Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিবপুরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত স্বামী,রাজ মিস্ত্রী কাজ করে সংসারের হাল ধরলেন স্ত্রী।

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৭৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়ন শিবপুর গ্রামের মোঃ কামাল মিয়া দীর্ঘ ৯ বছর ধরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত।স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর রাজ মিস্ত্রী কাজ করে সংসারের হাল ধরলেন স্ত্রী লিপি বেগম।স্থানীয় লোকেরা বলেন,মোঃ কামাল হোসেন সুস্থ্য সবল ছিলেন। আজ থেকে নয় বছর পূর্বে প রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে না।এক বছর চিকিৎসা করানোর পর অর্থের অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার।কামাল হোসেন এর দুই মেয়ে।স্ত্রী লিপি বেগম রাজমিস্ত্রী কাজ করে দুই মেয়ে ও স্বামী কে নিয়ে সংসারের হাল ধরলেন।

এক মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছে আশেপাশের বৃত্তভানদের সহযোগিতায়।রাজ মিস্ত্রী কাজ করে যে টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।সমাজের বৃত্তভান ব্যাক্তিরা পরিবারটির পাশে দাড়াঁনোর জন্য আহবান করছি।কামাল হোসেন এর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন,আমার পরিবারের এক মাত্র ভরসা ছিল আমার স্বামী।প্রতিদিন যে টাকা উপার্জন করত তা দিয়ে আমাদের সংসার চলত।৯ বছর পূর্বে হঠাৎ আমার স্বামী প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়।এর পর থেকে কথা বলতে পারে না,স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে না।

এক বছর চিকিৎসা করানোর পর আর চিকিৎসা করাতে পারি নাই অর্থের অভাবে।আমার স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর পরিবারের হাল ধরার মত কেউ ছিলনা,আমি রাজ মিস্ত্রী কাজ করে সংসার এর হাল ধরেছি।আশেপাশের লোকদের সহযোগিতায় এক টি মেয়ে বিবাহ দেয়।বর্তমানে রাজ মিস্ত্রী কাজ করে যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে,তাই আমার স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারছিনা।সমাজের বৃত্তভান ব্যাক্তি সহ সরকারের কাছ থেকে আমার পরিবারের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




দেশে প্রথমবারের মতো ফাউন্ডেশন ইংলিশ টেস্ট (এফইটি) গ্রহণ শুরু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রাথমিক পর্যায়ের (এন্ট্রি-লেভেল) ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়নে দেশের আটটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন প্রকল্পে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫,৪০০টি টেস্ট পরিচালনা করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে টেস্টগুলো ডিজাইন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এ টেস্ট পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এফইটি ডেলিভারি পার্টনারদের মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশন ইংরেজি টেস্টে সহজে ও সমভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়।

যেসব প্রার্থীদের এন্ট্রি-লেভেল ইংরেজি দক্ষতার (কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্সে (সিইএফআর) এ১ ও বি১ লেভেল) সনদ প্রয়োজন, তারা এ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। টেস্টটি দ্রুত শেষ করা যায় এবং একইসাথে অর্থ সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনশক্তির বিকাশে দেশব্যাপী আটটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের মত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেনো তাদের প্রার্থী ও কর্মীদের প্রতিদিনকার কাজে ব্যবহৃত প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারে এজন্য এ উদ্যোগ চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ, ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজা এবং বিজনেস পারসুইট ম্যানেজার তাসনীন তাবাসসুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামার রুনা পারভেজ।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফাউন্ডেশন ইংলিশ টেস্ট (এফইটি) গ্রহণ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিদের সঠিক ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে পারে এমন কর্মী নিয়োগের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে৷ আমি আমাদের ডেলিভারি পার্টনারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা দেশজুড়ে ৫,৪০০টি এফইটি সঠিকভাবে পরিচালনায় নিরলস কাজ করছেন।”

আটটি ডেলিভারি পার্টনার হল: ডিক্রাউড আইটি লিমিটেড অ্যান্ড জেভি, লজিকাল ট্রায়াঙ্গাল-এনআরবি জবস-জায়ানজারা লিমিটেড, শ্যুটিং স্টার লিমিটেড, ওয়েবপারস লিমিটেড, অ্যাডি সফট লিমিটেড, এজ্জে টেকনোলজি লিমিটেড, কোডারস্ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সময়সূচির পরিকল্পনাসহ অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় ব্রিটিশ কাউন্সিল, যাতে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা ও সময় অনুযায়ী টেস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ“শেখ হাসিনার বারতা নারী পুরুষ সমতা, নারীর সম-অধিকার, সম-সুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ” প্রতিপাদ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অফিসের আয়োজনে নওগাঁর আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দফতরের অফিসার, স্কুল- কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আত্রাই মহিলা ডিগ্রী কলেজে আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে দিবসের তাৎপর্য তুলেধরেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, যুব উন্নয়ন অফিসার এসএম নাসির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-দূ্র্নীতি অনুসন্ধানে "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা"!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image
শোয়েব হোসেন:দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সেই অধিকার যেন শুধু আজ বই-পুস্তকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।বহু বছর যাবত চিকিৎসা সেবা অনৈতিক ব্যবসায়ে পরিনত হয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া যেনো কিছুই বোঝে না এই চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মহাশয়েরা । রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চলছে নানান অরাজকতা ও তান্ডব!চলছে অনিয়ম-দুর্নীতির তুখোড় প্রতিযোগিতা!

 জানা যায়, কোনো মুমূর্ষু রোগীকে দেখলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যেনো ওঁত পেতে থাকা বিভিষিকাময় বানিজ্যের দ্বার খুলে যায়।একদিকে রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে থাকে। আর আরেকদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি চিকিৎসা সেবা না দিয়ে তাদের স্বজনদের টিকিট নেয়া এবং ভর্তির জন্য নানান অজুহাতে শুরু করে রাক্ষুসে বানিজ্য ! যেমন - কেবিন নিয়ে দরকষাকষি (এসি-নন এসি/সিঙ্গেল বেড-ডাবল বেড), পোষ্য দালালদের উপদ্রব, রোগীদের একাধিক পরীক্ষা/টেস্ট যা নিছক বাড়তি বা অপ্রয়োজনীয় ইত্যাদি! 

 আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা'র বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা গেছে,সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে রুগীকে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান।ফলশ্রুতিতে ভালো কমিশন চিকিৎসকের কাছে চলে যায়। আবার সরকারি হাসপাতালের বেশকিছু অসাধু ডাক্তার মশাই প্রকাশ্যভাবেই নিয়মিত বসেন বেসরকারি হাসপাতাল বা ব্যাক্তিগত চেম্বারে। সেই সব চিকিৎসকদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন লোকদেখানো ব্যবস্থা নেয়ায় আজও চলছে এই বিশ্বয়কর মহাবানিজ্যিক তান্ডব লীলা সেই প্রশাসনেরই নাকের ডগায়!দেশের স্বাস্থ্য সেবা আজ চরম প্রশ্নবিদ্ধ!

আরও দেখা যায়,অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের রান্নাঘর অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা। এমনকি এই হাসপাতাল গুলোর আশপাশে রোগীদের ব্যাবহৃত বর্জ্য( সিরিঞ্জ,গজ কাপড় ইত্যাদি) ফেলাতেও পরিবেশ দুষিত হয়ে মশাসহ রোগ জীবানু জন্ম নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই কেমন যেন একটা বিশ্রী দুর্গন্ধ মেশালো পরিবেশ বিরাজমান। চিকিৎসকদের দেয়া টেস্টের জন্য রোগীদের ও তাদের স্বজনদের দৌড়াদৌড়ি করতে হয় বিভিন্ন স্থানে। তাতে রোগীরা চিকিৎসা পেতে গিয়ে হয়রানির ফলে আরও অসুস্থ হয়ে যায়।আরও জানা গেছে, অনেকেই চক্রান্ত মুলক মামলার উদ্দেশ্যে ক্ষমতা ও টাকার জোরে গোপনে পুলিশ কেস এর প্রেসক্রিপশন ও সনদ নিয়ে থাকেন।তাছাড়াও এখানে রহস্যজনক কারণে যুগ যুগ ধরে কোন ব্যাবস্থাতেই নেতা-মাস্তান-সন্ত্রাসীদের স্থানীয় দাপট আদৌ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।

আরও জানা যায়,কোনো গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে গেলেই চিকিৎসকরা কথায় কথায়  সিজার করতে বলেন। সাথে জুড়ে দেন একাধিক টেষ্টও! যা কিনা অলিখিত ভাবেই আবশ্যিক বা পূর্বশর্ত !যেন ভেলকিবাজি ও প্রতারণা  দিয়েই চলছে দেশের স্বাস্থ্যখাত !সকল অনিয়মই আজ যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। রোগীর সঠিক চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি হাসপাতাল যথেষ্ট উন্নত হওয়া সত্বেও তাদের যেনো মাথা ব্যাথাই নেই । দেশের অনেক বিত্তবানরা তাদের চিকিৎসার জন্য  ভারত, সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকেন।কারন হিসেবে জানা যায়, দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ওপর তাদের মোটেই আস্থা নেই । এতে সহজেই বোধগম্য যে, আস্থাহীন ভাবে  চলছে দেশের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান! তার ওপর আরও আছে ভুল চিকিৎসা, প্রতারণা, দালালের খপ্পর এমনকি ব্যক্তিগত সন্ত্রাস বাহিনী !  

জাতির মনে প্রশ্ন, সাধারণ জনগণ বা অসহায় রুগী হাসপাতালের দালালদের জ্বালাতন, অপচিকিৎসা এবং চক্রান্তমুলক ভাবে পরিকল্পিত বৈচিত্রপুর্ন প্রতারণার হাত থেকে আদৌ রেহাই পাবে কি ? এসব কি স্বাস্থ্য সেবা নাকি মরন দশা? এভাবে অপকর্ম চালু থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ কি ?এতো প্রশ্নের জবাব কেই বা দেবে?  দেশের স্বাস্থ্য সেবা চরম প্রশ্নবিদ্ধ কেন ? কেনো চিকিৎসা সেবায় এমন দুর্নীতি"? হায় আফসোস! আজও এর জবাব কেউই দিতে পারেননি! চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন মুখ থুবড়ে পরে আছে ! এমন অপ্রতিরোধ্য অনিয়মের শেষ কোথায়?

বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য, অভিযোগ ও অসংখ্য  প্রশ্নের সঠিক  জবাব ও সত্যতা বের করতে বহুদিন যাবত বিভিন্ন সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন দেশের অনেক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সমুহে অনিয়ম নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য বা সদুত্তর প্রদানতো দুরের কথা ! উল্টো মানবাধিকার ও গণমাধ্যম  কর্মীদের ওপর আক্রোশমুলক চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মেতে নাজেহাল ও হয়রানি করার ঘটনাই ঘটিয়েছে মর্মে অহরহ শোনা যাচ্ছে! 

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে উক্ত অনিয়মগুলো রাষ্ট্র ও জনতার স্বার্থে জরুরি ভাবে খতিয়ে দেখা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার লক্ষ্যে সকল প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্ব, সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন সাপেক্ষে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। 

আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।

বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। তারপরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা ও গণহত্যা শুরু করে।

এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়তো আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন একটি ভূখন্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেস আগামী বছর পুরো খুলে দেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী বছরের শুরুতে পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেস খুলে দেওয়া হবে,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, রাতারাতি যানজট কমানো সম্ভব না, মেট্রোরেল এবং এলিভেটেডের সব কাজ শেষ হলে যানজট কমে যাবে।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের ডাউন র‌্যাম্প উন্মুক্ত করন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র‍্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন।


আরও খবর