Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

তাহিরপুরে নিয়ন্ত্রণহীন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ও তাদের গডফাদারের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে দিনদিন বেড়েই চলেছে সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে, চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে আবারো এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম-সুমন মিয়া (১৮)। সে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা পশ্চিমপাড় গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে। আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের ১১৯৭নং পিলার সংলগ্ন ভারতের সীমানায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১টার পর থেকে বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা, লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী লেংড়া জামাল, রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, হযরত আলী, আনোয়ার হোসেন বাবলু, খোকন মিয়া, রুবেল মিয়াগং, টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন, বড়ছড়া, চুনাপাথর খনি প্রকল্প, লাকমা, লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, মোক্তার মহলদার, আক্কাছ আলী, নেকবর আলী, রুস্তম মিয়া, মনতাজ মিয়া, নাসির মিয়াগং ও চাঁনপুর- লাউড়গড় সীমান্তের নয়াছড়া, রাজাই, গারোঘাট, কড়ইগড়া, বারেকটিলা,

যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ ও পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী জসিম মিয়া, বায়েজিদ মিয়া, রফিকুল, আবু বক্করগং পৃথক ভাবে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, কসমেটিস, গরু ও কাঠসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা, সুনামগঞ্জ ও ভৈরব পাঠানোসহ সীমান্তের লাউড়গড়, বড়ছড়া ও চারাগাঁও এলাকার বিভিন্ন স্থানে কয়লা ও পাথর মজুত করা শুরু হয়। এমতাবস্থায় আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার সময় কয়লা পাচাঁরের সময় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা পশ্চিমপাড় এলাকার ভারত সীমান্তের চোরাই কয়লার গুহার ভিতরে মাটি চাপা পড়ে কিশোর সুমন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তার সাথে থাকা অন্য কয়লা পাচাঁরকারীরা মাটি খুড়ে ওই কিশোরকে গুহার ভিতর থেকে উদ্ধার করে সকাল ১০টায় বাংলাদেশের অভ্যান্তরে নিয়ে আসে। এর আগে গত ৫ই আগস্ট (শনিবার) দুপুরে এই সীমান্তের লাকমা পূর্বপাড়া এলাকার ভারত সীমান্তের চোরাই কয়লার গুহায় পাথর চাপা পড়ে আক্তার হোসেন(১৬) নামের আরো এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ভোরে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাথর পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে আব্দুল হাসিম(৩৫) ও গত ২৯সেপ্টেম্ভর (শুক্রবার) ভোরে কয়লা পাচাঁরের সময় বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে শ্রমিক কাছম আলী(৬০) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গত

৮ অক্টোবর (রবিবার) রাত ১২টায় চারাগাঁও সীমান্তে গডফাদার তোতলা আজাদের সোর্স রফ মিয়া ও চোরাই কয়লা ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাচাঁরকৃত কয়লা থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়। এরআগে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে আরো একাধিক বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। তারপরও সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দিনদিন আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী কালাম মিয়া বলেন- কয়লা আনতে গিয়ে একজন লোক মারা গেছে জানতে পারছি। আমি অসুস্থ, আমার দায়িত্ব হোসেন আলী পালন করছে। সোর্স হোসেন আলী বলেন- বিজিবির দায়িত্বে সোর্স কালাম আর তোতলা আজাদ ভাইয়ের দায়িত্বে রতন মহলদার ও কামরুল। আমি সোর্স কালামের কাজ করি, ভারত থেকে চোরাই কয়লার বস্তা কয়টা পাচাঁর হয় তা গুনে রাখি। তার বিনিময়ে কালাম আমাকে ১হাজার টাকা রোজ দেয়। চোরাচালান ও চাঁদাবাজি তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে ১জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহববুর রহমানের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করার পর তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে চা পাতা বিক্রি, অভিযানে ৫ টন জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত চা পাতা বিক্রির অভিযোগে মিরসরাইয়ে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫ টন চা পাতা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (৪ মে) রাতে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের মা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করেন মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী। অভিযানে ৪ টি প্যাকেজিং মেশিন, ৩ হাজার নকল চা পাতার মোড়ক, ৫ টন চা পাতা জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন মোড়কীকরণ করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে ঝন্টু দাশ নামের এক ব্যক্তি অসাধু উপায়ে দীর্ঘদিন ধরে চা পাতা  বাজারজাত করে আসছিলেন। তিনি সিলনের পরিবর্তে স্যাভরণ, ইস্পাহানি মির্জাপুরের পরবর্তী মিয়াজিপুরসহ একাধিক ব্র্যান্ডের চা পাতা হুবহু নকল করে আসছিলেন। সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর বাজারে মা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত চা পাতা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্যাকেট করা হচ্ছিল যা বিএসটিআই আইন ২০১৮ অনুযায়ী অপরাধ এবং একই সাথে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অপরাধ। বিএসটিআই এর প্রতিনিধির প্রসিকিউশন রিপোর্টের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা করার জন্য মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম বলেন, চা পাতা জব্দের ঘটনায় বিএসটিআই এর প্রতিনিধি বাদী হয়ে মামলা করবেন। অভিযোগ দায়েরের পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃনেত্রকোনার আটপাড়ায় রবি মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় চাষাবাদে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ দুপুরে উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরনের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো: হেলাল উদ্দীন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো: খায়রুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন্নাহার নিপাসহ আরো অনেকে। এতে স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



মাগুরাসহ দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান:মাগুরাসহ অতিরিক্ত তাপ দাহে জ্বলছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ।  মাগুরা জেলায় অসহনীয় অবস্থায় পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলা। যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা এসেছে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই খরতাপে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।সেখানে এই নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলা গরমের জ্বালার থেকেও পেটের জ্বালা অনেক বড় হয়ে উঠায় এই তাপদাহের মধ্যেও নিজেদের রোজগারের আশাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে।

মাগুরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো যেখানে অতিরিক্ত যানজট নাস্তানাবুদ অবস্থা লেগেই থাকতো। সেখানে শহরগুলো একেবারে জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আর একারনে শহরের দোকানপাট খুলে বেচাকেনার আশায় বসে থাকা ব্যবসায়ীরাদের বেচাকেনা  আশাঅনুরূপ হচ্ছেনা। আর যারা  রিক্সা চালিয়ে,ভ্যান চালিয়ে দিনমজুরের মাধ্যমে নিজেদের দৈনন্দিন ও পারিবারিক চাহিদা মেটাত তারা পড়েছে মহা সংকটে।তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। শহরে লোক না থাকলে তাদের রিকসায় উঠবে কারা। তারপরও

তাদের পরিবার পরিজনের আহার জোটাতে  এ তাপদাহের মাঝেও বেরহতে হচ্ছে রাস্তায়। অনেক কষ্ট করে চালাতে হচ্ছে তাদের সংসার। জনৈক রিক্সা শ্রমিক জানান, বাড়িতে তিন সন্তান স্ত্রী ছাড়া ও পিতা মাতা রয় সংসারে প্রতিদিন ৮ /৯ শ' টাকার বাজার করা লাগে । তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আর গরমে শরীর জ্বলে গেলেও রিক্সা চালাতেই হবে, ইনকাম করতেই হবে।কারণ পেটের জ্বালা সব থেকে বড় জ্বালা।

তাই সরকারীভাবে  ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করলেও  ঘরে থাকার কোন উপায় নেই। একটা দুইটা টিপ মেরে চলছি। চায়ের দোকানে গিয়ে পানি খাই বুক ফেটে যায়। তবে মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গত কয়েকদিন ধরে শহরে পথচারি, রিক্সা অটো শ্রমিকদের মাঝে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। অপরদিকে পৌর সভা প্রতিদিন শহরের রাস্তাগুলোতে পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা করছে। গ্রাম এলাকার মানুষ ঠান্ডার আশায় ঘরবাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিয়েছে।  এ অবস্থার মধ্যেও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষকে নিদারুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। মাগুরা শহরের কয়েকটি হোটেল মটরের মাধ্যমে পানির ঝরনা সৃষ্টি করে ঘরে চালা ঠান্ডা করেছে। এদিকে গরমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া হীট স্টোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব রুগী নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হীমসিম খাচ্ছে।  গত ২০ এপ্রিল মাগুরায় ৪o.০৬ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় টায় মাগুরায় ৩৪ ডিগ্রী ফারেনাইট তাপমাত্রা বিরাজ করে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪২জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:পারিবারিক কলহের জেরে রফিকুল ইসলাম (৩৫)নামে এক মহেন্দ্র চালক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মারা গেছেন। গতকাল বুধবার (৮ মে) রাত দেড় টায় দিনাজপুর নেয়ার পথে রফিকুলের মৃত্যু হয়।

মৃত রফিকুল উপজেলা পদমপুর উত্তরগাও গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রফিকুল তার স্ত্রী রিতা আকতারকে না জানিয়ে এক জনকে ১৯ হাজার টাকা ধার দেয়। এ নিয়ে তার স্ত্রী, ছেলে হৃদয়ের সাথে বাগবিতণ্ডা বাঁধে ।পরে গতকাল রাত ৯ টায় রফিকুল বাড়ির পাশে হাজ্বী মৌড় থেকে বাড়ি এসে না খেয়ে শুয়ে পড়ে। তার ছেলে ও স্ত্রী ভাত খেতে ডাকলে সে বলে আমি খাবোনা। এর পর তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে জিজ্ঞাসা করলে রফিকুল বলে আমি দুটি গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছি। 

এ কথা শুনে পরিবারের লোকজন সাথে সাথে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে কর্মরত  চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর এম এ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে রফিকুল মারা যায়। পরদিন সকালে  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ।এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।  

আরও খবর