Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বুধবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি সৌদি আরবে। এ কারণে দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বুধবার। মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুই মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাতে দেওয়া এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

সৌদিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ার অর্থ, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী পরশুদিন বুধবার। সেই হিসেবে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ঈদ হবে তার পরের দিন বৃহস্পতিবার।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে মারা যাওয়া আট বাাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন,মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন, ওই আটজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাঁদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।


আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর



সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কারো যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে, বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। তবে ডেঙ্গু না হোক; সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়; সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।

তিনি বলেন, বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়; সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে আমি ঢালাওভাবে বলতে চাই না। আমি কী করেছি আপনারা নিজেরাই বলবেন। আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি তা আপনারাই দেখছেন। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম। ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা; তাও দেখতে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।


আরও খবর



শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ দুঃসময় পার করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৭১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:  শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ সংগ্রাম করে চলছে, জনগণের আন্দোলন বৃথা যায় না।

সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব।

সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
বান্দরবানের ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর
বাংলাদেশকে রাষ্ট্র বলে মনে হয় না : মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারকে না সরিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করার ম্যান্ডেট দিয়েই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলের শিকার বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কঠিন দুঃসময় পার করছে বিএনপি।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবীবুর রশীদ হাবীবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



আনারুল ভাইয়ের এজেন্ট ছাড়া আর কোন এজেন্ট থাকতে পারবেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩জন দেখেছেন

Image
মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছেন, আগমী ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল) প্রতীক ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের স্কুল পাড়া ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাইসহ আরো প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাড়াতো তা হলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুল ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকতে পারবে। যে নিজের জমি বেঁচে আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরণের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুল ভাই ছাড়া এই ধরণের কোন লোক নেই। আর কোন প্রার্থী নেই। তাই আজকে সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মত ওই রকম ভোট চাই আনারুল ভাইয়ের জন্য। এক চেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কায় সিল মারতে হবে। অন্য কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরাণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি এমন বক্তব্য দেয় তাহলে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবীধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে। 

এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় খুব জনপ্রিয় নেতা। আমি এই কারণে অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি হাসেম আলী (আনরস), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন (কাপ পি‌রিচ), জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) এবং আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদস্য আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। 

সদর উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী (চশমা) এবং মোঃ শাহিন (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় দুজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাছিরা পলি (হাস)। আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর