Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ভবনের দুই মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ।

আরও এক লাশ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ২২

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওয়াহিদুর রহমান, মতিউর রহমান ও আ. মোতালেব মিন্টু। তাদের মধ্যে ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান ভবনের মালিক এবং অপরজন আ. মোতালেব মিন্টু ‘বাংলাদেশ সেনিটারি’ নামের দোকানের মালিক।

এর আগে ধসে পড়া একটি দোকানের মালিক আ. মোতালেব মিন্টুসহ বেশ কয়েকজনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।


আরও খবর



প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিনবার গুড়ানো অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তিন বার গুড়িয়ে দেয়া তিনটি অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার দাপটে ছোট চিমনী নির্মাণ করে পরিবেশ দুষণ করে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারী কালিয়াকৈর উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী। অভিযান চালিয়ে ভাটার আংশিক সাইট ওয়াল ভেঙ্গে জে.আর.বি ইটভাটা ৪ লক্ষ টাকা, এস.বি স্টারকে ৪ লক্ষ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অদৃশ্য কারণে চিমনী না ভেঙ্গে বৈশম্যে জরিমানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সাবেক ওই ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩/৪ দিন পরেই এসব ইটভাটা আবার চালু করে ইটভাটার মালিকরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ওই ইউএনও বদলি হলে অভিযানের ২৫ দিন গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ওই তিনটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অবশেষে চিনমনীসহ অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় জে.আর.বি ইটভাটাকে দেড় লক্ষ টাকা, এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাউকে না পাওয়ায় ন্যাশনাল ব্রিকসকে জরিমানা করা যায়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে ওই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া, সহকারী পরিচালক মইনুল হক ও মমিন ভুইয়া, পরিদর্শক সঞ্জিত বিশ^াসসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা ও থানা পুলিশ। সে সময় চিমনীসহ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ায় সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ওই অভিযানের কয়েকদিন পর নতুন করে আবারও তিনটি ইটভাটার ছোট আকৃতির চিমনী নির্মাণ করে মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতার দাপটে পরিবেশ দুষণ করে দেদারছে পুড়ানো হচ্ছে ইট। আর ছোট চিমনীতে বেশি নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ও ফলমুল। তাহলে ওই অবৈধ ইটভাটা এভাবেই চলবে? এমন প্রশ্ন হতাশাগ্রস্থ কৃষকসহ স্থানীয়দের।

অভিযানের পর কিভাবে ইটভাটা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে এস.বি স্টার ওরফে স্ট্রং বিকসের মালিক নাসির উদ্দিন জানান, চিমনীটা ঠিক করে রাখছি। দেখি কি হয়? ইটভাটা তো ফেলে রাখা যাবে না। সবারটা ঠিক করছে, অন্য দুজন আবার আগুন দিয়ে চালু করেছে। আমি কথা বলে তারপর প্রসেসিং করবো। চিমনী নির্মাণের কথা স্বীকার করে ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, আমি খুব ক্ষতিগ্রস্থ। যে মাল বানাইছি, সেগুলো তো পুড়াতে হবে। তারপর যদি না হয় তাহলে তো আর করবো না, ভাই। জে.আর.বি ইটভাটার মালিক সোহেল রানা জানান, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মইনুল হক জানান, নতুন করে ওই ইটভাটাগুলো চালু হয়েছে কিনা? তা আমার জানা নেই। তবে যদি এরকম হয়, তাহলে আমরা আবার ভেঙ্গে দিবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, বিষয়টি গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবেন। উনারা যদি জানায় আর কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তাহলে আমি আবার অভিযান চালাবো। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর এসে ভেঙ্গে দিয়েছে, তাহলে উনাদেরই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। তারপরেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বিএম ইউসুফ-মোস্তফা হেলাল কবিরের ভয়াবহ প্রতারণা ধ্বংসের পথে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার :ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম ইউসুফ আলী ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির সিন্ডিকেটের নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর প্রতারণায় ডুবতে বসেছে বেসরকারিখাতের জীবন বিমা কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এমডির অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়ে এক সময়ের জনপ্রিয় এবং ব্যবসা সফল এই বিমা কোম্পানিটি এখন ধুকছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী ও কোম্পানি সচিব মাস্তফা হেলাল কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। ২০২১ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর উদ্যোক্তা পরিচালক হাসান আহমেদকে অবৈধভাবে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিএম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে।

পরিচালনা পর্ষদ সভায় ষড়যন্ত্র করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একটানা ১৩ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা হাসান আহমেদকে সরিয়ে দেয় বিএম ইউসুফ আলী সিন্ডিকেট। এমডির অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভিযোগও দিয়েছিলেন হাসান আহমেদ। বিএসইসিতে অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়ে কোনও কাজ হয়নি। উল্টো বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির নানা ধরনের মামলা-হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন হাসান আহমেদ ও তার পরিবারকে । বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে হাসান আহমেদের অর্থ সম্পদ লুটপাট করে। অসুস্থতা ও কোম্পানি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস ঘাতকতার মানষিক নির্যাতনের ধকল সইতে না পেরে হাসান আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজের, পরিবারের ও কষ্টের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন হাসান আহমেদ। দুর্ভাগ্য তাদের  বিচার দেখে যেতে পারেননি। 
 
হাসান আহমেদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী-সন্তানকে বঞ্চিত করার নতুন খেলায় মেতে উঠেছেন বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির সিনডিকেট হাসান আহমেদের বাক প্রতিবন্ধী ভাই কবির আহমেদকে ফুঁসলিয়ে বিএম ইউসুফের ভাই বিএম শওকতসহ অন্যান্যরা মিলে হাসান পরিবারের সমস্ত সম্পত্তি আত্মাসাতের চক্রান্ত করছে। তার অংশ হিসেবে হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আবার হাসান আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছেন বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে পপুলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস চিফ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলাও করেছেন। যার নং ৩১৮/২০২১। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এছাড়াও হাসান আহমেদের মৃত্যুর পর পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার ধেকে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বঞ্চিত করার পাশপাশি নানাভাবে হয়রানি করছেন বিএম ইউসুফ। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। পপুলার লাইফে নিজের অধিকার ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি বিএম ইউসুফ গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন জাজান্নাতুল ফেরদৌস।
এদিকে বিএম ইউসুফ আলীর সংশ্লিষ্টতার পর থেকেই বিতর্ক তালিকায় বারবার নাম ওঠে এসেছে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের। বিমাখাতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ বিধিমালায় কোনো ইন্সুরেন্স কোম্পানির সিইও বা অন্য নির্বাহী কর্মকর্তারা একইসঙ্গে অন্য কোন কোম্পানির পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনায় থাকতে পারবেন না। এমন বিধান থাকলেও তা মানেনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির। তারা উভয়েই এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্সের পর্ষদে রয়েছেন। বিষয়টি জানার পরও এ নিয়ে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ২০১৬ সালে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এম ইউসুফ আলী ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যবস্থাপনা খরচ দেখিয়ে ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন। তবে রহস্যজনক কারনে সেই অনুসন্ধান বিষয়ে পরবর্তীতে আর কিছু জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদ আগলে রাখা বিএম ইউসুফ আলী এক সময় ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সক্রিয় কর্মী। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট পরিস্থিতি বুঝে সুযোগসন্ধানী বিএম ইউসুফ ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পত্তিকে বৈধতা প্রদান ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দখলের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স বিএম ইউসুফ আলীকে যে হাসান আহমেদ চাকরী দিয়েছিলেন, সেই হাসান আহমেদকেই প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ আলী। গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। হাসান আহমেদ মৃত্যুর আগে তার ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে গিয়েছিলেন ইউসুফ আলী পপুলার লাইফের গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশে বিদেশে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অজস্র সম্পদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পপুলার লাইফের একটি সূত্র জানায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান ইউসুফ আলী গত দুই দশকে অভিজাত বনে গেছেন। চাকরীর টাকায় এমন উত্থান একেবারেই অসম্ভব। সবই এসেছে পপুলার লাইফে করা দুর্নীতি থেকে। সূত্র মতে বিএম ইউসুফ আলীর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে বাড়ি নং ৬, রোড নং -৪, সেকশন ১১, মিরপুর, পল্লবী ঢাকার বাড়ি, রোড নং -১০/এ , বাড়ি নং ৫১/এ ধানমন্ডির বাড়ি, নারায়ণগঞ্জ গাউছিয়ায় নূর ম্যানশনে নিজের নামে বাড়ি, আমেরিকার বাফেলোতে দুটি বাড়ি ও দুটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় প্রায় ৩০ টির বেশি ফ্ল্যাট। একইভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব মোস্তফা হেলাল কবির। পরিজাত ভিলা, কে এম দাস লেন রোড, ১৩/ক/১/৬, টিকাটুলী ওয়ারী ঢাকার ১০ তলা বাড়ি, বেনামে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার, বাফেলোতো বিএম ইউসুফের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাড়ি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ইতিমধ্যে বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ ফিনানশিয়াল ইনটিলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গতকাল বিএম ইউসুফ আলী ও মোস্তফা হেলাল কবিরকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কোন রেসপন্স পাওয়া জায়নী।

আরও খবর



ঈদে মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে ২ দিন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদে মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল । এদিকে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার। এরপরের দিন শুক্রবার। এদিন মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসাব করেই মেট্রোরেল চলাচল দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল আগেই। গত ঈদেও এ সার্ভিস বন্ধ ছিল। কাজেই বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিনও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকবে। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে মেট্রোরেল।

ডিএমটিসিএলের উপব্যবস্থাপ আরও জানান, রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখের কাছাকাছি। তবে ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।

ঈদে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে না। এতে খরচ বাড়বে। এ ছাড়া কর্মীর সংখ্যাও কম। ফলে এদিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। সব মিলিয়ে তাই ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ঈদের জামাত শেষ হয় ৮টা ৪০ মিনিটে।

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া চাওয়া হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

এর আগে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দি‌য়ে তিন‌টি চেকপোস্টের মধ্য দি‌য়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে চিল র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর



রাজধানীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাদের ফতার করা হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ১৭৬ পিস ইয়াবা, ৫০ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩ বোতল ফেনসিডিল ও ২০টি ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর