Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে জেঠির পা ভেঙে দিল পুলিশ সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৪২০জন দেখেছেন

Image


 (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এক পুলিশ সদস্য তাঁর জেঠিকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারী মাজেদা বেগম (৬০)। সে উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান উত্তর-পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক আ. মজিদ মিয়ার স্ত্রী। মাজেদা বেগম বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য একই গ্রামের মৃত শাহ-আলীর ছেলে মো. জহিরুল হক (৩২)। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযুক্তের বিচার দাবিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।


সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ভূক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও স্থানীয় মাতাব্বারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাজেদা বেগমের পরিবারের সাথে ঝগড়া হয় জহিরুলদের।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে জহিরুল। বাড়িতে আসার পর আবারও ঝগড়া বাধলে ঘটনা স্থলেই মাজেদা বেগমকে পিটিয়ে ডান পায়ের গুড়ালি ভেঙে দেয়।


এ সময় আ. মজিদ ও তাঁর নাতি রনি এগিয়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে সে। তাদের  ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে ধনবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় এবং জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে ধনবাড়ী থানা পুলিশ এসে বিস্তারিত জানেন।


মাজেদা বেগমের স্বামী আ. মাজিদ মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে এসে জহিরুল ডেকে নিয়ে অযথা ঝগড়ার সৃষ্টি করে আমার স্ত্রীর পা ভেঙে দিয়েছে। আমাকে ও নাতিকেও পিটিয়েছে। আমরা বিচার চাই।’

মাজেদা বেগমের  নাতি রনি বলেন, ‘নানিকে ডেকে নিয়ে সাথে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে পিটাতে শুরু করে। কোন উপয়ান্তর না পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানাই। বর্তমানে জহিরুল ঢাকা গুলশান ১ এ ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত।’


ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জহিরুলের ভাবি চায়না বেগম ও ভাগ্নে আবু রায়হান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার  করেন।

স্থানীয় মাতাব্বার আনিছ মিয়া, ফরিদ হোসেন ও আ. মজিদ মিয়া বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাÐ পুলিশ সদস্য হিসাবে তাঁর করা ঠিক হয়নি।’


এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য জহিরুলের ব্যবহিত মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ধনবাড়ী থানার উপরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এলাকাবাসী ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। ভূক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



২শ ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১১হাজার ৭শত ৫০ কেজি (২৩৫ বস্তা) চিনি উদ্ধার করেছে হাইয়ের পুলিশ। এসময় চোরাকারবারিদের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা চিনির বাজারমূল্য ১৫ লাখ সাতাশ হাজার পাঁচশত  টাকার মালামাল জব্দ ক‌রেছে পু‌লিশ।

গত শুত্রুবার দুপু‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানা থে‌কে আসামী‌দের‌কে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে মাধ‌্যমে জেল হাজ‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

জানা যায়,গত বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে শান্তিগঞ্জ থানাধীন সদরপুর এলাকায় সিলেট- সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহসড়কে  সিলেটগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকা মেট্রো  ট ২০-৬৫৫২।

গ্রেফতারকৃতরা ১টি কার্ভাটভ্যানে করে ভারতীয় চিনি পরিবহন করছিল। তাদের কাছে থাকা কার্ভাটভ্যানটি তল্লাশি করে ২শত ৩৫  বস্তা) ভারতীয় চিনিসহ কার্ভাটভ্যানটি জব্দ করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইও‌য়ে থানার ও‌নি ক‌বির আহম‌দের একদল অ‌ভিযান চালি‌য়ে ২শত ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাভার্ড ভ্যান চালক ঝিনাইদহ জেলার,কালিগঞ্জ থানার তেঘরীহুদা গ্রা‌মের আনোয়ার হো‌সেনের ছে‌লে মোশারফ হোসেন(৪১), তা‌হির পুর থানার লোহাজুড়ি ছড়ারপাড় গ্রা‌মে মৃত আব্দুল খা‌লেক ছে‌লে

বাছির মিয়া (৩৫)কে ক‌রে‌ছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানী সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করায় তাদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্প‌তিবার রা‌তে এস আই হা‌দিউল ইসলাম বাদী শা‌ন্তিগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক‌টি মামলা দা‌য়ের করেন। এ মামলায় তা‌দের‌কে গ্রেপ্তার দে‌খিয়ে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়। এব‌্যাপা‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানার ও‌সি কাজী মোক্তা‌দির হো‌সেন এ ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রেন।


আরও খবর



যামিনীপাড়া বিজিবি জোনের উদ্যােগে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:সীমান্ত সূরক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর উদ্যােগে জোনের আওতায় হতদরিদ্র,  দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ)  মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) জোনের এর আওতায় হতদরিদ্র,  দুস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী তুলেদেন যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি।

যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) এর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি বলেন,পার্বত্য এলাকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে।যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন (২৩ বিজিবি) সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি আয়োজন না করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইফতার পার্টি করার আগ্রহ ও সাধ্য আছে তারা যেন সেই ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি'র সকল রিজিয়িন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যামিনী পাড়া বিজিবি জোনের আওতায় ১১৫ জনকে ইফতার ও শুকনা রসদ (চাল, ডাল, চিনি, সেমাই) বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন,যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে ভাষণে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘সকলের সিঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু যে কোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সেনাসদস্যরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন-স্মার্ট।

প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ও অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, আধুনিক এপিসি, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম।

প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

তিনি বলেন, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসিত। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের সৈনিকদের সামর্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্প্রতি অত্যাধুনিক লাইট আর্মাড ভেহিক্যাল ও মাইন রেসিস্ট্যান্ট এ্যাম্বুস প্রটেক্টেড ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে কমপ্লেক্সে আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারীর প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩.৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ ও সকল কামানের প্রতিরূপ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অপারেশনসমূহের গৌরবময় ইতিহাস দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনা কর্মকর্তা এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেবীগঞ্জে সোনাহার সরকার পাড়া প্রিমিয়াম লীগ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:“ক্রীড়াই শক্তি ক্রীড়াই বল’ মাদক ছেড়ে মাঠে চল” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সোনাহার সরকার পাড়া প্রিমিয়াম লীগ ২০২৪ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) বিকালে উপজেলার সোনাহার মহাবিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল

আলম এমু। ধারাভার্ষকার ছলেমান আলীর সঞ্চালনায় দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রাজাজাক দুলাল এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে সোনাহার মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, অধিনায়ক মাহাবুল ইসলাম, লিমন ইসলাম, সংগঠক নাজমুল আলম, আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মজিবুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

উক্ত টুর্ণামেন্ট মা ডিজিটাল স্কেল এবং আলোকিত সরকার পাড়া টিম অংশ গ্রহন করেন। ১শত ৩ রানের টার্গেট নিয়ে ৮ উইকেটে ১শত ৫ রান করে মা ডিজিটাল স্কেল টিম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ শিরোপা লাভ করেন। শেষে সেরা খেলোয়ার ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর