Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন

শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়তে হবে: খসরু চৌধুরী এমপি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী এমপি বলেছেন, খেলাধুলা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজ মাদকাসক্ত থেকে দূরে থাকে। ডিসিপ্লিন ও সৎ হতে শেখায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যই সব সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীর ও মন ভালো থাকে না। এজন্য সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে খেলাধুলায় মন বসাতে হবে।

সোমবার সকালে ঢাকা-১৮ আসনের ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আগে শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়তে হবে। কারণ একটি দেশের প্রধান সম্পদই হচ্ছে মানবসম্পদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নই ছিল দেশের মানুষকে সম্পদে পরিণত করা। তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হলে দেশের মানুষের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোতালেব মিয়া।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি এম কবির উদ্দিন রিপন, প্রধান শিক্ষক মোঃ বদরুল আলম প্রমুখ।



আরও খবর



বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ বইছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে টানা ২৬ দিনের রেকর্ড তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। কোথাও কোথায় সড়কের পিচ গলতে শুরু করেছে। গরমের কারণে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। এর আগে ১৯ দিনের দীর্ঘ তাপপ্রবাহ ছিল গত বছরের এপ্রিল মাসে।

এটিই দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ,আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতে এ দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এপ্রিল মাসের টানা তাপপ্রবাহ ‘অস্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন এটিই দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ।

মো. আজিজুর রহমান জানান, আমাদের কাছে থাকা তথ্যমতে এর আগে এত দীর্ঘ মেয়াদে কখনো তাপপ্রবাহ বয়ে যায়নি। একটানা এতদিনের তাপপ্রবাহ, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। এরইমধ্যে এটি সব রেকর্ড ভেঙেছে, কিন্তু এটি তো আরও চলবে। কমপক্ষে আগামী আরও ৪ থেকে ৫ দিন তো থাকছেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসজুড়ে টানা তাপপ্রবাহ ছিল না। গত বছর টানা ১৯ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এবার পুরো এপ্রিল মাস গড়িয়েও এর বাইরে যাচ্ছে।

গত ৩১ মার্চ ফের রাজশাহী ও পাবনা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। সেই তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত চলছে। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত দেশের ওপর দিয়ে টানা ২৬ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বইছে।

২০ এপ্রিল চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন দিনের তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। গত কয়েক দিনে কিছুটা কমার পর বৃহস্পতিবার ফের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দিনের তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এবার সিলেট ছাড়া মোটামুটি পুরো দেশ টানা দাবদাহের শিকার হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিটস্ট্রোকে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মেহেরপুরে তাপদাহের উত্তাপ বেড়েছে কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর:তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে অস্বস্থিতে ভুগছেন মেহেরপুরের মানুষ। ক্ষেত খামারে তাপপ্রবাহের উত্তাপের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বর্তমানে সকল ধরনের সবজির দাম উর্ধ¦মূখী। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা করে। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মেহেরপুর ও গাংনী কাচা বাজার এবং বামন্দী বাজারে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও আলুর দর ছিল ৩৮ টাকা।

এদিকে পাইকারী বাজার থেকে ‍খুচরা বাজার পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত। যা ভোক্তাদের তাপদাহের অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের সততা ভান্ডারের সত্বাধিকারী সাহাদুল ইসলাম জানান, এখনও আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেত থেকে পরিপক্ক আলু পেঁয়াজ তোলার পর সেগুরো সংরক্ষণ হয়ে থাকে। আর কিছুদিন পরেই সংরক্ষণকৃত এসব পেঁয়াজ ও আলু বাজারে বিক্রি শুরু হবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশা করছেন তিনি।

বামন্দী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি মনিরুল ইসলাম জানান, পাইকারী হিসেবে যে সবজি কেনা হয় তার সাথে পরিবহন খরচ ও নিজের মুনাফা যোগ করেই খুচরা বিক্রি করতে হয়। তাছাড়া আড়তেও দাম বেশি। মাঠে কৃষক পর্যায়ে সবজি খুবই কম। সেখান থেকেই বেশি দামে আড়তে সবজি আসছে। ফলে দাম উর্ধ্বমূখী।

ভোক্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে জনীবন অতিষ্ট। কোথাও নেই স্বস্তি। এর মধ্যে আলু পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি তাদের বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বছরের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। তবে এবার সেই চিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




বৃষ্টির আশায় জয়পুরহাটে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃচলমান তীব্র তাপদাহের কারনে প্রচন্ড গরম আবওহাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে মানব ও প্রাণিকুলের চলাচলে জীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে। তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বুধবার সকাল আড়ে ৮টার দিকে জেলার কালাই আহলে হাদিস কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। এতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ পুরাতন কাপড় পরিধান করে সাথে গামছা নিয়ে ইস্তিসকার নামাজে অংশ নেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কালাই আহলে হাদিস কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব ও হাতিয়র কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের প্রভাষক মাওলানা সেলিম রেজা। আগের দিন মঙ্গলবার উল্লেখিত সময়ে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে মাইকিং করে জানান আয়োজকরা।

মাওলানা সেলিম রেজা জানান, কোরআন-হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, মানুষের সৃষ্ট কোনো পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকা নামাজ আদায় করতেন। এজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তওবা করে ও ক্ষমা চেয়ে ২ রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

নামাজে অংশগ্রহন করতে আসা স্থানীয় মুসল্লী আব্দুল কুদুস জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছেন। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। আমরা মানবজাতি যতই কঠিন হইনা কেন ? তিঁনি মহান, তাঁর মহানুভবতায় আমরা এ সংকট থেকে পরিত্রাণ পাবো ইনশাল্লাহপাক। 

বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওয়ারলেস অপারেটর প্রদিব কান্তি রায় জানান, কয়েকদিন ধরে সকালে ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে। বিকেল ৩টার দিকে তা ৩৮-৩৯ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় দেড়/দুই মাস ধরে জয়পুরহাটের পুরো জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। এ ছাড়া আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। 

আরও খবর