Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
মলি আক্তার রিতার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যর যোগসাজসে রাস্তার গাছকেটে বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ছাপরহাটী মণ্ডলের হাটপর্যন্ত পাকা রাস্তা সংলগ্ন উত্তর রাজিবপুর মৃত বকুল মেম্বারের ঘরের পার্শ্বে ২টি বড়গাছ রামজিবন ইউনিয়নের বাজারপাড়ার মৃত্যু হাতেম আলির ছেলে জামাল,মৃত্যু আপাজের ছেলে রাজা মিয়া,ওএকই এলাকার মৃত্যু মহির উদ্দিনের ছেলে আনারুলকে দিয়ে গত২৮ মার্চ রাতের আঁধারে কেটে ফেলে বকুল মেম্বারের স্ত্রী জামেনা।বিষয়টি এলাকা বাসির গাছকাটার ভিডিও ফুটেজ সহ এসিল্যাণ্ড বরাবর অভিযোগকরলে এসিল্যাণ্ডের হস্তক্ষেপে কাটাগাছ উদ্ধারততকরে ইউনিয়ন ভুমিকর্মকর্তার জিম্মায় রেখেদেন। 

এঘটনার কয়েকদিন পরে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও স্হানিয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় জিম্মায় রাখা গাছ বাজারপাড়ার মৃত্যু আঃজব্বার আলীরছেলে আঃ জলিলের নিকট  বিক্রি করে ফেলে।এঘটনা জানার পরে গাছ বিক্রির বিষয়ে  জিজ্ঞাসা বাদ করাহলে কর্তনকারি/বিক্রয়কারি বলেন,,,, তিনি(জামানা)তহশিলদার জুয়েল ও ইউপি সদস্য শামিমের অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ির নিকট বিক্রি করেছেন।

এনিয়ে ইউপি সদস্য শামিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে গাছবিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না, তহশিলদার জুয়েলের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে বলে কাটাগাছ তার জিম্মায় ছিল,বকুলমেম্বারের স্ত্রী তাকে না জানিয়েই গাছগুলো সরিয়ে নিয়ে ব্যাপারির নিকট বিক্রি করেছে।এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন,,,, জানতে চাইলে গত ৯এপ্রিলে তিনি বলেন,,, আমি মামলা করব। কিন্ত  এরও ৬দিন অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত মামলা হয়নি।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে থাকবে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান,জানিয়েছেন জাতীয় ঈদগাহের জামাতসহ ঢাকার সব ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর বলেন, প্রধান জামাতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইকুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন।

এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরও সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন।

ট্রাফিক ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে ৮টি রাস্তা ডাইভারশন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদের নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।

এ ছাড়া, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না।

নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যেকোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশের সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। কেএনএফের বিষয় পাহাড়ে, ডিএমপি এলাকায় কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফের সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই।

বাসের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। সবাই বলেছেন, তারা কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেবেন না।

তিনি আরও বলেন, ডিএমপি এলাকার কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরা রয়েছে, যেন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে পারি।


আরও খবর



মাগুরা জেলা পরিষদের ২২৬ প্রকল্পে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা জেলা পরিষদ এর অনুকুলে ২০২৩- ২৪ অর্থ বছরে এডিপি সাধারণ বরাদ্দের আওতায় গৃহীত  প্রকল্পের চেক বিতরণ করা হয়। ৩১ মার্চ রবিবার দুপুরে এ চেক বিতরণ উপলক্ষে মাগুরা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সানিউল কাদের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ। অনুষ্ঠানে জেলার মোট ৩০৮   টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে  ২২৬ টি প্রকল্পে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার  চেক বিতরণ করা হয়। এ প্রকল্পে মোট ৩০৮ টিতে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি প্রকল্পের চেক বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খোকন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রকৌশলী দীনেশ চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের সদস্য মন্ডলী ও  প্রকল্পের চেক গ্রহনকারী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফের আজিজ খান ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান,মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ফের জায়গা করে নিয়েছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৭৮১ জন, যা গত বছরের চেয়ে ১৪১ জন বেশি।

এর মধ্যে আজিজ খানের অবস্থান ২ হাজার ৫৪৫তম। যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ের খাত হিসেবে রয়েছে জ্বালানি।

ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে, গত বছর সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪১তম। তবে এ বছর তা ৫০-এ নেমেছে।

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, যারা বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স, রিয়েল এস্টেট, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতির ব্যবসা করে।

ফোবর্সের তালিকায় ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন ফ্রান্সের ফ্যাশন ও রিটেইল ব্যবসায়ী বার্নাড অ্যান্ড আরন্ডল পরিবার। যাদের মোট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ২১১ বিলিয়ন ডলার।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। শীর্ষ ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী জেফ বেজোস ১৯৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মূল্য নিয়ে আছেন তৃতীয় অবস্থানে। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ মূল্য নিয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।

বিনিয়োগ গুরু হিসেবে পরিচিত ওয়ারেন বাফেটের অবস্থান ১৩৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ষষ্ঠ, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের অবস্থান ১২৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সপ্তম অবস্থানে।

ভারতের আলোচিত ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ৯-এ অবস্থান করছেন। এ বছর তার সম্পদ মূল্য বেড়ে ১১৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

এ ছাড়া, দশম নামটি ল্যারি পেজের, যিনি গুগলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির মোট ৮১৩ জন বিলিয়নিয়ারের নাম রয়েছে এতে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
এন্ড শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে ডেমক্রেসিওয়াচ এর উদ্যোগে জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক  সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় বেসরকারী  সংস্থা "এসো" এর মিটিং  রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডেমক্রেসিওয়াচ, আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম শাহীন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা "এসো"র নির্বাহী পরিচালক  মতিনুর রহমান, সদর উপজেলা যুব উন্নযন কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান, ক্লাস্টার কো-অরডিনেটর এস এ এম মইন, জেলা সমন্বযকারী মোছাঃ নাসিমা বেগম, ফাইনান্স এন্ড এডমিন অফিসার মোঃ মোস্তফা কামাল সহ জয়পুরহাট জেলার ৫ টি উপজেলা হতে নাগরিক ফোরামের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করেন।

আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর