Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সামুদ্রিক আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা (বজ্রমেঘ) সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে পৃথক আরেকটি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




গাংনী‌তে ব্লাক মেইলের শিকার গৃহবধু: আটক দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতি‌নি‌ধিঃএক গৃহবধুর ব্যক্তিগত একান্ত মূহুর্তের ছবি দি‌য়ে ব্লাক‌মেইলের হুমকী ও কুপ্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যারাতে দুজনকে আটক করলেও গভীর রাতে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি গৃহবধু তার পরিবারসহ সচেতন মহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূত কিছু না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, মাস দু’য়েক আগে গাংনী বাজারের কাথুলী মোড়ে চপল মোবাইল সেন্টারে একটি মোবাইল মেরামত করতে দেন ওই গৃহবধূ। সে সময় তাকে ঘন্টা খানেক সময় লাগবে বলে জানান দোকান কর্মচারী সাইফ উদ্দীন। পরে ফোনটি গৃহবধুকে দিয়ে দেয় সে। গত পাঁচ দিন আগে গৃহবধূর ছবি দিয়ে নাবিল নামের একটি ফেসবুক আইডি খুলে ওই গৃহবধুর কাছেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেন। পরে নাবিল নামের আইডি থেকে ওই গৃহবধুর মেসেঞ্জারে তার স্বামির সাথে থাকা অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি প্রেরণ করে ও কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাব না মানলে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হুমকি দেয়া হয়।

বিষয়টি ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার পরিবারকে জানালে তারা মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যান এবং গাংনী থানায় একটি জিডি করেন। শুরু হয় তদন্ত। অন্যদিকে, বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে গৃহবধু প‌ক্ষের লোকজন ফু‌ঁসে ও‌ঠে। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে ও ঘটনা পর্যালোচনা করে ওই গৃহবধুর পরিবার শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সু-কৌশলে চপল মোবাইল সেন্টারের মালিক চপল হোসেন ও কর্মচারী সাইফ উদ্দীনকে প্রমাণসহ হাতে নাতে ধর‌তে সক্ষম হয়। উভয় পক্ষ বাক বিত-ায় জড়িয়ে পড়লে গাংনী বাজার কমিটির লোকজন চপল ও তার কর্মচারী সাইফ উদ্দীনকে বাজার কমিটির অফিসে নিয়ে যায় সেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দুজনকে আটক করে থানায় নেয়। গভীর রাতে দুজনকে ছেড়েও দেয়া হয়েছে। ওই গৃহবধু স্বামি জানান, মেসেঞ্জারে নানাভাবে হুমকী দেয়া হতো। ভয়েজ কলে রাতে গোপনালাপ করার প্রস্তাব দেয়া হতো এবং কথা না বললে তার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেয়া হতো। এসকল ভয়েজ রেকর্ড ভূয়া ফেসবুক আইডি পুলিশকে দেয়া হয়। সেই সাথে শুক্রবার রাতেই মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ আমলে না নিয়ে

আটককৃতদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এখন গোটা পরিবারই হুমকীর মুখে। এ ব্যাপারে গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, অভিযোগকারী যে আবেদন ও ধারা উল্লেখ করেছেন সেটি পর্ণেগ্রাফি আইন। কিন্তু আটককৃতদের অপরাধ ওই আইনে নয়। এদের কাছ থেকে তেমন কোন অপরাধমূলক কর্মকা-ের প্রমানও মেলেনি। তাই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, আটককৃতদেরকে ছেড়ে দেয়া হলেও ওই গৃহবধুর জিডি তদন্ত করা হচ্ছে। কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা ওেনয়া হবে।


আরও খবর



কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে সর্বত্র যান চলাচল ব্যাহত,দুর্ভোগে মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে কুয়াশা আর শীত তীব্র ভাবে জেকে বসেছে গ্রাম থেকে শহর।কুয়াশায় স্থবির হয়ে গেছে চারদিক। গতকাল সোমবার ১১ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সৈয়দপুর, নীলফামারী,রংপুর ও দিনাজপুর মহাসড়ক ও আলুক্ষেত গুলোতে।কুয়াশায় দুর্ঘটনার ভয়ে চালকরা যানবাহন চালাচ্ছেন ধীরগতিতে। একই সাথে আলুচাষিরা তাদের ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

১১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টা থেকে কুয়াশার কারনে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে। খেটে খাওয়া মানুষজন, দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে অটোরিকশা বা সিএনজিতে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছে ইপিজেড শ্রমিকরা।ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসা নাবিল পরিবহন এর চালক মজনু বলেন,ঘন কুয়াশার কারনে ১০/১২ ফুট সামনের কিছুই দেখা যায় না। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে সৈয়দপুরে এসেছি।  পার্বতীপুর ও বদরগন্জ থেকে মাছ নিয়ে আসা দুই পিক-আপ চালক জানান, আমরা প্রতিদিন ভোর ৫ টার মধ্যে মাছ নিয়ে আসি সৈয়দপুরে।কিন্তু হঠাৎ ঘন কুয়াশার কারনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ঘন্টায় ১৫/২০ কিলোমিটার পথ ও যাওয়া যাচ্ছে না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর শহরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ঘনকুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। যার ফলে সব যানবাহনই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সব পরিবহন চালককে সাবধানে ও ধীরগতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ একর জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছি। গাছও হয়েছে ভালো কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুর দিকে হালকা বৃষ্টিতে আলুর গাছ তলিয়ে যায়। একদিন পর পানি সুকিয়ে গেলেও দুদিনের ঘন কুয়াশায় আলুর ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এনিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় এর সাথে, তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ১৩৮০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এযাবৎ ১১৪৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জমির আলুর গাছও হয়েছে ভালো। কিন্তু ঘনকুয়াশা দীর্ঘায়িত হলে আলুর ফলনে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




মেহেরপুরে কুমড়োর বড়ি তৈরীর ধুম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃখেতে সুস্বাদু আর পুষ্টিগুনে ভরপুর জনপ্রিয় খাবার কুমড়োর বড়ি দেয়ার ধুম পড়েছে গ্রামীণ জনপদে। মেহেরপুরও এর ব্যতিক্রমি নয়। শীতের মৌসুমে কুমড়ার বড়ির কদরটা একটু বেশি। বাড়ির আঙিনা, আশেপাশে মাচা করে সেখানে শুকানো হচ্ছে সেগুলো বড়ি। স্বাদে ও মান ভালো হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বড়ির চাহিদা। বাড়তি আয়ের পথ তৈরি হওয়ায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় নারীরা পালাক্রমে এই বড়ি দেয়ার কাজটি করছেন। অন্যদিকে ভোজন রসিকরাও তা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।

মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি কুমড়ার বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজে হাত লাগিয়েছেন। সাধারণত শীতকালেই কুমড়া বড়ির চাহিদা বেশি থাকে। আগে সনাতন পদ্ধতিতে বড়ি তৈরি করা হত। তখন সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রেখে পরের দিন শিলপাটায় বেটে বড়ি তৈরি করা হত। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়ায় এখন মেশিনের মাধ্যমে কুমড়ার বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা হয়। হাটবাজারে কুমড়ার বড়ি বর্তমানে খুচরা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকজন গৃহবধুর সাথে আলাপকালে জানা গেছে, রাতে কুটা কলাই-কুমড়ার ম- পাত্র করে সারারাত শীতের শিশিরে রাখা হয়। পরের দিন ভোরে গৃহিণীরা একত্রিত হয়ে বসে যান বড়ি দেওয়ার কাজে। কাঠ, নেট বা বাঁশের মাচার ওপর পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে তার উপর ধীরে ধীরে ডান হাতের মুঠোয় বসানো হয় বড়ি। হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তারা বিশেষ কৌশলে বড়ি তৈরী করেন। এরপর কাঁচাবড়ি শীতের রোদে শুকানো হয়। বড়িগুলো যেন দেখা যায় তারার মতো ফুটে আছে। পরিষ্কার আবহাওয়া এবং তীব্র শীতে বড়ি বানালে সেই বড়ি স্বাদযুক্ত হয় বেশি।

বড়ি তৈরী সম্পর্কে গাংনীর কুঞ্জনগরের জামিলা খাতুন জানান, বাজারে প্রতি কেজি মাস কলাইয়ের ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও চাল-কুমড়ার আকার হিসেবে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রথমে মাস কলাইয়ের ডাল রোদে ভালো করে শুকিয়ে তারপর পানিতে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। কুমড়ো থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে কিছু মসলা দিয়ে মেশিনের সাহায্যে মিশ্রণ করে কুমড়ো বড়ির জন্য উপকরণ তৈরি করা হয়।

আবহাওয়া ভালো হলে কুমড়ো বড়ি গুলো ভালো হয়। বৈরী আবহাওয়া বা শৈত্য প্রবাহের ফলে কুমড়ো বড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কুমড়ো বড়ি একটি মুখরোচক খাবার। অনেকের কাছে এটি অনেক প্রিয়। এটির ফলে তরকারির স্বাদে নতুন মাত্রা যোগ হয়।

বাজারে চাল কুমড়া ব্যাপক চাহিদাও লক্ষ্য করা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতিটি কুমড়া ১০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এই কুমড়া সংগ্রহ করে বাড়ির বৌ- ঝিরা বড়ি তৈরি করছেন। বড়ি তৈরি করতে পরিশ্রম বেশি হলেও লাভও হয় বেশি। আগে সব সময় কলাই পাওয়া গেলেও কুমড়া পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বড়ি দেওয়ার জন্য কুমড়াও পাওয়া যায় সব সময়।

তাছাড়া আগের তুলনায় বড়ি তৈরীতে পরিশ্রম অনেক কম। পুষ্টিবীদ তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতি ১০০ গ্রাম মাষকলাইতে আছে ৩৪১ মি.গ্রা. ক্যালরি, ৯৮৩ মি.গ্রা. পটাসিয়াম, প্রোটিন ২৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৩৮ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ১৩৮ মি.গ্রা. আয়রন ৭.৫৭ মি.গ্রা। অপরদিকে, চাল-কুমড়া পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে তাই চাল কুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ¥া, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চাল কুমড়া। চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া,পায়েস এবং পাকা কুমড়া এবং কালাই ডাল মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরী করেও খাওয়া হয়। সব মিলিয়ে কুমড়ো বড়ি নিঃসন্দেহে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার বলে মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



মানবতাবিরোধী অপরাধে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের খান আকরামসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২৯৩ পাতার এ রায় পরার সময় আদালতে তিন আসামিকে হাজির করা হয়। তিনজন হলেন, খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯)। তারা কারাবন্দী রয়েছেন।

এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৯ জন। তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। বাকি ৪ আসামি খান আশরাফ আলী (৬৫), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১) ও শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪) পলাতক রয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। পরে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে মামলাটি রায় ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার।

আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ৭ অভিযোগ-

১ম অভিযোগ; ১৯৭১ সালের ২৬ মে ১৫/২০ জন রাজাকার ও ২৫/৩০ জন পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষদের ওপর হামলা চালিয়ে ৪০/৫০টি বাড়ির সমস্ত মালামাল লুট করে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে, দুইজন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখম করে এবং ১০ জন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

২য় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই আসামিরা বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার হাজরাখালী ও বৈখালী রামনগরে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের চারজনকে আটক ও অপহরণ করে আবাদের খালের ব্রিজে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেয়।

৩য় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার ঢুলিগাতী গ্রামে হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

৪র্থ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেস্বর বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার বিলকুল ও বিছট গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের লোককে আটক ও অপহরণ করে কাঠালতলা ব্রিজে এনে নির্যাতন করার পর গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

৫ম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানার বিলকুল গ্রাম হতে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে আটক ও অপহরণ করে মোড়লগঞ্জ থানার দৈবজ্ঞহাটির গরুর হাটির ব্রিজের উপরে নিয়ে নির্যাতন করার পর গুলি করে হত্যা করে।

৬ষ্ঠ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর কচুয়া থানার উদানখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ নিরস্ত্র উকিল উদ্দিন মাঝিকে হত্যা করে এবং তার মেয়েকে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশপাশের রাজাকার ক্যাম্পে উকিল উদ্দিন মাঝির মেয়েসহ চারজনের ওপর নির্যাতন চালায়। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হলে রাজাকার ক্যাম্প তল্লাশি করে মুক্তিযোদ্ধারা উকিল উদ্দিন মাঝির মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

৭ম অভিযোগ: কচুয়া থানার গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে। আসামিরা শ্রীধামকে হত্যা করে তার স্ত্রীকে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে আটকে রাখে। সেখানে শ্রীধামের স্ত্রীসহ আটক চারজনকে ধর্ষণ করে। এক মাস পর শ্রীধামের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




চেন্নাই প্রবল বৃষ্টিতে ডুবল, ফ্লাইট বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাং’ আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে আঘাত হানতে পারে।

তার আগেই এর প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চেন্নাই। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বিমানবন্দর। বেশিরভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে, জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিচাং’ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে এবং অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

যার ফলে চেন্নাই ছাড়াও রাজ্যের চেঙ্গলপাট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপট্টিনাম এবং কুড্ডালো ও তিরুভাল্লুর জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার (৫৬-৬২ মাইল) বেগে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘মিচাং’।

আইএমডির প্রধান কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মিচাং।

অন্ধ্র প্রদেশে সরকার সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওড়িশার পূর্ব রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হতে পারে।

কর্মকর্তারা অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় এবং নিচু গ্রাম থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে, আরও ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।

তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা ও গাড়ি ডুবে গেছে এবং শহরের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা শহরের নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে।


আরও খবর