Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সরকার লুটপাট করে দেশকে ফতুর করে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার লুটপাট করে দেশকে ফতুর করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির আগে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সমাবেশে শেষে পদযাত্রাটি গোপীবাগ থেকে শুরু হয়ে টিকাটুলি, দয়াগঞ্জ, রায় সাহেব বাজার হয়ে নয়াবাজার গিয়ে শেষ হয়।

বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও গুলিসহ দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণবিরোধী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবীতে আজ এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে র‌্যাব ও পুলিশকে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- আমরা এটি চাইনি, এটি জাতির জন্য লজ্জাকর 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবারও আমেরিকায় অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি, এতে বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায়। যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছে, সে গণতন্ত্র হরণের অভিযোগই গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি বাংলাদেশ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে ক্ষমতাসীনদের চুরির কারণে ব্যাংক খালি, ডলার নেই। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। দেশে আজ গণ-লুট চলছে। এরা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের সম্পদ লুট করে। গত ১৫ বছরে অনেক অত্যাচার হয়েছে আর নয়, জনগণকে বাসা থেকে বের হতে হবে জেগে উঠতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরাই দেশটিকে ফতুর বানিয়ে ফেলেছে। একদিকে দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলছে, মানুষ গরিব হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। তারা বলে উন্নয়ন উন্নয়ন, এমন উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ আজ বিদ্যুৎ পায় না, পানি পায় না, গ্যাস পায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সারাদেশেই অত্যাচার হচ্ছে, চলছে নৈরাজ্য। আওয়ামী লীগ মূলত সন্ত্রাসী দল। এরা কখনোই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। এরা সবসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। গত কয়েক মাসে তারা আমাদের ১০ জন নেতাকে হত্যা করেছে। বেআইনি ও গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারপরও আন্দোলন থামানো যাচ্ছে না। কারণ এই আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রকামী সকল জনতার।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের বলেছেন- উনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে! তার এ বক্তব্যে মানুষ হাসে। আমাদের পরিস্কার কথা এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। দেশের অনেক ক্ষতি করেছেন। শুধুমাত্র নিজ পরিবার ও নেতাদের লুটের কারণে দেশ আজ ফোকলা হয়ে গেছে। দেশের মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, আপনাদের উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন-বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। তাহলে কেন পাহারা দেন? এখনো সময় আছে, দেয়ালের লিখন পড়েন। সারাদেশের মানুষ নেমে পড়েছে। সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, নতুবা রেহাই পাবেন না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরি করে রেখেছেন। তাতে কি আন্দোলন বন্ধ করতে পেরেছেন? বিএনপি কি ভেঙে গেছে, বরং আরো শক্তিশালী হয়েছে। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনি নিজেও জানে না উনি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। তা তিনি আবার এক সাক্ষাৎকারেও বলেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় এ সংবিধানে দেশ চলবে না। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের উত্থাপিত ২৭ দফার আলোকে সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

এতে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে আরও অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রকিবুল ইসলাম বকুল, কাজী আবুল বাশার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রওনাকুল ইসলাম টিপু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক রাবিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।


আরও খবর



রমজান উপলক্ষে কাফরুল থানা এলাকার মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে  কাফরুল থানা এলাকার ব্যাংক, বিপনি বিতান, শপিং মল সমূহে নিরাপত্তা, ভেজাল খাদ্য দব্য, দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ সহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
মঙ্গলবার সকালে ইব্রাহিমপুর সিটি পার্ক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ সংক্রান্ত   মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতি-উপ পুলিশ কমিশনার (মিরপুর জোন) মাসুক মিয়া -পিপিএম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (মিরপুর জোন)হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম -পিপিএম সেবা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পল্লবী ট্রাফিক  জোন) গোর্কি  চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল পল্লবী জোন) মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের  সভাপতি  গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সহ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ।

প্রধান অতিথি এডিসি মিরপুর জোন তার বক্তব্য বলেন রমযান মাসে মিরপুরবাসীর নিরাপত্তার জন্য মিরপুর ডিভিশিনের পক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলিতে সার্বক্ষণিক চেক পোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য মানি স্কর্ট এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শপিং মল, বিপনীবিতান গুলোতে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে  শপিং করতে পারে সে জন্য পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।এছাড়া সকল মার্কেট, বিপনী বিতানের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সক্রিয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সকল কাঁচা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মুল্য তালিকা প্রদর্শন করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।এছাড়াও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম ডিভিশন সমন্বয় করে কাজ করছে।

