Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েছে চোরাচালান ও মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলমভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক,দোয়ারাবাজার,বিশ^ম্ভরপুর,মধ্যনগর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত বিভিন্ন মালামালসহ চোরাচারকারীদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করছে পুলিশ। কিন্তু চোরাচালান ও চাঁদাবাদদের স্বর্গরাজ্য তাহিরপুর সীমান্তে নেই কোন অভিযান। এরফলে একাধিক মামলার আসামীরা সীমান্ত এলাকায় পৃথক সিন্ডিকেড তৈরি করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন কয়লা,পাথর,চিনি ও গরুসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য অবাধে পাচাঁর করছে। সেই সাথে প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে করছে চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে চোরাচালান করতে গিয়ে সম্প্রতি ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (১লা অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২রা অক্টোবর) ভোর সকাল ৬টা পর্যন্ত টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের পুলিশ ফাঁড়ির পাশ দিয়ে চোরাকারবারী মোক্তার মহলদার,আক্কাছ মিয়া,ভোট্টো মিয়া,শহিদল,রফিকুল,ফিরোজ ও বদিউজজ্জামালগং প্রায় ৫০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে মজুত করে বিক্রি করে। এই সীমান্তে বুরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইল এলাকা দিয়ে একই ভাবে শতাধিক মেঃটন কয়লাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বড়ছড়ার বিভিন্ন ডিপুতে ওপেন বিক্রি করে চোরাকারবারীরা। অন্যদিকে পাশের বালিয়াঘাট সীমান্তে লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার,কামরুল মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,মনির মিয়া ও নেকবর আলীগং ১০টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে প্রায় ২৩০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে। এছাড়াও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট,বাঁশতলা,এলসি পয়েন্ট,কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকাদিয়ে গত ২দিনে শতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে প্রায় ২হাজার মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথরসহ চিনি,সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে একাধিক মামলার আসামী লেংড়া জামাল,রফ মিয়া,আইনাল মিয়া,হযরত আলী,সাইফুল মিয়া,আনোয়ার হোসেন বাবলু,খোকন মিয়া,রুবেল মিয়াগং। অপরদিকে চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের নয়াছড়া,গারোছড়া,রাজাই, কড়ইগড়া,বারেকটিলা,যাদুকাটা নদী,সাহিদাবাদ,পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা ওপেন কয়লা,পাথর,গরু,নাসিরউদ্দিন বিড়ি,মদ, গাঁজা,ইয়াবা,গাছ ও কসমেটিস পাচাঁর করলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। গত শুক্রবার (২৯সেপ্টেম্ভর) ভোরে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লা পাচাঁরের সময় বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে শ্রমিক কাছম আলী (৬০) মারা যায়। এরআগে গত ৩আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ভোরে একই ভাবে যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে পাথর পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে আব্দুল হাসিম (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত ৫আগস্ট (শনিবার) দুপুরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে আক্তার হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এছাড়াও সীমান্ত চোরাচালান করতে গিয়ে তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর,চারাগাঁও,বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট,চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তে নদীতে ডুবে ও চোরাই কয়লার গর্তে মাটি চাপা পড়ে গত এপর্যন্ত শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এব্যাপারে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণকারী সোর্স ও তাদের গডফাদারের বিরুদ্ধে কখনোই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। তাই সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দিনদিন আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এজন্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে উপজেলার ৩ শুল্কস্টেশনের সচেতন বৈধ ব্যবসায়ীরা।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে যারা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহববুর রহমান বলেন- সীমান্ত এলাকায় বিজিরির কোন সোর্স নাই। তবে চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সবকটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



মহাদেবপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মহাদেবপুরে মাদরাসার এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেন উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের তিলন গ্রামের মৃত আবুল খয়েরের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আলমগীর হোসেনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্র জানা যায়, উপজেলা চান্দাশ ইউনিয়নের রামচরণপুর গ্রামের শিশুটির বাবা-মা কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। আর  উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড়ে অবস্থিত রওজাতুল কোরআন মাদরাসায় শিশুটিকে ভর্তি করে দেন। শিশুটি ওই মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণীতে আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করাতো।

অন্যান্য দিনের মতো গত ২৫ এপ্রিল রাতের খাবার খেয়ে অন্য ছাত্রীদের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এদিন রাত ১১ টার দিকে শিক্ষক আলমগীর হোসেন কৌশলে ওই শিশুকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, এ কারণে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহ নিয়ন্ত্রনে হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা শীতল করছে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে  এক হোটেল ব্যাবসায়ীর কৃত্রিম পানির ফোয়ারা এলাকায় সাড়া ফেলেছে।  জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে তার হোটেলে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা সৃষ্টি করে হোটেল টিকে শীতল করে মানুষের মাঝে  আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হোটেলের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে হোটেল ঘরের টিনসহ সর্বত্র শীতল পরিবেশ তৈরি করে খাবার হোটেলের ব্যবসা করছে রবিউল ইসলাম। মাগুরায় প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং বর্তমানে মাগুরায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভিতরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।

তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে রবিউলের হোটেলে খাবারের জন্য আসা মানুষের ভীড় বাড়ছে দিনদিন।  বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ, এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে হোটেলের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত পানি। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে বসে খাবার খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা এখানে এসে আনন্দিত।

হোটেল মালিক রবিউল ইসলাম জানায়, ২৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নিমার্ণ করেছেন এই কৃত্তিম বৃষ্টি। তীব্র গরমে কাস্টমাররা ঠিকমতো আসতো না দোকানে। তাই বৃষ্টির চিন্তা মাথায় রেখে এমন ভাবনা আসে মাথায়। এখন নিয়মিতই আসেন কাস্টমার।

দোকানে খাবার খেতে এসে লোকজন জানায়, তারা হোটেলের ভিতরে শীতল পরিবেশ পেয়ে আরামে খাবার খেতে পারছেন। বাইরের গরম অসহ্য। কোথাও বসে খাবার খাওয়ার ঠান্ডা পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তারা। তাই রবিউলের দোকানে এসে এমন চিত্র দেখে তারা হোটেলে বসেই একটু শান্তিতে খাবার খেতে পারছেন।

হোটেলের টিনের চালে দেখা যায় কয়েকটি গার্ডেনিং ফোয়ারা। সেখান থেকে পানি বের হয়ে টিনের চাল বেয়ে পানি পড়ছে নিচে। এতে চালের টিন ভিজে ঠান্ডা হচ্ছে রুমের ভিতরে। পাশাপাশি রুমের ভিতরে রয়েছে ফ্যান। এতে গরম ভাব সহজেই দূর হচ্ছে রুম থেকে। দোকানের উপরে টিনে দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়তে দেখে পথচারীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখছে এই দৃশ্য। হোটেলে খাবার খেতে আসা ক্রেতাদের অনেক ভিড়ও হচ্ছে। রবিউলের হোটেলে এমন ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শহরজুড়ে।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭টি ইউপিতে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ডেস্ক উদ্ভোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথ ও হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধন করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাটিরাংগা উপজেলার ৭ টি  ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন বুথ ও হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী।

 এসময় মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র এিপুরা,বেলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো.রহমত উল্ল্যাহ, আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল গণি, বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইলিয়াছ, তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান পেয়ার আহম্মেদ মজুমদার, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি সচিব মো.রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউপি সচিব ও উদ্যােক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট-২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুর্বতী বলেন,বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি যুগান্তকারী উদ্যোগ জানিয়ে তিনি আরো বলেন রেজিষ্ট্রেশন করুন, নিজের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

আপনিও হোন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের গর্বিত অংশীদার, উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও উদ্যােক্তার এর সমন্বয়ে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম  চলমান রয়েছে বলে জানান।


আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর