Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত থারমান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৩৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থারমান শানমুগারাতনাম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ থারমান সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সাবেক নেতা।

গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। এক যুগের বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট পদে এই দেশে নির্বাচন হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের নির্বাচন কমিশন শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৬৬ বছর বয়সী রাজনীতিক ও অর্থনীতিবিদ থারমান শানমুগারাতনাম জয়ী হয়েছেন। থারমান সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা তান মেং দুই বলেন, ‘আমি থারমান শানমুগারাতনামকে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী ঘোষণা করছি।’

সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের স্থলাভিষিক্ত হবেন থারমান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে হালিমা ইয়াকুব ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুরের অষ্টম ও প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট পদ অনেকটা আলংকারিক। প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নগররাষ্ট্রটির পুঞ্জীভূত আর্থিক রিজার্ভ দেখভাল করেন, সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অনুমোদন করেন। তবে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বেশ কঠিন কিছু শর্ত রয়েছে। সংবিধান মতে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছে নির্দলীয় একটি পদ।

এই নগররাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। বতমানে পিএপির নেতা লি সিয়েন লুং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। এই দল ১৯৫৯ সাল থেকে টানা সিঙ্গাপুরের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে।

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থারমান শানমুগারাতনামের সঙ্গে আরও দুজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তারা হলেন দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল জিআইসির সাবেক বিনিয়োগ কর্মকর্তা এনজি কোক সং (৭৫) এবং বিমাপ্রতিষ্ঠান এটিইউসি ইনকামের সাবেক প্রধান নির্বাহী তান কিন লিয়ান (৭৫)। জিআইসি সিঙ্গাপুরের বৈদেশিক রিজার্ভের ব্যবস্থাপনা করে থাকে।


আরও খবর



খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জদের নিয়ে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের কীট প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২২ এপ্রিল)  জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কীট প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।কীট প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) ফোর্সদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে পুলিশ লাইন্সের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাসহ তাদের নিকট হতে সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে সকলের ব্যক্তিগত মতামত সমূহ শুনেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল অফিসার ও ফোর্সকে পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব এবং আইন ও বিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলার অভ্যন্তরীণ আভিযানিক ও দাপ্তরিক  বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ০৫ জন পুলিশ অফিসারকে সার্বিক মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে অত্র মাসের কল্যাণ সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এর মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়।

পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন-শ্রেষ্ঠ সার্কেল- মাটিরাঙ্গা সার্কেল,সহকারী পুলিশ সুপার  আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, , শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ –মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) – মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শরীফ, শ্রেষ্ঠ এসআই –মাটিরাঙ্গা থানার এস আই মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, শ্রেষ্ঠ এএসআই -মাটিরাঙ্গা থানার এএসআই শাহ নেওয়াজ (পিপিএম),।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) অপরাধ সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালান এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ী ইনচার্জদের  নির্দেশ প্রধান করেন।

আরও খবর



রিয়েলমি সি৬৫ পাওয়া যাচ্ছে দেশজুড়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:সম্প্রতি দুইটি ভ্যারিয়েন্টে ১ নম্বর কোয়ালিটির ‘রিয়েলমি সি৬৫’ উন্মোচন করেছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। এই ফোনটির রয়েছে স্বনামধন্য টিইউভি এসইউডি এর ৪৮-মাস মেয়াদী ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশন এবং সেগমেন্টের প্রথম ৪৮-ওয়াট চার্জিং সিস্টেম। আজ থেকে দেশজুড়ে রিয়েলমি’র সকল অনুমোদিত আউটলেটে রিয়েলমি সি৬৫ এর ১২৮জিবি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৯,৯৯৯ টাকায় এবং ২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্ট কেনা যাবে ২৩,৯৯৯ টাকায়।

রিয়েলমি’র নতুন এই ফোন বাজারে চালু হয়েছে গত ৮ মে, ২০২৪ তারিখে। উন্মোচনের মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইন স্টোর পিকাবুতে সোল্ড আউট হয়ে যায় এই স্মার্টফোনটি। এছাড়াও, ৮ মে, ২০২৪ থেকে গতকাল ১২ মে, ২০২৪ পর্যন্ত এই ডিভাইসের প্রি-অর্ডারের হার আগের ডিভাইসটির তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি ছিল।

এই স্মার্টফোনে রয়েছে টিইউভি লো ব্লু লাইটের মতো নানা প্রযুক্তিগত সুরক্ষা, যা চোখের চাপ কমায়। এতে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং উদ্ভাবনী কার্যক্ষমতাসম্পন্ন রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ও ৩৬০ ডিগ্রি সারাউন্ড অ্যান্টেনা ডিজাইন, যা ফোনটির দীর্ঘস্থায়িত্বের পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

রিয়েলমি সি৬৫ বাজারে আনার সময় এর এআই বুস্ট ফিচারটি ডিভাইসপ্রেমীদের সামনে হাজির করতে পেরে রিয়েলমি গর্বিত। ফোন ব্যবহারকারীদের একটি নিরবচ্ছিন্ন ও সত্যিকারের সক্রিয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে এই ফিচারটি পারফরম্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বোচ্চ পাওয়ার এফিশিয়েন্সিও প্রদান করে।

এছাড়াও, স্মার্টফোনটির ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা ফোন ব্যবহারকারীকে দেয় মাত্র ৩০ মিনিটেই চার্জহীন একটি ডিভাইসকে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত চার্জ দেওয়ার নিশ্চয়তা। রিয়েলমি সি৬৫ এ রয়েছে ৭.৬৪ এমএম আল্ট্রা স্লিম বডি, যা এই ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা ফোন।

তারার আলোর (স্টারলাইট) ঝলকানিতে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই ফোনে যুক্ত করা হয়েছে একটি উন্নত ৩০০এনএম ৭-লেয়ার কোটিং প্রক্রিয়া, যা একটি অনন্য দ্বি-স্তরযুক্ত তারার আলোর (স্টারলাইট) প্রভাব তৈরি করে।

ফোনের ডিজাইনকে আরও অসাধারণ করে তুলতে, এতে ব্যবহার করা হয়েছে ভ্যাকুয়াম-প্লেটেড হাই-গ্লস প্রক্রিয়া, যা আপনার সামনে আপনার অনন্য পছন্দকে উপস্থাপন করে। স্মার্টফোনটি স্টারলাইট পার্পল ও স্টারলাইট ব্ল্যাক- এই দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

এসব উন্নত ফিচারের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা একটি ধারাবাহিকভাবে মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন অপারেটিং অভিজ্ঞতা প্রত্যাশা করতে পারে, যা স্মার্টফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

রিয়েলমি সি৬৫ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/realmeBD/ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর



‘দুই হাজার ৯৬৮ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস, ৫১টিতে সবাই ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮। আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮। আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


আরও খবর



মাগুরায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মাগুরায় টেকসই ও সু সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বজনীন পেনশন স্কীম এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল  সোমবার বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাসের বেগ। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  মতবিনিময় সভা শেষে ফিতা কেটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্ক্রিমে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ।   প্রধান অতিথি  সকলকে নিরাপদ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও জনবান্ধব দেশ গড়তে সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

আরও খবর