আরও খবর



ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যত অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দার উত্তরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ  আবদুল মজিদকে সরিয়ে বিধিবহির্ভূত ভাবে পৌনে দুই বছর যাবৎ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে অনার্স শাখায় সেমিস্টার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।

অভিযোগে জানা যায়, ওই কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তী গত ২০২২ সালের ১১জুন দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত বিধিবহির্ভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জারী হওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার পরিপত্রটিকেও তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন। এমনকি সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় পদ না থাকলেও তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধভাবে অনার্সের ৮টি শাখায় সেমিনার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করেন এবং ওই বছরের ১৭ অক্টোবর অন্যান্যরা যোগদান করেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলো, বাংলা বিভাগে মো. কামরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে রবিউল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগে সাগিরা খাতুন, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মো. নুরুল আমিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ইফতেখার হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে রীনা খাতুন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে আনোয়ার হোসেন ও ভূগোল বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমান।

জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমি যখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেই তখন কলেজের সিনিয়র ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন দায়িত্ব নেওয়ার নিয়ম ছিল। বর্তমানে আমার কলেজে কোন গভর্নিং বডি নেই গভর্নিং বডি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই বডি পাশ হয়ে আসলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আপনার সময়ে ওই কলেজে বিধিবহির্ভূত ভাবে ৮জন সেমিস্টার সহকারী কিভাবে নিয়োগ দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় পদগুলো না থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র আছে। সেই পরিপত্রের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারীকৃত সেই পরিপত্র চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

জানতে চাইলে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, আমি ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ আমি আগে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে তৎকালীন গভার্নিং বডির সভাপতি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। তখন থেকে তিনিই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী তিনি ওই পদে থাকতে পারেন না। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দাপিয়ে চলছে মাটিভর্তি ট্রাক্টর,প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় চলতি বছরে চলছে ইট তৈরীর মৌসুমে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে সড়ক ও মহা-সড়ক পথে ইটভাটা ও জায়গা ভরাটে মাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য রৌমারী টু ঢাকা মহা-সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক’সহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে দিনে-রাতে অবাধে দাপিয়ে চলছে প্রায় ৮ শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকরে স্থানীয় প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ না নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আতাত করে নিরোব ভূমিকা পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি। এর কারণে মাটিভর্তি ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। চালকরা আরো বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে গাড়ী এর কারণে মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

যানাজায়, গত শুক্রবার (৮মার্চ) ট্রাক্টর ও ভটভটির ধাক্কায় আবু সাইদ (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ছাড়াও গত দুই বছরে নুরজাহান (৪০) আমির হোসেন (৬০), মুগল হোসেন (৪৮), ওয়াসিমা খাতুন (৬০), সোবহান (৬৫). জাহিদুল ইসলাম (২৬), মতিয়ার রহমান (৪০) সহ অনন্ত ২০ জনের মৃত্যু ও আহত হয় স্কুল শিক্ষার্থীসহ প্রয় ৩০ জন।

সম্প্রতি উপজেলার চান্দারচর, চর বামনেরচর, টাপুরচর, মিয়ারচর, গেয়ালগ্রাম,দিগলাপাড়া,খন্ধসঢ়;জনমারাসহ কয়েকটি সড়ক মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ করা হলেও অতিরিক্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)। চলাচলের কারণে সড়কটিতে আবারো খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র আঘাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না গ্রামীণ পাকা সড়ক ও কাচা পথগুলো। উপজেলা বাসট্যান্ড, থানা মোড়, ডিগ্রী কলেজ মোড়, উপজেলা মোড় ও ভোলার মোড়ে প্রশাসনের চোখের সামনের এ সড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে পিছু ছাড়ছে না যানজট। এতে ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা।

অবৈধ গাড়ীর সামনে মাসিক চাঁদার নামে মানতি কার্ড ব্যবহার করে পুরো উপজেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ অবৈধ যানবাহন গুলো। আর একারণে নিরব ভূমিকা পালন করেন উপজেলা প্রশাসন। পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এমনকি অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানের ছোঁয়া ট্রাক্টর চালক-মালিকদের কাছে পৌঁছায় না।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে শুধু মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রেও পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে মোটরসাইকেল চালকদের হয়রানি করার অভিযোগ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র চালক বলেন, রৌমারী থানা পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই তল্লাশির নামে চেকপোস্ট বসিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকা যানবাহনের বিরুদ্ধে নাম মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নিলেও বৈধ যানবাহন চালক ও পথচারিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজকরে।

বেশি লাভের আশায় ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিকরা স্বল্প বেতনে অপ্রাপ্ত বয়সের চালককে দিয়ে ট্রাক্টর চালানোর কারণে সড়কে চলাচলরত স্কুল ছাত্র,ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী)’র চাপায় পড়ে আহত ও নিহত হচ্ছে। ভ্যানচালক হেলপাররাই এখন ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিকদের ভরসা। যে চালক যত বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়ে ইটভাটায় ও জায়গা ভরাটে যত বেশি মাটি পৌঁছে দিতে পারবে, সেই চালককে মালিকরা তত বেশি পছন্দ করেন। পাল্লাদিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে বিকট শব্দ দূষণ হয়। এতে শিশু,বৃদ্ধ্য ও পথচারীদের সড়কে হাঁটাচলা করতে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

এছাড়া অতিরিক্ত মাটি বহন করার কারণে সড়কে চলার পথে ঝাঁকুনি খেয়ে মাটি পড়ে যায় এবং একটু বৃষ্টি হলেই পাকা সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও এ উপজেলায় অবাধে চলছে পাওয়ার টিলার দিয়ে তৈরি অবৈধ ট্রলি (ভটভটি)। এগুলোও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের দিয়ে মূল সড়কে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই ধরনের গাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স-মিলের জন্য গাছের গুঁড়ি, কাঠ-খড়ি ও গরু-মহিষসহ নানা প্রাণী বহন করে।

জানা গেছে চার বছর ধরে রৌমারী উপজেলায় ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জমির মালিকদের লোভদেখিয়ে ফাঁদে ফেলে মাটি, ইট ও পুকুর খনন ব্যবসায়ীরা এ পর্যন্ত প্রায় ৬’শ একর ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করেছেন বালু খেকোরা।

উপজেলার ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, মালিক সমিতির আওতায় দেড় শতাধিক ট্রাক্টর আছে। এ ছাড়াও বাইরের এলাকা থেকে ৫০টির মতো ট্রাক্টর এসে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, নতুন সড়ক আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তারা বৈঠক করেছেন। চালক ও মালিক পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রকৃত চালক ছাড়া কেউ যেন ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) না চালায়। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য প:প:কর্মকর্তা ডা. মো আসাদুজ্জামান বলেন, বালু বোঝাই ট্রাক্টর (কাকড়া গাড়ী) অবাধে চলাচলের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং স্কুল শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষ সহ এজমা, সর্দি,কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হীল জামান জানান, ট্রাক্টরগুলো অবাধ চলাচলের কারণে সদরে এক দিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং অন্য দিকে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। শিগগিরই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাহিদ হাসান খান বলেন, রৌমারীতে অসংখ্য ট্রাক্টর অবাধে চলছে। এসব বন্ধের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে টাকার বিষয়ে প্রশ্নকরলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মির্জাপুরে ৩০ গ্রাম হিরোইন সহ এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বাওয়ার কুমারজানি নিজ বাড়ি থেকে নাজমা (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৩০ গ্রাম হিরোইন সহ ডিবি পুলিশ আটক করেছে। আটককৃত মহিলার স্বামীর নাম লিটন মিয়া। সে বর্তমানে জেলে আছে।

টাঙ্গাইলের ডিবি (উত্তর) এর এসআই মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, আমরা অনেকদিন যাবত ঐ মহিলাকে হাতেনাতে ধরার জন্য সুযোগ খুঁজছিলাম। শনিবার (২ মার্ঢ) বিকাল ৫ টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে ৩০ গ্রাম হিরোইন সহ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। উদ্ধারকৃত হিরোইনের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আজ রবিবার (৩ মার্ঢ ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আসামিকে টাঙ্গাইল কোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট: বাগেরহাটে বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটে প্রাইম ব্যাঙ্ক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুনামেন্টে জেলা পর্যায়ের খেলায় বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসাকে এক ইউকেটে পরাজিত করে বাগেরহাট বহুমুখী  কলেজিয়েট স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বুধবার (০৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ও বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় বাগেরহাট শেখ হেলাল  উদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

খেলা শেষে বাগেরহাট  পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে খেলোয়ারদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন।

এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক  মীর  জায়েসী আশরাফী জেমসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

খেলার শুরুতে বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসা ব্যাট করতে নেমে  ৫০ ওভারে  সবকটি  উইকেট হারিয়ে  ২০৮ রান করে। দ্বিতীয়ার্ধে বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮ ওভার ২ বলে  ২০৯ রান করে। ফাইনাল খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন বিজয়ী  দলের নিলয় কুন্ডু। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে  আট্টাকা পাইলট স্কুলের  রাতুল  ইসলাম।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