
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনার ৫৫ ঘণ্টা পর থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।
মামলায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট লিমিটেডের মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন (৫৫), পরিচালক পারভেজ উদ্দিন (৪৮), আশরাফ উদ্দিন বাপ্পী, ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম, প্ল্যান্ট অপারেটর ইনচার্জ শামসুজ্জামান শিকদার, প্ল্যান্ট অপারেটর- খুরশিদ আলম, সেলিম জাহান, নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন। কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া এবং কর্মকর্তা সামিউল, সান্তনু রায়, ইদ্রিস আলী, সানা উল্লাহ, রকিবুল ও রাজিব।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহত আরও একজনের মৃত্যু
ওসি তোফায়েল আহমেদ জানান, বিস্ফোরণে নিহত কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি করেন। এতে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ মামলাটি তদন্ত করবেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নিহত কাদের মিয়া সীমা অক্সিজেন কারখানায় গ্যাস রিফিলের কাজে কর্মরত ছিলেন। তিনি নোয়াখালীর সুধারামপুরের ওলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে।
সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে কদমরসুল কেশবপুর এলাকায় সীমা স্টিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। ঘটনাস্থলের আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় ছিটকে পড়ে বিস্ফোরিত ইস্পাতের টুকরো। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে নিহত অন্যরা হলেন- লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স গ্রামের মহিজল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার ছোট মনগড়া গ্রামের খিতিশ রংদীর ছেলে রতন লকরেট (৫০), নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), সীতাকুণ্ডের মধ্যম-সলিমপুর গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২) ও ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫)। সর্বশেষ রোববার রাতে প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫) নামের একজন চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।