Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুদানে রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ খাচ্ছে কুকুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিকবাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘর্ষে উত্তাল সুদান। দফায় দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী খার্তুমের দখল নিয়ে সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলার পর শহরের বাসিন্দারা এমন এক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যা তারা আগে কল্পনাও করেন নি। শহরের রাস্তায় রাস্তায় যেসব মৃতদেহ পড়ে আছে সেগুলোর ব্যাপারে তারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

ওমর নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি তিনজনকে তাদের নিজেদের বাড়ির ভেতরে কবর দিয়েছি, আর বাকিদের কবর দিয়েছে আমি যে রাস্তায় থাকি তার প্রবেশ মুখে। বনিরাপত্তার কারণে সুদানের এই ব্যক্তির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটা কুকুর কামড়ে কামড়ে মৃতদেহ খাচ্ছে- ঘরের দরজা খুলে এই দৃশ্য দেখার চেয়ে এটা ভাল ব্যবস্থা।

দুই বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তাল সুদান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত কত জন নিহত হয়েছে তা কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে। যাদের মধ্যে বহু বেসামরিক মানুষও রয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ওমর কম করে হলেও ২০ জনকে কবর দিয়েছে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, আমার এক প্রতিবেশী তার বাড়িতে নিহত হয়েছে। আমি কিছু করতে পারিনি। তবে তার বাড়ির মেঝের সিরামিক টাইলস উঠিয়ে সেখানে একটা কবর খুঁড়ে তাকে মাটি চাপা দিয়েছি।

রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো গরমে পচে যাচ্ছে। আমি কী বলতে পারি? খার্তুমের কিছু কিছু এলাকা এখন কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে বলে জানান ওমর।

গত মাসে ওমর খার্তুমের আল-ইমতিদাদ এলাকায় তার বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি রাস্তার পাশে চারজনের জন্য কবর খুঁড়েছিল। ওমর বলেন, আশেপাশের এলাকার এরকম আরো কয়েকজনকে তিনি চেনেন যাদেরকেও ঠিক একই কাজ করতে হয়েছে।

ওমর বলেন, নিহতদের অনেককে খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের কিছু এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে। এটা একটা তেলের স্টেশনের পাশে, সবাই এই জায়গাটা চেনে। বাকিদের কবর দেওয়া হয়েছে মোহামেদ নাগিব রোডের কাছের কিছু এলাকায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সুদানে ঠিক কতো সংখ্যক লোককে বাড়ির ভেতরে এবং বিভিন্ন বসতি এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে তার কোনো হিসেব নেই।

রাস্তায় পড়ে আছে লাশ 

এরকম আরেকজন হামিদের (ছদ্মনাম) অভিজ্ঞতাও একই ধরনের।

বিবিসিকে হামিদ বলেন, রাজধানী খার্তুম থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শাম্বাত শহরে সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্যকে কবর দিয়েছি আমি। সামরিক বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে তারা নিহত হন।

হামিদ জানান, ঘটনাক্রমে আমি সেদিন ওই এলাকায় ছিলাম। আরো পাঁচজন লোক নিয়ে আমি মৃতদেহগুলোকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করি। তার পর সেগুলোকে এমন একটা জায়গায় দাফন করি যার পাশ ঘিরে কিছু আবাসিক ভবন।

হামিদ একজন প্রপার্টি ব্যবসায়ী যিনি ওই এলাকায় ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন এই কবর দেওয়াটা তার দায়িত্ব।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মধুপুরে রাবার বাগান ধ্বংস করে ফসলি জমি বানানোর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুরের চাদপুর রাবার বাগানের জিগাতলা ক্যাম্পের আওতাধীন প্রায় ১০ একর জায়গায় রাবার গাছ কেটে ফসলি জমি বানিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ জিগিতলা ক্যাম্পের মাঠকর্মী মো.মোজাম্মেল হক ও টিএস মামুন রাবার বাগানের রাবার গাছ কেটে ফসলি জমি বানিয়ে বিভিন্ন জনকে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

এব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাবার বাগানের ভিতর কলা,আনারস,ও লেবুর বাগান রয়েছে। এছাড়াও  ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দক্ষিন চাটারবাইদেও রাবার বাবানের গাছ কেটে সেখানেও প্রায় ৩ একর জমিতে ফসলি জমি করে দেয়ার বন্দবস্ত করে দেন মাঠ কর্মী মোজাম্মেল হক।  তার বিরুদ্ধে জিগাতলা ক্যাম্পের পার্শবর্তী রাবার বাগানে থাকা একটি কাঠাল গাছ কেটে নিয়ে ফার্নিচার বানানোর অভিযোগ রয়েছে ।  এ বিষয়ে  স্থানীয় পিচম্যান টেপার বাচ্চু মিয়া র্দুনীতি দমন কমিশন ( দুদক) সহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন বলে জানা যায়।

এবিষয়ে  জিগাতলা ক্যাম্পের মাঠকর্মী মোজাম্মেল হকের সহিত কথা বলে  জানা যায়, আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য কতিপয় ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।  এসকল ঘটনার সহিত আমি জড়িত না বলেও জানান তিনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকালে বড়কুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তর বড়কুল কালাসীতার বাড়িতে স্বামী উত্তম বর্মণ (৬২) ও স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মণ (৫৫) মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।


খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।মৃত উত্তম বর্মণ ও কাজলী রানী বর্মণের মেয়ে রিনা রানী বর্মণ জানান, বাবা-মায়ের সাথে কারোর শত্রুতা ছিলো না। কেনো তাদের হত্যা করা হলো এর বিচার চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সাহা জানান, সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখেন মা-বাবা ঘুম থেকে উঠেনি। ডাকার পর সাড়া শব্দ না পেয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভেতরে দরজা খোলা দেখে পাশ্বের বাসার লোকজনকে খবর দেন। পরে দেখেন দু'জনের হাত-পা বাঁধা লাশ পড়ে আছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, এলাকায় চোর-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে চলছে। চুরির বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে,  পারিবারিক দ্বন্দ্বে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। তারা মূলত ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাদেরকে হাত পা বেধে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুব সহসাই গ্রেফতার করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই তদন্ত করছে  

আরও খবর



তানোরে বিলের বাঁধের রাস্তা নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরের সীমান্ত ঘেষা বিলের বাঁধের রাস্তা নির্মানে একেবারেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কার্পেটিং করার পায়তারা করছেন এমপি আয়েনের ভাই ঘাসিগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু ও ভূলু নামের ব্যক্তি বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। শুধু তাই না গত মাসে বৃষ্টি কাঁদা পানির মধ্যে নামমাত্র ইট বালু দিয়ে রেখেছিলেন। কাঁদার ভিতরেই য়ত সামান্য বালু ও খোয়া দিয়ে রোলার করে রাখা হয়েছে। কিন্ত প্রাইম বোড ও  কার্পেটিং করার আগেই পুরো রাস্তা দেবে গেছে, অনেক জায়গা ভেঙ্গেও গেছে। কার্পেটিংয়ের আগেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে পিচ দেওয়ার সাথে সাথেই উঠে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে করে সরকারে কোটি টাকা জলে পড়া ছাড়া কিছুই দেখছেন না স্থানীয় ঠিকাদারেরা। ফলে রাস্তাটি সরেজমিনে তদন্ত করলেই ভয়াবহ অনিয়ম ধরা পড়বে। কিন্তু এমপি আয়েনের ভাই কিনে করছেন এজন্য কেউ দেখতেও আসেনা।ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিল কুমারী বিলের মোহনপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এমপি আয়েনের জলসা ঘর খ্যাত বাঁধে চলছে  নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০০ মিটার রাস্তার কাজ। এর আগে গত বছরে ওই রাস্তার নিচ থেকে মাটি কেটে উঁচু করা হয়। মাটি দিয়ে উঁচু করার সময় বাঁধের শতশত ছোটবড় গাছ কেটে মরুপ্রান্তর করে ফেলা হয়েছে বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। নিম্নমানের কাজের জন্য টিকসই নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে এমপি ও কিনে কাজ করা ঘাষিগ্রাম ইউনিয়ন (ইউপির)  চেয়ারম্যান বাবলুর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছেন না। ফলে রাস্তার কাজ নিয়ে জেলা কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্ত করার জোর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। নচেৎ ধাপ্পাবাজির কাজ করে যাবেন চেয়ারম্যান বলেও স্থানীয় দের অহরহ অভিযোগ। সরেজমিনে দেখা যায়, বিলকুমারী বিলের ব্রীজ ও পূর্ব দিকের সংযোগ সড়ক বা তুলসী খেত মোড় থেকে দক্ষিণে ২৫০০ মিটার রাস্তার কাজ চলছে। মোড়ে নিম্নমানের খোয়া খাম্বা মারা আছে। কোন ধরনের বালু ছাড়াই মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। দুপারে এজিং করা হলেও কাঁদা মাটি দিয়েই ভরাট করছেন মিস্ত্রিরা। তারা জানান আমাদেরকে চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু যে ভাবে কাজ করতে বলেছেন সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। এজিংয়ে বালু খোয়া কেন দিচ্ছেন না জানতে চাইলে তারা জানান আমরা কিছুই বলতে পারব না।

জানা গেছে, বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে রাস্তার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয় মোহনপুর এলজিইডি অফিস থেকে। দরপত্রে মাটির রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ পান শহরের রায়হান নামের ঠিকাদার। তিনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু লোকসানের জন্য তিনি কাজটি করেননি বলে নিশ্চিত করেন মোহনপুর এলজিইডি অফিস।  সম্প্রতি রাস্তার কাজ কিনে করছেন এমপির বড় ভাই ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  আজহারুল ইসলাম বাবলু ও তাদের সহচর ভুলু।মোহনপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। উপসহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরের কাজ। যে সময় দরপত্র আহবান করা হয়েছিল তারপরেই নির্মান সামগ্রীর দাম ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। কাজটি পান শহরের ঠিকাদার রায়হান। কিন্তু লোকসান হবে এজন্য সে কাজ করেননি। আমাদের ও এমপির অনুরোধে চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু কাজটি করছেন। ২০২১-২২ অর্থ বছরের কাজ এখন কিভাবে ও কাঁদা পানির মধ্যে কার্পেটিংয়ের জন্য ডাবলু বিএম ও এজিং করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তার কাজটি করা মানেই লোকসান। কিন্তু দরপত্র আহবান করা হয়েছে কাজ করতেই হবে। সবার অনুরোধে কাজটি হচ্ছে।  ২৫০০ মিটার রাস্তার বিপরীতে বরাদ্দ ৯৪ লাখ টাকা। যদি কার্পেটিংয়ের আগে দেবে, বসে ও ভেঙ্গে যায় তাহলে কার্পেটিং করতে দেওয়া হবেনা। কিন্তু রাস্তার কাজের সময় অফিসের কোন লোকজন থাকেনা। 

সুত্র মতে, এক অর্থ বছরের কাজ আরেক অর্থ বছরে করার নিয়ম নেই। কারন জুন ফাইনালে সকল কাজের হিসেব দিতে হয়। যদি কোন কাজ না হয়ে থাকে তাহলে সে বরাদ্দ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এখানে সে নিয়ম অমান্য করেছেন মোহনপুর এলজিইডি।স্থানীয় ঠিকাদারেরা জানান, মোহনপুরে অনেক জনবহুল ভাঙ্গাচোরা পাকা ও মটির রাস্তা আছে অনেক। সেগুলো  না করে এমপি আয়েন তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বর্ষা মৌসুমে তার জলসা ঘরের বাঁধের রাস্তা করছেন। এরাস্তায় তেমন একটা যানবাহন চলাচল করেনা। শুধু বোরো মৌসুমেে সামান্য পরিমান যান চলে। এর আগে তুলসী খেত থেকে মেলান্দ পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় অসংখ্য ফাটল ও ভেঙ্গে একাকার।এছাড়াও তুলসী খেত মোড় থেকে গোয়ালপাড়া রাস্তার ধার ভেঙ্গে ঝুকিতে পড়ে আছে। কার্পেটিং রাস্তা করতে হলে আগে হেয়ারিং বন্ড বা এইচবিবি করে রাখতে হয় কয়েক বছর, তারপর হয় কার্পেটিং। এসব রাস্তা করা মানে সরকারের টাকা পানিতে ফেলা। গতবার মাটি দিয়ে উঁচু করা হল, সেই মাটির উপর করা হচ্ছে কার্পেটিং । এর চেয়ে বড় ধোকাবাজি আর কি হতে পারে।রাস্তায় কার্পেটিংয়ের আগেই বসে একাকার।তাহলে পিচ দিলে কি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এমপিরা সর্বময় ক্ষমতার মালিক, তার ব্যক্তিসার্থের রাস্তা এজন্য কর্তাবাবুদের কোন মাথা ব্যাথা নাই। কারন বাঁধের শতশত গাছ কাটা হয়েছে নির্বিচারে। অপ্রয়োজনীয় রাস্তায় কোটি টাকা জলে পড়া ছাড়া কিছুই না।

ঘাষিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলুর ব্যক্তিগত ০১৭১১-০১৩৮৮৪ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।তবে তার পার্টনার ভূলু জানান, রাস্তার কাজটি পেয়েছিল শহরের ঠিকাদার রায়হান। সে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করলে ৮ লাখ টাকা লোকসান হবে, এজন্য সে কাজ করেননি। এমপি ও এলজিইডির অনুরোধে চেয়ারম্যান ও আমি কাজটি করছি।

প্রসঙ্গত, রাস্তাটি নিয়ে আমাদের রাজশাহী পত্রিকা সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। 

আরও খবর

বিপদজনক সংযোগ সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিএনপির শাসনামলে সকাল বিকেল মানুষের ওপর অত্যাচার হতো: মেয়র খালেক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপির সময়ে সকাল বিকেল মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করা হতো। মাছের ঘের দখল আর লুটপাট চলেছে। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান করেনি। আ' লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই চিত্র পাল্টে দিয়েছে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে আয়রন রিমোভাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উদ্ধোধন শেষে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, একদল পরিবেশবাদীদের খেয়ে কোন কাজ নেই। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারের অনেক উন্নায়ন বাধাগ্রস্ত করেছে। কমিউনিস্ট পার্টির স্থানীয় এক নেতা আছে। সেই এগুলো বেশি করে। 

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময়ও তারা বাধা দিয়েছে। তারপরও সেই প্রকল্প হয়েছে। এটি শুধু এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ নয়, এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। এখন এই প্লান্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গ্রামের অবহেলিত মানুষের আর্থ সামজিক মানোন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের মানুষের কাছে তারা বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দিচ্ছে। লবনাক্ত এই এলাকার অন্তত দুই হাজার পরিবার এই পানি ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করছেন। মোংলা বন্দর উন্নয়নে ভারত সরকার সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়েছে। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা এই টাকা দিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রও তাদের অবদান। 

মেয়র খালেক বলেন, ফায়লায় জমি অধিগ্রহণ করে বিমান বন্দরের কাজ শুরু করেছিলাম। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এই বিমান বন্দরের গুরুত্ব কমে গেছে। তাই এর কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিমান বন্দর হবে। 

বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক অতুন দত্তের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধান মহাব্যবস্থাপক শান্তনু কুমার মিশ্র, রামপাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম, রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম। 

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার বিদ্যুতের সুবিধাসহ বিশুদ্ধ পানির পিওর ওয়াটার এবং আয়রন রিমোভাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের আওতায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে দুটি, গৌরম্ভা ইউনিয়নে দুটি ও হুড়কা ইউনিয়নে একটি ট্রিটমেন্ট বসানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় একটি এবং বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নে একটি আয়রন রিমোভাল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্ভোধন করা হবে।


আরও খবর



জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসে মুন্ডুমালা পৌরসভার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও উন্নয়ন মেলায় তানোর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মধ্যে মুন্ডুমালা পৌরসভাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে ঘোষণা করে ক্রেষ্ট প্রদান করেন নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার দিবস ও উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সবদিক বিবেচনা করে মুন্ডুমালা পৌরসভাকে শ্রেষ্ঠ পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সম্মাননা ক্রেষ্ট দেওয়া হয়। মেয়র সাইদুর রহমান ঢাকায় অবস্থান করায় তার পক্ষে  ক্রেষ্ট গ্রহণ করেন প্যানেল মেয়র আতিকুর রহমান বাবু, সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন, কাউন্সিলর আতাউর রহমান। সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক প্রমুখ। মুন্ডুমালা পৌরসভা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় মেয়র সাইদুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন,সম্মানিত আমার মুন্ডুমালা পৌরবাসী আসসালামু আলাইকুম /নমস্কার। 

ধন্যবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন মহোদয় কে এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ও পৌরবাসীর দোয়াতে এবং সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সহযোগীতায় তানোর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও  পৌরসভার মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নাগরিক সেবা প্রদানে মুন্ডুমালা পৌরসভা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এ কৃতিত্ব আমি উৎসর্গ করলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আমার প্রানপ্রিয় মুন্ডুমালা পৌরবাসীর প্রতি। আপনারা দোয়া রাখবেন আমি যেন আপনাদের দেয়া গুরুদায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে পৌরবাসীর খেদমত ও সেবা করতে পারি এবং পৌরসভাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এজন্য পৌরবাসির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

মেয়র সাইদুর রহমান আরো বলেন, পৌরবাসী নানা প্রতিকূলতার মাঝে অনেক আসা নিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আমি ভোটারসহ আপমর জনগণের কাছে প্রতিজ্ঞাা করেছি আমার জীবনের বিনিময়ে আপনাদের সেবা করতে পারি এবং পৌরসভার রাস্তা ঘাটের সর্বাত্মক উন্নয়ন করতে পারি। আমার চিন্তা চেতনা পৌরসভায় যত অবহেলিত রাস্তা আছে সব রাস্তা আরসিসি করার। এর প্রমান হিসেবে প্রায় ৫ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দে আরসিসি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে ও চলমান রয়েছে। অনেক বাধার পরও মুন্ডুমালা বাজারের তিন মাথার মোড়ে গোল চত্বর করেছি। যার নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু গোলচত্বর এবং ম্যুরাল নির্মান করা হয়েছে। আমি দোয়া চায়, যতদিন দায়িত্বে আছি আমি যেন সেবক হয়ে থাকতে পারি ও কাজ করতে পারি এটাই আমার কামনা।

আরও খবর

বিপদজনক সংযোগ সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তানোরে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23