Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

তানোর পৌরসভায় খাবার পানির হাহাকার

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় খাবার পানির হাহাকার পড়েছে। বিগত সময়ে পৌরসভা থেকে যে সব হ্যান্ড টিবওয়েল দেওয়া হয়েছে সেগুলো বিকল হয়ে পড়েছে।  এতে করে খাবার পানি জোগাড় করতে গৃহিণীদের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের এসব নিয়ে তিল পরিমান গুরুত্ব নেই। নাগরিক সেবা বলতে তো কিছুই নেই সেই সাথে খাবার পানি নিয়ে চরম বেকায়দায় পৌর নাগরিক রা।আর সব থেকে বঞ্চিত পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামটি। গ্রামে একটি হ্যান্ড টিবওয়েলে পুরো পাড়ার পানি খাওয়ার ভরসা। পুরো পাড়ার চাপে প্রতিদিন বিকল হয়ে পড়ে টিবওয়েলটি। পৌর মেয়রকে একাধিকবার বলেও কোন গুরুত্ব নেই। এতে করে মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অতিশিঘ্রই ঝাটা মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাড়ার গৃহিণী রা।

জানা গেছে, পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের আলামিনের দোকানের উত্তরে, হান্নান ও সাইদুরের বাড়ির পূর্ব দিকে পৌরসভা থেকে বিগত কয়েক বছর আগে তৎকালিন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান গৃহিণী দের দাবির প্রেক্ষিতে হ্যান্ড টিবওয়েল দেন। কিন্তু গোড়া বাঁধায় না করার কারনে মাসে কয়েকবার করে নষ্ট হয়ে পড়ে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে দিনে সকালের দিকে নষ্ট হয় টিবওয়েলটি। নষ্টের কারনে প্রায় ২০ টি পরিবার চরম বেকায় পড়েন।

গৃহিণী কাজলী বেগম জানান, ঈদের দিন নষ্ট হওয়ার পর অন্যপাড়া থেকে পানি এনে খাবার সহ যাবতীয় কাজ করা হয়েছে। বিগত ২৮ বছরের পৌরসভায় কোন নাগরিক সেবা তো নাই, খাবার পানিরও কোন ব্যবস্থা করে দেয় নি। আমরা গুবিরপাড়ার মানুষ বলে কি পৌর নাগরিক না। ড্রেনেজ, মশা মারা তো হয়না, আবার ট্যাক্স ঠিকই দিতে হয়। মেয়রকে অনেক বার মটরের ব্যাপারে বলার পরও কোন গুরুত্ব দেয় না। অথচ ভোটের সময় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিবে, কোন সমস্যা থাকবেনা, এবার ভোট চাইতে এলে মজা দেখাব। অল্প দিনের মধ্যে মটর না দিলে পাড়ার সব মহিলারা ঝাটা মিছিল করবে।

পলি নামের আরেক গৃহিনী জানান, একটি টিবওয়েল ২০ টি পরিবারের পানি খাওয়ার ভরসা। নষ্ট হলে এবাড়ি ওবাড়ি গিয়ে পানি এনে জমা রাখতে হয়। পৌর নাগরিক বলতে লজ্জা লাগে। অন্য জায়গায় ঠিকই মটর দেওয়া হচ্ছে। মান্নান কমিশনার এই টিবওয়েল না দিলে খাবার পানির জন্য পাগল পারা হতে হত। দ্রুত সময়ের মধ্যে মটর না দিলে পৌরসভা ঘেরাও করব। সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে।

লাভলী, নারগিস, লাবনী, আলামিন, সামাদ, ওহাবসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আমরা অবহেলিত পৌর নাগিরক। কারন ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মটর ও টেপের লাইন দেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার পানি নিয়ে কোন চিন্তা নাই। কিন্ত পৌরসভা থেকে ১ কিলোমিটারের কম দুরুত্ব গুবিরপাড়া গ্রাম। এক টিবওয়েলে ২০ পরিবার কিভাবে পানি খেতে পারি। লাইন ধরে পানি নিতে হয়। পৌর মেয়র তো ভোটের আগে পানির লাইন, রাস্তা ঘাটসহ নানা উন্নয়নের কথা বলে ভোট নিয়েছে। চেয়ার পেয়ে আখের গোছানো শুরু করেছেন। অবস্থা দেখে মনে হয় গুবিরপাড়া গ্রামটি পৌর মানচিত্রের বাহিরে। অপ্ল দিনের মধ্যে মটর না হলে ঝাটা মিছিল সহ পৌর ভবন ঘেরাও করে মটর আদায় করা হবে।

পৌর মেয়র ইমরুল হক জানান, মটরের বরাদ্দ  নাই, পেলে ব্যবস্থা করা হবে। আপনি বিভিন্ন জায়গায় মটর দিয়েছেন ও দীর্ঘ দিন ধরে মটরের বিষয়ে বলা হচ্ছে কি কারনে হয়নি প্রশ্ন করা হলে উত্তরে জানান, আমি চেষ্টা করব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করার।শুধু গুবিরপাড়া না  পৌর ভবননের পশ্চিমে শীতলীপাড়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট। দীর্ঘ ২৮ বছরে সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানেটশনের কোন ব্যবস্থা নেই। কেশরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানোর পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ও সচিব সরদার জাহাঙ্গীরের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, অল্পদিনের মধ্যে টিবওয়েল আসবে। যদিও পৌরসভায় দেওয়া যায় না। তারপরও আবেদন করলে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বা ব্যবস্থা করা হবে।ডিডিএলজির কর্মকর্তা  শাহানার মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলে তিনিও রিসিভ করেন নি।জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে খাবার পানির সংকট দুর করা হবে

