Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ সভা/২০২৪ অনুষ্ঠিত একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন নাসিরনগরের মা ও মেয়ে৷ নবীনগরে দাখিল ফলাফলে সুফিয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসা উপজেলায় সেরা রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রচারণায় জনতার ঢল রূপগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নই এ সরকারের লক্ষ: সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান বিশুদ্ধতার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা করছে ‘ন্যাচুরা কেয়ার’ ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা হজযাত্রীদের বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি সৌদির মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

সরকার প্রত্যেক ডেঙ্গু রোগীর জন্য কত টাকা ব্যয় করছে, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ২৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী প্রতি সরকার গড়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ডেঙ্গু মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ চিকিৎসা নিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে। আর বাকি ৩০ শতাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। অধিকাংশ রোগী সরকারিতে নেওয়ায় ব্যয় বেশি। সাধারণত দুই ধরণের ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। অনেকে শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সরকার গড়ে রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করছে। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করেছে সরকার। কোনো রোগী যাতে চিকিৎসার বাইরে না থাকা সেই চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়হীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ও চিকিৎসা নিয়ে এখানে কাজ করছি, কাউকে দোষারোপ করার জন্য নয়। আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। ডেঙ্গু সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। স্থানীয় সরকার, পরিবেশসহ অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব রয়েছে।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হলেও নারীদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে। মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগই নারী। চিকিৎসার প্রতি অবহেলার কারণে তাদের মৃত্যুহার বেশি। তাই নারীদের চিকিৎসার প্রতি আমাদের আরও যতœবান হতে হবে। যারা দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন, তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। পাশাপাশি যারা একাধিকবার আক্রান্ত হন, তাদের মৃত্যুহার বেশি।’

এডিশ মশা নির্মূলে সিটি করপোরেশনের ব্যবহৃত ওষুধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মশা নিধনে যেভাবে ডোবা-নালায় স্প্রে হওয়া দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। স্কুলেও অনেক বাচ্চা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ঠিকমতো মশা নিধনের স্প্রে হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। পাশাপাশি কল কারখানায় যাতে নিয়মিত স্প্রে হয়, সেটি তদারকি করতে হবে। যেসব মশা জন্মাচ্ছে, সেগুলো নিয়েও গবেষণা হওয়া দরকার।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, মানুষের আচরণগত পরিবর্তন অনেক কঠিন কাজ। পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সবসময়ই কিছু ঘাটতি থাকে, সেটা মোকাবেলা করার চেষ্টা চলছে। সময়মত মশা নিধন, জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো না গেলে সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব নয়।


আরও খবর



মান্দায় সেচের পাওনা টাকা চাওয়ায় ড্রেনম্যানকে পিটিয়ে জখম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ  প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় এক গভীর নলকূপের ড্রেনম্যানকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বোরো ধানের জমির সেচভাড়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে জখম করেন এক কৃষক ও তার লোকজন।

বর্তমান ওই ড্রেনম্যান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। রোববার বিকেলে উপজেলার ভেবড়া গ্রামের মাঠে হামলার শিকার হন তিনি।

হামলার শিকার ড্রেনম্যানের নাম রমজান আলী (৭০)। তিনি উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই মৌজায় স্থাপিত একটি গভীর নলকূপের ড্রেনম্যানের কাজ করতেন তিনি। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই গভীর নলকূপের অপারেটর জালাল হোসেন চিকিৎসার কাজে ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতে যাওয়ার আগে তিনি নলকূপটি পরিচালনা ও সেচভাড়ার টাকা আদায়সহ যাবতীয় দায়িত্ব ড্রেনম্যান রমজান আলী ও আব তাহেরের ওপর দিয়ে যান। 

ছোয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, একই গ্রামের কৃষক খাইরুল ইসলামের কাছে সেচভাড়ার বকেয়া ১০০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ড্রেনম্যান রমজান আলীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার কলেজ মোড়ে বাগ্বিত-ার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

জের ধরে কৃষক খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে আকাশ হোসেন, সাগর হোসেন, বকুল হোসেনসহ ৬ থেকে ৭জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামের মাঠে ড্রেনম্যান রমজান আলীর ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা এ সময় লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ড্রেনম্যান রমজান আলী একটি হাত ও একটি পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।

মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো এজাহার পাওয়া যায়নি। পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ঐতিহাসিক বাড়াইবাড়ী যুদ্ধু দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই শ্লোগানের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধের ২৪ বছর পদার্পন উপলক্ষে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সহযোগীতায় বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালের দিকে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধে নিহতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তপক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পরে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে সাবেক এমপি রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি গ্রামবাসির পক্ষে, বারবান্দা সুর্য্য সংঘ, শহীদ পরিবারের পক্ষে, চুলিয়ারচর ও বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি (জেপি), বড়াইবাড়ী গ্রামের কোমলমতি বাচ্চারাসহ এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তান্ডব চালায়। অকুতোভয় তৎকালিন বিডিআর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ করা হয়। নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান ৩৩ রাইফেল্ধসঢ়;স ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ধসঢ়; ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এলাকাবাসীর দাবী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, চলমান নির্মিত ব্রীজ ও রাস্তা তিন শহীদদের নামে নাম করন ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইমান আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবু হোরায়রা সাধারন সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন উপজেলা পরিষদের, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার সৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ডল, ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ উপজেলা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


আরও খবর



মধুপুরে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃআমাদের নার্স, আমাদের ভবিষৎ। অর্থনৈতিক শক্তি,নার্সিং সেবার ভিত্তি"এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে  টাঙ্গাইলের মধুপুরে আজ  আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) সকালে মধুপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। 

উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে একটি র‌্যালী শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল রুমে  আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তারেকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইয়াকুব আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন। এসময় আরও  উপস্হিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্হ কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা  (আর এম ও) ডাঃ ইমরান হোসেন, ডা: আতিকুর রহমান, ডেন্টাল সার্জন ডাঃ নুরে আলম, ডাঃ বিশ্বজিৎ দাস, নার্সিং সুপার ভাইজার ফাতেমা খাতুন সহ অন্যান্য নার্সিং কর্মকর্তা বৃন্দ ও মধুপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছাত্রীগন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্হাপনায় ছিলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন, আরিফা খাতুন ও মাকসুদা। সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স শারমিন আক্তার ও মর্জিনা।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



"গ্রামে যারা উৎপাদন করছেন তাদের কষ্ট নেই"

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে, তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিবিসির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে, গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

তিনি বলেন, তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা যথাযথভাবে দেশে উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। সেটা যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণটা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় কথা। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।

সরকারদলীয় এমপি মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য, যেমন- জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শিগগিরই ক্রলিং পেগভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাসদ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২৮ এপ্রিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দপ্তরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিলে খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে একই ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

রোজা ও ঈদের টানা ২৬ দিন ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার স্কুল খোলার কথা ছিল। এদিকে দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর