিন শুক্র, শনিবার ও রবিবার ১০টি বিয়ের আসর ও প্যান্ডেল সাজানোর অর্ডার পেয়েছি।

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট গ্রামের শাহাজাদা হোসেন বলেন, ‘মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিন দিন ঘুরেও ডেকোরেটর সামগ্রী ভাড়া পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় নিজেই কম দামে কাপড় কিনেছি। পরে সেটা দিয়ে কোনো রকমে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেছি।’শহরের ইসলামবাগ এলাকার মাইক্রো বাসচালক কবির হোসেন বলেন, ‘আগামী বুধবার পর্যন্ত বিয়ের ভাড়া রিজার্ভ করা রয়েছে। যার বেশির ভাগ শহরের মধ্যে। একই দিনে তিন-চারটি বিয়ের আগাম ভাড়াও নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শহরের ভাড়ার পাশাপাশি দিনাজপুর, রংপুরের ভাড়া রয়েছে। তবে ঈদের এ সময়ে বিনোদন কেন্দ্রের ভাড়ার চাহিদার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানের দ্বিগুণ মূল্যে ভাড়া নিতে হচ্ছে।’সৈয়দপুরের হোটেল মালিক মমিনুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘গত তিন দিনে তার হোটেলে অন্তত ৫০ জোড়া হবু বর-কনে পরিবারের মধ্যে দেখা ও আলোচনা হয়েছে। এর ফলে হোটেলে বেচাকেনা বেড়ে গেছে অনেক গুণ।’ 

সৈয়দপুর শহরের বিয়ে নিবন্ধনকারী (কাজি) সাইদুল ইসলাম জানান, আগে ধান কাটা শেষে বিয়ের মৌসুম শুরু হলেও লোকজন এখন সরকারি ছুটিতে ছেলেমেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়। গত তিন দিনে ১০ টি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি। 

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘ঈদের পর দিন থেকে ১৪ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত ৪০টির বেশি বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি। একই দিনে একাধিক অনুষ্ঠান থাকায় দাওয়াত রক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হয়েছি তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছি।’

আরও খবর



গাংনীতে আইসক্রীম কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃঅনুমোদনহীন আইসক্রীম কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। আজ বুধবার দুপুরের মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আইকন বেভারেজ নামের এই কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ জানিয়েছেন, আইকন বেভারেজ নামের একটি আইচক্রীম কারখানার কোন অনুমোদন নেই। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার দিয়ে আইসক্রীম তৈরী করা হচ্ছিল।

অনুমোদন না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে আইচক্রীমে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও ফ্লেভার।


আরও খবর



জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন:স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সূচনা হয় প্রায় ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৯ দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে তখন হাতেগোনা কজন বাংলাদেশি অভিবাসী  বসবাস করতেন। ধীরে ধীরে কমিউনিটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন দেশটিতে। ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নির্ভর দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার বাঙালি অদিবাসী। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে। বাবারা অধিকাংশ কল-কারখানা, রেস্তোরাঁ বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। মায়েদের বড় অংশ ঘর-গৃহস্থলির কাজ করেন। কেউ কেউ চাকরিও করেন।

অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম জেনারেশন বা ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পূর্ণ যৌবনে পা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মজীবন শুরু করেছে। অনেকেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে সংসারও পেতেছে । কিন্তু ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ লেখাপড়া শেষ করেনি বা করতে পারেনি। বেশিরভাগই প্রাথমিক এবং 'ও' লেভেল থেকেই তারা ঝরে পড়েছে। সংসারের হাল ধরেছে। পরিবার তথা বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কর্মজীবনে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাদের একজন জুমা আক্তার কালাম। স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক।

রবিবার মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হসপিটালে যোগদান করে চিকিৎসা পেশা শুরু করেছেন। যেখানে অধিকাংস অভিবাসীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কর্মজীবন শুরু করে ঝরে পড়ছেন ছেলেমেয়েরা। সেখানে জুমা আক্তার মেধা তালিকায় উক্তীর্ণ  হয়ে চিকিৎসা পেশা শুরু করায়  বাবা-মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন ও অভিবাসীদের মধ্যে বইছে এখন খুশির ঝিলিক। ইউরোপে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে   দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসটিতে প্রথম বাঙালী নারী চিকিৎসক হওয়ায় প্রবাসীরা ও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। জুমা এখন প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

