Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে ৭ মার্চের ভাষণ : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

বাসস: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন।

‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির মুক্তির মহাকাব্য।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে, তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই তাঁর ভাষণে মূলত মানুষের মনের কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের মর্যাদা দিয়ে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড  ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের বড় অর্জন।

‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন’–এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মহান এ নেতার সে স্বপ্ন পূরণে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন।


আরও খবর



নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ও ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বহুলাংশে কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছেন। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছেন। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা ও নেই। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তর কৃষি প্রধান  নওগাঁ জেলার সদর,রাণীনগর,সাপাহার ও পত্মীতলা সহ ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়  এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মুকিম।

সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশ গ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক।

রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের খতিব ও বেলঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আল আমিন।

এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। 

সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। 


আরও খবর



দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের  প্রতিমন্ত্রী  মো. মহিববুর রহমান এমপি’র বাংলাদেশ সচিবালয়ের দপ্তরে মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) ব্রিটিশ হাইকমিশনার H.E. Sarah Cookeসহ তাঁর সাথে আগত প্রতিনিধিগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিগণের মধ্যে হিউম্যানেটেরিয়ান এডভাইজার জনাব কৃষ্ণান নাইর, ব্রিটিশ হাই কমিশনারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার  মুসাউইর আহমেদ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে ছিলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব  কামরুল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব   এম আব্দুল ওয়াদুদ,  হাসান সারওয়ার,  এবিএম শফিকুল হায়দার,  মো. রবিউল ইসলাম মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর পিএস  মো. আবুল কালাম তালুকদার ও এপিএস  মো. আসিফ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে রোহিংগা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার H.E. Sarah Cooke রোহিংগা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ সবসময়ই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। রোহিংগাদের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিংগাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করার বিষয়টি তুলে ধরেন। 

প্রতিমন্ত্রী  মহিববুর রহমান এমপি ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কথা শুনেন এবং তাদের এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিংগা ইস্যুতে অত্যন্ত আন্তরিক হয়ে তাদের জন্য ভাসানটেকে ৩ একর খাস জমিতে রোহিংগাদের প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী  মহিববুর রহমান আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিংগাদের অবস্থা ও মানবিকতার দিক বিবেচনা করেই তাদেরকে ভাসানটেকে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু তাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহ করা এখন একটা চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিংগা ইস্যুর একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের সরকার অত্যন্ত আন্তরিক রয়েছে। তিনি বলেন, ১ মিলিয়ন রোহিংগা জনগোষ্ঠী দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের সাথে তাদের লাইভলিহুড বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান গাজা ও বৈশ্বিক অন্যান্য ইস্যুর সাথে যেন রোহিংগা ইস্যুটি বিলীন হয়ে না যায়। আমি চাই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিংগা ইস্যু এখন আলোচনার মুখ্য ইস্যু হয়ে দাঁড়াক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রতিরোধে ৫৫ হাজার ভলান্টিয়ার কাজ করছে। রোহিংগাদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এসব ভলান্টিয়াররা রোহিংগাদের আশ্রয়স্থলগুলোতে স্বেচ্ছা শ্রম দিচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত আন্তরিক ও সাহায্য সহযোগিতা মনমানসিকতা প্রবণ। তিনি বলেন, দুর্যোগকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ৫৫ হাজার ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি প্রায় ১০ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনার H.E. Sarah Cooke বলেন, ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আগের মতো সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিজ Sarah আরও বলেন, আমরা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতেই চাই না, আমরা চাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিংগা ইস্যু স্পট লাইট হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, গাজা, দঃ আফ্রিকা ও পৃথিবীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মতো রোহিংগা ইস্যুও একটা বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হউক। তিনি বলেন, রোহিংগা ইস্যু যাতে হারিয়ে না যায় এ জন্য এখানে বিশেষ ফোকাস বাড়াতে হবে। বিভিন্ন সভা, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে বাংলাদেশের রোহিংগা ইস্যুটি তুলে ধরতে হবে। 
পরে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে বঙ্গবন্ধু স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন।

আরও খবর



নাসিরনগর থেকে ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯১জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার সিভিল টিমের পাঁচ সদস্য মিলে গতকাল বিকেলে উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাবেক চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি নিকট প্রথম  ব্রীজের উপর থেকে মোঃ রুবেল মিয়া ২৫ কে আটক করে তার কাছে ব্যাগে থাকা ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

ওই সিভিল টিমের সদস্যরা হলেন,নাসিরনগর থানার চৌকশ পুলিশ অফিসার এস আই রূপন নাথ,এ এস আই সফিকুল ইসলাম, এ এস আই মোঃ কামরুল হোসেন,কনস্টেবল জাফর ও কনস্টেবল রানা দাস।এর পূর্বেও ওই টিমের সদস্যরা মাদক,অস্ত্র,ডাকাতি মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিভাগীয় পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শহরের বিদ্যুৎ এর খুটিগুলোতে ঝুলছে বাদুড়ের মতো তার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এবং অলিগলিতে মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎতের খুটিগুলোতে ঝুলছে বাদুড়ের মত তার, বিদ্যুৎতের তার এর সাথে মিশে গিয়েছে ডিস লাইন, ইন্টারনেট লাইনসহ কোম্পানির প্রায় ২০ টি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের তার।
বোঝার উপায় নেই কোনটা বিদ্যুৎতের তার কোনটা ডিস এবং ইন্টারনেটের তার। বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে ঝুলে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এই তার গুলো, অনেক সময় মানুষের মাথার সাথে লেগে যাচ্ছে আবার তারের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে মানুষ, শুধু সরবরাহ লাইন নয়, ১১ হাজার হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলোও রয়েছে বিপদজনকভাবে। অতিরিক্ত তারের ভারে হেলে পড়েছে অনেক পোল। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানিগুলোর যেন দেখার কেউ নেই। দিন দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পরিস্থিতি। দ্রুত সময়ে এর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহূর্তে তার থেকে আগুন লাগতে পারে, তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি কখন যে শর্টসার্কিট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

আই এস পি এ বি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন এই বিষয়ে নীতি মালা হচ্ছে নীতি মালার আলোকে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো তবে বিদ্যুৎ এর খুটি ব্যবহার করার অনুমোদন নবায়ন নেই দীর্ঘদিন ধরে।

সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন শহরের বিভিন্ন খুটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার জন্য অনেকাংশই দায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলন্ত ক্যাবলের জঞ্জাল। তাই পরিকল্পিত ভাবে তার ব্যবস্থাপনা না করা হলে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান।

শহরের মধ্যে অগোছালো তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অতিঃ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-০১ নেসকো পিএলসি, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাসের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর