
আর হানিফ: যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতা হিসেবে ৬৪ নং ওয়ার্ডে সোহেল খান কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে।বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নেতার ভূয়সী প্রসংশা করে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।তার নেতৃত্ব গুনের কারনেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের। সোহেল খান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকুতোভয় বীর যোদ্ধা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে চায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।দুর্দিনে যারা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে দলে কাজ করেছিলেন সেইসব নেতাদের এবারে ওয়ার্ড কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামীলীগের এি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জনপ্রিয়তা শীর্ষে সাবেক তুঁখোড় সাহসী ছাএনেতা বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়ন ছাএলীগের তৎকালীন ২০০২ হতে ২০১৩ পর্যন্ত সফল দায়িত্ব প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জননেতা সোহেল খানঁ।গত ২০১৭ সালে বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা-০৫ আসন উপ-নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ড নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ন-সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন।সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক ভুমিকা পালন করেন।এছাড়াও ,তিনি করোনা মহামারী দুর্যোগ এর সময় ৬৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিরীহ মানুষ ব্যাপক সাহায্যে সহযোগিতা করেছেন।তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন।
ডিএসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সফল ছাএনেতা সোহেল খাঁন এর এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে।দলের দুঃসময়ে যখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা সোহেল খান এর কাছে আশ্রয় পেয়েছিলেন।সাবেক ছাএনেতা সোহেল খাঁন ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মিথ্যা হত্যা মামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ তিন মাস কারাবরণ করেছিলেন।যার মামলা নং-৪৪১/২০০৪।এছাড়াও তৎকালীন সময়ে মাতুয়াইল ইউনিয়ন ছাএলীগ সংগঠন ছিলো বৃহওর ডেমরা থানা শক্তিশালী সংগঠন।তিনি জোট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনরত অবস্থায় একাধিকবার জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।সাবেক আওয়ামী লীগের নেতা শরীফ মোজাম্মেল হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেএী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে রাজধানী জুরাইনে সমাবেশ সফল করে বাড়ী ফিরে আসার সময়ে পথিমধ্যে তৎকালীন সরকারী পেটোয়া বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী ছিলেন।
গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদে বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাস,গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ জ্বালাও পোড়াঁও আন্দোলনে কোনাপাড়া কাঠের পুল এলাকায় নিরীহ বাস যাএীদের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে গুরুতর আহত যাএীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সু চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গিয়ে সেচ্ছাসেবীর ভূমিকা পালন করেন তিনি।
এবং ব্যাক্তিগত ভাবে দূস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। সরকার বিরোধী সড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বিএনপি-জামাত কর্তৃক জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজপথে বহু বার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে বর্তমানে সুসংগঠিত রেখেছেন সোহেল খাঁন।তার নেতৃত্ব এই অঞ্চলের আওয়ামীলীগ নেতা--কর্মীদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।দলের জন্য সদা-সর্বদা নিবেদিত সক্রিয় নেতার ভুমিকা পালন করে আসছেন তিনি।সোহেল খান আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা,তার চৌকস নেতৃত্বের কারনে বিএনপি-জামাত এই অঞ্চলে নাশকতামুলক কর্মকান্ড করার আগে অন্তত দশবার চিন্তা করে।
ডিএসসিসি ৬৪ নং ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নয়ন মোল্লা বলেন,স্থানীয় আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করতে সোহেল খান যে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে আসছেন তা অতুলনীয়,তার মতো যোগ্য ব্যাক্তি ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে দল আগামীতে আরো গতিশীল হবে।
সর্বোপরি সবদিক বিবেচনায় ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে ত্যাগী নেতা হিসেবে যোগ্যতার মুল্যায়ন হিসেবে সোহেল খান কে নির্বাচিত করলে নেতা-কর্মীদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।