Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি টিকিয়ে রাখতে পারবে না: গয়েশ্বর

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণ রাস্তায় নেমেছে, কোনো বিদেশি শক্তিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে মুক্ত করতে জনগণ দায়িত্ব নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট এই সরকারের পেছনে যতই বিদেশি শক্তি থাকুক, তারা তাদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না।

আজ শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি নয়, আমরা তাদের মুক্ত করব। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, খন্দকার আবু আশফাক, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে।


বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা ও আদালতের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের বান্দায় গেলে সেখানে জায়গা হয় না। নিম্নে আদালতে প্রতিদিন ছোটখাটো সমাবেশ হয়ে যায়। নেতাকর্মীদের এ কোর্ট থেকে ওই কোর্টে ছুটতে হয় প্রতিনিয়ত। এই সরকার সবকিছু করায়ত্ব করেছে। সরকার যা বলে আদালতও তাই করে। তারা (আদালত) নিজস্ব বিচেনায় বিচার করতে ভয় পায়। অবিচার ছাড়া বিচার করার ন্যূনতম ক্ষমতা নেই। 

তিনি আরও বলেন, ‘অবিচারের শিকার আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অবিচারের মাধ্যমে তারা নির্যাতিত হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছে, দেশের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে।

দেশের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের বর্তমান রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা-এটা লুটেরা, ফ্যাসিবাদী ও জনগণের পকেট মারের সরকার। জনগণের পকেট যদি না-ই মারত, তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কিভাবে পাচার হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও হয়ে যায়, করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়। এরা শুধুমাত্র দুর্নীতি-ই করে না, রাজনীতিতে বিরোধীদের দমন করে এবং দিনের ভোট রাতে করে। এই ধরনের অপকর্ম এরা ক্রমান্বয়ে করে যচ্ছে।

‘এর প্রতিবাদ এতদিন শুধুমাত্র বিএনপি করেছে এবং নেতাকর্মীরা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ করছে। এই বাংলাদেশকে মুক্ত করতে দেশের জনগণ দায়িত্ব নিয়েছে। যখন কোনো দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন ঘটাতে দেশের জনগণ রাস্তায় নামে তখন কোনো শক্তি টিকে থাকতে পারে না। যতই বিদেশি শক্তি থাকুক, বিদেশী শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না’, বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘অর্থনীতি একেবারে ফোকলা। অর্থনীতি বলতে একটাই আছে দুর্নীতি। রাজকোষ খালি, বেতন দেওয়ার টাকাও থাকবে না। এ পর্যন্ত ১৭টি প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। অর্থ জোগান দেওয়ার সুযোগ নেই। এ প্রকল্পে যে টাকা ব্যয় হয়েছে, প্রকল্প যদি চালু না হয় রাষ্ট্রের এই টাকা গচ্ছা গেল। দেশটা অন্ধকার থেকে অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।

চলমান আন্দোলনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে আশা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এরপর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে, তাদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। কারণ, যে টাকা পাচার হয়েছে তা ফেরত আনা, জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মান-অভিমান ভুলে আপনারা সামনে এগিয়ে যান। সামনে দিনে ঢাকা শহরের যে ঘাটতি আছে তা পূরণে সক্ষম হবে।’ এ সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করতে রাজপথে সকলকে ত্যাগ স্বীকারের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



ট্রেনের ভাড়া মে থেকেই বাড়ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে সব রকমের ট্রেনের ভাড়া।রেয়াদ সুবিধা প্রত্যাহার করায় এই ভাড়া বাড়ানো হবে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে কত টাকা বাড়ানো হচ্ছে তা এখনও জানানো হয়নি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। ৪০০ কি‌লো‌মিটা‌রের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত পান। দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক এই রেয়াত সুবিধা আর থাকছে না এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জা‌নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, তার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে দুর্নীতি বিরোধী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

এর আগে, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। এরপর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।

পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



রাজধানীতে ‘হিটস্ট্রোকে’ দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হিটস্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা পুলিশের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আলাদা জায়গা থেকে দুই ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তারা দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। ।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল ও উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার দিবাগত রাতে মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিটস্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাতনামা অপর ব্যক্তির মরদেহ। তিনিও ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ:৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা!

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি;আমতলী উপজেলায় ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

জানাগেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের ৬ শয্যার ডায়েরীয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

ডায়েরীয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পায়না নদী সংলগ্ন এলাকার বলে জানা গেছে। লবনাক্ত পানি ব্যবহারেই ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ১১ জন এবং বারান্দায় ১৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়েরীয় আক্রান্ত আমড়াগাছিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়েটিক ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তারপরও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন।চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের সাজেদা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না।

চাওড়া ইউনিয়নের ডাক্তারবাড়ী এলাকার জাহেদা বেগমের স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন নেই। স্যালাইন  বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার শিশু রোগী রেদওয়ানের স্বজন বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সব কিছু বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন হাসপাতালে বেড না থাকায় বাহিরের বেডে ছেলেকে নিয়ে থাকছি। এতে সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে আরো ডায়েরিয়া বেড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

কুকুয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী রুপশা বেগম বলেন, ওরে বাবা আল্লায় মোরে বাচাইবে কিনা হেইয়্যা কইতে পারি না। মুইএ্যাকছের বায়রায় যাই।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় রোগীদের সংখ্যা অনেক বেশী। ধারনা করা হচ্ছে নদীর লবন পানি ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইভি স্যালাইন সরবরাহ অব্যহত আছে। তবে আরো স্যালাইনে চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই স্যালাইন পেয়ে যাব। ডায়েরিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