Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন: পিবিআই

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের শরণখোলায় চাঞ্চল্যকর মা ও শিশু মেয়েকে কুপিয়ে নিঃশংসভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ওই নারীর স্বামী জাফর হাওলাদার পরকিয়া সন্দেহের জের ধরে ভাড়াটিয়া খুনি দ্বারা নিজেই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এমন তথ্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এদিন বিকেলে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আছাদুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন আবু জাফর হাওলাদার।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (পিবিআই) আব্দুর রহমান বলেন, তদন্তের সূত্র ধরে পাপিয়ার স্বামী মোঃ আবু জাফর হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। আবু জাফরের স্বীকারোক্তি মতে, আবু জাফর হাওলদার লোক দিয়ে তার স্ত্রীকে মেরেছে। তবে তার মেয়েকে মারার কথা ছিলো না। সে জানায় তার স্ত্রী এর সাথে পারিবারিক টানপেড়ন চলছিল। তার বউ সব সময় মোবাইলে কার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানতে চাইলে তার স্ত্রী ভিকটিম পাপিয়া তাকে জুতা দিয়ে প্রহার করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রী পাপিয়া এর আগেও স্বামীকে ঝাড়ু দিয়ে প্রহার করেছিল। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর প্রতি সংক্ষুব্ধ ছিল আবু জাফর হাওলাদার।  মনির তাকে জিজ্ঞেস করে "কী জাফর ভাই, তোমাকে নাকি তোমার বউ জুতা দিয়ে মেরেছে, তখন মনির প্রস্তাব দেয় তাকে ১ লক্ষ টাকা দিলে সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। তখন আবু জাফল বলে "চিন্তা করে দেখি”। পরে আবু জাফর তার ভাই আবু তালেবের মাধ্যমে মনিরকে ৩০ হাজার টাকা দেয়। মনির টাকা পেয়ে আবু জাফরকে তার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে, কাজ হলে বাড়ির লোকজন তাকে জানাবে বলে জানায়। কথা অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট আবু জাফরের স্ত্রী পাপিয়া ও মেয়ে সওদা জেনিকে কুপিয়ে হত্যা করে মনির হাওলাদার।

ঘটনার পরের দিন মনির হাওলাদারসহ তার তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু মনির জামিনে বের হলে,আবু জাফর মনিরকে জিজ্ঞেস করে তার বউকে মারার কথা ছিলো, সে কেন তার মেয়েকে মেরে ফেলল। মনির জবাবে  তাকে জানায় তার মেয়ে তাকে চিনে ফেলেছিল তাই তাকে মেরে ফেলেছে। তার লাশ কেন টুকু মাষ্টারের বাড়ি নিলো সে প্রশ্নের জবাবে মনির আবু জাফর কে বলে টুকু মাষ্টারের সাথে তার অন্য বোঝাপড়া আছে।

উল্লেখ, ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি (০৫)কে কুপিয়ে হত্যা করে মনির হাওলাদার ও তার লোকজন। হত্যার পরের দিনই মনিরসহ তার তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনমাস কারাভোগের পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়। পরবর্তীতে পিবিআই বাগেরহাট মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পাপিয়ার স্বামী মোঃ আবু জাফর হাওলাদার (৩৯), ভাসুর আবু তালেব হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী আসমা বেগম (৪৫) এবং পাপিয়ার আরেক ভাশুর মোঃ আবু বক্কার হাওলাদার আদালতে আত্মসম্পর্ন করেন। পরে পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 


আরও খবর



জুয়া খেলার অপরাধে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:জুয়া খেলার অপরাধে  ২৭জনকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।  মঙ্গলবার  রাতে মিরপুর ১৩ নং কালভার্ট সংলগ্ন ময়লা ডাস্টবিনের পাশে সোহেলের রিক্সার গ্যারেজ হতে ১৪ জন এবং মিরপুর ১৩ আয়নাবিবি মসজিদের পাশে সাংবাদিকের গ্যারেজ হতে ১৩ জনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানান। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  আমরা জানতে পারি দুটি জায়গায়  অবৈধভাবে জুয়া খেলা হয়। শোনা মাত্রই আমি পুলিশ  পাঠিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।  

