Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সোনালী শীষেই দুলছে তানোরের কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২১২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:দিগন্ত মাঠ জুড়ে সোনালী শীষ হাওয়ায় দুলছে, সেই শীষে রয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে রোপা আমন ধানে পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের আগেই কৃষকের রক্ত ঘামের রোপা আমন ধান কাটা শুরু হবে। উপজেলার আনাচে কানাচে রোপা আমনের চাষ হয়ে থাকে। ধান কাটা শুরু হবে এজন্য কৃষানীরা বাড়ির খৈলান পরিস্কার করা শুরু করেছেন। কারন রোপা আমনের ফলন সারা বছরের খরচের জোগান দাতা। প্রতিটি মাঠে ধানের পাতা লাল ও শীষে সোনালী কালার ধারন করেছে। সব মাঠেই কমবেশি একসাথে কাটা শুরু হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।তালন্দ এলাকার তরুন কৃষক মিলন মৃধা এবার ৩৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ধানের শীষে পাক ধরেছে। ৩৫ বিঘায় সুবন স্বর্না জাতের ধান লাগিয়েছেন। ১২/১৪ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে। অন্য বারের তুলনায় এবার খরচ হয়েছে দ্বিগুন টাকা।

নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল বলেন এবারে ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছি। সব ধানে পাক ধরেছে। ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে।
মালার মোড়ের হোটেল ব্যবসায়ী আইয়ুব জানান, ৫ বিঘা জমিতে ধান রয়েছে। তেমন রোগবালা নাই। তবে রোপনের পরে সময় মত বৃষ্টির পানি হয়নি। রোপন ও তার পরে তীব্র খরতাপ থাকলেও পরে থেকে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। কমবেশি সবার ধান এক সাথে কাটা পড়বে। 
সরেজমিনে, উপজেলার চান্দুড়িয়া, রাতৈল, জুড়ানপুর, গাগরন্দ, সরনজাই, কাজিপাড়া, সরকারপাড়া, মন্ডলপাড়া, ভাগনা, সিধাইড়, মানিক কন্যা, শুকদেবপুর, আমশো, জিওল, চাদপুর, বুরুজ, ভদ্রখন্ড, কাশিমবাজার, কালিগঞ্জ, মোহর, আকচা, দেবিপুর, লাললুর,বিনোদপুর, বিলশহর, নারায়নপুর, কালনা, পাক চাদপুর, ইলামদহী, দুবইল, সাহাপুর, যোগিশো, কৃঞ্চপুর, কচুয়া, মোহাম্মাদপুর, পাচন্দর, চুনিয়াপাড়া, চিমনা, যশপুর, মুন্ডুমালা, বাধাইড়, জুমারপাড়া, তানোর পাড়া, আড়াদিঘি, সিন্দুকাই, গোল্লাপাড়া, গুবিপাড়া, ধানতৈড়, চাপড়া, তালন্দ, সুমাসপুর, হরিপুর, কুযিশহর, আজিজপুর, চন্দনকোঠা, দরগাডাংগা, কলমা, বিল্লি, চৌরখৈর, নড়িয়াল, হরিপুর, ছাঐড়, হাতিশাইল, হাতিনান্দা, কামারগাঁ, বাতাসপুর, মাদারিপুর, পারিশো দূর্গাপুর, ধানুরা, মালশিরাসহ উপজেলা প্রতিটি মাঠে ধানের শীষে সোনালী কালার হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান,  রোপা আমন রোপনের পর এক দেড় মাস চরম প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। প্রচন্ড খরার কারনে ব্যাপক আগাছা হয়েছিল। বিঘায় নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এটা শুধু খরার কারনে। আবার সার কীটনাশকের দামও বাড়তি। রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত প্রকার ভেদে ১৪ হাজার থেকে ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হবে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ২০ মন ফলন হলে খরচের টাকা উঠবে। তবে খড়টা লাভ।
কৃষি শ্রমিক মোস্তফা জানান, প্রায় এক মাস ধরে কোন কাজ নেই। ৭/৮ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ধান কাটা শুরুও হবে আবার দ্রুত শেষও হবে। কারন এধান জমি থেকে তুলামাত্রই আলু রোপনের জন্য জমি চাষ শুরু হবে।তানোর পৌরসভার বিএস এমদাদ, তালন্দ ইউপির বিএস শৈয়ব ও মাদারিপুর এলাকার বিএস আকবর আলী জানান, এবারো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কারন সার্বক্ষণিক কৃষকদের মাঝে থেকে পরামর্শ মাঠ দিবস করে সচেতন করা হয়েছে ব্যাপক ভাবে। এজন্য রোগবালা নাই।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন,   চলতি মাসের শুরুতে ভারি বর্ষনের কারনে নিচু এলাকার রোপা আমন ধান কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবারে উপজেলায় রোপা আমন চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। যেখানেই সমস্যার কথা শোনা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিকার করা হয়েছে। যার কারনে রোগবালা নেই। আশা করছি রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে।


আরও খবর

পোরশায় কৃষদের মাঝে রবি শস্য বীজ বিতরণ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গাংনীর ফুলকপি চাষীদের মাথায় হাত

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




নাসিরনগরে নয় জনের মাঝে একরামুজ্জামান সহ ছয় জনের মনোনয়ন বৈধ,তিন জনের বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামানের সহ ছয় জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ও তিন জনের বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ রোজ রবিবার বেলা এগার ঘটিকার সময় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে একরামুজ্জামানের  মনোয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক এ. টি. এম. মনিরুজ্জামান সরকারের মনোনয়নপত্রে তাদের দাখিলকৃত এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরিত তালিকায় গড়মিল থাকায় তা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম।

একরামুজ্জামান আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদসহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান বলেন, 'নাসিরনগরের মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন- আমি তাই করব। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।'

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



হুয়াওয়ের সাসটেইনেবিলিটি ফোরামে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং টেলিযোগাযোগ পণ্য ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আয়োজিত সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম-২০২৩ এ ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা প্রকৃতি ও মানবতার স্থিতিস্থাপকতাকে উন্নত করতে এবং স্থায়িত্বের উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তা করবে বলে তারা মত দেন। সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত “থ্রাইভিং টুগেদার উইথ টেক: রিয়েলাইজিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এ সেমিনারে চীন, ইতালি, ঘানা, পাকিস্তান ও ব্রাজিল- এই পাঁচটি দেশ অংশগ্রহণ করে। সেমিনারে হুয়াওয়ে এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের নেয়া সবচাইতে কার্যকরী সাসটেইনেবিলিটি বা টেকসই উদ্যোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। 

ব্রাজিলে, ‘ভেলোসো নেট’এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে হুয়াওয়ে। সেখানে হুয়াওয়ের প্রযুক্তিসেবায় অ্যামাজনাস রাজ্যের ৩০ শতাংশ বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকফরনেচার’ প্রকল্পের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচারের (আইইউসিএন) সঙ্গেও কাজ করে, যার লক্ষ্য হলো জীববৈচিত্র্যের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

চীনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের কমিশনার ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জেফরি স্যাক্স। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে চ্যালেঞ্জ বেড়েই চলেছে। তাই প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন জরুরি, যেমনটা হুয়াওয়ে যুগান্তকারী সব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো যায় এবং এমনকি এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছেও পৌঁছানো সম্ভব; যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ‘বেইজ স্টেশনের’ কাছে অর্থ্যাৎ নেটওয়ার্কের আওতায় থাকছে, ডিজিটাল সংযোগ (কানেক্টিভিটি) রয়েছে এবং তাদের কাছে একটি ডিভাইস রয়েছে।”

হুয়াওয়ে আইসিটি মার্কেটিংয়ের প্রেসিডেন্ট জেফরি ঝউ বলেন, “আমাদের পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি পরিচালনা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ডিজিটাল বিশ্ব তৈরিতে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতা ব্যবহার করছি।”

হুয়াওয়ের ৫জি চীনের ইউনানের কফি চাষকে উন্নত করছে, শিমের গুণমান উন্নত করছে এবং ই-কমার্সের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে, যা স্থানীয় কফিকে একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

হুয়াওয়ের ‘টেকফরঅল নেচার গার্ডিয়ান’ প্রকল্প ইতালির ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারকে (ডব্লিউডব্লিউএফ) সঙ্গে নিয়ে ১৬টি খামারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অ্যাকোস্টিক মনিটরিং স্থাপন করে। যাতে দেখা যায়, গতানুগতিক খামারগুলির তুলনায় ১০ শতাংশেরও বেশি প্রজাতির প্রাণী ইকোফার্মে বাস করে।

পাশাপাশি, হুয়াওয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, পাকিস্তানের গোকিনায় তাদের যোগাযোগের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। যার ফলে টেলিমেডিসিন এবং দূরশিক্ষার (ডিসট্যান্স এডুকেশন) সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।

