Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দারুণ প্রস্তুতি বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক:বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে আগে গা গরমের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে । এসব ম্যাচে জয়-পরাজয়ের থেকেও বড় বিষয়, কে কেমন প্রস্তুতি সারল মূল ম্যাচের আগে। সেদিক থেকে বলা যায়, ব্যাটে-বলে প্রস্তুতিটা দারুণ হলো বাংলাদেশের।

বল হাতে শেখ মেহেদী, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদীদের দুর্দান্ত বোলিং আর ব্যাট হাতে লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মিরাজরা দেখিয়েছেন দারুণ নৈপুণ্য।

গৌহাটির বারাসপারা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৬৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন লিটন দাস-তানজিদ তামিম। লম্বা সময় অফ-ফর্মে থাকা লিটন এদিন সামনে থেকে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্যাট হাতে।

১২৮.২০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে ৩৯ বলে ৯ চারে ফিফটি তুলে নেন লিটন। ইনিংসটা বড় করতে পারতেন তবে থামতে হয় দলীয় ১৩১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬১ (৫৬) রান করে দুসান হেমন্তর বলে পাথিরানার হাতে ক্যাচ দিয়ে।

লিটন ফেরার পর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন তানজিদ তামিম। অর্ধশতক পূর্ণ করে ছুটছিলেন শতকের পথে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ান লাহিরু কুমারা। ৮৮ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৪ রান করে ক্যাচ দেন চারিথ আসালাঙ্কার হাতে।

চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েললালাগেকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে খেলতে প্রথম বলেই বিদায় নেন তাওহীদ হৃদয়। এরপর অবশ্য আর উইকেট দিতে হয়নি বাংলাদেশকে। মেহেদী মিরাজের পঞ্চাশোর্ধ (৬৭*) ইনিংস আর মুশফিকুর রহিমের ৩৫* রানে ভর করে ৮ ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন লাহিরু কুমারা, দুনিথ ওয়েললালাগে ও দুসান হেমন্ত।

এর আগে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়া টসে হেরে বোলিং করতে নেমে লঙ্কান দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় ১৬ ওভার পর্যন্ত উইকেট নিতে পারেনি টাইগার বোলাররা। তবে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং কর কুশল পেরেরা চোট পেয়ে বিশ্রামে গেলেই ধ্বস নামে লঙ্কান ব্যাটিং লাইন-আপের।

১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় কুশল মেন্ডিসকে ২২ রানে ফেরান নাসুম আহমেদ। এরপর ২০তম ওভারের শেষ বলে ৬৮ (৬৪) রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে শিকারে পরিণত করেন শেখ মেহেদী হাসান।

দলের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকেই ফিরিয়েছেন মেহেদী। চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান ১৮ রানে। 

তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বেশ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। তুলে নেনে অর্ধশতকের ইনিংস। তবে বিদায় নেন দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় ৫৫ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে। এর আগে দাসুন শানাকাকে ৩ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

এরপর বাকি ব্যাটাররা লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। দিমুথ করুনারতেœকে রান আউট করে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুনিথ ওয়েললালাগে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ'র থ্রোতে মুশফিকুর রহিমের স্টাম্পিংয়ে।

শেষ দিকে দুসান হেমন্তকে ১১ রানে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ৪৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। ১টি করে উইকেট নেয়া তানজিম সাকিব ৫.১ ওভারে দেন ৩৩ রান, শরিফুল ইসলাম ৫ ওভারে দেন ৩৫ রান, নাসুম আহমেদ ৮ ওভারে দেন ৫১ আর মিরাজ  দেন ১০ ওভারে ৩২ রান।

আগামী ২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গৌহাটিতে দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




ককটেল হামলাকারীরা ছিল হেলমেট পরা : আফরোজা আব্বাস #ktvbangla #ktv

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় সরকারদলীয় লোকজন দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এই সভানেত্রী।

আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান দেখেছে মোটরসাইকেলে ২ জন কালো পোশাক পরে এসেছিল। তারা হেলমেট পরাও ছিল। টহলে থাকা পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।

আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, শুধু বলে এসব করে ছাত্রদল-যুবদল। নিজেরা তাণ্ডব চালিয়ে দায় চাপায় বিরোধীদলের ওপর। পুলিশ প্রশ্রয় না দিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এসব করতে পারত না। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, সকাল ৮ থেকে সোয়া আটটার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। থানায় ফোন দেয়ার পর পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত একটি ককটেল নিয়ে যায়।

আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, প্রতিকার চাইলে উল্টো মামলার ঝুঁকি আছে। মির্জা আব্বাস জেলে, তবুও হেলমাটবাহিনী এসব ঘটাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির অনুমোদন দিলো ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সারাদেশের ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব থানার ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরই প্রেক্ষিতে ইসিতে ৩৩৮ থানার ওসির বদলির তালিকা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

মূলত, যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলি করতে গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দেয় ইসি। তার প্রেক্ষিতে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসির বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর বৃহস্পতিবার ওসি বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য ইউএনও ও থানার ওসিদের বদলির সিদ্বান্ত নেয় ইসি।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




ইমো’তে সরাসরি দেখা যাবে ‘দ্য গেম অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিশ্বব্যাপী ভিডিও গেমিং ইন্ডাস্ট্রির অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডস (টিজিএ)। আগামী ০৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) সাড়ে ১২টায় এই পুরস্কার দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচার করবে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো।

ইমো ব্যবহারকারীরা হোমপেজের ‘স্টোরি’ সেকশন ও ভয়েস রুমের নির্দিষ্ট ব্যানারে ক্লিক করে সরাসরি সম্প্রচার দেখার সুযোগ পাবেন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই বিশ্বমানের অনুষ্ঠানটি সরাসরি উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

অনুষ্ঠানে বিনোদনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং, আশাব্যঞ্জক ও প্রেরণাদানকারী খাত হিসেবে গেমিংয়ের অবস্থানকে সমৃদ্ধ করতে ও গেমিং এর সাফল্য উদযাপনে একসাথে হন পপ-কালচারের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড় ও গেম ডেভেলপাররা। দ্য গেম অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ৫ হাজার বিশেষ অতিথি, খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ফ্যানরা উপস্থিত থাকবেন।

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা টিজিএ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। অতীতে গ্যাল গ্যাদোত, ক্রিস্টোফার নোলান, কিয়ানু রিভস, ভিন ডিজেল, আল পাচিনো, জেসন শোয়ার্টজম্যান, জ্যাক ব্ল্যাক, মার্গো রবি ও টম হল্যান্ডের মতো সেলিব্রেটিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

টিজিএ-তে ৩১টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে- গেম অব দ্য ইয়ার, বেস্ট গেম ডিরেকশন, বেস্ট ন্যারেটিভ, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন, বেস্ট স্কোর অ্যান্ড মিউজিক, বেস্ট অডিও ডিজাইন, বেস্ট পারফরম্যান্স, ইনোভেশন ইন অ্যাক্সেসিবিলিটি সহ আরও নানান ক্যাটাগরি। ২০২৩ সালের গেম অব দ্য ইয়ারের মনোনয়নগুলো হলো- অ্যালেন ওয়েক ২, বালডুর’স গেট ৩, মার্ভেলের স্পাইডার-ম্যান ২, রেসিডেন্ট এভিল ৪, সুপার মারিও ব্রোস ওয়ান্ডার ও দ্য লিজেন্ড অব জেল্ডা: টিয়ার্স অব দ্য কিংডম৷ সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত সকল ক্ষেত্রে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে এমন নির্দিষ্ট গেমকেই দ্য গেম অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হবে।

এই অংশীদারিত্বের বিষয়ে ইমো মেসেঞ্জারের বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেন, ‘আমরা দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডস- -এর  গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার হতে পেরে ও আমাদের কমিউনিটির জন্য আকর্ষণীয় এই ইভেন্টটি নিয়ে আসতে পেরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আমাদের সেবা আরও সমৃদ্ধ করতে, কমিউনিটির জন্য নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিরলস কাজ করছি আমরা।’

দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডসের সিইও ও হোস্ট জেফ কিথলি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এজন্য আমাদের কমিউনিটিতে ইমো ও এর ব্যবহারকারীদের যুক্ত করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা সবসময় চেয়েছি মানুষ যেনো গেমিং -কে উৎসাহব্যঞ্জক ও একইসাথে চ্যালেঞ্জিং বিনোদন মাধ্যমে হিসেবে গ্রহণ করে।’

ইমো ছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইচ, এক্স, আইজিএম, স্টিম ও টিকটকের মতো অন্যান্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দ্য গেম অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এর গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার হয়েছে।


আরও খবর



ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



“সাফল্যের পূর্ণতায়, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ প্রাঙ্গণে”

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

বিগত বছরের মতো এবারও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের  শিক্ষার্থীরা অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের মোট ২২৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাসের হার ৯৯.৬৫। জিপিএ- ৫.০০ পেয়েছে ১২৯৯ জন শিক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৫৭.১৭%। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছে ১১০২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫৪ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্বপূর্ণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বইছে গৌরবদীপ্ত আনন্দ ধারা। 


দেশের অন্যতম শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, ঐতিহ্যবাহী সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এবং সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব ওবায়দুল্লাহ নয়নসহ পরিচালনা পর্ষদের সুদক্ষ দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষক। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, “প্রাজ্ঞ নির্দেশনা, সুদক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যবসায় এই সাফল্যের পিছনে মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী ক্রমাগত খারাপ করলে তা অভিভাবকদের অভিহিত করা হয়। তিনি বলেন, “আমরা মানুষ গড়ার কাঙ্ক্ষীত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কঠোর শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায় আমাদের এগিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি।”


২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) পাওয়া শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আজকের এই প্রাপ্তি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এসএসসি-তে A+ না পাওয়ার কষ্ট ভুলে আমি আজ বিজয়ী। স্যারদের নিরলস চেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমে আজকে আমার এই অর্জন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ 


অভিভাবক ইমতিয়াজ আহমেদ জানালেন তার সন্তুষ্টির কথা। তিনি বলেন,   “আমার সন্তানের সাফল্যের মূল কারিগর ডিএমআরসি। আমার সন্তান কলেজে অনুপস্থিত থাকলে সাথে সাথে তা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো। শিক্ষার্থীর সকল বিষয় অভিভাবকদের নখদর্পণে দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।’ 


অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানালেন। মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এ যাত্রা। অনেক স্বপ্ন আর আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে কলেজটির কাজ শুরু করি। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় এলাকাবাসীর অপার সহযোগিতা, শিক্ষক-ম-লীর আন্তরিক পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমে সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তাই তো তেরো বছরের এই পথ পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠান তার কাক্সিক্ষত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ন করতে পেরেছে। এই অগ্রগতি মানবকল্যাণে অব্যাহত থাকুক।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