Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে তোলপাড়, ম্যানেজার যা বললেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক ভোক্তা। বিষয়টি নিয়ে এরপর থেকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে দাবি করেছেন, কাচ্চিতে খাসির মাংসের নামে অন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে সুলতান’স ডাইন বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তারা মাংস নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘তারা সরাসরি এসে খাবারটা নিয়ে যান। তারা একটি ব্যাংকে কর্মরত। সাতটা হাফ কাচ্ছি নিয়ে যান এখান থেকে। নিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর তারা ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান। ফোন দিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। তারা ফোন করে বলেন, ‘আপনারা বাটপাড়ি ব্যবসা করেন, খারাপ ব্যবসা করেন। আপনারা এই ধরনের খাবার কিভাবে দেন।’ আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা (যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন) আমাকে বলেন, ‘ওই ব্যাটা, তরা বাটপাড়ি ব্যবসা করস। তরা খাবারে এসব দেস।’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কী দেই? তারা বলেন, ‘তরা হাতি-ঘোরা কী দেস! বিড়ালের মাংস দেস।’ বিষয়টি আমি তাদের বুঝিয়ে বলি। আমি তাকে বলি, ‘আপনারা চাইলে আমাদের রান্নাঘর পরিদর্শন করতে পারেন। এসে দেখেন আমরা কিভাবে খাবারটা প্রক্রিয়া করি।’

সুলতান’স ডাইনের এই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন, ‘আমাদের খাসিগুলো ছয় কেজি থেকে সাড়ে ছয় কেজি, আট কেজি বা ৯ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এর বেশি হতে পারে না। কারণ খাসি এর থেকে বেশি বড় হলে গোশত সিদ্ধ হবে না। এমন বেশি ওজনের খাসি দেওয়া যাবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট থেকেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের আবার খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করে সুলতান’স ডাইন- এমনটি জানিয়ে আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, খাবার নিয়ে যেতে যেতেই আবার ফোন করে তারা। তারা আমাকে হুমকি দেয়। বলে, ‘আমি কী এটা ভাইরাল করে দেব। র‌্যাবকে ফোন করে কি ধরিয়ে দেব?’

তিনি দাবি করেছেন, ‘খাবার নিয়ে কিছুক্ষণ পরে সেখানে যান আমাদের কয়েকজন। যাওয়ার পর তারা কয়েকজন মিলে আমাদের লোকদের টর্চার করেন। সেখানে আমিও যাই। গিয়ে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের বলি, আপনারা চাইলে মাংসাটা ল্যাবেও পরীক্ষা করাতে পারেন। কিন্তু তারা আমাদের চাপ দিতে থাকেন।

যারা কাচ্ছি নিয়ে গিয়েছিলেন তারা টাকা দাবি করেন জানিয়ে আশরাফুল আলম বলেন, “তারা আমাকে র‌্যাব-দুদকের হুমকি দেখায়। তারা আমাকে যুবলীগের হুমকি দেখায়। একজন মহিলা এসে বলছেন, ‘র‌্যাবকে খবর দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব আসছে। এদেরকে ধরিয়ে দেও।’ তারপর আমাকে তাদের বাসার নিচে যেতে বলেন, নিচে যাওয়ার পর একজন আমাকে বলেন, ‘কী করবেন এখন বলেন?’ আমি তাকে বলি, কী করতে হবে বলেন, সেটা আমি করব। তখন তিনি বলেন, ‘১০ হাজার টাকা দেন।’ আমি তাকে বললাম, ১০ হাজার টাকা দেব কেন ভাই? আমি খারাপ খাবার দিয়েছি? আমি যদি বিড়ালের মাংস দিয়ে থাকি সেটা বলেন? প্রমাণ করেন! আমি তো টাকা দেব না।

কয়েকজন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে জানিয়ে সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘ইজ্জতের ভয়ে আমি চলে আসি। তারপর ম্যানেজারকে জিম্মি করে রাখে। একটি ক্লাবে আটকে রেখে আমাদের ফোন করে। সন্ধ্যার দিকে তারা ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়। আমরা এ নিয়ে কিছু বলিনি। এই ঘটনার পর আমাদের নামে দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।


আরও খবর



ডোমারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে একই দিনে বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী)প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ১০জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্ল্যার নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক মাহামুদ উন নবী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম, এসআই কাওছার আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, ডোমার পৌর এলাকার ছোট রাউতা ময়দান পাড়ার অফির উদ্দিনের ছেলে আঃ মান্নান (৫০), বাবুল মিয়া (৫৫), মজনু মিয়া (৫২), বাবুল হেসেনের ছেলে সাজু ইসলাম (৩০), আঃ মান্নানের ছেলে মুন্না (২৫), চিকনমাটি বসতপাড়া এলাকার ফজলু রহমানের ছেলে আল-আমিন রহমান রাজু (২৫), মৌজাপাঙ্গা এলাকার আফছার আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (৩০), মৃত অলিয়ার রহমানের ছেলে মানদুল ইসলাম (৪০), জলঢাকা বালাপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফজল আলী (৪৯) এবং নীলফামারী সদর সিংদই জেলেপাড়া এলাকার শরৎ দাসের ছেলে রতন দাস (৩৫)।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহামুদ উন-নবী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ জন আসামীর মধ্যে ৩০ এপ্রিল ভোর রাতে ডোমারে ছোট রাউতা ব্রাহ্মন পাড়ার পুরহিত বিজয় চক্রবর্তীর বাড়ীতে চাঞ্চল্ল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রতন দাসকে গ্রেফতার করি। এর আগে গত ১ মে ডাকাতি মামলার ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকা, কাসার প্লেট গ্লাস, মোবাইল ফোনসহ ডাকাতির কাজে ব্যহৃত এ্যাপাসি ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



গাইবান্ধায় ইউএনবির সাংবাদিকসহ ৮ সাংবাদিক পেলেন গুনীজন সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য গাইবান্ধায়, ইউএনবি ,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ও মাছরাঙা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়ালসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৮ জনকে গুণিজনকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সাঘাটা উাপজেলায় সেচ্ছাসেবী সংগঠন উদয়ন স্বাবলম্বী সংস্থার ৪৪ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।সাঘাটা উপজেলার পুটিমারীতে উদয়ন চত্বরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকালে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করেন নারী নেত্রী অমিছা বেগম ও সংগঠনের নির্বাহী প্রধান সাহাদাৎ হোসেন মন্ডল।পরে স্মৃতিচারণ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ,মাছরাঙা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর ইউএনবির গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল,চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডা. এবিএম আবু হানিফ,যুব সংগঠক রাজেশ বাঁশফোর,রত্মগর্ভা মা সিদ্দিক খানম,নারী নেত্রী মোছা. নুরুন্নাহার বেগম,শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক সরকার,সাহিত্যে আলী ইব্রাহিম,শিক্ষক সঞ্জিব বর্মন সহ ৮ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়।সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আবু হানিফ।আলোচনা সভায় অংশ নেন একুশে টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আফরোজা লুনা ,উদয়ন স্বাবলম্বী সংস্থার নির্বাহী প্রধান সাহাদৎ হোসেন মন্ডল,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মন্ডল,অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু,খাদিজা বেগম সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

আরও খবর



‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা মারা গেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজা মৌলির ‘আরআরআর’ সিনেমাটি ভারতকে বিশ্বের কাছে আলোকিত করেছে। এই সিনেমার মাধ্যমে দেশটি অস্কার জিতেছে। কিন্তু এবার এল দুঃসংবাদ। এতে দিল্লির কর্তৃত্ববাদী গভর্নরের ভূমিকায় অভিনয় করা খল-অভিনেতা রে স্টিভেনসন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, গত রোববার রাতে রে স্টিভেনসনের মৃত্যু হয়। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিভাবান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ‘আরআরআর’ সিনেমার টিম। টুইটার হ্যান্ডেলে স্টিভেনসনের একটি ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ‘আরআরআর’ টিম রে স্টিভেনসনের আত্মার শান্তি কামনা করি। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবেন।

স্টিভেনসন ‘থর’ সিনেমায় একজন অ্যাসগার্ডিয়ান যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছিলেন। এ ছাড়া এইচবিও’র ‘রোম’ এও দেখা গেছে তাকে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের উত্তর আয়ারল্যান্ডের লিসবর্নে জন্ম স্টিভেনসনের। ব্রিস্টল ওল্ড ভিক থিয়েটার স্কুল পড়ালেখা এবং ব্রিটিশ টেলিভিশনে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ সালে ‘দ্য থিওরি অফ ফ্লাইট’ এর মাধ্যমে হলিউডে ডেবিউ করেন তিনি।


আরও খবর



বাড়ির ছাদে মিলল নিখোঁজ শিশু সুমাইয়ার লাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নিখোঁজের ২০ঘণ্টা পর বাড়ির ছাদ থেকে শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৮) লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।৬ মে ২০২৩ রোজ  শনিবার সকালে সাড়ে ১০ঘটিকার সময়  উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের এক নংওয়ার্ডে ঘরের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। সুমাইয়া ওই এলাকার মৃত আছমত আলীর মেয়ে।

নাসিরনগর থানার  অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ঘটিকার সময়  নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সুমাইয়া। আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বাড়ি-ঘরে খোঁজাখুঁজির পর সুমাইয়াকে না পেয়ে গ্রামের মাইকে নিখোঁজে সংবাদটি প্রচার করা হয়।তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সুমাইয়ার  নিখোঁজের বিষয়টি ঢালাও ভাবে প্রচার করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কক্সবাজারে ভয়ংকর অপহরণ সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ আটক-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের বহিস্কৃত এসআইয়ের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ভয়ংকর একটি অপহরণচক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব।সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক এবং এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব -১৫।গত শুক্রবার (১৯ মে) কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজ (৪০)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার মৃত এরশাদ আলমের পুত্র।

চক্রের বাকি দুই সদস্য হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোঃ ইউনুসের পুত্র এমডি মুন্না (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের পুত্র  মোঃ ইউসুফ।র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকা উত্তরার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আংশিক মুক্তিপণ পরিশোধ করা হলেও মুক্তি মেলেনি শাহজাহান ও মঞ্জুরের। অপহৃত আরেক দম্পতিকে অপহরণ করে দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে একে একে ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অপহৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা বিকাশে দুই লাখের বেশি টাকা মুক্তিপণ দিলেও তাদের ছাড়া হয়নি। অপহরণকারীদের দাবি ছিল আরও অনেক বেশি টাকা। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদা মতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

নিরুপায় হয়ে স্বজনরা বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে কাজ শুরু করে র‌্যাব।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় এই সিন্ডিকেটের দুটি সুরক্ষিত ও গোপন আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। পরে রাতভর এসব আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে কলাতলী থেকে চক্রের দুই সদস্যকে এবং পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুগন্ধা এলাকার অপর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের প্রধান ও পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।র‌্যাব জানায়, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পাশাপাশি চাকরিও হারান তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত ও কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এসআই ইকবাল তার শ্যালক মুন্নাসহ ৭-৮ জন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ বাণিজ্যের রমরমা এই সিন্ডিকেট। চক্রের সদস্যরা দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মানুষদের টার্গেট করে অপহরণ করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ফোন করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো।গত শুক্রবার (১৯ মে) অপহরণের শিকার শাহজাহান কবিরের বোন মোসাম্মৎ আমেনা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি ও উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।এ বিষয়ে কক্সবাজার র‌্যাব -১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিক অপহরণ-মুক্তিপণ সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে র‌্যাবের যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি।তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে যা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। 


আরও খবর