ঘানায়, পশ্চিম আফ্রিকার প্রাথমিক ভাসমান হাইড্রো-সোলার হাইব্রিড প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বোনো অঞ্চলে একটি কাজু বাদামের কারখানা পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে নারীসহ ৮০০ জনেরও বেশি নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে৷


আরও খবর



আমরা সবাইকে নিয়ে ভোটের লড়াই করে ক্ষমতায় যেতে চাই: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে ভোটের লড়াই করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা চাই, সবাই ভোটে আসুক। তবে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও সময় আছে। সরকারি দল হিসেবে আমরা অনুরোধ করছি, আসুন নির্বাচনে। আমরা কারো জন্য বাধা হব না। দিনরাত আমাদের যারা গালিগালাজ করেন, তাদের জন্যও নির্বাচনের দরজা বন্ধ হয়নি। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করি না।

বিএনপির সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। ২০১৮ সালে বিএনপির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দুবার সংলাপ করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ফোন করেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা গেছে, তখনও গেছেন, কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবারও রাষ্ট্রপতি তাদের (বিএনপি) ডেকেছেন, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। এখন নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে। এখন আর সংলাপ করার মতো সময় নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় তেজগাঁও কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে। এতে অংশ নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। মনোনয়ন ফরম বিক্রয় উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের পর থেকেই একই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সবাই কিনতে পারবে।

এসময় তিনি বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




কলারোয়ার কয়লায় কাত্যায়নী পূজা: পদ্মা সেতুর উপরে মেট্রোরেলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৭দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা। উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের কয়লা দাস পাড়া সনাতন যুব সংঘের আয়োজনে ওই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজায় বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে-বিশাল জলাশায়ের উপর দিল্লির অক্ষয় ধাম মন্দিরের আদলে ডেকোরেশন দ্বারা মায়ের মন্ডপ তৈরী ও পদ্মা সেতুর উপরে মেট্রোরেলে চড়ে ভক্তদের সুদর্ষন আকর্ষণীয় শাবু দিয়ে নির্মিত প্রতিমা দর্শনে, ডিজিটাল লাইটিং ও আলোক সজ্জা প্রত্যাহ সন্ধা আরতীর পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জীবন্ত কাত্যায়নী প্রতিমার ডিসপ্লে। আর এগুলা পরিচালনায় থাকবেন পুতুল সিকদার। কয়লা দাসপাড়া সনাতন যুব সংঘের সভাপতি জয় দাস জানান-এখানে ৬বছর ধরে কাত্যায়নী পুজা অনুষ্ঠিত হতে আসছে। এবছর ভিন্ন ধরনের আয়োজন। সকল ভক্তবৃন্দের নজর কাড়বে। আগামী ১৮ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের পরে শ্রী শ্রী কাত্যায়নী দেবীর ষষ্ট্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশন্ত এবং সায়ংকালে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস। তিনি আরো বলেন-বিশ্বজননীর সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৬দিন ব্যাপী ৬ষ্ট তম শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা। জগতের কল্যাণময়ী শ্রীশ্রী কাত্যায়নী দেবী ভক্তের জন্য হৃদয় থেকে অশুভ শক্তি বিনাশ করে যেখানে শুভ শক্তি ও ভক্তির উন্মেষ ঘটানো। কাত্যায়নী দেবীর আবিরর্ভাব হচ্ছে ধরাধামে তাই আমরা কয়লা দাসপাড়া সনাতম সম্প্রাদায় এলাকায় মাতৃভক্তবৃন্দ তার নিকট আধ্যা শক্তির আগমন ও অশুভ শক্তি বিতাড়িত করা এবং শ্রী শ্রী কাত্যায়নী মায়ের আরোধনা করার জন্যই শ্রী শ্রী কাত্যায়নী চ‚জা মন্ডপে দেবীকে আহবান করে পূজা আর্চনার আয়োজন করছি। বর্তমানে শত শত ভক্তবৃন্দ এই কাত্যায়নী পূজা মঞ্চ ও বিশাল জলাশায়ের উপর দিল্লির অক্ষয় ধাম মন্দিরের আদলে ডেকোরেশন দ্বারা মায়ের মন্ডপ তৈরী ও পদ্মা সেতুর উপরে মেট্রোরেলে চড়ে ভক্তদের সুদর্শষ আকর্ষণীয় শাবু দিয়ে নির্মিত প্রতিমা দর্শনে, ডিজিটাল লাইটিং ও আলোক সজ্জা প্রত্যাহ সন্ধা আরতীর পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জীবন্ত কাত্যায়নী প্রতিমার ডিসপ্লে দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে। এতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে কুমড়োর বড়ি তৈরীর ধুম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃখেতে সুস্বাদু আর পুষ্টিগুনে ভরপুর জনপ্রিয় খাবার কুমড়োর বড়ি দেয়ার ধুম পড়েছে গ্রামীণ জনপদে। মেহেরপুরও এর ব্যতিক্রমি নয়। শীতের মৌসুমে কুমড়ার বড়ির কদরটা একটু বেশি। বাড়ির আঙিনা, আশেপাশে মাচা করে সেখানে শুকানো হচ্ছে সেগুলো বড়ি। স্বাদে ও মান ভালো হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বড়ির চাহিদা। বাড়তি আয়ের পথ তৈরি হওয়ায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় নারীরা পালাক্রমে এই বড়ি দেয়ার কাজটি করছেন। অন্যদিকে ভোজন রসিকরাও তা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।

মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি কুমড়ার বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজে হাত লাগিয়েছেন। সাধারণত শীতকালেই কুমড়া বড়ির চাহিদা বেশি থাকে। আগে সনাতন পদ্ধতিতে বড়ি তৈরি করা হত। তখন সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রেখে পরের দিন শিলপাটায় বেটে বড়ি তৈরি করা হত। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়ায় এখন মেশিনের মাধ্যমে কুমড়ার বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা হয়। হাটবাজারে কুমড়ার বড়ি বর্তমানে খুচরা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকজন গৃহবধুর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, রাতে কুটা কলাই-কুমড়ার ম- পাত্র করে সারারাত শীতের শিশিরে রাখা হয়। পরের দিন ভোরে গৃহিণীরা একত্রিত হয়ে বসে যান বড়ি দেওয়ার কাজে। কাঠ, নেট বা বাঁশের মাচার ওপর পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে তার উপর ধীরে ধীরে ডান হাতের মুঠোয় বসানো হয় বড়ি। হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তারা বিশেষ কৌশলে বড়ি তৈরী করেন। এরপর কাঁচাবড়ি শীতের রোদে শুকানো হয়। বড়িগুলো যেন দেখা যায় তারার মতো ফুটে আছে। পরিষ্কার আবহাওয়া এবং তীব্র শীতে বড়ি বানালে সেই বড়ি স্বাদযুক্ত হয় বেশি।

বড়ি তৈরী সম্পর্কে গাংনীর কুঞ্জনগরের জামিলা খাতুন জানান, বাজারে প্রতি কেজি মাস কলাইয়ের ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও চাল-কুমড়ার আকার হিসেবে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রথমে মাস কলাইয়ের ডাল রোদে ভালো করে শুকিয়ে তারপর পানিতে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। কুমড়ো থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে কিছু মসলা দিয়ে মেশিনের সাহায্যে মিশ্রণ করে কুমড়ো বড়ির জন্য উপকরণ তৈরি করা হয়।

আবহাওয়া ভালো হলে কুমড়ো বড়ি গুলো ভালো হয়। বৈরী আবহাওয়া বা শৈত্য প্রবাহের ফলে কুমড়ো বড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কুমড়ো বড়ি একটি মুখরোচক খাবার। অনেকের কাছে এটি অনেক প্রিয়। এটির ফলে তরকারির স্বাদে নতুন মাত্রা যোগ হয়।

বাজারে চাল কুমড়া ব্যাপক চাহিদাও লক্ষ্য করা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতিটি কুমড়া ১০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এই কুমড়া সংগ্রহ করে বাড়ির বৌ- ঝিরা বড়ি তৈরি করছেন। বড়ি তৈরি করতে পরিশ্রম বেশি হলেও লাভও হয় বেশি। আগে সব সময় কলাই পাওয়া গেলেও কুমড়া পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বড়ি দেওয়ার জন্য কুমড়াও পাওয়া যায় সব সময়।

তাছাড়া আগের তুলনায় বড়ি তৈরীতে পরিশ্রম অনেক কম। পুষ্টিবীদ তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতি ১০০ গ্রাম মাষকলাইতে আছে ৩৪১ মি.গ্রা. ক্যালরি, ৯৮৩ মি.গ্রা. পটাসিয়াম, প্রোটিন ২৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৩৮ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ১৩৮ মি.গ্রা. আয়রন ৭.৫৭ মি.গ্রা। অপরদিকে, চাল-কুমড়া পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে তাই চাল কুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ¥া, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চাল কুমড়া। চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া,পায়েস এবং পাকা কুমড়া এবং কালাই ডাল মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরী করেও খাওয়া হয়। সব মিলিয়ে কুমড়ো বড়ি নিঃসন্দেহে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার বলে মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর