Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সেন্টমার্টিনে বিকল্প পথে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নেই

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।মিয়ানমারে অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে নিরাপত্তাজনিত কারণে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই ঘোষণা দেন।

তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে। তাই পর্যটকরা চাইলে বিকল্প পথ ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী সকল জাহাজ চলাচল বন্ধ রযেছে। তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য। যেহেতু মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত রযেছে। কেউ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাইলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর

ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য অফিস,এর আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে সরকার ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে  নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (৬ মে)  সকালের দিকে  খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি  গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্ত্বে  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান,। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ত্রুাইম এন্ড অপস) মো.জসীম উদ্দিন   খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম,  খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম, গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উল্ল্যাস ত্রিপুরা। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, বাল্যবিবাহ নারীদের উন্নয়নের অন্যতম বাঁধা। নারীর ক্ষমতায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড, ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ ধারনা, সর্বজনীন পেনশন স্কিম, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিবাহ ও গুজব প্রতিরোধ করতে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সরকার উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। যা যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সরকারের এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্যবৃন্দ, হেডম্যান -কার্বারী সংবাদকর্মী, তৃণমূলের নারীরা অংশগ্রহণ করেন। 

আরও খবর



শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ (রোববার),জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশনডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রাখেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল।

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর

ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। নিহত মায়ের নাম রায়জনের নেছা (৬৭)।বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন তার ছোট ভাই ঘাতক আবুল হোসেনকে (৪৫) আসামী করে হোমনা থানায় মামলা করেছেন। ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। গত চার বছর আগে সেখানে জেল খেটে বাড়ি চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পরে তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন স্বজনরা। দেখা দেয় পারিবারিক অশান্তি। এর ফলে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে যান।তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী পুত্র-কন্যাহারা আবুল হোসেন তখন থেকেই তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতেন। পারিবাবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মায়ের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। সকালে ওই বৃদ্ধার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেশী লোকজন ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে তার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর সেখানে জেল খেটে চার বছর আগে দেশে চলে আসেন। এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর ফলে তার স্ত্রী- সন্তানরাও তাকে ছেড়ে অনত্র চলে যায়। এরপর থেকে তিনি তার মার সঙ্গেই থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি ও তর্কবিতর্ক হয়। পরে রাতের যেকোনো এক সময় পারিবারিরক কলহের জেরেই ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে হত্যা করেন।মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ছেলে আবুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



তানোরে শেষ মুহুর্তে জমজমাট প্রচারণা হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:আগামী ৮ মে বুধবার রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে। কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট করছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। আর মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোটের মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি জামাত অংশ গ্রহন না করার কারনে সাধারণ ভোটারদের মাঝে তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যদিও সোমবার প্রচারণা শেষ হচ্ছে। তারপরও ভোটের আমেজ নাই বললেও চলে। শুধু ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেই ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী না ভোটারেরা। তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি বলে মনে করছেন ক্ষোদ ক্ষমতাসীন দলের ভোটার ও নেতাকর্মীরা। ভোট কেন্দ্রে ভোটার বেশি উপস্থিত হলে এক রকম ফলাফল, আর কম ভোটার উপস্থিত হলে অন্য রকম ফলাফল আসতে পারে বলেও মনে করছেন প্রার্থীরা।

জানা গেছে, সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত তানোর উপজেলা। এবারে চেয়ারম্যান পদে দুজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিপূর্বেই হাট বাজার, পাড়া মহল্লায় প্রার্থী দের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোটের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি বিগত ২০১৯ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পক্ষে উপজেলার পাড়া মহল্লায় দলীয় নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপ পিরিচের ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রচার প্রচারনায় বয়াপকভাবে এগিয়ে আছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী। অপর দিকে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাকেই আওয়ামী লীগের এক পক্ষ সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে তানোরে আওয়ামী লীগ দু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোনভাবেই এক কাতারে আসতে পারছেন না। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠ কাঁপাচ্ছেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা সোহেল রানা। তিনি ব্যাপক ভাবে এগিয়ে রয়েছেন। রানা বিগত ২০১৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। সেই হিসেবে উপজেলা জুড়েই রয়েছে তার কর্মী সমর্থক ও ভোটার। সোহেল রানার ভাই তানোর পৌরসভার মেয়র। সেদিক দিয়েও বাড়তি সুবিধা রয়েছে তালা প্রতীকের। অপর জন একেবারেই কনিষ্ঠ চশমা প্রতীকের প্রার্থী তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। সে কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং চন্দনকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। একেবারেই কনিষ্ঠ হওয়ার কারনে ভোটের মাঠে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেন নি। কারন দলের সিনিয়র নেতারা তাকে নির্বাচন করতে নিষেধ করেছিলেন। যার কারনে দলের নেতাকর্মীরাও তাকে নিয়ে চরমভাবে বিব্রত। কলমা ইউপির কয়েকজন সিনিয়র নেতারা বলেন, অল্প বয়সে টাকার মালিক হলে যা হয়। সে কলমা ইউপির ছেলে, আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সে সবাই উপেক্ষা করে নির্বাচন করছেন। কারন কলমা ইউপির সন্তান চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তাকে বিজয়ী করতে কলমা বাসী ঐক্যবদ্ধ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনজন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে বিগত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি এবারো কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা যুব মহিলালীগের সম্পাদক সাগরী ভৌমিক। সোনিয়া সরদার ও  সাগরী ভৌমিকের বাড়ি কামারগাঁ ইউপি তে।
 অপর জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রথম বারের মত ভোটের মাঠে আছেন নাসিম বেগম। তার বাড়ি সরনজাই ইউপিতে।

এদিকে সাধারণ ভোটারদের অভিমত, আগামী বুধবারে ভোট গ্রহণ হবে। দুদিন পর ভোট হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে কোন আমেজ নেই। ভোট কেন্দ্রে যেতেও অনিচ্ছা সবার।
শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহনের জন্য প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পুলিং অফিসারদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

আরও খবর



রামগড়ে কৃষিজমির মাটি কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চার লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সদর ইউনিয়নে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাটার অপরাধে  মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক ব্যক্তিকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৯শে এপ্রিল) বিকেলে  উপজেলার  রামগড় সদর ইউনিয়নের রুপাইছড়ি এলাকায়  কৃষি জমি থেকে স্কেবেটর দিয়ে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাঁটার অপরাধে রামগড়  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযান পরিচালনাকালে রামগড় থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মোঃ ফারুক সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স, প্রশাসনিক কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন
বলেন,কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) কাটার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী এক ব্যাক্তিকে ৪ লাখ টাকা  জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও খবর