Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

সিলেটে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করলো চীনা দূতাবাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চীনা দূতাবাস গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর২০২৩) সিলেটের সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের উদ্যোগ ও অর্থায়নে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাস স্থাপিত হলো।   এই উপলক্ষে সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ ‘চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

 স্মার্ট ক্লাসরুমে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাব-এরএকটি উন্নত লার্নিং সল্যুশনব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের উন্নত অনসাইট ও অনলাইনে শিক্ষা প্রদান এবং পড়াশোনার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করবে। এ প্রকল্পের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে স্মার্ট ক্লাসরুমে চেয়ারটেবিলও অন্যান্য সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া।

 

স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাস ও হুয়াওয়ে’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

উদ্বোধনের সময় সফির উদ্দিন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে এ স্মার্ট ক্লাসরুমের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরেঅতিথিদের সামনে হুয়াওয়ে’র আইডিয়াহাবের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। যেখানে একটি স্মার্ট দেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে স্মার্ট ক্লাসরুমের বিভিন্ন ফিচার তুলে ধরা হয়।

 

মোঃ জসিম উদ্দিনঅতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) বলেন, “স্মার্ট ক্লাসরুম চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন। বিজয়ের এই মাসে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একধাপ এগিয়েছি। ৫জি প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগের জন্য আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। আগামী বছরে সিলেটের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের স্মার্ট ক্লাসরুম পাবে বলে আশা করছি।

 

বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বন্ধু হিসেবে চীন বাংলাদেশের জনগণকে উন্নয়নের নিয়ে যেতে চায়। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। এর জন্য আমাদের অবশ্যই স্মার্ট নাগরিকস্মার্ট মানুষস্মার্ট ছাত্র থাকতে হবে। এজন্য আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুম আছে। এই ক্লাসরুমের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম সুযোগ থাকবে। শ্রেণীকক্ষকে আমরা সিলেট ও সারা দেশে ছড়িয়ে দেব। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে পরের বছর আমরা চীন সফরের জন্য কিছু ছাত্র এবং শিক্ষক নির্বাচন করব।”

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “বিশ্বব্যাপী আইসিটি অবকাঠামোর নেতৃত্বের জায়গা থেকে হুয়াওয়ে সবসময় স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের প্রোগ্রামগুলিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বৈশ্বিক দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য অসামান্য সুযোগ প্রদান করছে। গত বছরআমরা হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি চালু করেছি। এ বছর চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শুরু হয়েছে। তারই একটি অংশ হিসাবে আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য সবচেয়ে উন্নত এবং বহু-কার্যকরী শিক্ষাদান সরঞ্জাম সহ স্মার্ট ক্লাসরুম সরবরাহ করেছি। বাংলাদেশে আইসিটি প্রতিভা বিকাশের জন্য এটি একটি খুব ভাল এবং গুরুত্বপূর্ণ যৌথ প্রচেষ্টা।

 

সফির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রশিদ আহমেদ বলেন, “আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুম উপহার দেওয়ার জন্য আমি চীনা দূতাবাস এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে চীনা বন্ধুদের এই সহায়ক হাত চিরকাল এই প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকবে।”

 

২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস এবং হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ডিজিটাল ক্লাসরুম উদ্বোধন করে।


আরও খবর

ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাস্তায় নিম্মমানের বিটুমিন ও সামগ্রী ব্যবহার ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) নেজামপুর-হাতিনান্দা পর্যন্ত্য ৩০০মিটার রাস্তা নির্মাণের কার্পেটিংয়ে নিম্নমাণের বিটুমিন ও বেডে নিম্নমাণের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণকাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিযমের অভিযোগ এনে গ্রামবাসি নির্মাণকাজে বাধা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ প্রয়াত হবার সুযোগে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী তার নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন।স্থানীয় ইউপি সদস্যকে(মেম্বার) অবগত ও তার উপস্থিতি কাজ করার কথা থাকলেও তাকে জানানোই হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রাস্তার সাববেইজ করার সময় ইটের খোয়া ও বালু একইরকম ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখানে চার ভাগের একভাগ খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কার্যসহকারি বলেন, এমনিতে বিটুমিনের মান খারাপ তার ওপর প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের পরানপুর মাঠ থেকে ট্রলিতে করে পাথর নিয়ে আশায় টেম্পারেচারের মান নস্ট হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিটুমিন ব্যবহার নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেই প্রজ্ঞাপণে বিটুমিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইআরএল-এর বিটুমিন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেটি পাওয়া না গেলে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের 
বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্ত্ত নেজামপুর রাস্তায় সেই মাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। এখানে আমদানি করা নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী বলেন,স্থানীয়রা যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে।এছাড়াও প্রকাশনগর পরানপুর গ্রাম থেকে চরশত মিটার রাস্তাও একই ভাবে অনিয়ম করে কার্পেটিং করা হয়েছে। খোয়ার ওপর করা হয়েছে কার্পেটিং। 

সরেজমিনে এমন অবস্থা দেখলে এসও শাহিন সালাম দ্রুত শ্রমিকদের বলেন পরিস্কার করে পিচ দিয়ে কার্পেটিং করতে হবে। প্রায় প্রতিটি রাস্তা দরপত্রে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় তার কাছ থেকে এলজিইডির একশ্রেণির কর্মকর্তারা পছন্দের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করতে বলেন। প্রায় রাস্তা অগ্রিম লাভ দিয়ে কিনে করার কারনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয় বলে অহরহ অভিযোগ থাকলেও রহস্য জনক কারনে কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব। যার কারনে বিভিন্ন দোহায়ে ও এলজিইডি অফিস কে ম্যানেজ করে চলছে অনিয়ম দূর্নীতির কাজ৷ যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে ভয়াবহ দূর্নীতি। 
 
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজের অনিয়মের ব্যাপারে আমার জানা নেই, কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তিনি বলেন, রাস্তা পরিদর্শনে অনিয়মের কোনো সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) বুলু বলেন, ঠিকাদারের বিল পরিশোধের আগে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সরেজমিন পরিদর্শনের দাবি জানান।

আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর



পাকিস্তানে ট্রাক খাদে, নিহত ১৪

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন পাকিস্তানে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের খুশাব জেলার নওশেরায় । শনিবারের (১৮ মে) এ দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আটজন শিশু রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

খুশাবের রেসকিউ ১১২২ ইমার্জেন্সি অফিসার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ জানান, একই পরিবারের ২৩ জন সদস্য বান্নু থেকে নওশেরা (খুশাব) যাওয়ার সময় ব্রেক ফেল করে ট্রাকটি ২০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।

মৃতদেহ ও আহতদের নওশেরার টিএইচকিউ হাসপাতালে এবং জোহরাবাদের ডিএইচকিউ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যাত্রীরা সবাই শ্রমিক শ্রেণির এবং কাজের জন্য খুশাব শহরে যাচ্ছিলেন।

সূত্র: ডন।https://www.dawn.com/news/1834266/14-killed-in-truck-accident-in-punjabs-khushab-district-rescue-1122


আরও খবর



তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার বলে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। দেশের শিল্পখাতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। এর ওপর গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ। পণ্য পরিবহন, সঞ্চালন, আমদানি ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বাংলাদেশও এর প্রভাবমুক্ত নয় জানিয়ে, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত ।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বাংলাদেশেও তার প্রভাবমুক্ত নয়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষনা হবে ৬ জুন, দেশি-বিদেশি নানা কারণে কিছুটা কমতে পারে জিডিপি আকার।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে মাত্র তিন বছর সাত মাসে স্বল্পোন্নত দেশের রূপান্তর করেছেন বঙ্গবন্ধু যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হবে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে এবং বাকি প্রতিবন্ধকতাগুলোও শিগগিরই সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত প্রযুক্তিগত যোগাযোগ তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। বাজার তৈরি করতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তরুণদের নিজে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিদেশেীদের উপদেশ মেনে দেশের উন্নয়ন হবেনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদদের মাটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান।

তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার ও পণ্য খুঁজে বের করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ জন্য সরকার সর্বদা তাদের পাশে থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কোনো ব্যবসায়ীকে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখে বিচার করে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের সময় দেশে মাথাপিছু আয় বাড়েনি। কারণ গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া দেশ এগোতে পারে না। রাজনীতিবিদদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে। আর ক্ষমতা যারা দখল করে তাদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে না।

তিনি বলেন, স্বৈরশাসকেরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করা বুঝতো। কে কোন ব্র্যান্ডের জিনিস পড়বে, সেসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। আসলে স্বৈরশাসকেরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়। জিয়াউর রহমানের সময়ই খেলাপি ঋণের কালচার শুরু হয়। যা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ১৮ থেকে ১৯ ক্যু হয়েছে জানিয়ে বলেন, খেলাপি ঋণের কালচার জিয়াউর রহমানের সময় শুরু করেছিল কিছু মানুষকে সুযোগ দিতে ।

শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা-ভাই হারিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে দেশে ফিরেছিলাম। দেশের মানুষের মধ্যেই নিজের হারানো পরিবারকে খুঁজে পেয়েছিলাম। অর্থনীতি বলতে আমি বুঝি শুধু মানুষের কল্যাণ করতে হবে। আমার প্রতিটি কাজের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


আরও খবর