Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

সুনামগঞ্জে নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৯ : অবৈধ মালামাল জব্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ ৯জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত চিনি, কয়লা ও গাঁজার চালানসহ ৫টি পিকআপ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার রাজাপাড়া গ্রামের মুজিব পল্লীর বাসিন্দা আব্দুল আলীমের স্ত্রী মাদক ব্যবসায়ী কুলসুমা বেগম (৪০), একই উপজেলার আলীপুর গ্রামের আলী আকবরের আসমা বেগম (৩০), একই গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মঞ্জিল মিয়া (৪২), পাশের সাত্তারকোনা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আল- আমিন (২০), মাজাইর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২), পদ্মনগর গ্রামের রবীন্দ্র দেবনাথের ছেলে প্রান্ত দেবনাথ (৩৪), জগন্নাথপুর উপজেলার নলিয়াপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল (২০) ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শনখলা গ্রামের ছবর উল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৯),চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামের আব্দুল মতিন পাটোয়ারীর ছেলে নাজমুল (২৮)।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্ভর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের পৃথক ভাবে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্ভর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী কুলসমা বেগম, আসমা বেগম ও তাদের অটোরিক্সা চালক আব্দুল জলিলকে হাতেহাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপরদিকে ভোর রাতে পাশের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, আক্কল আলী, কামাল মিয়া ও গডফাদার তোতলা আজাদগং ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ৩শ মেঃটন চোরাই কয়লা ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে অর্ধশতাধিক ট্রলি ও লড়ি গাড়ি বোঝাই করে বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনে নিয়ে গেলেও এব্যাপারে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে বিজিবির গোয়েন্দা সংস্থা ডিএসবি সদস্যদের সহযোগীতায় এক লড়ি অবৈধ কয়লা আটক করে বিজিবি।

কিন্তু টেকেরঘাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আনোয়ার হোসেন অবৈধ কয়লা রেখে লড়ি গাড়ি ছেড়ে দেন স্থানীয়রা জানান। এদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি ও তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্ত পথে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ১০লাখ টাকা মূল্যের ১৬০বস্তা অবৈধ চিনি পাচাঁর করে ৪টি পিকআপ বোঝাই করে পাশের দিরাই উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারী আল-আমিন, সুজন মিয়া, মঞ্জিল মিয়া ও প্রান্ত দেবনাথকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ চিনি পাচাঁর করে ঢাকা যাওয়ার সময় জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ নামকস্থানের সড়কে অভিযান চালিয়ে এক ট্রাক বোঝাই আরো ১৬০বস্তা অবৈধ চিনিসহ চোরাকারবারী হাবিবুর রহমান হাবিব ও নাজমুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গডফাদার হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদকে গ্রেফতার না করার কারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। তবে তাহিরপুর উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামে গডফাদার তোতলা আজাদের অন্দর মহল ও সীমান্ত এলাকায় সোর্সদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অর্জিত কোটিকোটি টাকার অবৈধ মালামাল ও সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে সীমান্তবাসী জানান।

বিশ^ম্ভ¢রপুর থানার ওসি শ্যামল বণিক, দিরাই থানার এসআই তপন চন্দ্র দাশ ও জগন্নাথপুর থানার এসআই জিয়া উদ্দিন ৫টি পিকআপ ও ট্রাকসহ অবৈধ চিনি, গাঁজাসহ ৯জন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় পৃৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে জুয়ার টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, থানায় মামলা, আটক -১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী তেঘরবিশা মেলায় জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের হামলায় ছুরিকাঘাতে যুবলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছে। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের আজাদ অটো রাইস মিলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।   এ  ঘটনায় গত  ২০ এপ্রিল রাতে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- জেলা যুবলীগের কর্মী শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম মন্ডল ও একই এলাকার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন।

মামলার আসামী হলেন- জয়পুরহাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাবুর ছেলে পিয়াস আহমেদ পৃথিবী (২৮), একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৫), ওসমান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), হানিফের ছেলে হাসিব (২২), রফিকুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু (২৮)। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা উপলক্ষে তেঘরবিশায় মেলা বসে। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করে মেলাটি ইজারা দেয়। এ বছরও দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। তবে কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি। উপজেলা প্রশাসন মেলা থেকে খাস আদায় করে। মেলাটি গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। মেলা শুরুর পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালু করে। দুদিন পর অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হলেও চলতে থাকে জুয়া। মেলায় পুলিশের পাহারাও ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই জুয়া চালিয়ে গেছেন প্রভাবশালীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেলায় জুয়া চলার সময় গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রদলের পিয়াস নামের এক নেতা তার কিছু ছেলেপেলে নিয়ে মেলায় জুয়া বোর্ড হইতে টাকা দাবি করে এবং ভিডিও ধারনের চেষ্টা করে। এসময় জুয়া বোর্ডের পাশে অবস্থিত দোকানদার তাকে বাধা দিলে পিয়াস দোকানদারকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে খোরশেদ তাদের ডেকে নিয়ে শাসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে মেলা থেকে বের করে দেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদ ও ফারুকের গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার ঘটে।

মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে খোরশেদ ও ভাতিজা ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে খোরশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করেন। আর ফারুক হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছি।

 জয়পুরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর রুহুল আমিন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন নাসিরনগরের মা ও মেয়ে৷

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) ৪৪ বছর বয়সে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাশ করেছেন। এমন খবর জেনে খোঁজ নিতে গিয়ে ফোন করতেই বেশ খুশি নিয়ে বললেন আমার মেয়েও পাশ করেছেন। মা ও মেয়ের একসঙ্গে পাশ করার ঘটনা এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সবাই ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নুরুন্নাহার বেগমের প্রশংসা করছেন। নুরুন্নাহারের পরিবারেও বইছে আনন্দের বন্যা। স্বজনরা ছুটে আসছেন তাঁর বাড়িতে।

নুরুন্নাহার বেগম জানান, তিনি আরো পড়তে চান। অনেক বিপত্তি পেরিয়ে তার এই এগিয়ে চলা। নিজের দুইসন্তান কেও পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। পড়া শুনার কোনো বয়স নেই বলে তিনি মনে করেন। মানুরুন্নাহার বেগমও মেয়ে নাসরিন আক্তার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়া ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।

মা কারিগরি বিভাগ থেকে ও মেয়ে স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। নুরুন্নাহার বেগম জিপিএ ৪.৫৪ ও মেয়ে নাসরিন জিপিএ ২.৬৭ পেয়েছেন। নুরুন্নাহার বেগমের বয়স ৪৪ বছর ও নাসরিনের বয়স ১৮ বছর। কথা হলে নুরুন্নাহার বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। শশুর বাড়ির লোক জন ছিলেন রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারিনি। এক পর্যায়ে মেম্বার নির্বাচিতহই। এ নিয়ে দুইবার মেম্বার। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা করি। কেননা, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনেকরি।

নুরুন্নাহারের ছোট ভাই স্বপন আহমেদ এ বিষয়ে অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বোনের পাস করার খবরে কি যে খুশি হয়েছিতা বলে বুঝানো যাবেনা। একই সঙ্গে ভাগ্নি পাস করলেও তার খবরটি নাদিয়ে ফেসবুকে বোনের রেজাল্টের স্ট্যাটাস দিয়েছি।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ভোটের লড়াই ! ছাত‌কে ৫ জন চেয়া‌রম‌্যান প্রাথীর ম‌ধ্যে ৪ প্রবাসী !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬১জন দেখেছেন

Image

আনোয়ার হো‌সেন র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পনগরী উপ‌জেলা হ‌চ্ছে ছাতক । এই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন এবং দেশের রেমিট্যান্স খাতে বিরাট অবদান রাখছেন। এ উপজেলায় বিত্তবানদের আধিক্য বেশি। আর এ উপজেলায় নির্বাচন ৫

জন চেয়ারম‌্যান প্রাথী‌দের ম‌ধ্যে ৪ জন প্রবাসী মানে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। 

ছাতক আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । যেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতা। এদের ম‌ধ্যে ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু গ‌্যাস ও ব‌্যাংক লোন প্রায় ক‌য়েক কো‌টি কো‌টি টাকা থাকায় তার ম‌নোনয়নপত্র বা‌তিল ক‌রেছেন বাচাই ক‌মি‌টি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক।

গত ১২ মে বোববার আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বতমান উপ‌জেলা চেয়ারম‌্যান ফজলুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত‌্যাহার ক‌রে নি‌য়ে‌ছে । তার প‌ক্ষে আওয়ামীলীগ নেতাকমীরা কেউ প্রচার প্রচা‌রনায় না করায় ক্ষোব্ধ হ‌য়ে ম‌নোনয়পত্র প্রত‌্যাহার ক‌রে‌ছেন।

এদের ম‌ধ্যে ৪ নেতাই প্রবাসী হ‌লেন গো‌বিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃ‌তি ডিগ্রী ক‌লে‌জের  প্রতিষ্টাতা

সা‌বেক ভি‌পি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা, কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন ,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী, ভাইন্স চেয়ারম‌্যান আবু সাফাত মো,লা‌হিন।

গত সোমবার সকাল থে‌কে চেয়ারম‌্যান প‌দে প্রতীক বরা‌দ্ধে পর ছাত‌কে‌ বি‌ভিন্ন স্থা‌নে আনারস মাকা প্রতী‌কের প‌ক্ষে ব‌্যাপক প্রচার প্রচারনা চালি‌য়ে যা‌চ্ছেন। শেষ মূহুর্তের প্রচারণা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম‌্যান প‌দে প্রাথীরা। তারা  ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার ১৩‌টি  ইউনিয়ন এবং পৌর ভোটারদের নিকট বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে ৫ জনের মধ্যে ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন প্রবাসী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা। তার প‌ক্ষে সাধারন ভোটার‌দের সমর্থন র‌য়ে‌ছে।

কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী।

বিগত ২০২০ সালের করোনা এবং বিগত ২০২২ ও ২৩ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় তারা উপজেলা জুড়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন আওলাদ আলী রেজা। 

 বর্তমান চেয়ারম‌্যান আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ফজলুর রহমান।

২০২২ সালে ভয়াবহ বন‌্যায় তার কোন ভু‌মিকা নেই ব‌লে একা‌ধিক ব‌্যক্তিরা অ‌ভি‌যোগ ক‌রেছেন।

তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে  ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তি‌নি  দায়িত্ব পালন করে তিনি জনগণের মন জয় করতে পা‌রে‌নি। নিবাচনী প্রতিশ্রু‌তি রক্ষা করতে ব‌্যর্থ হ‌য়ে‌ছেন তি‌নি। তার আম‌লে উন্নয়‌নের না‌মে ব‌্যাপক প্রকল্প লুটপাট হ‌য়ে‌ছে। কাজ না ক‌রে প্রক‌ল্পের টাকা উত্তোলনের অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে তার বিরুদ্ধে।

এবার পূর্ণ ৫ বছরের জন্য আবারো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ম‌নোনয়ন পত্র দা‌খিল ক‌রে‌ছি‌লেন। অব‌শে‌ষে এ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় তার সাথে কেউ না থাকার ম‌নোনয়নপত্র প্রত‌্যাহার ক‌রে নি‌য়ে‌ছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল দুই যুগ ধ‌রে চ‌লছে। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী  ও মুহিবুর রহমান মা‌নিক এম‌পি গ্রুপ না‌মে দু‌টি গ্রুপ র‌য়ে‌ছে ছাত‌কে। এ দু‌টি গ্রু‌পের বেশী ভাগ নেতা কমীরা রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা্র প‌ক্ষে

প্রচার প্রচারনা চা‌লি‌য়ে যা‌চ্ছেন।তারা হ‌লেন সা‌বেক উপ‌জেলা চেয়ারম‌্যান ও‌লিউর রহমান চৌধুরী বকুল,ইউপি চেয়ারম‌্যান আখলাকুর রহমান,আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া,সা‌বেক ইউপি চেয়ারম‌্যান আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন,ধন মিয়া মালদার,সহ যুবলীগ ছাত্রলীগ সেচ্চা‌সেবক লীগ,শ্রমিকলী‌গের নেতাকমীরা । এছাড়াই গো‌বিন্দগঞ্ছ সৈ‌দেরগাও ইউপি চেয়ারম‌্যান সুন্দর আলীর তার পুত্র কির‌নের পক্ষে

সমর্থকদের বড় একটি অংশ তার সাথে রয়েছেন।যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী ভোটার মাঠে নবাগত। নবাগত হলেও তার সাথেও উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের একটি অংশ সাথে রয়েছেন।

 তবে বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি বা ইসলামি সংগঠনের কোনো প্রার্থী না থাকায় এইসব দল সমর্থকদের ভোট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে এই উপজেলায়।তবে সাধারন ভোটারদের মধ্যে এখনো নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, সব মিলিয়ে ভোটারদের নির্বাচনমুখি করতে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম‌্যান ও ভাইন্স‌চেয়ারম‌্যান প্রার্থীরা। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-এর ২০১১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাতক উপজেলার জনসংখ্যা: পুরুষ ১লাখ৯৭ হাজার,৯শত ৫২ এবং মহিলাএক লাখ ৯৯ হাজার ৬শত ৯০জন, মোট ৩,৯৭,৬৪২ জন,মৌজাঃ ৩১০টি

 গ্রামের সংখ্যা: ৫৪৭টি গ্রাম নি‌য়ে ছাতক উপ‌জেলা গ‌ঠিত হয়। অনলাইনে দেখা‌চ্ছেন ভোটার সংখ‌্যা পুরুষ এক লাখ ৬০হাজার ৪৪জন,এবং ম‌হিলা একলাখ ৫১হাজার ৯শত ৩জন মোট ভোটার সংখ‌্যা ৩ লাখ ১১হাজার ৯শত৫৭ জন। উপ‌জেলা নিবাচন অ‌ফিস সুত্রে জানায়,কেন্দ্র সংখ‌্যা ১০৩ বুথ সংখ‌্যা ৬শত ৭১। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৯হাজার ১শত ৩৪জন ও ম‌হিলার সংখ‌্যা এক লাখ ৫১হাজার ৯শত ৪২জন।


আরও খবর

ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে এ তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়াকে।

এর আগে গত ৩০ মার্চ দিনগত রাত ২টা ৫৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে।


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর