Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

সরকারের ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণ: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ব্যর্থতায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ও রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কের মধ্যে ছিলেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটছে। ভবন-কারখানাগুলো ঠিকভাবে চলছে কি না, নিয়ম মানছে কি না, সেগুলো দেখার দায়িত্ব যেসব সংস্থার, তাদের ব্যর্থতার কারণে এমন প্রাণহানি ঘটছে।

তিনি বলেন, আজ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণে তিনজন মারা গেছেন। এসব বিস্ফোরণ কেন ঘটছে? এর পেছনে কারণ কী? এগুলোর সঠিক অনুসন্ধান প্রয়োজন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানা এবং রাজধানী ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে চরম সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলেন কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হল কেন? পরবর্তীকালে যখন হামলা হয়েছে, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? আমরা মনে করি সরকার অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। এর জন্য সম্পূর্ণ সরকার দায়ী। তাদের জবাবদিহি করতে হবে এবং দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘুরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফল নিয়ে সরকার কিভাবে বিতর্কিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’


আরও খবর



তিতাস নদীতে সেতু চালু না হওয়ায় জনদুর্ভোগ-অবশেষে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক হস্তান্তর,স্বপ্নের সেতু চালুর আশ্বাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাথে নবীনগর উপজেলার কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। উপজেলা থেকে রাজধানী বা অন্য কোনো শহরে যেতে হলে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা অথবা পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ঘুরে নারায়ণগঞ্জে ভূলতা-ধনবাড়িয়া হয়ে অতিরিক্ত ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে স্থানীয়দের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বাসির দীর্ঘদিনের দাবী’র প্রেক্ষিতে সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল  সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থাকার সুবাদে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশেষ বিবেচনায় মেগা প্রোজেক্টের আওতায় নবীনগর টু আশুগঞ্জ সড়ক নির্মাণে দুটি ব্রিজ সহ ২০১৮ সালে "একনেক" এর শেষ সভায় চারশত একুইশ কোটি টাকা ব্যায়ে এই মেগা প্রজেক্ট অনুমোদন করান।

বর্তমানে এই প্রকল্পের বাজেট বৃদ্ধি হয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার দাঁড়াবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিস সূত্র জানায়। 

এই মেগা প্রজেক্ট এর আওতায় একটি সেতু তিতাস নদীর উপর মনতলা-সীতারামপুর সেতু নির্মানের কাজ শেষ হলেও গত এক বছরে চালু হয়নি সেতুটি। ওই মেগা প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের  তত্ত্বাবধানে ৭০ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিতাস নদীর উপর মনতলা - সীতারামপুর ঘাট থেকে নবীনগর সদরে সংযোগের জন্য ৫৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।

২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে তাঁরা কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্মান কাজের সময় বাড়ানোর পর সেতৃ নির্মান কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি চালু হয়নি। ফলে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে দিনে ও রাতে খেয়া পাড়ি দিতে হয়। 

জানা যায়,ব্রীজের দুই পাশে সরকারের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় স্থানীয়দের বাড়ি ঘর থাকায়  দু’পাশে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ভূমি মালিকগণ অধিগ্রহণের টাকা না পেলে জমি ছাড়বেন, না তাই দীর্ঘদিন ধরে এপ্রোচ সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। জনসাধারনের দুর্ভোগ বিবেচনায় অবশেষে স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুল জমি অধিগ্রহনের সরকারি বরাদ্ধের টাকা দ্রুত ছাড় করিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে চেক বিতরণ করেন। গত শুক্রবার ভূমি অধিগ্রহণকৃত ১২টি চেকের মাধ্যমে, ভূমি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার নয়শত ৬৬ টাকার চেক তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেওয়া দেন। অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকরা হচ্ছেন,মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ইয়াসিন মিয়া, জয়নালউদ্দিন,হাসান মিয়া, মকবুল হোসেন, আক্কাস আলী, মোজাম্মেল মিয়া, মাইনুদ্দিন, ওসমান গনি, আব্দুল মোতালিব, রিপন মিয়া, রাবিয়া খাতুন।

চেক হস্তান্তরের সময়,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক, উপজেলা সহাকরি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন,ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক ও স্থানীয় সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন। 

এবাদুল করিম বুলবুল এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু চালু হয়ে যাবে।  

