Logo
আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি।

এর আগে, গত ৩১ মে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, তিন মামলায় ড. ইউনূসের কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা দানকর চেয়ে আরও দুটি নোটিশ দেওয়া হয় তাকে।

এনবিআরের সেসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ইউনূস। ২০১৪ সালে কর আপিল ট্রাইব্যুনাল তার মামলা খারিজ করে এনবিআরের পক্ষে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ইউনূস, যার রায়ও তার বিপক্ষে গেল। আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই আবেদন করার সময় ৩ কোটি টাকা জমা দিতে হয়েছিল ইউনূসকে। হাইকোর্টে মামলা হারায় বাকি ১২ কোটি টাকাও তাকে পরিশোধ করতে হবে।

ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কল্যাণ ট্রাস্টের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।


আরও খবর

৬ ট্রেন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে শুরুতেই

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৩ দিনের ছুটিতে দেশ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




অবৈধ সংযোগে চুরি করে গ্যাস ব্যবহার করলেও প্রশাসন নীরব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬০জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টারঃভ্রাম্যমান আদালতের অসংখ্য অভিযানের পরেও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ গ্যাস আইনে মামলা রুজু না করায় দীর্ঘ নয় বছর যাববৎ প্রভাবশালী গ্যাস চোরাইকারবারীরা চুরি করে সংযেকগ স্থাপন করে  বিনা বিলে দাপটের সাথে পুরো পাড়ায় গ্যাস চালাচ্ছে।

২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের  হিন্দুপাড়া গ্রামের তারুমিয়া স্টোরের (পন্ডিতবাড়ি)  নিকটস্থ গ্যাসের মেইন লাইন থেকে চোরাই গ্যাস সম্রাট  শফিকুল মিয়ার নেত্রিত্বে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে যাযএকই পাড়ার উচাবাড়ির সমগ্র পাড়ার আবাসিক এলাকায়। এর কিছু দিন পর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কো: লি. এবং জেলাপ্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে গ্যাস সংযোগ বিছিন্নকরণ করলেও তারা পুনরায় রাতের আধাঁরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার মধ্যে ড্রেন সৃষ্টি করে রাস্তা বিনষ্ট করে পূর্বের মতো পুনরায় চোরাই গ্যাসের সংযোগ নেয়। 

এভাবে তারা ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কিছু দিন পর পর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কো: লি. এবং জেলাপ্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা খেলে প্রায় ৮-৯ বার গ্যাসের পুন:সংযোগ দিয়ে  নয় বছর যাবৎ কোন ধরণের গ্যাস বিল পরিশোধ না করে গ্যাস লাইন বিনষ্টকরণসহ সরকার বা কর্তৃপক্ষের বিপূল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গূরত্বপর্ণ জ্বালানি সম্পদ অপচয় করে আসছে। তাদের গ্যাস পাইপ খুবই নিম্নমানের। এতে করে গ্যাসলাইন বিনষ্ট হওয়া, গ্যাসজনিত অগ্নিদূর্ঘটনাসহ জনসাধারণের রাস্তা বারবার ভেঙ্গে যাওয়ায় ভূক্তভোগী জনসাধারণের পক্ষ থেকে উপ-মহাব্যবস্থাপক(চলতি দায়িত্ব), বিক্রয় ডিপার্টমেন্ট (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কো: লি. বরাবরে ১০ জুলাই, ২০২৩ তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কর্তৃপক্ষ  ১১ জুলাই,ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের  সত্যতা  পায়। খবর পেয়ে শফিকুল মিয়া, গংরা পালিয়ে যায়। তখন গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২-১৫ অবৈধ রাইজার কাটাসহ সংযোগ বিছিন্ন করে। পরে অপরাধীরা পুন:রায় অবৈধভাবে গ্যাস-রাইজার সংগ্রহ করে গ্যাস সংযোগ দেয়। খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ পুন:রায় ১১ জুলাইয়ের ভ্রাম্যমান অভিযানের প্রায় ১ সপ্তাহ পরে বাখরাবাদ গ্যাস ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচিালনা করে অবৈধ গ্যাস পাইপ কেটে নিয়ে আসেনে। অত:পর অপরাধীরা সর্বশেষ ২৭তারিখ আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় পূর্বের ন্যায় ড্রেন করে চোরাই গ্যাস লাইন স্থাপনের পায়তারা করে।

 তখন ভূক্তভোগীজনসাধারণ এবং এলাকাবাসী বাধাঁ প্রদান করেন এবং কর্তৃপক্ষের রাজস্ব ফাকি না দিয়ে বৈধভাবে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন এর অনুমোদনক্রমে গ্যাস সংযোগ নেয়ার অনুরোধ  করেন। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী তখন অপরাধীরা রেগে যায় এবং চোরাই গ্যাসের সম্রাট শফিকুল মিয়ার নেত্রিত্বে অপরাধীরা ভূক্তভোগীণকে দেশীয় অস্ত্রসহ হুমকি প্রদান করে বাধা প্রদানকারীর  বাড়িঘর সমায়িক সময়ের জন্য দখল করে ফেলে।মারধর করার চেষ্টা করে এবং মৃত্যুর হুমকি দেয়। ফলে সেখানে আইনশৃঙখলা পরিস্থির মারাত্মক অবনতি হয়। যে কোন সময় দু-পক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্খিত দাঙ্গা ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীণের পক্ষে  নাসির মিয়া গ্যাস সম্রাট  শফিকুল মিয়ার নেত্রিত্বাধীন অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি- ১২৪৭/২৩ নং মোকদ্দমা এবং বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেন।

তাছাড়া বাংলাদেশ গ্যাস আইনে সরাসরি জনসাধরণের মোকদ্দমা করার সুযোগ না থাকায়  ঘটনার স্থায়ী সমাধানের জন্য তথ্য-প্রমাণসহ ভোক্তভোগীরা উপ-মহাব্যবস্থাপক(চলতি দায়িত্ব), বিক্রয় ডিপার্টমেন্ট (ব্রাহ্মণবাড়িয়া),বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। 

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশ কো: লি: যদি ২০১৪ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশ গ্যাস আইনের মামলা দায়ের করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতো তাহলে অপরাধীরা দীর্ঘ নয় বছর যাবৎ চোরাই গ্যাস ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষের বিপূল পরিমান গ্যাস সম্পদ বিনষ্ট করতে পারতো না এবং কর্তৃপক্ষ নয় বছর যাবৎ পুরো এলাকার গ্যাস বিলের রাজস্ব হাড়াতো না। গ্যাস ও গ্যাস লাইন হল বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লি: এর নিজস্ব সম্পদ। তাদের রয়েছে নিজস্ব আইন সেল। তাদের রয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস আইনে মামলা দায়ের করণের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে জেল-জরিমানাসহ সার্টিফিকেট মোকদ্দরুজু করে দীর্ঘ নয় বছর যাবৎ পুরো পাড়ায় গ্যাস ব্যবহারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সুযোগ। তারপরেও কেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনে মামলা দায়ের হচ্ছে না তা জনসাধারনের অজানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিভিশন কোম্পানীর উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামানের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগের করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক নির্বাচন কমিশন তা চায় না। এ কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জামালপুরের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও অন্যদের সতর্ক করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রয়েছে। 

সম্প্রতি জামালপুরের ডিসি এক সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরায় সরকারে আনার জন্য বলায় তাকে প্রত্যাহার করে অন্য ডিসিদের সতর্ক করতে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেয় ইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই কমিশন এমন চিঠি দিতে পারে কি না, সাংবাদিকরা তা জানতে চান।

সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে বাধা নেই। পাঁচ বছরে নির্বাচনের এখতিয়ার আমাদের রয়েছে। তফসিলের আগেও আচরণ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক উত্থাপন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অতি অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে।  

কেবিনেট সচিবকে জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার ও সব ডিসিকে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।  

ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। নির্বাচনের সময় তাদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সবকিছু দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইবো না তাদের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক। ভবিষ্যতেও আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, আমরা এমন উদ্যোগ নেব।

সংলাপের অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। বিশিষ্টজনরা কী বলতে চান, আমাদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, সরকার ও রাজনীতিবিদদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আমার মনে হয়, এই সংলাপটা ওপেন ছিলো। মিডিয়ায় যখন এই জিনিসটা প্রচার হয়, তাহলে সকলের ওপর একটা চাপ একটা দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে।

এ সময় সিইসি বলেন, এখন সকলেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন, আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে নিশ্চয় আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি।


আরও খবর



একসঙ্গে আমার ৩২ শিক্ষার্থী মারা গেছে

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মরক্কোয় সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পে মারাকেশের দক্ষিণে যেসব গ্রাম একেবারে ধ্বংস হয়েছে, সেগুলোরই একটি আদাসিল।

সেই গ্রামের একটি স্কুলে আরবি ও ফরাসি ভাষা পড়াতেন শিক্ষক নাসরিন আল- ফাদেল। ভূমিকম্পের পর স্কুলে ছুটে গিয়ে জানতে পারেন তার ১২ বছর বয়সী ৩২ শিক্ষার্থীর সবাই মারা গেছে।

গ্রামের সেদিনের পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে নাসরিন বলেন, ভূমিকম্পের পরই ছুটে গেলাম গ্রামে। সবার কাছে আমার বাচ্চাগুলোর ব্যাপারে জানতে চাই, সৌম্য কোথায়? ইউসুফ কোথায়? কোথায় আমার মেয়ে আর ছেলেগুলো? এর কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর আসে, তাদের কেউই নাকি বেঁচে নেই।

নাসরিনের শিক্ষার্থীদের একজন খাদিজা। ভূমিকম্পে কীভাবে তার মৃত্যু হয়, স্বজনদের কাছে এ সম্পর্কে জানতে পারেন নাসরিন। তিনি বলেন, খাদিজাকে আমি অনেক পছন্দ করতাম। দারুণ চটপটে একটা মেয়ে ছিল সে। গান গাইতে খুবই ভালোবাসত। মাঝেমধ্যে আমার বাড়িতে আসত।

৩২ শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে হারিয়ে শোকাহত নাসরিন বলেন, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আমি শেষবার তাদের ক্লাস নিই। এর ঠিক পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে। শুধু কল্পনায় ভাসছে, উপস্থিতির খাতাটি হাতে দাঁড়িয়ে একে একে ৩২ শিক্ষার্থীর নাম ধরে ডাকছি।

সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



রাঘব-পরিণীতির বিয়ে: অতিথিদের মানতে হবে যেসব শর্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া এবং রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডা আর কয়েকঘণ্টা পরই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন।একজন বলিউডের ব্যস্ততম নায়িকা, অপরজন আম আদমি পার্টির সাংসদ। তাই বিয়েতে যে তারার হাট বসবে, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উদয়পুরের লীলা প্যালেসে বসবে এই হাইপ্রোফাইল বিয়ের আসর। তাই সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রত্যেকের ফোনে বিশেষ ধরনের স্কচটেপ লাগিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

হবু দম্পতি ইতোমধ্যে উদয়পুরে পৌঁছে গেছেন। আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ দিন হবে সংগীত ও মেহেন্দি অনুষ্ঠান। আর তারপর ২৪ তারিখ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন রাঘব-পরিণীতি। অতিথিরাও ধীরে ধীরে সেখানে হাজির হতে শুরু করেছেন। দুই পরিবারের অনেক সদস্য সেখানে পৌঁছে গেছেন । সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাঘব ও পরিণীতির বিয়েতে যেহেতু প্রচুর রাজনৈতিক নেতা থেকে বি-টাউন তারকারা উপস্থিত থাকবেন, তাই তাদের নিরাপত্তা ও দেখভালের জন্য ১০০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘোড়ায় চড়ে নয়, বর বেশে রাঘব আসবেন তাজ লেক প্যালেস থেকে নৌকা করে। সঙ্গে থাকবেন বরযাত্রীরাও। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য ঝিলজুড়ে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকবেন। সেই নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য আবার আলাদা পাঁচটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা ঝিল ঘুরে তারা পাহারা দেবেন। শুধু তাই নয়, পরিণীতিকে কনের বেশে সাজানোর জন্য দিল্লি থেকে বিশেষ প্রসাধনশিল্পী ও মেহেন্দিশিল্পীরাও গিয়েছেন। তা ছাড়া গোটা বিয়ের অনুষ্ঠান ক্যামেরাবন্দি করার জন্য সেখানে ১২ জনেরও বেশি ভিডিওগ্রাফার ও ফোটোগ্রাফার থাকবেন।

শুধু তাই নয়, নিমন্ত্রিত থেকে শুরু করে ওই হোটেলে যারাই প্রবেশ করবেন, সবার ফোনের ক্যামেরায় একধরনের বিশেষ স্কচটেপ লাগিয়ে দেওয়া হবে। যাতে কোনোভাবেই আগে থেকে কোনো ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে না আসে। সূত্রের খবর, লীলা প্যালেসের পক্ষ থেকেই এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এই টেপের একটি আলাদা বিশেষত্বও রয়েছে। তা হল, কেউ টেপটি খুলে ফেলার চেষ্টা করলে একটি তীরচিহ্ন দেখা যাবে। আর এর ফলে সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীরা জানতে পারবেন যে, টেপটি কেউ তুলে ফেলেছেন।

এই বিয়েতে হাজির থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। এ ছাড়াও পরিণীতির বোন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, পরিচালক করণ জোহর, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রারাও শনিবারের মধ্যে উদয়পুরে পৌঁছে যাবেন বলে খবর।


আরও খবর

পরীমণি-বুবলী একসঙ্গে খেলবেন!

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আ. লীগের আমলে সবগুলো নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকারে এসেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করছে। আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এরচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে কবে হয়েছে? বা পৃথিবীর কোন দেশে হয়ে থাকে?

তিনি আরও বলেন, অনেক দেশের নির্বাচন তো এখনো তাদের বিরোধীদল মানেইনি, এরকমও তো ঘটনা আছে। তারপরও আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনেক ছবক শুনতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেখি নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নির্বাচন নিয়ে সবাই খুব সোচ্চার। কিছু দেশ আমাদের দেশের নির্বাচন আর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। সেসব দেশের কাছে আমার প্রশ্ন, ১৯৭৫ সালের পর বারবার যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে ‘হ্যাঁ/না’ ভোট বা রাষ্ট্রপতি ভোট, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৮১ সালের নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অথবা ২০০১ সালের নির্বাচনে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অত্যাচার-নির্যাতন, সেসময় তাদের চেতনা কোথায় ছিল? সেসময় তাদের বিবেক কি নাড়া দেয়নি?

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি আমরা। রাজপথে ছিলাম, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছি। সেই রক্তে রঞ্জিত শহীদের তালিকা দেখলে আমাদের আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামের তালিকাই পাওয়া যাবে। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের যে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। আজকে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনগুলো করছি তখন আবারও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন হয়। এর অর্থটা কী?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নির্বাচনটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন তো উত্তরবঙ্গে কোনো মঙ্গা নেই। গত ১৫ বছরের কাছাকাছি সময়ে একদিনের জন্যও তো মঙ্গা হয়নি। মানুষের তো খাদ্যের অভাব হয়নি। আমরা তো দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তার শুভ ফলটা তো তৃণমূলের মানুষও পাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো, ঘরে ঘরে আলো জ্বালবো। আমরাতো জ্বালতে পেরেছি। যদিও এরমাঝে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশনস, কাউন্টার স্যাংশনস, তার আগে গেল কোভিডের অতিমারি, যেখানে সারাবিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তারপরও এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা তো পিছিয়ে নেই।


আরও খবর

৬ ট্রেন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে শুরুতেই

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৩ দিনের ছুটিতে দেশ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