Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি।

এর আগে, গত ৩১ মে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, তিন মামলায় ড. ইউনূসের কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা দানকর চেয়ে আরও দুটি নোটিশ দেওয়া হয় তাকে।

এনবিআরের সেসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ইউনূস। ২০১৪ সালে কর আপিল ট্রাইব্যুনাল তার মামলা খারিজ করে এনবিআরের পক্ষে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ইউনূস, যার রায়ও তার বিপক্ষে গেল। আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই আবেদন করার সময় ৩ কোটি টাকা জমা দিতে হয়েছিল ইউনূসকে। হাইকোর্টে মামলা হারায় বাকি ১২ কোটি টাকাও তাকে পরিশোধ করতে হবে।

ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কল্যাণ ট্রাস্টের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।


আরও খবর



হিলিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি আব্দুল লতিফ মাস্টার,আশরাফ আলী প্রধান,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী,বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম ও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাগুরায় ৪৬৪ টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় ৪৬৪ টি ঈদগাহে শান্তিপূর্ণভাবে  পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরায় প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। মাগুরা পিটিআই জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করেন মাগুরা ১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া মাগুরা মডেল মসজিদে, পৌর গোরস্থান মসজিদ, জজকোর্ট মসজিদ, মাগুরা পুলিশ লাইনস প্যারেড গ্রাউন্ডে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা,  পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য এবং এলাকাবাসী এ জামাতে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া জেলা জজ কোর্ট মসজিদ,সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান, মুন্সীপাড়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলাসহ সর্বত্র  ঈদের জামাত অনু্ষ্ঠিত হয়। জেলায় মোট ৪৬৪ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মাগুরা

সদর উপজেলায় ২২৮ টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৮২ টি, মহম্মদপুর উপজেলায় ১১২ টি এবং শালিখা উপজেলায় ৪২ টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  এদিকে বৃষ্টি হতে পারে এ আশংকায়  জেলার ৭৩০ টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার ৩শ'  মসজিদ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। মাগুরার  পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা জানান, জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য  মাগুরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর

গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর