Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

তানজিন তিশা ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে ক্ষমা চাইলেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৪২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:তানজিন তিশার সঙ্গে অবশেষে সাংবাদিকদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটল। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিশা। তারপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।

তিশা বলেন, ‘আপনাদের সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা। আমি কয়েকদিন আগে হাসপাতালে অসুস্থ ছিলাম। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পর দেখলাম, দুয়েকটি নিউজপোর্টাল আমার আত্মহত্যা চেষ্টা শিরোনামের নিউজ করেছে। এমন সময় সাংবাদিক তামিম (যার সঙ্গে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় নেই) সে আমাকে একটা টেক্সট করে, যেটা ওই সময়ের জন্য আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। আমি ভাবতেই পারিনি, এই সময়ে কেউ আমাকে এমন একটি টেক্সট করবে বা একজন নারীকে কেউ এমন প্রশ্ন করতে পারে। আমি সহ্য করতে না পেরে তাকে জানাই, টেক্সেটের বিষয়ে নিউজ করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।

তিনি আরও বলেন, ‘তার সঙ্গে ফোনে যেসব শব্দ উচ্চারণ করেছি, আমি জানি তা সঠিক নয়। সেটার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি, এখনও করছি। এরমধ্যে আমার সঙ্গে কথা বলার কলরেকর্ড অনুমতি ছাড়া প্রচার করা হয়েছে। তা শুনে অন্যান্য সাংবাদিকরা রেগে যায়, যা খুবই যৌক্তিক। তবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অনেকে অসত্য, মনগড়া সংবাদ ও লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন। সেসব দেখে আমি রেগে যাই। তারপর আমি ডিবিতে অভিযোগ করতে আসি। সেখানেও গণমাধ্যমের সামনে তামিম ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে ফেলি। যেটা আমি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিইনি। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটির (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর) কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। একজনকে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চলে না।

তামিমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছিলাম, সেটাও তুলে নিচ্ছি। তবে যারা আমার এবং আমার পরিবারকে ঘিরে অসত্য-অসম্মানজনক নিউজ প্রকাশ করেছে, তারা অনুতপ্ত হবে। সেইসঙ্গে লেখাগুলো সরিয়ে নেবেন, সেটাও আমি প্রত্যাশা করি। কারণ এটা একজন শিল্পী বা নারীর জন্য অসম্মানজনক।’

এ সময় তিনি অপসাংবাদিকতা রুখতে মূলধারার সাংবাদিকদের সাহায্য চেয়েছেন। যেন পরে তার মতো কাউকে এমন পরিস্থিতে পড়তে না হয়। প্রসঙ্গত, মূল ঘটনার সূত্রপাত হয় তানজিন তিশার ‘আত্মহত্যাচেষ্টা’র খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৫ নভেম্বর মধ্যরাতে অচেতন তিশাকে তার বোন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর এই খবরটি গণমাধ্যমে চলে আসে। মূলত এরপরই তানজিন তিশা ঘটনাটিকে নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সবশেষ ২০ নভেম্বর ডিবি অফিসে গিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম তামিমের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ তোলেন তিশা। এর আগে তিশা সাংবাদিকদের ‘উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি দেন, আবার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এরজন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।

পরে তানজিন তিশার অপেশাদার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিনোদন সাংবাদিকরা। সেখান থেকে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাসের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর



দুই উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ, একটির যাচাই বাছাই সম্পন্ন মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে হাসেম আলী আনারস, ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ, আব্দুল মান্নান ঘোড়া এবং আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী লড়বেন চশমা প্রতীক এবং মোঃ শাহিন লড়বেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে।এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা পেয়েছেন বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা। সামিউন বাছিরা পলি ও রোমানা আহমেদ পেয়েছেন যথাক্রমে হাঁস ও কলস প্রতীক।

মুজিবনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আমাম হোসেন মিলু আনারস, র‌ফিকুল ইসলাম ক‌পি পি‌রিচ, মাহবুব হোসেন মোটরসাইকেল এবং কামরুল ইসলাম চান্দু পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবনগর উপজেলায় রাজিব হোসেন পেয়েছেন টিউবওয়েল ও মতিয়ার রহমান পেয়েছেন চশমা প্রতীক।মুজিবনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তকলিমা খাতুন কলস ও আফরোজা খাতুন লড়বেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে।

অপরদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে দশ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর সকলেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়েছে। ‌

প্রসঙ্গতঃ আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংকক পৌঁছান। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।

তিনি বলেন, সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।

সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।


আরও খবর



যশোরে ভৈরব নদ থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে ভৈরবের শাখা নদী (কাটাখাল) থেকে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ইমনকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।

নিহত ইমনের পিতা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

ইজিবাইক স্ট্যান্ডের অন্য চালকরা জানায়, ইমনকে সবশেষে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এ ঘটনায় তারা অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছেন।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে তারা প্রচন্ড দুর্গন্ধ পান। পরবর্তীকে তারা একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ, পিবিআই, ডিবি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে পিবিআই সদস্যরা ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইজিবাইক চালক ইমন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে আজ সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা দূর্বৃত্বরা করা হয়েছে ইমনকে। পরে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে।


আরও খবর



বেনাপোলে চেকপোষ্টে কাস্টমস সুপারের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শার্শায় কর্মরত দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ব্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন।

এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অপ্রিতীকর ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।

এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিক আশরাফুল ভারতে টুরিষ্ট ভিসা'য় বেড়াতে যান গত ২দিন আগে। আজ ফেরার সময় ৫ বোন ও মায়ের জন্য ১২টি শাড়ি আনছিল। এ অপরাধে তাকে ঐ কাষ্টমস কর্মকর্তা সাংবাদিকের শাড়িগুলাে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ঐ কর্মকর্তার সাথে বাগবিতন্ডা হওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিককে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ব্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।

সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে বদলি করা হোক।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।


আরও খবর