জুমা আক্তার ১৯৯৯ মাদ্রিদের ১৬ জানুয়ারী মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার  আবুল কালাম সেলিম। তিনি মাদ্রিদে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার আদিনিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তিনি (জুমা আক্তার) স্থানীয় স্কুলে পড়া -লেখা শেষ করে মেডিসিন বিষয় নিয়ে ভর্তি হন উনিভারসিদাদ অটোনোমো মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির এই যোগে মূলতঃ মেডিসিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতি আগ্রহ থেকেই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত যেই হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসক হওয়ার মাধ্যমে।

বাবা-মা, বড় বোন আর ছোট ১ বোনকে নিয়ে মাদ্রিদে বসবাস করেন জুমা আক্তার। তার বড় বোন সুমা নাহিদা আক্তার স্থাপত্য ও নগরায়ন নিয়ে উনিভার্সিটি অফ আর্কিটেচার আলকালা দে হেনারেসে অধ্যনরত রয়েছেন। ছোট বোন জান্নাত আক্তার লন্ডন কিং লো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

জুমা আক্তার বলেন,  'ছেলে-মেয়েদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার উৎসাহ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গুজব কিংবা অপ্রপচারবে কর্ণপাত না করে অর্থিক ও মানসিকভাবে ছেলে-মেয়েকে সহযোগিতা করতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও চেষ্টা, সাধনা থাকা প্রয়োজন।''অভিবাসী বাবা-মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। লেখাপড়া করে তাদের ও কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

এই সাফল্যে কমিউনিটর মধ্য়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তিনি আপ্লোত উল্লেখ করে বলেন, আমি ফুল টাইম চিকিসা সেবার পাশাপাশি আরো বেশি লেখাপড়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে চিকিসা বিষয়ে একজন প্রফেসার হতে চান বলেন তিনি।

জুমা বলেন, 'আমি জন্মসূত্রে স্প্যানিশ হলে বাবা মার সাহায্যে বাংলা ভাষার (কঠিন শব্দ ব্যাতিত) কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে গভীর আগ্রহ । আমি বাংলা এবং স্প্যানিশ উভয় সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। তাদের সেবা করে যেতে চাই।'

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন সভ্যতার চিত্রকর্ম ও সাহিত্য,রৌদ্রোজ্জ্বল জলবায়ু, সমুদ্রসৈকত এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর জন্য পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ এই দেশে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন জুমা আক্তারই প্রথম।জুমারব এই সাফল্যে তাঁর পিতা আবুল কালাম সেলিম বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠন আসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহীসহ কমিউনিটির তার কর্মস্থল মনক্লোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তার সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা স্পেনে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়ক পারাপারের সময় ঘাতক বাসের ধাক্কায় এক শিশু নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধিঃনওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক পারাপারের সময় ঘাতক বাসের ধাক্কায় বাধন হোসেন (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬মে) বেলা ১২ টার দিকে নওগাঁ রাজশাহী  আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার নওহাটা মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।নিহত শিশু বাধন হোসেন পার্শ্ববর্তী মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গোটগাড়ী গ্রামের শামিম হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত বাধনের বাবা-মা দরিদ্র হওয়ায় নওহাটা মোড়ের দক্ষিণ পার্শে অবস্থিত কফিল রাইস মিলে শ্রমিকের কাজ করে আসছেন। সেখানে বাবা-মায়ের সাথে ও-ই শিশুও  থাকতো।  আজ ঘটনার সময় নিহত শিশুটি রাইস মিলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় নওগাঁর উদ্দেশ্যে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি ঘাতক বাস তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তার উপর দিয়ে বাসটি চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে তিনি নিহত হন। 

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘাতক বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি। 

আরও খবর



মানুষের পাকা রাস্তার চাহিদা বেড়েছে,কাঁচা রাস্তায় মানুষ চলতে চায়না: রাণীশংকৈলে এমপি হাফিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃমানুষের পাকা রাস্তার চাহিদা বেড়েছে, কাঁচা রাস্তায় মানুষ চলতে চায়না। কিন্তু রাস্তা করতে গেলে কেউ একহাত রাস্তা ছাড়তে চায় না এটা হতে পারেনা। শনিবার (৪মে) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দুটি পাঁকা রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরজিপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কাজে অভিজ্ঞ লোককে নির্বাচিত করবেন এলাকার উন্নয়ন হবে।

আরজিপি স্কুল হইতে রাঘপপুর এবং সখের টাউন হউতে মোড়ল হাট পর্যন্ত পৃথক ২কিঃমিঃ রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাতীয় পাটির ইউনিয়ন সভাপতি একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা,প্রকৌশলী আনিসুর রহমান,জাতীয় পাটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম,যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের,ইউপি চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায়,বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক,ইটভাটা মালিক আইনুল হক প্রমুখ।

আরও খবর