Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

শুটিংয়ে নায়িকাকে জড়িয়ে ধরে ভক্তের চুমু, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:ভক্তদের অনেক আবদারই পূরণ করেন তারকারা। তবে এ আবদার পূরণ করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতি কিংবা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এবার তেমনই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। শুটিং সেটে এক ভক্ত তাকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়েছেন! আর এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার ধামরাইয়ে অপূর্ব রানা পরিচালিত ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার শুটিং চলছিল। থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমার শুটিংয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন শারমিন শিলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজেই ভিডিওটি পোস্ট করেন। এরপর থেকেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে নায়িকা শিরিন শিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে আমার নতুন সিনেমা ‘‘দ্য রাইটারের’’ আউটডোর শুটিং করতে ধামরাইয়ের একটি এলাকায় যাই। এ সময় স্পটে উপস্থিত একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলতে চায়। পরে আমিও তাকে কাছে টেনে কথা বলতে শুরু করি। ওই সময় ছেলেটি আবেগী কণ্ঠে আমাকে বলে- তার নাকি বাবা-মা কেউ নেই, তাকে কেউ ভালোবাসে না। এই কথা শুনে তার প্রতি মায়া জন্মে যায়, তাই আমি তার কাঁধে হাত রেখে আদর করি।

শিলা বলেন, ‘এ সময় সে বলে তার খিদে পেয়েছে, তখন আমি তাকে খাওয়ার জন্য কিছু টাকাও দিই। তখনই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমিও ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।’

এ চিত্রনায়িকা বলেন, ‘পরে আমি তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতে চাইলে সে আবার আমাকে বলে- সে নাকি কখনো গাড়িতে চড়েনি, তাই আজকে আমার সঙ্গে গাড়িতে উঠবে। এই বলেই সে আমাকে আবারও জড়িয়ে ধরে আচমকা আমার গালে চুমু খেয়ে বসে। আচমকা এমন কাণ্ডে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। পরে সেখানে থাকা শুটিংয়ের লোকজন ছেলেটিকে সরিয়ে দিলে আমি গাড়িতে উঠে ফিরে আসি।

‘দ্য রাইটার’ ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ। ছবিটিতে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করছেন শিরিন শিলা। ছবিটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য পরিচালনা করেছেন এ এইচ এম এনামুল হক।



আরও খবর



মধুপুরে অন-লাইন ব্যবসার আড়ালে পর্ণোগ্রাফি ২ জনের জেল জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন উত্তরা আবাসিক এলাকা থেকে অনলাইন ব্যবসার আড়ালে পর্ণোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে দুইটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই যুবককে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডসহ ৩ মাসের জেল দিয়েছেন।


এ সময় তাদের নিকট হতে কাজে ব্যবহ্যত ৮ টি  ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।রবিবার(২৮মে) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মধুপুর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন এবং সহকারী কমিশনার( ভূমি) জাকির হোসাইন পৃথক দৃটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।


দন্ডিতরা হলো- অরণখোলা  এলাকার কালারবাজারের  শাহজাহান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর  সরকার (৩০) ও আউশনারা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে শাহ আলম (২৬), মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়,  পৌর এলাকার উত্তরা আবাসিক এলাকায় মধুপুর রাণী ভবানী স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক  নজরুল ইসলামের  বাসা ভাড়া নিয়ে তারা নেটের মাধ্যমে অবৈধ পর্ণোগ্রাফি ব্যবসা চালাতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে আটক করা হয়। এ অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানানো হয়। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পাঁচ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে (৬৬) পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে চাঁদকে আদালতে হাজির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলায় চাঁদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকিদাতা’ আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভেড়িপাড়া-কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকার পর তিনি প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান। চাঁদকে গ্রেপ্তারের পর আরএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। প্রাইভেটকারে বিএনপি নেতা চাঁদ পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।’

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৯ মে রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল বিএনপির। রাজশাহীর পুঠিয়ার কর্মসূচিতে আবু সাঈদ চাঁদ অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাই। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি আত্মগোপন চলে যাচ্ছেন। তাই আমরা বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসাই। পুলিশের চেকপোস্টে চাঁদ ধরা পড়েন।

গত ১৯ মে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওর বক্তব্যে আবু সাঈদ চাঁদকে বলতে শোনা যায়, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।’ এ ঘটনার পর বিভিন্ন জেলায় চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।


আরও খবর



নির্বাচন নিয়ে বিএনপি দ্বিমুখী আচরণ করছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। একদিকে তারা বলছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে।

আজ রোববার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আবার জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। একইসঙ্গে তারা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারায় লিপ্ত থাকে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাত ধরেই এদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয় তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সকল স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সকল ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনও ষড়যন্ত্রই সফল হবে না, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



মণিপুরে নিহত বেড়ে ৬০, পালাচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে কয়েক শত মানুষ। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার বাসিন্দা। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে এবং সংঘাতে ঘরছাড়া হয়েছে হাজার হাজার জন।

একই দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক নিউজ চ্যানেলে বলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি লোকদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ 

তবে বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটি থেকে দেশের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, মণিপুর থেকে অন্তত ৬০০ মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ।

মণিপুর থেকে যেসব রাজ্য তাদের শিক্ষার্থীদের বা লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি বা মহারাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে সংঘাত থামলেও বর্তমানে রাজ্যটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

অনেক রাজ্যই তাদের লোকদের মণিপুর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে 

এর আগে স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘাতে অনেক গাড়ি এবং ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় সেনাবাহিনী নেমেছে এবং পাঁচদিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।

স্থানীয়রা বলছেন, তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায়। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফালের বাসিন্দা এল সানগ্লুম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখন আর আমাদের নিরাপদ মনে করছি না। কুকির সম্প্রদায়ের এ ব্যক্তি ইম্ফালের বিমানবন্দরের বাইরে তার পরিবারের ১১ সদস্যের সঙ্গে অবস্থান করছেন।

রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে 

রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও বেশ থমথমে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এন বিরেন সিং জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এক হাজারের বেশি বন্দুক লুট হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০০ টি উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, অস্ত্রগুলো ফেরত দেওয়া হলে রাজ্য অভিযান শুরু করবে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরে মেইতেইরা মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। সেখানে নাগা ও কুকিরা ৪০ শতাংশ। এতদিন মেইতেইদের আদিবাসী বলে মানা হতো না।

কিন্তু এবার হাইকোর্ট তাদের সেই তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়। মেইতেইরা এতদিন ধরে ‘নোটিফায়েড' পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারতো না। কিন্তু এবার তারা পারবে। এ সিদ্ধান্তে অন্য আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হন। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে নাগা ও কুকিরা গত সপ্তাহে প্রতিবাদ জানান, যা সহিংসতায় রূপ নেয়।


আরও খবর



পাকিস্তানে সংঘর্ষ, পুলিশসহ নিহত ১৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কয়লা খনির মালিকাধীন নিয়ে দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশও আছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এপি ও ডনের।



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার কোহাত জেলার দারা আদম খেল এলাকায় এ সংঘর্ষ বাধে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন সানি খেল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এবং তিনজন আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। সেইসঙ্গে আহত ১২ জন সানি খেল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর।

ডন বলছে, দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় চার মাইলজুড়ে কয়লা খনি নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এটি আখোরওয়াল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দখলে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার খান বলেন, সোমবার কয়লা খনির সিমান্ত নির্ধারণ ইস্যুতে অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র লোকেরা একে ওপরের দিকে গুলি ছুড়ে। দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী লড়াই বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়।


আরও খবর