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচন শেষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোট গ্রহণ। এখন চলছে গণনা।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্য পদে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপ-নির্বাচন। দুই সিটিতেই ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।

মোট ভোটার ছিল কুমিল্লায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮। ময়মনসিংহ সিটিতে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। সিটি নির্বাচনে ইভিএম বিড়ম্বনা, কুমিল্লায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার মধ্যেই শেষ হয়েছে ভোট। এখন ফল ঘোষণার অপেক্ষা।

আজ শনিবার দুই সিটি বাদে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় উপনির্বাচন, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালী পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। পৌরসভার শূন্যপদে উপনির্বাচন হয়েছে ১৫টিতে, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ১৩টি, ইউনিয়ন পরিষদের শূন্যপদে উপনির্বাচন ১৯০টি এবং জেলা পরিষদে শূন্যপদে সাতটি উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষকের হাতে ছাত্র গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকের হাতে মেডিকেলের ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।সোমবার (৪মার্চ) বিকেল ৩ ঘটিকার ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাশ চলাকালিন সময়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

কলেজ ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডা.রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে  অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার স্বত্তেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। আজ বিকেলে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩ টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক ৮ম ব্যাচের  ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। আত্মচিৎকারের খবর শুনে সবাই এগিয়ে আসলে  ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ও ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন তৈরী করা পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী বিচার দাবীতে আন্দোলন করছে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রয়েছেন।

আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার ঘটনায় এক ব্যাক্তিকে হত্যা, আসামি পলাতক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মহাদেবপুরে স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার ঘটনায় তাসিবুল ইসলাম বুলু (৫২) নামের এক ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব রাত ১১টার দিকে উপজেলার নওহাটা মোড় সংলগ্ন বেলঘড়িয়া গ্রামের স্টার রাইস মিলের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই হত্যাকারী আসামি আজিজুল ইসলাম পলাতক।

নিহত তাসিবুল ইসলাম ওই মিলের ম্যানেজার ও পার্শ্ববর্তী মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউপির চকরামানন্দ গ্রামের মৃত. আনিসুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত তাসিবুল স্টার রাইস মিলের ম্যানেজারের হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত ছিলেন। একই মিলের কর্মচারী আজিজুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মালেকা বেগম (৪০) এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জেরে আজিজুল ইসলামের সাথে তাসিবুল ইসলাম বুলুর বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এসময় তাসিবুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুক ও পিঠের কয়েক স্থানে আঘাত করে এবং এসময় সে তার স্ত্রীকেও আঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মিলের অন্যান্যরা ম্যানেজার ও তার স্ত্রী মালেকা বেগমকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, নিহতের লাশ দাফন শেষে তারা থানায় এসে মামলা দায়ের করবেন। তবে হত্যা করার পর থেকে হত্যাকারী পলাতক রয়েছে। 

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-দূ্র্নীতি অনুসন্ধানে "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা"!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image
শোয়েব হোসেন:দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সেই অধিকার যেন শুধু আজ বই-পুস্তকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।বহু বছর যাবত চিকিৎসা সেবা অনৈতিক ব্যবসায়ে পরিনত হয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া যেনো কিছুই বোঝে না এই চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মহাশয়েরা । রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চলছে নানান অরাজকতা ও তান্ডব!চলছে অনিয়ম-দুর্নীতির তুখোড় প্রতিযোগিতা!

 জানা যায়, কোনো মুমূর্ষু রোগীকে দেখলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যেনো ওঁত পেতে থাকা বিভিষিকাময় বানিজ্যের দ্বার খুলে যায়।একদিকে রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে থাকে। আর আরেকদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি চিকিৎসা সেবা না দিয়ে তাদের স্বজনদের টিকিট নেয়া এবং ভর্তির জন্য নানান অজুহাতে শুরু করে রাক্ষুসে বানিজ্য ! যেমন - কেবিন নিয়ে দরকষাকষি (এসি-নন এসি/সিঙ্গেল বেড-ডাবল বেড), পোষ্য দালালদের উপদ্রব, রোগীদের একাধিক পরীক্ষা/টেস্ট যা নিছক বাড়তি বা অপ্রয়োজনীয় ইত্যাদি! 

 আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা'র বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা গেছে,সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে রুগীকে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান।ফলশ্রুতিতে ভালো কমিশন চিকিৎসকের কাছে চলে যায়। আবার সরকারি হাসপাতালের বেশকিছু অসাধু ডাক্তার মশাই প্রকাশ্যভাবেই নিয়মিত বসেন বেসরকারি হাসপাতাল বা ব্যাক্তিগত চেম্বারে। সেই সব চিকিৎসকদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন লোকদেখানো ব্যবস্থা নেয়ায় আজও চলছে এই বিশ্বয়কর মহাবানিজ্যিক তান্ডব লীলা সেই প্রশাসনেরই নাকের ডগায়!দেশের স্বাস্থ্য সেবা আজ চরম প্রশ্নবিদ্ধ!

আরও দেখা যায়,অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের রান্নাঘর অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা। এমনকি এই হাসপাতাল গুলোর আশপাশে রোগীদের ব্যাবহৃত বর্জ্য( সিরিঞ্জ,গজ কাপড় ইত্যাদি) ফেলাতেও পরিবেশ দুষিত হয়ে মশাসহ রোগ জীবানু জন্ম নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই কেমন যেন একটা বিশ্রী দুর্গন্ধ মেশালো পরিবেশ বিরাজমান। চিকিৎসকদের দেয়া টেস্টের জন্য রোগীদের ও তাদের স্বজনদের দৌড়াদৌড়ি করতে হয় বিভিন্ন স্থানে। তাতে রোগীরা চিকিৎসা পেতে গিয়ে হয়রানির ফলে আরও অসুস্থ হয়ে যায়।আরও জানা গেছে, অনেকেই চক্রান্ত মুলক মামলার উদ্দেশ্যে ক্ষমতা ও টাকার জোরে গোপনে পুলিশ কেস এর প্রেসক্রিপশন ও সনদ নিয়ে থাকেন।তাছাড়াও এখানে রহস্যজনক কারণে যুগ যুগ ধরে কোন ব্যাবস্থাতেই নেতা-মাস্তান-সন্ত্রাসীদের স্থানীয় দাপট আদৌ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।

আরও জানা যায়,কোনো গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে গেলেই চিকিৎসকরা কথায় কথায়  সিজার করতে বলেন। সাথে জুড়ে দেন একাধিক টেষ্টও! যা কিনা অলিখিত ভাবেই আবশ্যিক বা পূর্বশর্ত !যেন ভেলকিবাজি ও প্রতারণা  দিয়েই চলছে দেশের স্বাস্থ্যখাত !সকল অনিয়মই আজ যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। রোগীর সঠিক চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি হাসপাতাল যথেষ্ট উন্নত হওয়া সত্বেও তাদের যেনো মাথা ব্যাথাই নেই । দেশের অনেক বিত্তবানরা তাদের চিকিৎসার জন্য  ভারত, সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকেন।কারন হিসেবে জানা যায়, দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ওপর তাদের মোটেই আস্থা নেই । এতে সহজেই বোধগম্য যে, আস্থাহীন ভাবে  চলছে দেশের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান! তার ওপর আরও আছে ভুল চিকিৎসা, প্রতারণা, দালালের খপ্পর এমনকি ব্যক্তিগত সন্ত্রাস বাহিনী !  

জাতির মনে প্রশ্ন, সাধারণ জনগণ বা অসহায় রুগী হাসপাতালের দালালদের জ্বালাতন, অপচিকিৎসা এবং চক্রান্তমুলক ভাবে পরিকল্পিত বৈচিত্রপুর্ন প্রতারণার হাত থেকে আদৌ রেহাই পাবে কি ? এসব কি স্বাস্থ্য সেবা নাকি মরন দশা? এভাবে অপকর্ম চালু থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কি ?এতো প্রশ্নের জবাব কেই বা দেবে?  দেশের স্বাস্থ্য সেবা চরম প্রশ্নবিদ্ধ কেন ? কেনো চিকিৎসা সেবায় এমন দুর্নীতি"? হায় আফসোস! আজও এর জবাব কেউই দিতে পারেননি! চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন মুখ থুবড়ে পরে আছে ! এমন অপ্রতিরোধ্য অনিয়মের শেষ কোথায়?

বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য, অভিযোগ ও অসংখ্য  প্রশ্নের সঠিক  জবাব ও সত্যতা বের করতে বহুদিন যাবত বিভিন্ন সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন দেশের অনেক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সমুহে অনিয়ম নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য বা সদুত্তর প্রদানতো দুরের কথা ! উল্টো মানবাধিকার ও গণমাধ্যম  কর্মীদের ওপর আক্রোশমুলক চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মেতে নাজেহাল ও হয়রানি করার ঘটনাই ঘটিয়েছে মর্মে অহরহ শোনা যাচ্ছে! 

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে উক্ত অনিয়মগুলো রাষ্ট্র ও জনতার স্বার্থে জরুরি ভাবে খতিয়ে দেখা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার লক্ষ্যে সকল প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্ব, সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন সাপেক্ষে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। 

আরও খবর



নির্বাচনে ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জন গ্রেপ্তার: সিইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচনে শনিবার (৯ মার্চ) ভোট হয়েছে। ময়মনসিংহে পূর্ণাঙ্গ এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন। সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দু’চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দু’একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচনটা ম্যানেজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি। আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি যে প্রভাব খাটানো হয়েছে, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি।


আরও খবর