এ ব্যাপারে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত দু’পাশে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে খুলে দেওয়া হবে। তিতাস নদীতে এই সেতুর চালু হলে স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ২১ কিলোমিটার দূরত্বের নবীনগর উপজেলা সদরের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন; মিথ্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগাররা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা সেদিনও (১৯৭২-৭৫ সাল) ক্ষমতায় ছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সেদিনও বাকশাল করেছিল। তারা আবারও ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক; হয়ে যায় আরেক। কয়েকদিন আগেও কত লাফালাফি, কী লাফালাফি এখন লাফালাফি কমে এসেছে। সুর নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে- সংঘাত চাই না (ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে)। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সেদিনও আমাদের সমস্ত জেলার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে আমাদের নিপুণকে আহত করা হয়েছে। কত চক্রান্ত আমাদের খোকন-শিরীনের নামে নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজেরা হত্যা করে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা, কিছুই ঘটবে না- একটা মামলা হয়ে গেল। কিছু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকি অজ্ঞাত হিসেবে এই মামলা দেওয়া  হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এই লড়াই করছি। এই লড়াই এখন একটি চূড়ান্ত পর্যায় এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি। তার প্রথম দফা হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশের মানুষ তোমাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের মানুষ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তা মনে করে না- এটাই বাস্তবতা। এই সংসদ যে সংসদে তুমি সংবিধান পরিবর্তন করেছ, সংবিধানকে বিভিন্ন কাঁটাছেড়া করে পরিবর্তন করে যে সংসদ রেখেছ, সেই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দলের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের সবচেয়ে বড় শপথ হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের জীবনের মূল্যে হলেও এই ভয়াবহ ভোটচোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাঁচাতে হলে, বাস্তবায়িত করতে হলে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল, সৈনিক হিসেবেও সফল। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা শহীদ জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে শহীদ জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির লজ্জিত হবার কোনো ইতিহাস নেই, গৌরব করার মতো ইতিহাস আছে। আমরা সামরিক শাসন জারি করি নাই, গণতন্ত্র হত্যা করিনি। এ আওয়ামী লীগ ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। বিএনপিকর্মী হিসেবে বলতে পারি বিএনপি শুধু স্বাধীনতা ঘোষকের দল নয়, গণতন্ত্র রক্ষাকারী দল। বিএনপির শাসনামলেই জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে আজ শ্রদ্ধা করা উচিত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব কি চিন্তা করছে তা সবাই জানেন। আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে পৃথিবীর ১০৭ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানালেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকার ভিসানীতি তো আগেই ছিল, তবে কেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি করতে হলো? কারণ, দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলণ্ঠিত তা আজ বিশ্ব অবগত।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অত্যাচারের ইতিহাস আজ নতুন নয়। এর আগেও তারা গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অবাধ লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে যে গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, তা ভূলণ্ঠিত করেছে এই আওয়ামী লীগ।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।


আরও খবর



হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের চ্যাটকে ব্যক্তিগত এবং সুরক্ষিত রাখতে নতুন চ্যাট লক চালু করছে। নতুন বৈশিষ্টটি ব্যবহারকারীদের ‘গোপন চ্যাট’কে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তরে আড়াল করে রাখবে।

এই ‘লকড চ্যাট’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো নতুন বিজ্ঞপ্তি লুকানো থাকবে এবং ব্যবহারকারীদের তাদের ডিভাইসের পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাট বা ফেসিয়াল রিকগনিশন) ভেরিফাই করতে হবে।

একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্টটি চালু করার সময়, হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে, ‘আমরা মনে করি এই বৈশিষ্টটি সেই সমস্ত ইউজারদের জন্য দুর্দান্ত হবে যাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তাদের ফোনটি শেয়ার করতে হয়। এই বৈশিষ্টের সাহায্যে আপনি ফোন শেয়ার করলেও আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গোপনই থাকবে।

ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি নতুন বৈশিষ্ট্য ঘোষণা করে এবং এটি কীভাবে কাজ করবে তা দেখানোর জন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ আগামী কয়েক মাসে চ্যাট লকের আরও বিকল্প যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আপনার ডিভাইসে চ্যাট লক করার ক্ষমতা এবং আপনার লক করা চ্যাটের জন্য একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড থেকে আলাদা হবে৷ নতুন চ্যাট লক বৈশিষ্টটি iOS এবং Android উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৫০ হাজার হজযাত্রী, মৃত্যু ৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এরমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৮৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪০ হাজার ৯২৫ জন।

এদিকে, হজে গিয়ে সর্বশেষ আলী হোসাইন (৬৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। এরমধ্যে পুরুষ তিনজন এবং মহিলা একজন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



রৌমারীতে জমি সংক্রান্ত জেরধরে ডেকে নিয়ে মারপিট

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:জমি সংক্রান্ত জেরধরে পরিকল্পিতভাবে মিলন হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে এলোপাতারী পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় মিলন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে কুড়িগ্রাম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ মে ২৩ ইং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়া বাজারে। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ওয়াহেদ নগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মিলন হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি ও পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে আবু হানিফের বিরোধ চলে আসছিল।

ঘটনার দিন মিলন পাখিউড়া বাজারে নজির হোসেনের দোকানে বসে থাকাবস্থায় ওয়াহেদ নগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবু হানিফ এর নেতৃত্বে একদল যুবক মিলনকে ডেকে নিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে এবং তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এসময় মিলন আত্মচিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এর আগেও একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন এক সপ্তাহ আগে মিলন হোসেনের পরিবারের উপর হামলার হুমকি দিয়ে আসে। সপ্তাহ জেতে না জেতে মিলন হোসেন এর অপর হামলা হয় । এঘটনায় মিলন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে কুড়িগ্রাম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। এতে আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে নানা ভাবে ভয়ভিতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে একই অবস্থায় আরেকটি ঘটনায় নির্যাতিত মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলম বাবলুসহ ৮ জনকে আসামী করে কুড়িগ্রাম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়রা জানান তাদের বিরুদ্ধে একাধীক মামলাও রয়েছে।


আরও খবর