Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিশুরা খেলাধুলার মধ্য দিয়েই লেখাপড়া শিখবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন আজকের শিশুরা আগামী উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে বলে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগের। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদেরকে ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এ শিশুরাই তো একদিন এই প্রযুক্তির ব্যবহার শিখবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লেখাপড়া খুবই দরকার কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনোরকম চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরাই এখন চাচ্ছি খেলাধুলার মধ্য দিয়েই শিশুরা তাদের লেখাপড়া শিখবে, যাতে তার ভেতরের সুপ্ত মেধাবিকাশের সুযোগ পায়। সেভাবে আমরা কারিকুলাম তৈরি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বটাকে সামনে দেখতে পায়। ক্লাসে শুধু বই পড়া না চোখে দেখে শিখতে পারে। আর এর পরে তারাই হবে এক স্মার্ট বাংলাদেশের এক স্মার্ট নাগরিক। সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বাংলাদেশটাকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজকের শিশুদের কাছে আমার অনুরোধ- গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মার কথা শুনে চলতে হবে। বাবা-মার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যেতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে গান-বাজনা লেখাপড়া, ধর্মীয় শিক্ষা, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে সব ধরনের কারিকুলাম এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমরা এটিও দেখি যে পাশাপাশি একটি দ্বিমুখী কার্যক্রম। সেই গাজায় শিশুদের ওপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে কোথায়? তাদের সেই মানবিকতাবোধ কোথায় থাকে? সেটাই আমার প্রশ্ন?

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আমরা নিজেরাও দেখেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাইতো আমার প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে যখন মানুষের ওপর অত্যাচার হলো, শিশুরা আহত অবস্থায় ছিল। তারা যখন আশ্রয় চাইল আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজায় শিশুদের যে অবস্থাটা দেখি, নারীদের যে অবস্থাটা দেখি আমি জানি না বিশ্বের বিবেক কেন নাড়া দেয় না। সেটাই আমার প্রশ্ন।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জনসহ গত ৩দিনে ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের হাঁসের ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে নোয়াব আলী (৫৮) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুনাপাথর ভাংগে। তাদের সাথে রমিজের ছেলে সাইদুল ও জড়িত। ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে অবাধে কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে সোর্স আক্কল আলী। তার কথা মতো চাঁদা না দিলে ঘটে নানান বিপত্তি, চোরাকারবীদেরকে করা হয় হয়রানী।

এব্যাপারে মৃত রমিজের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন-সোর্স আক্কল আলীর কথা মতো চাঁদা না দেওয়ার কারণে সে সন্ধ্যা ৭টায় টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমার স্বামী তাদের প্রতিবাদ করার করণে আক্কল আলী ও এএসআই জিয়া লাটি পেটা করাসহ কিলঘুষি মারে। এঘটনায় রমিজ মিয়ার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সোর্স আক্কল আলী পুলিশ নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যায়। পরে রক্তাক্ত রমিজকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এব্যাপারে টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জিয়াউর রহমান সাংবাদিকদের জানান- রমিজ মিয়া একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। সে আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। সে পালানোর পর আমরা তাকে আর ধরতে পারিনি। কিছু সময় খোঁজাখুজি করে আমরা চলে আসি। তাকে মারধর করার প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে এদিন রাত ১০টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে মায়ের নামের জমির দখল নিয়ে ছোট ভাইয়ের ঘুষিতে আপন বড় ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভাইয়ের নাম- হাফিজ উল্লাহ (৩০)। অপর দিকে সন্ধ্যায় পাশের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মালেক নূর (৪৫) ও আব্দুন নূর (৪০) বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তারা হাওরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।

জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার, দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন পৃথক ঘটনায় ৫জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাসের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব নাজমুন আরা সুলতানা বলেছেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। সরকারী চাকুরীজীবিদের পাশাপাশি  সকল শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। ১৮ বছর থেকে ৫০বছর বয়সী ব্যাক্তিরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রবাসী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও স্বল্প আয়ের ব্যাক্তিরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গার গোমতি ও বড়নাল ইউনিয়নে সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী, মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উপার্জিত টাকার কিছু অংশ পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ করে একজন নাগরিক নিশ্চিত করতে পারেন তার আর্থিক নিরাপত্তা। স্বামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে মাটিরাঙ্গার সকল ইউনিয়নে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

অবহিতকরণ সভা শেষে গোমতি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও আলেক চেয়ারম্যান পাড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-নচিব নাজমুন আরা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন সহ ২০জন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্পট রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) নাজমুন আরা সুলতানা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর



কবে খনন করা হবে ফুলবাড়ী যমুনা নদী,পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাজার বছরের ছোট যমুনা নদীটি খনন না করায় এখন পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। নদীতে এখন ধুধু বালুচর। পানি নেই নদীতে। নদীটি প্রায় প্রস্তে ৩০০ ফিট থেকে ৪০০ ফিট। এক সময় এই ছোট যমুনা নদীটি খর¯্রােত ছিল। এই নদী দিয়ে পানি পথে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে ধান, পাট সহ বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়া করত। কালের বিবর্তনে এখন আর ছোট যমুনা নদীতে নৌকা চলে না । ছোট যমুনা নদীতে এখন কৃষকেরা রবিশস্য সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে। প্রায় ৩০ কি. ছোট যমুনা নদীটি এখন পানি শুন্য। এই নদীটি উত্তর থেকে এসে চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বাংলা হিলি, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট হয়ে বয়ে গেছে।এর মধ্যে নদীর কিছু অংশ ভারতরে মধ্যে পড়ে যায়। বর্তমান ছোট যমুনা নদীটি খনন না করার কারণে বর্ষ কালে পানিতে অতিরিক্ত ভরার হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে। এতে গ্রামগুলো সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। হাজার বছেরের পুরাতন এই ছোট যমুনা নদীটি পুনরায় খনন করা হয়ে একদিকে যেমন বর্ষকালে নদী সংলগ্ন গ্রামগুলি পানিতে প্লাবিত হবে না। অন্য দিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে আবদী জমি ও গ্রামগুলি। খনন করা হলে সারা বছর নদীতে পানি থাকবে এই পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারেবে। জেলেরা সারা বছর জীবন জীবিকা জন্য মাছ অহরন করতে পারবে। দীর্ঘ এক হাজার বছর ধরে এই নদীটি খনন করার কোন উদ্দ্যেগ নেই। সারা দেশে এমন নদী গুলি খনন কাজ শুরু হলেও ফুলবাড়ী ছোট যমুনা নদীটির খনন কাজ কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এর সাথে ০১৭৫৪৪৯৫৭১১ এ নম্বরে কথা বললে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি গত মাসে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অতি শিগ্রই প্রায় ১৫ কিলো মিটার নদীর খনন কাজ শুরু হবে। নদীটির খনন কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।


আরও খবর



দুঃস্থদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে  জেলা পুলিশের আয়োজনে অসহায়  ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  ও একসঙ্গে ইফতার করলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

শুত্রুবার (৫এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার  সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার) এর  সামাজিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় পানছড়ি থানায় অসহায় ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে একই সঙ্গে ইফতার করেন। 

অসহায়  এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের সাথে একসাথে ইফতার করতে পেরে এবং তার থেকে ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।  এ সময় প্রায় ৩০ জনের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং একসাথে ইফতার করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার)  বলেন,  আমরা চাই সব সময় আমাদের আনন্দ  গুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে। এখন সিয়াম সাধনার মাস চলতেছে এবং কিছুদিন পরেই ঈদুল ফিতর, মুসলমানদের অন্যতম  আনন্দের দিন। সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষজন এই সিয়াম সাধনার সময় একটু ভালো করে সেহরি করবে, ইফতারি করবে, এ সুযোগগুলো খুব কমই হয়। আবার সামনে ঈদুল ফিতরে প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ আনন্দের জন্য কেনাকাটা করবে। আনন্দগুলোকে উদযাপন করবে। এক্ষেত্র সমাজের অসহায় এবং দুস্থ মানুষ গুলো অনেক পিছিয়ে। সমাজের এ শ্রেণীর মানুষ গুলোর দিকে যদি আমরা একটু তাকাই, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দেই আনন্দ করার জন্য, একটু ভালো করে ইফতার করার জন্য, তাহলে তাদের আর আনন্দের কোন সীমা থাকেনা। এভাবেই আমরা আমাদের আনন্দগুলি তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। 

একজন দুঃস্থ পুরুষ  ঈদ উপহার  সামগ্রী পেয়ে  ও একই সাথে  ইফতার করার পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেন,  আজ আমি খুবই খুশি খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মত একজন বড় অফিসারের সাথে ইফতার করতে পেরেছি তিনি আমাদেরকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমাদেরকে একটু আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এ রমজান মাসে একটু ভালো খাবার মাধ্যমে  ইফতার করতে পারি না। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু স্যারের কল্যাণে এতটুকু দুঃখ মুছে গেল। স্যারের আল্লাহ ভালো করুন। 

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর