Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে ৭ মার্চের ভাষণ : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

বাসস: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন।

‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির মুক্তির মহাকাব্য।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে, তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই তাঁর ভাষণে মূলত মানুষের মনের কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের মর্যাদা দিয়ে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড  ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের বড় অর্জন।

‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন’–এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মহান এ নেতার সে স্বপ্ন পূরণে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন।


আরও খবর



সাগরে ৬৫ দিন মাছধরা সরকারি নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজননকালে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মাছধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে জীবিকার একমাত্র মাধ্যম মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ   নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অন্তত এক লক্ষাধিক  জেলে।জেলেরা জানান, বন্ধের এই দিনগুলোতে জেলেদের জনপ্রতি সরকারি যে সহায়তা প্রদান করা হয়-তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সরকারি সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তাদের। এ নিয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানান, মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার লক্ষ্যে জেলেদের সহায়তাসহ নানা কর্মসূচি সরকারের রয়েছে। প্রতি বছরই তা বাড়ছে।শুক্রবার (১৯মে) মধ্যরাত থেকে মাছধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় শুক্রবার বিকালের মধ্যেই সাগর থেকে উপকূলে ফিরেছে অধিকাংশ ট্রলার। অল্পসংখ্যক ট্রলার সাগরে অবস্থান করলেও মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই মধ্যরাতের মধ্যে ফিরে আসার কথা রয়েছে। সাগর থেকে ফিরে আসা সারি সারি নোঙর করা এসব ট্রলারের দেখা মিলেছে কক্সবাজার শহরে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন নৌঘাটে। এতে ট্রলার থেকে মাছধরার জালসহ অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।কিন্তু দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পরিবারের স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

তারা জানান, নিত্যপণ্যের বাজারে জেলেদের সরকারি সহায়তার বরাদ্দ অপ্রতুল। প্রকৃত অনেক জেলে নিবন্ধনের আওতায় না এলেও ভুঁয়া অনেকে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।আব্দুল ওদুদ  নামে এক জেলে জানান, কদিন আগে গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরপর ছিল সমুদ্র উত্তাল। আর এখন ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ। সুতরাং সামনের দিনগুলো খুবই কষ্টের মধ্যে যাবে। এই বেকার সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে সরকারের পক্ষ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয় তাও ঠিকমত বণ্টন করা হয়না।আব্দুর রহমান  নামে আরেক জেলে জানান, ৮ সদস্যের পরিবারের ভরণ-পোষনের দায়িত্ব তার কাঁধে। সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা হয় তা যতেষ্ট নয়। তারমধ্যে সবকিছুর দাম বাড়তি। ওই বন্ধের দিনগুলোতে রিক্সা চালিয়েও সংসার চলেনা।বাহাদুর  নামে আরেক জেলে জানান, অনেক সময় দেখা যায় জেলেদের জন্য আসা বরাদ্দ ঠিকমত বণ্টন হয়না। যারা দায়িত্বে থাকে তারাও ওখানে ভাগ বসায়। এছাড়া অনেক সময় তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে অন্য পেশার লোকজনকে যুক্ত করা হয়।

প্রশাসনের কাছে এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির উপদেষ্টা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, মাছধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলেদের সহায়তার বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় এনে তালিকাভুক্তদের স্বচ্ছতার সাথে সহায়তার ব্যবস্থা নিতে হবে।কক্সবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহন জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সাগর থেকে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিপণনসহ সবধরণের কর্মকাণ্ড নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলেদের সহায়তার বিষয়টি সরকারের চলমান কর্মতৎপরতারই অংশ।শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, জেলায় মাছধরার নিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে ৫ হাজার ১৫৩টি এবং নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৩৯৪ জন। এছাড়া অনিবন্ধিত ট্রলার রয়েছে অন্তত ৩ হাজার এবং অনিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। 


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’

রোববারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত ৫ বোর্ডের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আগামী রোববারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান। তবে ওই দিন অন্য শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ১৪ মে রোববার অনুষ্ঠেয় পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হলো।

অন্যান্য বোর্ডসমূহের উক্ত তারিখের পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



কমতেই আছে ধানের দাম লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার ২ কেজি করে ঢলন, মনে ৭ টাকা করে খাজনা আদায়। এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব।উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম। এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর ২ বিঘা নিজের। প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে। এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায়। বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ। আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে। উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয়।একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না। ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা। আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় ২ মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার ও রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায়। কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে। কিন্তু চালের বাজর কমেনি।কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন। সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই। প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না। চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি। আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি। এক বস্তায় ২ মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ও ২০০ টাকা করে কমে গেল। কোন কারন ছাড়ায় মিলার ও আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম। কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত। কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব। কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয়। তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন। যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে। তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা ও নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে। আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি।

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে। ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে। আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা। এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে। কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে। সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয়। আর মটরে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই।সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ।

আরও খবর



দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি সদস্য সহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় সাবেক মেম্বার সেলিম গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

শরীফ আহমেদঃ 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ইউপি মেম্বার সহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে ভূমিদস্যু তেঘরিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সেলিম কে রাজধানীর কলতাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৫জুন) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মামলায় পলাতক আসামি সেলিম মেম্বার পুলিশের হাতে আটক হন।


 ঘটনার বিবরণে জানা গেছে গত রবিবার (২৮ মে) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেয়ারা বাজার খানকা শরীফের সামনে অবৈধভাবে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় সাবেক ইউপি মেম্বার সেলিম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সহ চারজনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর মেম্বার ।


 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বেয়ারা বাজার খানকা শরীফের সামনে একটি সরকারী খাস জমি নিয়ে সাবেক মেম্বার সেলিম গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন উক্ত জমিতে রাতের আঁধারে সাবেক মেম্বার সেলিমের লোকজন স্থায়ীভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করতে থাকে। খবর পেয়ে ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর জমিতে গিয়ে বিবাদীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম মেম্বারের লোকজন জাহাঙ্গীর মেম্বারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর জমির পাশে জাহাঙ্গীর মেম্বারের অফিসে বসে এলাকার লোকজনের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে রামদা, ছুরি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিম মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী।


 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে মূলত সেলিম ব্যাপারীর ছোট ভাই নাদিম বেপারী ও সেলিম বেপারী দুজনেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। সেলিম মেম্বারের আশ্রয় প্রশ্রয়েই নাদিম উক্ত অঞ্চলে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। জাহাঙ্গীর মেম্বার তাদের মাদক ব্যবসায় প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এতে তারা জাহাঙ্গীর মেম্বার এর উপর দীর্ঘদিন ধরে ক্ষিপ্ত ছিল বলে জানা গেছে।


 


হামলায় জাহাঙ্গীর মেম্বার সহ তার ভাগিনা সাজ্জাদ হোসেন (২১), সাহাদাত হোসেন (২৪), আবু সাঈদ (৪৪) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে ভাগিনা সাজ্জাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


 


তাদেরকে জখম করে সেলিম মেম্বার, মামুন আলীর ছেলে রাজা, রাকিবের ছেলে সোহেল, মৃত কালো মিয়ার ছেলে জাহের, ইউনুস মিয়ার ছেলে ইসহাক নবী, সালাউদ্দিন বেপারীর ছেলে মৃদল বেপারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।এই ঘটনায় মামলার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন সাবেক ইউপি মেম্বার সেলিম।


 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস.আই সজিব চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামি সেলিম মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালাবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে অবশেষে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: একের পর এক নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ শুক্রবার দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’। আর এর মধ্য দিয়ে আট বছর পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে কোনো হিন্দি সিনেমা।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় স্পাই থ্রিলার সিনেমাটি আমদানি করেছে ঢাকার পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অনন্য মামুন জানান, ৪১টি সিনেমা হলে প্রথম সপ্তাহে পাঠান–এর ২০৬টি শো রয়েছে।

ভারতে মুক্তির চার মাস পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার সিনেমা হলে সালমান খানের ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তির পর হিন্দি সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নেমেছিলেন শিল্পী ও নির্মাতারা। সেই আন্দোলনের পর দেশের সিনেমা হলে আর কোনো হিন্দি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি।

প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারি মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তোলে ‘পাঠান’। যা বলিউড ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার মধ্যে অন্যতম। সিনেমাটি ইতিমধ্যে আয় করেছে ১ হাজার ৫০ কোটি রুপি। পরে সিনেমাটি অ্যামাজন প্রাইমেও এসেছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’–এর (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) সাবেক এজেন্ট পাঠান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠান সিনেমাটিতে শাহরুখ খান ছাড়াও রয়েছেন- দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম, ডিম্পল কাপাডিয়া, আশুতোষ রানাসহ আরও অনেকে।

যদিও ২২ মার্চ অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তির পর শাহরুখ খানের অনুরাগীদের অনেকেই নানা মাধ্যমে সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন। এরপরও ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে টিকিট কাটতে দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, মধুমিতা, শ্যামলীসহ বেশির ভাগ সিনেমা হলেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে।


আরও খবর