Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

সরকার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা পেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিশেষ প্রয়োজনে ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে পারবে সরকার। এতদিন শুধুমাত্র বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ দাম নির্ধারণ করতে পারত।

আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে এমন ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। এর আগে, গত সোমবার  ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধন করে সেখানে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা শিরোনামে নতুন একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তাপর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের এখন বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) এগুলো (দাম সমম্বয়) সব হ্যান্ডেল করে। কিন্তু বিইআরসির কিছু কিছু জায়গায় একটু প্রবলেম হয়, যেমন- ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়ে থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে, বিইআরসি ৯০ দিনের মধ্যে এগুলো সব শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের ইমিডিয়েট প্রয়োজন আসে, অনেক সময় তারা ঠিকভাবে ইয়ে (সমন্বয়) করতে পারে না।’

আইন সংশোধন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রয়োজন বোধে বিভিন্ন বিশেষ কারণে এ ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব তখন আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে দাম সমন্বয়ের কাজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনই করবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার এক্ষেত্রে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার বৈশাখী মেলার সামনে থেকে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলককে তুলে থানায় নিয়ে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ভুক্তভোগী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বাদী হয়ে সদর থানার ওসি মো: কামাল হোসেনসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। 

ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ মামলাটি আমলে নিয়ে আসাদুজ্জামান পুলকের ভাঙ্গা হাতের এক্স-রে সহ তার শারীরিক প্রতিবেদন ও ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে একটি মোকদ্দমা রজু করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ ঘটনায় নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য জেলায় কর্মরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যায় জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এসময় কতিপয় ছেলে অকারণে হট্টগোল করলে এতে সে বাঁধা দেয় এবং তাদের ঝগড়া নিরসনের চেষ্টা করে। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনকিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হেচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। 

এসময় তিনি ওসি মো: কামাল হোসেনকে যুবলীগ নেতা রকিকে আটকের বিষয়ে ও মারধরের কারণ জানতে চান। কিন্তু ওসি তার কথা না শুনে পুলকের উপর চড়াও হয়ে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান। এরপর ওসির রুমে ঢুকিয়ে চোখে গামছা বেধে ও হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে আসাদুজ্জামান পুলককে বেধড়ক পিটিয়ে বাঁ হাত ভেঙ্গে দেন। এ সময় হাসপাতালে নিয়ে মানুষ দেখানো চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে গেলে সেখানে হাতের এক্স-রে করার কথা বললেও পুলিশ তা না করিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের কোন লিখিত অভিযোগ না পেয়ে ১৫১ ধারায় একটি মামলা রজু করে। পরদিন পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়। গত ২ মে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হলে সে ভাঙ্গা হাতের এক্সরে করে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

মামলায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন (৪৭), সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) মো: লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় (৩৬), এসআই মোতালেব (৩৭) ও এএসআই মো: হাফিজ (৩৪) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জসীমউদ্দীন ইতি

আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ৩১লক্ষ টাকার মূল্যের হারভেষ্টার মেশিন বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারের কৃষি সহায়তা হিসেবে বৃহস্পতিবার কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের জন্য বোরো মৌসুমে ভর্তুকি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড.  শাহ-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান, পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষি সহায়তা হিসেবে ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের কম্বাইন্ট হারভেষ্টার মেশিন প্রদান করা হয়।

আরও খবর



কদমতলীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর কদমতলীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শফিকুল (৪০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হন সুজন নামে আরও একজন। আজ বুধবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শফিকুলের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাকলায়।

শফিকুলের সহকর্মী সাগর বলেন, সকালে শফিকুল সাদ্দাম মার্কেটের পাশের একটি পাঁচ তলা নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় সাটারিং খুলছিলেন। তখন একটি রড ভবনের পাশে বৈদুতিক তারের সঙ্গে লেগে শফিকুল ও সুজন বিদুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১২টার দিকে শফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।


আরও খবর



অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে চিলমারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

আলমগীর হোসাইন, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবৈধভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সন্নিকট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বাধাহীনভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বামনের হাট রেগুলেটর থেকে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাসন্তীপাড়া পর্যন্ত যে কোন জায়গায় ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পটি দেবে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়।

যুগের পর যুগ ধরে করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দেশের অন্যতম প্রাচীন নৌ বন্দর চিলমারীকে গ্রাস করে চলছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাস্তভিটা হারিয়েছে। কোন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হয়েছে। বর্তমানে চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বিলীন। বাকি তিনটি ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে ক্রমাগত চিলমারীর শেষ অংশটুকু গিলে খাওয়ার পথে এগোচ্ছিল। গত ১৭ই জুলাই ১৯৯৩ইং চিলমারী বন্দর নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা চিলমারী থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম গিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

এই আন্দোলন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিতে আনতে সক্ষম হয়। অবশেষে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্দোলনের সফলতা আসে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা ফেজ-১ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ইং সালের জুলাই মাসে ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ফেজ-১ এর কাজ শুরু করা হয়। ৯৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার অংশে জুন’২০০৯ইং উক্ত কাজ শেষ হয়। এরপর থেকে ফেজ-২, ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিলমারীবাসীর স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি পূরণ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর চিলমারী উপজেলার যৎসামান্য অংশ রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চিলমারী নামের একটি উপজেলার অস্তিত ধরে

রেখেছে। কিছু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ডানতীর প্রকল্পের ডানতীর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিরামহীন ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুর ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর এলাকায় ১৪টি পয়েন্টে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নীচ অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক এলাকায় একাধিক জায়গায় হঠাৎ কিছুদূর করে অংশ দেবে যাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বোল্ডার ফেলে দেবে যাওয়া অংশগুলিতে নদী ভাঙন কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা প্রকল্পটির কোন অংশ পুরোপুরি দেবে গেলে আর চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না। এ বছর ৭০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গ্রুপ একসাথে শেয়ার করে রমনা নৌ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করে নদী তীরেই বালুর স্তুুপ করে সেখান থেকে শতাধিক ট্রলিতে বালু বিক্রি করছে।

এছাড়াও বাসন্তী গ্রাম জোড়গাছের ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ধরে রমনা মিয়া বাড়ির সামন ও পিছনসহ রাজারভিটা, পুটিমারী ও ফকিরের হাট এলাকায় মোট ১৪টি পয়েন্টে একাধিক গ্রুপ বা ব্যক্তি বালুর ব্যবসা চলছে। ফলে এই বালু ব্যবসার উপর প্রায় ২ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন বালু পয়েন্টের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তারা অবৈধ নয় বরং বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে চায়। তাদের দাবি চিলমারীকে বালু মহাল ঘোষণা দেয়া হউক। এটা হলে তারা যেমন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারবে পাশাপাশি সরকারও এই বালু মহাল থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।১৭ মে ২০২৩ বিকেলে চিলমারী উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়ে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রথমত বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না।

সরকার যদি চিলমারীতে বালু মহাল ঘোষণা দেয় তখন যত্রতত্র জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং একটি নিরাপদ এলাকাকে বেছে নিয়ে একটি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এস, এম নুরুল আমিন সরকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার প্রথম এবং শেষ কথা আগে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। তারপরে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মণিরুল ইসলাম লিটু বলেন, চিলমারী থাকলে তো বালুর ব্যবসা থাকবে। চিলমারী না থাকলে বালুর ব্যবসা হবেটা কোথায়। তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।চিলমারী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরো চিলমারীর মানুষের একটাই কথা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। চিলমারী উপজেলা রক্ষার বিকল্পে আর কোন শব্দ নাই। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানকে বলেন, আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নানা কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। আপনারা সাংবাদিকগণ পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দিলে আমি চিলমারীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।


আরও খবর



হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু না করায় ৯০ এজেন্সিকে শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু না করায় ৯০টি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার এ নোটিশটি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সময় শেষ হয়ে হলেও বেসরকারি প্রায় ৪৯ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ৩১ মে চিঠি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে হজ এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এজেন্সিগুলো সেই নির্দেশনা মানেনি।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এজেন্সিকে তিন দিনের মধ্যে স্ব স্ব এজেন্সির হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু করা হয়নি, যা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় অসহযোগিতার সামিল। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে। এ ঘটনা ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’র পরিপন্থী। এতে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

নোটিশে এসব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’র ১৩ ধারা অনুযায়ী কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেই জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার অনুরোধ জানানো হয়।


আরও খবর