Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসেরে যোগ দিলেন রোনালদো

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৩৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসেরে যোগ দিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে রোনালদোকে দলে ভেড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সৌদির ক্লাবটি।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্লাবটিতে খেলবেন তিনি। ঠিক কতো টাকায় সিআরসেভেনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সেটা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে, জানা গেছে প্রতি মৌসুমে ৭৫ মিলিয়ন ডলার করে পাবেন রোনালদো। যা তাকে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।

আল নাসেরের এক বিবৃতিতে রোনালদো বলেন, ‘ভিন্ন একটি দেশে, নতুন একটি ফুটবল লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।

তিনি আরও বলেন, ‘আল-নাসের সৌদি আরবে পুরুষ এবং মহিলা ফুটবলের উন্নয়নে যা করছে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এটি একটি বড় ফুটবল উচ্চাকাঙ্ক্ষার দেশ এবং তাদের সম্ভাবনা অনেক।

রিয়াদ ভিত্তিক ক্লাব আল-নাসের সৌদি প্রো লিগে খেলে এবং দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিগ শিরোপা জিতেছে তারা।

রোনালদোকে দলে ভেড়ানোর পর আল-নাসেরের প্রেসিডেন্ট মুসাল্লি আলমুয়াম্মার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি ইতিহাসের চেয়েও বেশি কিছু। এটি কেবল আমাদের ক্লাবকে আরও বেশি সাফল্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করবে না বরং আমাদের লিগ, আমাদের জাতি এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম, ছেলে ও মেয়েদের নিজেদের সেরা সংস্করণ হতে অনুপ্রাণিত করবে।

আল নাসেরেও ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন রোনালদো।


আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

 নাজমুল হাসানঃ 

শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।রবিবার (১৪ এপ্রিল) শোক বার্তায় কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। তিনি বলেন,কাজিম উদ্দিন প্রধান আজীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেছেন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।


রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আগামীকাল সোমবার সকাল নয়টার ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আসবে বলে জানিয়েছে তিতাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এছাড়াও সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।


তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত। যার সরকারি নিবন্ধন নম্বর বি-১১৯৩। জনপ্রিয় এই নেতা টানা চারবার তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।








আরও খবর



শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৫১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়হানকে আটক হয়েছে। বুধবার ভোররাতে শার্শার নাভারন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী রায়হান শার্শার যাদবপুর গ্রামের মোহাম্মদ আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাবের একটি সুত্র জানায়, রায়হান ২০১৭ সালের ০৮ মে ৫শ’গ্রাম হেরোইন সহ আটক হয়। ওই মামলায় সাত মাস হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যায় সে।

২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়হানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় যশোরের একটি আদালত। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলো। র‌্যাব তাকে ধরতে অভিযানে নামে। এক পর্যায় তথ্য প্রযুক্তি সহযোগীতা অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে শিলাবৃষ্টিতে তছনছ গ্রামগুলো পরিদর্শন করলেন ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১২২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হওয়া সেই গ্রামের পর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। সোমবার সকালে তিনি এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর-ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ আলম সরকার, বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবজাল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন কালে তিনি বাড়ির মালিক এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের কথা ব্যক্ত করেন এবং তা যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্টিন হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন ডিসি।


আরও খবর



মিথ্যা আশ্বাসে টাকা আত্নসাতই চাটখিলের লম্পট হুমায়ুনের নেশা ও পেশা !

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
এস. হোসেন মোল্লা:রঙীন স্বপ্ন দেখিয়ে নিজ এলাকার সহজ সরল বিধবাসহ বহুলোকের হিসাব বিহীন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধূর্ততার সাথে বিদেশ পলায়ন করেছে হাইকোর্টের উকিল পরিচয়ধারী চাটখিলের দূধর্স লম্পট হুমায়ুন কবির (৩৬)। 

খবরে প্রকাশ, নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার বদলকোট এলাকার উম্মে হামিদা ডালিয়ার(৫৫) সাথে বহুদিন যাবত পরিচয় একই থানার সুন্দরপুর এলাকার ভদ্রবেশী হুমায়ুন কবিরের।এই হুমায়ুন নিজেকে হাইকোর্টের উকিল হিসেবে গর্বের সাথে পরিচয় দিয়ে থাকেন। হামিদার সাথে দীর্ঘদিন পরিচিতির একপর্যায়ে এই বাটপার হুমায়ুন ধরাকে সরাজ্ঞান বুঝিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ২লক্ষ টাকা ধার নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের একটি চেক (এসবি নং ৯০৪৮৩৪৬ এবং হিসাব নাম্বার ০১২৪৩১১০০০০৬৪৫৮ চাটখিল শাখা, নোয়াখালী) ধরিয়ে দিয়ে টাকা ফেরতের বিশ্বাস স্থাপন করেন। তারপর বিভিন্ন অজুহাতে উপকার করার আশ্বাসে হিসেব ছাড়াই টাকা নেন সঠিক সময়ে ফেরত দেওয়ার শপথ দিয়ে। কিন্তু, না জানিয়েই একপর্যায়ে কানাডায় পাড়ি দিলেন এই ভদ্রবেশী মানুষ নামের দু'পায়া ভয়ংকর জন্তু প্রতারক হুমায়ুন।

অপরদিকে উক্ত টাকা ফেরত প্রদানের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতারক টাকা ফেরত দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস ও রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে নানান কায়দায় আরও টাকা বাগিয়ে নেয় হামিদার কাছ থেকে। এরপরও সে মিষ্টি বুলিতে আবার পাঁচ লক্ষ টাকা ধার চাইলে হঠাৎ করে ছলচাতুরি টের পেয়ে টাকা ফেরত এর জন্য জোর তাগাদা দেন হামিদা। ক্রমেই সন্দেহ ভারী হয়ে ওঠে এই ভদ্রবেশি নরপশুর উপর। টাকা ফেরতের ব্যাপারে কোন লক্ষন বা সদুত্তর না পেয়ে গত ১২/০৩/২০২৪ ইং তারিখে নিয়মানুযায়ী সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে তা সরাসরি অপর্যাপ্ত তহবিল উল্লেখ্যে প্রত্যাখ্যাত হয়।ওদিকে ইতর হুমায়ুনের ফোন বন্ধ পেয়ে কোন উপায়ান্তর না দেখে হামিদা ঠিকানা অনুযায়ী সরাসরি উকিল নোটিশ পাঠাতে বাধ্য হন ১৯/০৩/২০২৪ ইং তারিখে। 
 
 ঘটনাটি হামিদা ঢাকার সিনিয়র গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী কামাল হোসেনকে জানান। কামাল হোসেন সেই বাটপার হুমায়ুনের সাথে হোয়াট এপে যোগাযোগ করে বক্তব্য নিতে চাইলে হুমায়ুন কোন উত্তর না দিয়ে আক্রমনাত্মক অতি নিকৃষ্ট, বিদঘুটে ও বজ্জাতের মত আচরণ করে কেটে দেয়। পরবর্তীতে সেই বাটপারকে আর ফোনে পাওয়া না গেলে সাংবাদিক কামাল তাৎক্ষণিক গোপন অনুসন্ধানে নেমে পড়েন। চমৎকার দক্ষতার সাথে এই চৌকস সাংবাদিক সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জানতে পারেন সেই প্রতারক প্রায় আট মাস আগেই কানাডায় পালিয়েছেন! 

আনুসন্ধানে আরও পাওয়া যায়, হুমায়ুন একটি প্রতারক চক্রেরও দু:সাহসী নেতা। দাপুটে প্রভাব দেখিয়ে সমস্ত অসাধ্যকে সাধন করতে পারেন এমন আশ্বাসে বিদেশ নেয়ার নামে বহু লোককে নানান আশা-ভরসা ও আকাশ কুসুম কল্পনায় কোটি কোটি  টাকা আত্মসাৎ ও জিম্মি  করে সে মহানন্দে দূর দেশে ভিজিট ভিসায় নির্ভয়ে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছেন। অনেকের মতে,জনসেবার নামে টাকা আত্নসাতই নাকি তার নেশা ও পেশা! অন্যদিকে ভুক্তভোগীরা টাকার অভাবে ও লজ্জায় মুখ দেখাতেও নারাজ। অনেকেই সর্বশান্ত ও নি:স্ব হয়ে গেছেন হুমায়ুনের ভয়ানক প্রতারণার কবলে! জনতার মতে,হুমায়ুন সমাজের  বিগড়ে যাওয়া নোংরা চরিত্রযুক্ত বদমাশ বটেই! যদিও হুমায়ুনের জ্ঞাতিগুষ্ঠীরা বলে বেড়ান--

 'তার মতো সত্যবাদী, সৎ ও চরিত্রবান বাংলাদেশে আর একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না' !  

বিশেষ অনুসন্ধানে সাংবাদিক কামাল উদঘাটন করলেন সেই ভন্ড বজ্জাতের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট বিবরণী।সেই বিবরণী মতে হুমায়ুন একজন অবিবাহিত  লেবার বা কামলা মাত্র।যদিও বাস্তবে সেই চিটার বিবাহিত এবং তিন সন্তানের যথাযোগ্য পিতা!এই যোগ্য পিতা বিবাহের পরই জালিয়াতি করে পাসপোর্ট বানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে!আরও পাওয়া যায় বাটপার হুমায়ুনের আপন বড় ভাই টিটুর ফোন নম্বর। জানা যায়, এই টিটু পেশায় একজন শিক্ষক। তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে উক্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে সমাধানের উপায় জানতে চাইলে টিটু সহযোগিতা করার আশ্বাসে বলেন তিনি ফোনে কথা বলে জানাবেন। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় পর টিটু কিছুই না জানালে আবারও কামাল সেই বাটপারের ভাই বড়ো বাটপারকে ফোন করলে টিটু সরাসরি অমানুষিক, উদ্ভট ও জোচ্চোরের মতো আচরণ করে কেটে দেন। 

 গণমাধ্যমকে হামিদা জানান, হুমায়ূন আমার এলাকার সম্মানিত  ভদ্রলোক ভেবেই তাকে বিশ্বাস করেছিলাম।
অনেক দেরিতে বুঝতে পারলাম আমি আসলেই ভয়ঙ্কর প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। বাস্তবে সে যে চরম লোভী ও দুষ্ট প্রকৃতির সেটা ভোলাভালা চেহারা দেখলে মনেই হয় না! সে আমার জীবনের জমা শেষ সম্বল টুকুও নিয়ে গেলো!আপনারা যেভাবেই পারেন তাকে ধরার ব্যবস্থা করুন প্লিজ। 

 গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী কামাল হোসেন জানান-- আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনে সারাদেশ ভ্রমণ করে থাকি। জীবনে অনেক বড় বড় অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করেছি । আমার দেখা মতে, এই বজ্জাত হুমায়ুনের আচরণ সবচাইতে নিকৃষ্ট ইতর সদৃশ যা সরাসরি জানোয়ার তুল্য। আমি এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ওই বেয়াদবটা বিশ্বের যেখানেই থাকুক আইনের কাছে ধরা দিতে বাধ্য হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে গিয়ে তাকে ধরাশায়ী না করা পর্যন্ত এই অনুসন্ধান ও আইনী প্রক্রিয়া  জোড়ালো ভাবে চালু থাকবে ইনশাল্লাহ। 

আরও খবর