
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ব্যর্থতায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ও রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কের মধ্যে ছিলেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটছে। ভবন-কারখানাগুলো ঠিকভাবে চলছে কি না, নিয়ম মানছে কি না, সেগুলো দেখার দায়িত্ব যেসব সংস্থার, তাদের ব্যর্থতার কারণে এমন প্রাণহানি ঘটছে।
তিনি বলেন, আজ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণে তিনজন মারা গেছেন। এসব বিস্ফোরণ কেন ঘটছে? এর পেছনে কারণ কী? এগুলোর সঠিক অনুসন্ধান প্রয়োজন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানা এবং রাজধানী ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে চরম সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলেন কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হল কেন? পরবর্তীকালে যখন হামলা হয়েছে, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? আমরা মনে করি সরকার অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। এর জন্য সম্পূর্ণ সরকার দায়ী। তাদের জবাবদিহি করতে হবে এবং দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘুরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফল নিয়ে সরকার কিভাবে বিতর্কিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’