Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সুমী শারমীনের নতুন গান ‌‌‘চল বেঁচে থাকি’

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:সুমী শারমীন মাত্র সাড়ে চার বছর বয়স থেকে ১১বছর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে ওস্তাদ সাইমুদ আলী খাঁন, ওস্তাদ ওমর ফারুক, ওস্তাদ আজাদ রহমান, শ্রী মঞ্জুশী রায়, পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীর কাছে বেনারেস ঘারানায় ক্লাসিকাল ধ্রুপদে এ তালিম নেন। নতুন কুঁড়িতে চ্যাম্পিয়নসহ জাতীয় পর্যায়ে সংগীত এর বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম হয়ে ১১টি স্বর্ণপদক অর্জন করেন এই শিল্পী। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকায় ছাত্রী থাকা অবস্থায় প্লেব্যাক, জিঙ্গেলসহ বিভিন্ন চ্যানেলে সংগীত পরিবেশন করে আসছেন। প্রথম প্লেব্যাক করার সৌভাগ্য হয় দেশবরেণ্য গুনী সুরকার সত্য সাহা’র হাত ধরে মাত্র সাত বছর বয়সে। ফোয়াদ নাসের বাবুর হাত ধরে জিঙ্গেলে নাম লেখান তিনি। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে, বাপ্পা মজুমদার, রিপন খানসহ একাধিক গুনী মেধাবী শিল্পীদের সাথে গান করার পাশাপাশি নামকরা বিজ্ঞাপনের কন্ঠযোদ্ধা সুমী শারমীন। ১৯৯৪ সালে তার প্রথম মৌলিক গানের একক এলবাম প্রকাশিত হয়। দেশের বাইরে দীর্ঘদিন উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান অষ্ট্রেলিয়ায়। সেখানেও থেমে থাকেন নি সুমী। মেধাবী এই শিল্পী আন্তর্জাতিক ব্যান্ডে মেইন ভোকালিস্ট হিসেবে বিভিন্ন দেশে সংগীত পরিবেশন করেন। ব্রিসবেন রেডিও তে প্যানেল অপারেটর, ব্রডকাস্টিং, প্রেজেন্টার হিসেবে চাকরি করে সুনামের সাথে সাত বছরের লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। দেশে ফিরে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের সাথে গানচিল মিউজিক থেকে মিউজিক ভিডিও সহ মৌলিক গান প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। এরপর ২০২২ এ সুজন আরিফের সাথে আরেকটি নৌলিক গান প্রকাশিত হয় এই শিল্পীর। এবছর শিল্পী সুমী শারমীন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জয়িতা অন্মেষনে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা পদক অর্জন করেন। গানের পাশাপাশি তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জার্নালসহ একক বই ১৮টি। তিনি জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত গীতিকার হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বেতার ঢাকা এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে সুমী শারমীন উচ্চাংগ সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক গানের তালিকাভুক্ত শিল্পী। শত ব্যস্ততার মাঝেও গানের সঙ্গেই বসবাস করছেন এই শিল্পী। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ পেল তার নতুন গান ‘চল বেঁচে থাকি’।

গুঞ্জন রহমানের গীতিকবিতায় গানটির সুর করেছেন রাজিব হোসাইন আর সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুজন আরিফ। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাহি

আব্দুল্লাহ। ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক একাধিক অ্যাপ এ।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগনিয়ে দ্বন্দ্বঃবাড়ি অগ্নিসংযোগ,,,আহত-২

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের মৃত্যু মফিজ উদ্দিনের ২ ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৬৩) ওশাহা মিয়া(৬০) এর পুরাতুন ভিটা ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বজরা হলদিয়া মৌজাস্ত নলডাঙ্গা রাস্তার পাশের জমির সমবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিন হতে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

এর জেরে গতকাল সকাল ৯টারদিকে সিরাজল ও শাহা মিয়ার জমির মাঝের ঘিরা সরানোকে কেন্দ্রকরে তর্কাতর্কির শুরুহলে একপর্যায়ে শাহা মিয়া ও তার ছেলে জাকিরুল,ভাতিজা মোজাম্মেল পিতা মহির উদ্দিন গংরা সহ সিরাজুলের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান সিরাজুল।এতে তার টিনের চৌচালা বসত ঘর ও রান্নাঘর পুড়ে ভস্ষিভুত হয়।এসময় বাধাঁ দিতে গেলে তারা সকলে মিলে সিরাজুলের স্ত্রী জরিনা বেগমকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে ও সিরাজুলকে বেধরক মারপিট করলে তারা উভয়ে মারাত্নক আহত হওয়ায় সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোকলেছুর রহমান মণ্ডল জানান,ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৯টার দিকে আমি ঘটনাস্হলে যাই,,এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্হিতি লক্ষ করি,এবং উভয়পক্ষকে আমি শান্তহতে বলে আমি পাশে মিজানুরের বাড়িতে যাই,,,এর কিছুক্ষনের মধ্যে সিরাজুলের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে।ঘটনা চলাকালিন সিরাজুল ৯৯৯ ফোন করায় তাৎক্ষনিক ভাবে সুন্দরগঞ্জথানার এ এসআই আলমগির হোসেন সঙ্গীয র্ফোসসহ ঘটনা স্হান পরিদর্শন করেন এবং পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুত্তি চলছে বলে জানা গেছে।

আরও খবর



চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের কার্যকারিতা এখন আর নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই , মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে?

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার দেওয়া সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটা নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না।

তিনি আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেড়েছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, যে সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটা তিনি (জনপ্রশাসন মন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিন্তু একটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।


আরও খবর



পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



হজযাত্রীদের থেকে কুরবানির টাকা নিতে পারবে না এজেন্সি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কোরবানির অর্থ হজযাত্রীদের কাছে থেকে নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলোকে ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি দিতে হবে। এছাড়া হজযাত্রীর মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের নিকট হতে হজে গমনের পূর্বে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাসমূহ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সভায় আরও জানানো হয়-সৌদি আরবের পক্ষ হতে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া, হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানানো হয়।

হজযাত্রীর মাধ্যমে জেদ্দায় জর্দা পাঠাচ্ছে এজেন্সি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা হজযাত্রীর মাধ্যমে জেদ্দায় জর্দা পাঠাচ্ছে এজেন্সি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর



আত্রাইয়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু, আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৮২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছে ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরো ৭দিন সময় লাগতে পারে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ও কৃষি বিভাগের যথাযথ পরামর্শে যথাসময়ে কৃষকরা ভালো পরিচর্যা করায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।

একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে কৃষকদের কষ্ট হলেও ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই এর কাজ করছেন তারা। পাশাপাশি বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ভালো ফলনে বেজায় খুঁশি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর এ সময় দেশের দক্ষিণ ও উওরাঞ্চল বিশেষ করে নাটোরের লালপুর, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আসতে শুরু করেছে। এদিকে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দিগন্তজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বাজারে নতুন ধানের আমদানি হওয়ায় কেনা-বেচা শুরু হলেও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, মনিয়ারী, পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়ে সর্বাধিক পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের বোরোচাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপন ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটতেও শুরু করেছে। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে ধানের শীষের সাথে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। 

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এ বছর ১১ বিঘা জমিতে  বোরো লাগিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের কৃষক মো. আজাদ সরদার জানান, আমি এবার ১৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর হাটের ধান ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

এ ব্যাপারে পাঁচুপুর  ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, আমরা বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, বোরো চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরুও হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি। 


আরও খবর