কাফরুল থানার এস আই মাহমুদুল হাসান জানান, ওসি স্যার বলা মাত্রই মিরপুর ১৩ নং কালভার্ট সংলগ্ন ময়লা ডাস্টবিনের পাশে সোহেলের রিক্সার গ্যারেজে অভিযান চালায় সেখান থেকে   ১৪ জন এবং মিরপুর ১৩ আয়নাবিবি মসজিদের পাশে সাংবাদিকের গ্যারেজ হতে ১৩ জনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করি । পরবর্তীতে আমরা তাদের  বিজ্ঞ  আদালতে প্রেরণ করি।

আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর



টেকনো নিয়ে এলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ স্মার্টফোন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড টেকনো সম্প্রতি লঞ্চ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন অপারেটিং সিস্টেম (এআইওএস)। বাংলাদেশের সহ বিশ্বব্যাপি মোবাইল ফোন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বিশ্বের অনেক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই এআই প্রযুক্তি তাদের স্মার্টফোনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনো তাদের সাম্প্রতিক সংযোজনে এআই প্রয়োগ নিশ্চিত করে প্রযুক্তি এবং ভোক্তা অভিজ্ঞতার উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।

এআই চালিত সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক বিপ্লব আনয়নের প্রচেষ্টা নিয়ে টেকনোর ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ার, জুড ইউর অধীনে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রচলিত মোবাইল ডিভাইস এবং আধুনিক এআই সক্ষমতার সমন্বয় ঘটিয়ে টেকনোর নতুন এই এআইওএসটি আরো অধিক সুবিধা এবং ভোক্তা অভিজ্ঞতা বর্ধিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গুগল এবং মিডিয়াটেকের মতো ইন্ড্রাস্ট্রি প্রতিনিধিদের সাথে কৌশলগত সমন্বয় নিশ্চিত করে মোবাইল ব্যবহার অভিজ্ঞতার প্রতিটি স্তরে শীর্ষ পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনুপ্রবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে টেকনো। প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে টেকনোর এই পার্টনারশিপ সুনিশ্চিত করেছে টেকনোর মোবাইল সেট গুলোতে গুগল এআই সুটসের উপস্থিতি যাতে আরো রয়েছে গুগল জেমিনি, ডুয়েট এআই, এবং জিমেইল এআই সুবিধা। এই ফিচার গুলো মোবাইল ফোন ব্যবহারকে করবে আরো সৃজনশীল এবং সুদক্ষ।

সম্প্রতি বাজারে আসা স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি টেকনোর এআই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার একটি সফল উদাহরণ।প্রতিষ্ঠানটির এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল ধারণক্ষমতা সক্ষম আল্ট্রা সেনসিং মেইন ক্যামেরা এবং শক্তিশালী হেলিয়ো জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর চিপসেট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ অরোরা ইঞ্জিন ২.০ এবং ডারউইন ইঞ্জিন ২.০ ফিচার গুলো ফোনের পারফরমেন্সকে করবো আরো সুচারু এবং গেমিং অভিজ্ঞতাকে করবে আরো নির্বিঘ্ন। এছাড়াও টেকনোর এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এআই ওয়ালপেপার ফিচার। ব্যবহারকারী নিজে টেক্সট কমান্ড বা নির্দেশনা দিয়ে নিজের পছন্দমতো ওয়ালপেপার জেনারেট করে নিতে পারেন। টেকনোর এই স্মার্টফোনটি বর্তমানে বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে করবে আরো সুন্দর।টেকনোর এআই উদ্যোগটি শুধু হার্ডওয়্যার উদ্ভাবনেই সীমাবদ্ধ থাকে নাই। এতে রয়েছে বহু ভাষা সমৃদ্ধ ‘এলা’ নামক একটি ব্যক্তিগত এআই এসিস্টেন্ট সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি সুদক্ষ করে এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে৷। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য এই সিস্টেমটি নিশ্চিত করে পরিপূর্ণ সহায়তা এবং বর্ধিত দক্ষতার।

টেকনোর এআই ইকোসিস্টেমে অন্যতম একটি আকর্ষন হলো এর উদ্ভাবনী ফটোগ্রাফি ফিচারসমূহ। এআই পোট্রেইট ইনহ্যানসার এবং এআই ইরেজার ফিচার গুলো ফটোগ্রাফির নান্দনিক ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। ব্যবহারকারীদের বৈচিত্র্যময় চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে এই ফিচার গুলো যেকোনো স্থানে নিশ্চিত করে উচ্চ কোয়ালিটির ছবি এবং ভিডিও ধারণ।

উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষের বিকাশে টেকনোর অবদান স্মার্ট জীবনের ভবিষ্যতকে প্রতিনয়ত প্রভাবিত করে আসছে।টেকনোর এই যাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোজন ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে করবে আরো সুদক্ষ করে ডিজিটাল ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন করবে।


আরও খবর



গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃবিদুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিন পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান ওই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ জানান,আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



গাংনীতে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে এবার সমিতি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএবার সোচ্ছার হয়েছে সাধারণ জনতা। কসাইদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেহেরপুরের মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে সমিতি। দৈনিক সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কিস্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে তা দিয়ে গরু কিনছেন সমিতির লোকজন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরু জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করবেন তারা। এতে যেমন সাশ্রয়ী হবেন সাধারণ লোকজন তেমনি চাপ পড়বে কসাইদের উপর। সমিতির বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন সচেতন মহল ও স্বয়ং হাটমালিক।

জানা গেছে, রমজান মাসের আগ থেকেই ছিল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে সরকার গোমাংসের দাম ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও কসাই সিন্ডিকেট তা প্রত্যাক্ষাণ করে। বাজারে গো মাংসের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা কেজি। তবে ঈদের আগে ও পরে দাম আটশ টাকা থেকে ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে পারেন কসাইরা। কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে মহল্লায় মহল্লায় সমিতি গঠন করে নিজেরাই গরু কিনে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন লোকজন। এতে সাশ্রয়ী দামে মাংস পাবেন তারা। তাছাড়া কসাইদের উপর বেশ চাপ পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জেলার বৃহত্তম পশুহাট বামন্দীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লা থেকে সমিতি গঠন করে লোকজন আসছেন গরু কিনতে। গাংনী ভিটাপাড়ার মকলেছুর রহমান জানান, কসাইরা নানা ভাবে জিম্মি করে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। চড়া দামে গোস্ত কিনতে হয়। তাছাড়া কসাইরা ইচ্ছেমত মাংস বিক্রি করে। সাশ্রয়ী দামে মাংস পেতে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে যেমন পছন্দ মতো গোস্ত পাওয়া যাবে তেমনি অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। তবে কসাইদের উপর অনেকটা চাপ পড়বে বলেও জানান তারা। একই কথা জানালেন গাংনীর মালসাদহ গ্রামের আফজাল হোসেন। তিনি আরো জানান, তারা ৩২ জন সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করেছেন। এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন।

গরু কিনতে আসা কুষ্টিয়া সদরপুরের রাজ্জাক ও মাসুদ রানা জানান, কসাইদের কাছ থেকে তারা গোস্ত কেনেন না তিন বছর ধরে। প্রতিটি উৎসবে কসাইরা বেপরোয়াভাবে দাম হাঁকে গরুর গোস্তের। বাধ্য হয়ে ৩০ জনের একটি সমিতি গঠন করেছেন। সাপ্তাহিক চাঁদা তুলে গরু কিনতে আসেন। দেখে শুনে বুঝে পছন্দের পশুটি কিনেছেন। এতে অনেক সাশ্রয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে সব ধরনের পশুর দাম একটু বেশি বলে জানালেন এই সমিতি প্রধান।

গরু বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়ার আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি তার নিজের বাড়ির গরু এনেছেন হাটে। কয়েকহাট আগে গরুর যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। আমদানী বেশি হওয়ায় দর পতন বলে জানালেন তিনি। তবে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে যে সমিতি গঠন করা হয়েছে এটাকে সাধুবাদ জানানে এই গরু বিক্রেতা। একই কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ি কামারখালির আনোয়ার ও সহড়াবাড়িয়ার আশরাফুল।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশু হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই জমে উঠেছে পশুহাট। বেচা বিক্রিও বেশ ভাল। এবার জনগন অনেকটা সচেতন। বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন দলবদ্ধ ভাবে। এরা সমিতি করে গরু কিনছেন। পশু পালনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। কসাইদের হাতে জিম্মী না হয়ে নিজেরাই গরু কিনে গোস্তের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছেন এই হাট মালিক।


আরও খবর