
স্টাফ রিপোটারঃ-
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের মরহুম নুর-বখত মাহালদারের ২য় ছেলে আলমের বিরুদ্ধে সরকার ও রাষ্ট্র বিরুধী কার্যকলাপের লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ইউনিয়নের সাকুচাইল গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিক্ষক পিতা নুর-বখত মহালদারের সন্তান আলমগীর বখত মহালদার আলম । তাবলিগ জামাতের সাইনবোর্ডের আড়ালে সংসার বৈরাগী হয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে কখনো কখনো বিভিন্ন মসজিদে আবার কখনো স্হানীয় ছাতিয়াইন বাজারে অন্যের দোকানে অস্হায়ী কাজ নেয়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে রাত ভর বসত ঘরেই বহিরাগতদের নিয়ে চলে বিভিন্ন শলাপরামর্শ। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাস্তব জীবনে আলম বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। কিন্তু স্ত্রী সন্তানের খোজ খবর না নিয়ে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে উগ্রপন্থী দের দলে। সন্তানদ্বয় রাজধানীর নামকরা স্কুলে একমাত্র মায়ের আয়েই পড়াশোনা করছে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আলমের পরিবারের একটি সুত্র জানায়। জানা যায় আলমের স্ত্রী একই উপজেলার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে তাই আলমের সরকার বিরুধী কার্যক্রম পছন্দ না হওয়ায় এবং আলম পরিবারের সদস্যদের ভরনপোষণ না করায় জীবিকা নির্বাহের জন্য নিজেকে নারী উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
তাছাড়া পড়াশোনার খরচ চালাতে মায়ের কষ্ট দেখে আলমের সন্তানগন আলমের কাছে পড়াশোনার খরচ দাবি করলেও আলম তা দিতে অস্বীকার করে। অন্যদিকে আলম সম্পত্তি বিক্রি করে সরকার বিরুধী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কাজে ব্যয় করছে বলে আলমের স্ত্রীর দাবি।এলাকাবাসী জানায় আলমগীর বখত আলমের পিতা মরহুম নুর-বখত মহালদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে অগাঘ জায়গা সম্পত্তি রেখে গেলেও তাবলীগ জামাতের পেছনে সব সম্পত্তি বিক্রি করে খরচ করায় আজ প্রায় নি:স্ব।
জানা যায় এলাকার গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনে আলম নির্ধিধায় রাতভর জামাতি মিটিং চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমের স্ত্রী প্রতিবেদককে বলেন, আলম দীর্ঘদিন এভাবেই চলছে, আমি তা বন্দের জন্য থানার সহযোগিতা চেয়েছি, মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক কে ও অবগত করেছি। পুলিশ আসার খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই সে তার দলবল নিয়ে স্হান ত্যাগ করে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা