নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল বলেন এবারে ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছি। সব ধানে পাক ধরেছে। ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে।
মালার মোড়ের হোটেল ব্যবসায়ী আইয়ুব জানান, ৫ বিঘা জমিতে ধান রয়েছে। তেমন রোগবালা নাই। তবে রোপনের পরে সময় মত বৃষ্টির পানি হয়নি। রোপন ও তার পরে তীব্র খরতাপ থাকলেও পরে থেকে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। কমবেশি সবার ধান এক সাথে কাটা পড়বে।
সরেজমিনে, উপজেলার চান্দুড়িয়া, রাতৈল, জুড়ানপুর, গাগরন্দ, সরনজাই, কাজিপাড়া, সরকারপাড়া, মন্ডলপাড়া, ভাগনা, সিধাইড়, মানিক কন্যা, শুকদেবপুর, আমশো, জিওল, চাদপুর, বুরুজ, ভদ্রখন্ড, কাশিমবাজার, কালিগঞ্জ, মোহর, আকচা, দেবিপুর, লাললুর,বিনোদপুর, বিলশহর, নারায়নপুর, কালনা, পাক চাদপুর, ইলামদহী, দুবইল, সাহাপুর, যোগিশো, কৃঞ্চপুর, কচুয়া, মোহাম্মাদপুর, পাচন্দর, চুনিয়াপাড়া, চিমনা, যশপুর, মুন্ডুমালা, বাধাইড়, জুমারপাড়া, তানোর পাড়া, আড়াদিঘি, সিন্দুকাই, গোল্লাপাড়া, গুবিপাড়া, ধানতৈড়, চাপড়া, তালন্দ, সুমাসপুর, হরিপুর, কুযিশহর, আজিজপুর, চন্দনকোঠা, দরগাডাংগা, কলমা, বিল্লি, চৌরখৈর, নড়িয়াল, হরিপুর, ছাঐড়, হাতিশাইল, হাতিনান্দা, কামারগাঁ, বাতাসপুর, মাদারিপুর, পারিশো দূর্গাপুর, ধানুরা, মালশিরাসহ উপজেলা প্রতিটি মাঠে ধানের শীষে সোনালী কালার হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান, রোপা আমন রোপনের পর এক দেড় মাস চরম প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। প্রচন্ড খরার কারনে ব্যাপক আগাছা হয়েছিল। বিঘায় নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এটা শুধু খরার কারনে। আবার সার কীটনাশকের দামও বাড়তি। রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত প্রকার ভেদে ১৪ হাজার থেকে ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হবে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ২০ মন ফলন হলে খরচের টাকা উঠবে। তবে খড়টা লাভ।
কৃষি শ্রমিক মোস্তফা জানান, প্রায় এক মাস ধরে কোন কাজ নেই। ৭/৮ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ধান কাটা শুরুও হবে আবার দ্রুত শেষও হবে। কারন এধান জমি থেকে তুলামাত্রই আলু রোপনের জন্য জমি চাষ শুরু হবে।তানোর পৌরসভার বিএস এমদাদ, তালন্দ ইউপির বিএস শৈয়ব ও মাদারিপুর এলাকার বিএস আকবর আলী জানান, এবারো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কারন সার্বক্ষণিক কৃষকদের মাঝে থেকে পরামর্শ মাঠ দিবস করে সচেতন করা হয়েছে ব্যাপক ভাবে। এজন্য রোগবালা নাই।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, চলতি মাসের শুরুতে ভারি বর্ষনের কারনে নিচু এলাকার রোপা আমন ধান কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবারে উপজেলায় রোপা আমন চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। যেখানেই সমস্যার কথা শোনা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিকার করা হয়েছে। যার কারনে রোগবালা নেই। আশা করছি রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে।