Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

শব্দদূষনের প্রত্যক্ষ শিকার ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

তারিখ: ০২/০২/২০২৩

বরাবর

বার্তা সম্পাদক/বার্তাপ্রধান


বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অডিটোরিয়াম কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধী এই প্রকল্পে জরিপ ও মতবিনিময় সভার কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগীতায় আছে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)।


পরিবেশ অধিদপ্তর সদর এর উপ-পরিচালক (প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা) বেগম ফারহানা মুস্তারী এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সোহেল রানা, এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চীফ কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. এম এ বাকি; বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মোঃ শিফুন নেওয়াজ; স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. আমজাদ হোসেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন স্টামফোর্ড বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়ক ইঞ্জিঃ মোঃ নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট ও ট্রাফিকগণ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগন, ডাক্তার, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী, গাড়ি চালক, সামাজিক ও পরিবেশবাদি বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা।


স্বাগত বক্তবে স্টামফোর্ড বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ক্যাপস এর গবেষনায় দেখা যায় যে পেশাগত দায়িত্বে থাকা ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ১১.৮ শতাংশ সদস্যের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৩৩.৯ ভাগ ট্রাফিক পুলিশের অন্যদের কথা শুনতে কষ্ট হয়। শব্দ দূষণ সহ পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত আইন রয়েছে, তবে আইনের প্রয়োগ হোক সর্বেশেষ পদক্ষেপ এবং সচেতনতাই হোক সর্বপ্রথম পদক্ষেপ।


প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সোহেল রানা বলেন, শব্দদূষনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে, যানবাহনের সৃষ্ট শব্দদূষনের প্রত্যক্ষ শিকার ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীরা। শব্দ দূষণরোধে যানবাহন এবং নির্মাণ কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরত্ব আরোপ করেন।


সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা) বেগম ফারহানা মুস্তারী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর শুরু থেকেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এই প্রকল্পের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে, শব্দদূষণ রোধে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা একান্তই কাম্য।                          


বিশেষ অতিথি ডা. এম এ বাকি বলেন, "শব্দদূষন একটি নিরব ঘাতক” এটি পথচারী ও সড়কে কর্মরত ট্রাফিক কন্ট্রোলে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের মারাত্মক স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করছে। শব্দ দূষণ কানের সমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্টের রক্তনালী ব্লক, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। জনস্বাস্থ্যের এই অতিব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জনসচেতনতার জন্য আরো অধিকতরভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা উচিত এবং জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে।


বিশেষ অতিথি বুয়েটের অধ্যাপক শিফুন নেওয়াজ বলেন- প্রশসনের উচিত উচ্চ ডেসিবল শব্দ সৃষ্টিকারী হর্ন আমদানি বন্ধ করা এবং পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান হর্ন নষ্ট করা। সপ্তাহে যে কোন একটি দিন বা একটি ঘন্টা অথবা একটি স্থান হর্নমুক্ত ঘোষণা  করা যেতে পারে এবং তা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৯.৬% জনগণ অর্থাৎ ১ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ কোন না কোন ধরনের শ্রবণ হ্রাসজনিত জটিলতায় ভুগছে। এই শ্রবণ হ্রাসের অন্যতম মূল কারণ শব্দদূষণ। শব্দদূষণ ক্রমাগত এক্সপোজার মানুষের শ্রবণ শক্তি কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মানসিক অবসাদ তৈরি করে। চিকিৎসার চেয়ে শব্দদূষণ প্রতিরোধ আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


এছাড়াও উক্ত মতবিনিময় সভায় ট্রাফিকপুলিশ ও গাড়িচালকরা শব্দ দূষণ নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, সংকট ও সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তর মতপ্রকাশ করেন।


 


আরও খবর



গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: গ্রিসের উত্তরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। একে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর জেরে ইতোমধ্যে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবে এতেও দেশটির জনগণের মধ্যে ক্ষোভ কমেনি।

এবার ক্ষমা চাইলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। তিনি সংঘর্ষে ৫৭ জন নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে কিরিয়াকোস লেখেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবার কাছেই দায়বদ্ধ, তবে বিশেষ করে দুর্ঘটনার শিকার যারা হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা মনুষ্য ত্রুটির আড়ালে থাকতে পারি না, পারবো না। দুটি ট্রেন ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যের দিকে চলা একই লাইন দিয়ে ছুটে যেতে পারে না এবং কেউ বিষয়টি খেয়াল করল না তা সম্ভব হতে পারে না।

তবে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও গতকাল প্রতিবাদের নেমেছে প্রতিবাদকারীরা। বিক্ষোভকারী স্লোগান দেন, ‘এই অপরাধ লুকানো যাবে না, আমরা নিহতের কণ্ঠস্বর হয়ে থাকব।’ তবে পুলিশ বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে বলে সিএননের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৩০০ যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের এই সংঘর্ষ হয়। বিবিসি জানিয়েছিল, এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে গিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।


আরও খবর



আমাদের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বে ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা চাই। সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক সেটা আমরা চাই। আমি এটাও বলতে পারি যে, বাংলাদেশে আসন্ন যে নির্বাচন সেটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, এরমধ্যে কোনো প্রশ্ন নাই।

আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে আমরা যাব না। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু নির্বাচনে কে অংশ নেবে, কে নেবে না সেটা সেসব রাজনৈতিকদলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমরা চাই সবাই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

বিএনপি বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। অনেক রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলছেন। বিদেশিদের কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। বিদেশিরা যদি জানতে চায়, আমরা যেহেতু হত্যা বা মিথ্যার রাজনীতি করি না। তাই আমাদের তাদের এ ব্যাপারে জানাতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা কোনো লুকোচুরি করি না, সেজন্য বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এগুলো জানাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কোনো দ্বিধা নেই৷

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র, তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কেউ কোনো কথা বললে আমরা সেটা শুনব না। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র, জনগণের জন্য যেটা ভালো হবে, আমরা সেটা করব।’


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আহত এক দলিল লেখক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তু”ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আসাদুজ্জামান বাবু নামে এক দলিল লেখক গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি এ উপজেলায় চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস প্রাঙ্গনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুজ্জামান বাবুকে উদ্ধার করে, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় আসাদুজ্জামান বাবুর মাথায় বড় রকমের ছোট পড়েছে, এতে তার মাথার উপরি ভাগ ফেটে গেছে।

প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত দলিল লেখক আসাদুজ্জমান বাবু পুর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। আসাদুজ্জামান বাবু ও তার স্বজনেরা জানায় কথা কাটাকাটি তর্ক-বিতর্কের মধ্যে একই অফিসে কর্মরত ষ্টেশনপাড়া গ্রামের বাসীন্দা দলিল লেখক আব্দুল ওহাব মনুর ছেলে, দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল তার মাথায় মোটা কাঠ দিয়ে আঘার করে, এতে তার মাথা ফেটে তিনি গরুতর আহত হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্র¯‘তি চলছিল।

এদিকে দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল বলেন ভুলবুঝাবুজিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

দুই দলিল লেখকের মারা-মারির ঘটনাটি উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পরিনত হয়েছে। 




সংবাদ প্রেরক

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

মোবাইল-০১৭১২৫৮১৫১২

তারিখ-২৫.০৩.২০২৩



আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে ভেজাল ঘি কারখানায় বিএসটিআই'র ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ভেজাল ঘি তৈরির একটি কারখানায় বিএসটিআই অভিযান চালিয়েছে।এ সময় চক্রের প্রধান সদস্য মামুন পাইক কে এক বছর কারাদণ্ড ও অপর একজনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট । সোমবার ৬ মার্চ রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এন.এস.আই) এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএসটিআই এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।এ সময় বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার (সিএস) রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।


 

 

সাধারণত ঘি তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে দুধ। দুধের খাঁটি ননি সঠিক নিয়মে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় উৎকৃষ্ট ঘি। কিন্তু একটি চক্র দুধের বদলে নিম্নমানের সয়াবিন ও ডালডা দিয়ে নকল ঘি তৈরি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন যাবত। 


এরপর এসব ঘি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) লোগো লাগিয়ে নামি ব্র্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হতো। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী এলাকার কাজিরগাঁও চাঁদনী মাঠ এলাকায় একটি আবাসিক বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।



 বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ঘি কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে মামুন পাইক ও তার সহযোগী মিলে 

সংঘবদ্ধভাবে ভেজাল ঘি উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিল। এতে বিভিন্ন কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্নসহ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি করে আসছে। এছাড়া ভেজাল ঘি বাজারজাত করায় দেশের সাধারণ জনগণ ওই ঘি বাজার থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিসহ কোমলমতি শিশুরা খাওয়ায় তাদের জীবননাশের হুমকির সম্মুখীনসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা প্রতারণামূলকভাবে, মিথ্যা ও অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কোম্পানির ঘি ভেজালভাবে প্রস্তুত করে অধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করে আসছিলেন। এ সব ভেজাল ঘি স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।


 

এ সময় নামি ব্র্যান্ডের ভেজাল ঘি (নিউ ফ্রেশ গাওয়া ঘি, ফেমাস স্পেশাল গাওয়া ঘি, স্পেশাল বাঘাবাড়ী ঘি), বিপুল পরিমাণ  সয়াবিন তেল, ভেজাল ঘি তৈরির মেশিন ও ডালডাসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। নকল ঘি উৎপাদন করায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মামুন পাইককে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং তার অপর সহযোগীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।



আরও খবর



কারাগারে মাহি: নিরব শিল্পীরা, সরব নির্মাতারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শনিবার সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে এই চিত্রনায়িকা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর সে কারণেই স্বামী রাকিব সরকারকে নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ফিরেই যে তাকে কারাবন্দি হতে হবে- এটি ছিল অজানা! এই ঘটনায় তার ভক্তরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

মাহির কারাবন্দীর হওয়ার খবরে শোবিজ পাড়ায় সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। মাহির সহকর্মীরাও হয়তো খবরটি শুনে বিস্মিত হয়েছে। তবে নিবর আছেন তারা, বলেননি কোনো কথা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নিরব থাকাতে পারেনি নির্মাতা শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি ও আশফাক নিপুণ। মাহিকে নিয়ে তারা কথা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।


শিহাব শাহীনের ভাষ্য, ‘আরাভ খান (দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার আসামি) থেকে দৃষ্টি সরে যাবে সবার। মাহিকে প্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই।’

আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।’

নির্মাতা রেদওয়ান রনি কথাও তাই। তার ভাষ্য, ‘মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’

এই নির্মাতাদের পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রতি এ ধরণের মোটেও কাম্য নয়।


আরও খবর